![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি যে, বাক স্বাধীনতা মানে সত্য বলার অধিকার। আমি এও বিশ্বাস করি যে বাক স্বাধীনতা মানে মিথ্যাচার নয়। আমি আরও বিশ্বাস করি যে, বাক স্বাধীনতা মানেই যা ইচ্ছা তা-ই বলা নয়।
কথাগুলো আমার ব্যক্তিগত মতামত। মতামত সকলেরই থাকে। আমারও আছে। সেটা প্রকাশ করার জন্য আছে ব্লগ, যেখানে মডারেশন থাকা আর না থাকা সমান। আমাদের দেশে যারা ফেসবুক সেলিব্রেটি বা ব্লগে সেলিব্রেটি তরা কারও মতের থোড়াই কেয়ার করা বিধায় তাদের মতের বাইরে কিছু বললে অনেকে না বুঝেই তেড়ে আসে। তারপরও বলি, এর আগের একটা পোস্টে আমি লিখেছিলাম আমি যে আমি বিটিআরসির পক্ষে। আমি চিন্তাভাবনা করেই বিটিআরসির পক্ষে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্লগে আছেন এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি বিষোদ্গারকারী পোস্টগুলো পড়েছেন তারা খুব ভাল করেই জানেন যে, ওরা কী লিখেছিল আর কি লিখে নাই।
এখন পত্রিকাগুলোতে দেখি চার-পাঁচ জন মিলে দাঁড়িয়ে ব্লগারদের মুক্তি চাইলে সেটা প্রায় হেডলাইন করে ফেলা হয়। কেন রে ভাই আপনারা গালিবাজ ব্লগারদের সসম্মানে মুক্তি চান? তারা কি আপনাকে সম্মান করেছিল? আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে সম্মান করতে পারে। তবে সার্বিক ভাবে তারা এ দেশের সব মানুষকে অপমান করেছে। আমি তাদের শাস্তির পক্ষে। অন্তত প্রতিকী শাস্তি হলেও তাদেরকে দিতে হবে।
তাদেরকে শাস্তি দেয়া আইনতঃ বৈধ। বাংলাদেশে বর্তমানে যে ভায়োলেন্স হচ্ছে তার পেছনে অনেকাংশে দায়ী এই তথাকথিত ব্লগাররা। এদেরকে যদি সসম্মানে মুক্তি দেয়া হয় তাহলে এ দেশের আপামর জনগনের বিশ্বাসকে অপমান করা হবে, তাদের সংস্কৃতিকে অপমান করা হবে, তাদের মূল্যবোধকে অপমান করে হবে।
শাহবাগ আন্দোলনের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে কেন এ কথা সবাই জানেন। কিন্তু অনেকেই স্বীকার করতে চান না। অনেকেই আছেন যারা রাজীব হায়দারকে শহীদ খেতাব দেবার কারণে নীরবে সরে এসেছেন। এখন ফেসবুকে ব্লগার্স এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক নামক পেজে দেখতে পাই, সে পেজের এডিমিন রীতিমত আলেম বনে গেছেন। রাসূল (সাঃ) আর তার পরিবারের মেয়েদেরকে নিয়ে যারা অশ্লীল গল্প রচনা করেছে, তাদেরকে চুপ করিয়ে দেয়াটা কতটা শরীয়ত বিরোধী সেটা প্রমাণের জন্য অনেকে উঠে পড়ে লেগেছেন।
আমার মনে কি আছে সেটা আমি কেন প্রকাশ করব না? যারা বাক স্বাধীনতা রক্ষার নামে গালিবাজদের পক্ষ নিয়েছেন। তারা বাক স্বাধীনতার গুরুত্ব কতটা দেন তা আমাদের ভাল করে বোঝা হয়ে গেছে।
পাবলিক সেন্টিমেন্ট বুঝে কাজ করলে শাহবাগের নেতাদের আজ পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে বেড়াতে হত না। প্রথম দিকে যেমন সারা বাংলা ছুটে এসেছিল, শাহবাগের দিকে এখনও সারা বাংলা সে দিকেই তাকিয়ে থাকত। কিন্তু মঞ্চের লোকেরা বন্ধুপ্রীতির কারণে বাক অপরাধীদের পক্ষ নিয়েছেন। আমরা এটা সমর্থন করতে পারি না।
সব শেষে একটা কথা বলতে চাই। আপনারা যতই ঐ চার ব্লগারের মুক্তি চান না কেন, কোনই লাভ হবে না। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সবাই ওদের শাস্তির পক্ষে। বিপক্ষে শুধু কিছু বাম ভাঁড় যারা ছালার ব্যাগ কাঁধে নিয়ে পথে পথে ঘোরা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না।
ধন্যবাদ
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৩
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: একমত হবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০০
হায়দার সুমন বলেছেন: সঙ্গত কারণে একমত
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১০
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমি বিশ্বাস করি, বেশিরভাগ মানুষ সার্বিক পরিস্থিতিকে এভাবেই দেখেন।
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৬
আলতামাশ বলেছেন: সহমত
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১০
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
রাইসুল বাঙ্গালী বলেছেন: বিক্ষুব্ধ অভিমত, যুক্তিপূর্ণ!
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
পংবাড়ী বলেছেন: সেলেব্রিটি, মেলেব্রিটি, বালচালরা ব্লগের কাছেও আর আসে না; সবার সিকরেট আউট হয়ে গেছে; এরা পর্ণোগ্রাফী নিয়ে বেশ পয়সা কামিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ------আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে সম্মান করতে পারে। তবে সার্বিক ভাবে তারা এ দেশের সব মানুষকে অপমান করেছে। আমি তাদের শাস্তির পক্ষে। অন্তত প্রতিকী শাস্তি হলেও তাদেরকে দিতে হবে।
তাদেরকে শাস্তি দেয়া আইনতঃ বৈধ। বাংলাদেশে বর্তমানে যে ভায়োলেন্স হচ্ছে তার পেছনে অনেকাংশে দায়ী এই তথাকথিত ব্লগাররা। এদেরকে যদি সসম্মানে মুক্তি দেয়া হয় তাহলে এ দেশের আপামর জনগনের বিশ্বাসকে অপমান করা হবে, তাদের সংস্কৃতিকে অপমান করা হবে, তাদের মূল্যবোধকে অপমান করে হবে....
Ekmot
++