নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় আমি মানুষ

জু েয়ল

জু েয়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিকারুননিসা

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

কে এই "ভিকারুন নেসা নুন" ?
"ভিকারুণ নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ"
চিনিনা এমন কেউ নেই, কিন্তু এই "ভিকারুণ নিসা নুন" কে ছিলেন? কেমন ছিলেন? তা অনেকেই জানিনা। "ভিকারুণ নিসা নুন" ছিলেন ফিরোজ খান নুনের স্ত্রী।

"ফিরোজ খান নুন" ছিলেন ১৯৫৭-৫৮ এর সময় পাকিস্তানের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ বছর পর্যন্ত পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন। তারপর পরের তিন বছর (১৯৫৩-১৯৫৬) পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ফিরোজ খান নুন বিয়ে করেন ভিক্টোরিয়াকে (ভিকারুণ নিসার পূর্ব নাম)। জন্মগত দিক দিয়ে ভিক্টোরিয়া অস্ট্রিয়ান ছিলেন। বিয়ের পর ভিক্টোরিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে 'ভিকার-উন-নিসা' (ایک مسجد ہے) নাম পরিবর্তন করেন।

ফিরোজ খানের এর রাজনৈতিক জীবনেরও সক্রিয় সঙ্গী ছিলেন ভিকারুণ নিসা। ফিরোজ খানের সাথে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। ইন্ডিয়ার ভাইসরয়ের মন্ত্রীপরিষদ থেকে পদত্যাগ করে স্ত্রীকে নিয়ে লাহোর চলে আসেন ফিরোজ খান নুন। তারপর ফিরোজ খানের পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন ভিকারুণ নিসা। পাঞ্জাবে যখন Civil Disobedience Movement চলছিল, সে সময় লেডি নুন তিনবার গ্রেফতার হওয়ার পরেও দমে যাননি। ব্রিটিশ সমর্থিত খিজরের মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে পুণরায় আন্দোলনকে সংগঠিত করতে সহযোগিতা করেন।

স্বামীর মৃত্যুর পরেও ভিকারুণ নিসা বিভিন্ন সামাজিক সেবা মূলক কাজে জড়িত থাকেন। পূর্ব বাংলার মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এই দেশ থেকে যেন মেয়েরা অক্সফোর্ড, ক্যাম্ব্রিজ এর মতো উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য যেতে পারে, সেজন্য চেষ্টা করে যান ভিকারুণ নিসা নুন।

সেই ছোট পরিসরের ভিকারুণ নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ আজ দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ। প্রত্যেকটা মহৎ কাজের পেছনে কারা ছিলেন সেসব জানার জন্যে আমাদের ইতিহাস পাঠ খুবই জরুরি। (ছবিতে ভিকারুণ নিসা নুন)

#Collected

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০১

কামাল১৮ বলেছেন: গভর্নরের স্ত্রী চাইলেই একটা স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। তবে সমাজ সেবার মানসিকতা ছিলো,যেটা সবার থাকে না।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪১

জু েয়ল বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ক্ষমতা থাকলেই হয় না, ভালোকাজের মন থাকতে হয়। ভালো থাকুন।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অল্প অল্প জানা ছিল। বাকিটা আপনার লেখা থেকে জানলাম।

ভিখারুন্নেসার ছাত্রী ভালো কিন্তু এই স্কুলের শিক্ষক এবং পরিচালনা পরিষদ ভালো না। রাশেদ খান মেনন এক সময় পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ওনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। ঘটনা সম্ভবত সত্যি। এই স্কুলের একজন নারী অধ্যক্ষের টেলিফোন আলাপ প্রকাশ পেয়েছিল। উনি কাকে যেন হুমকি দিচ্ছিলেন যে তিনি বালিশের নীচে পিস্তল রেখে ঘুমান।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

জু েয়ল বলেছেন: ভিকারুন্নেছা স্কুল নিয়ে সব সময় ই কোনো না কোনো কেলেংকারীর খব্র থাকেই, বিশেষ করে পরিচালনা পরিষদ ও প্রধান শিক্ষক কে নিয়ে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: অতি অল্প কথায় অনেক অজানা বিষয় শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৯

জু েয়ল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য, ভালো থাকুন সব সময়।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: দেশের সবচেয়ে সফল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা একজন পাকিস্তানীর এবং নাম পরিবর্তনের হিড়িকের যুগে এক পাকিস্তানীর নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়া স্কুল এখনও টিকে আছে - এই ব্যাপারটা হজম হচ্ছে। সরকারের তেলবাজ অংশ সম্ভবত আপনার এই ব্লগ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেনা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

জু েয়ল বলেছেন: তাই তো ভাবছি যে বিষয়টা শেয়ার করে ভুল করলাম কিনা, এখন না আবার এই স্কুলের নাম পরিবর্ত্ন নিয়া আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যাঁ জানি আমি এ বিষয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.