![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন অতি ফাও প্রানী ! সাহিত্যহীন সুখি জীবন যাপন করছি !! শিখছি কি করতে হবে আর কি করতে হবে না !!!
২৬মার্চের ছুটিটা কাজে লাগানোর ধান্দা ছিল কয়েকদিন আগ থেকেই। সেই অনুযায়ি পরিকল্পনা করা হলো। আমাদের টার্গেট ছিল ঐ দিন বগুড়া, মহাস্থানগড় সহ আরো যত ঘুরাঘুরি করা যায় করবো। ভোর ৬ টার সময় আমরা জায়গামত হাজির হয়ে গেলাম। কয়েকজন লেট করবে এটাই স্বাভাবিক, ফাইনালি সাড়ে ছ’য় টার দিকে মাইক্রো যোগে রওনা দিলাম আমরা ১৩ বন্ধু। আর সমগ্র যাত্রাপথ ছিল আন-লিমিটেড দুষ্টামিতে ভরপুর।
বগুড়া শহরে পৌছালাম সাড়ে এগারটার দিকে। সেখান থেকে মহাস্থানগড় যেতে ১২টা বেজে গেলো। প্রায় ৫/৬ ফুট চওরা ইটের প্রাচীর দিয়ে মহাস্থানগড়ের বিশাল একটা অংশ ঘেরা আর প্রাচীরের দুরুত্ব কত কিলোমিটার তা আমার জানা নেই। বিশাল এই অংশটুকু ভুমি থেকে প্রায় ৫০/৬০ ফুট উচুতে। এর উপরিভাগ সমতল, আছে বিশাল মাঠ, ক্ষেত, গাছ, ঢিবি। রাস্তার অপর পাশে আছে মহাস্থানগড় যাদুঘর এবং গোবিন্দ ভিটা । ছোট এই যাদুঘরের ভেতরে আছে শত শত বছর (১২০০ - ১৮০০ শতক) আগের বিভিন্ন দেব-দেবী মুর্তি, স্বর্ন-রৌর্প মুদ্র, বাসন-পাত্র, শিলা লিপি, হাতিয়ার, নক্সা করা ইট ইত্যাদি আর বাইরে আছে কামান, ১৮ শতকের তোরন।
এ অংশটুকু দেখার পর রওনা দিলাম ’গোকুল’ নামক জায়গায় বেহুলার বাসর দেখতে। মহাস্থানগড় থেকে মাইক্রো দিয়ে যেতে প্রায় আধ ঘন্টা লাগলো। ’বেহুলার বাসর’ দেখতে ছোট-খাট গোলাকার পাহাড়ের মত। স্থানীয় লোকেরা আঙ্গুল দিয়ে দেখালো ঐটা বেহুলার থাকার ঘর, এইটা রান্না ঘর, এইটা খাওয়ার ঘর (!!)। ’বেহুলার বাসর’ এর উচ্চতা হবে প্রায় ৬/৭ তলা বিল্ডিং এর সমান। এখান থেকে পুরো এলাকার বিশাল একটা অংশ দেখা যায়।
ভ্রমন স্মৃতি ঃ ২৬ মার্চ ২০০৭ইং, সোমবার।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১০:৩৫
প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বলেছেন: মে দিবস ও বৌদ্ধপূরনিমা... এইবার কই যাইবেন?
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১০:৩৮
ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: ছবি - ০১। বেহুলার বাসর
ছবি - ০২। মহাস্থানগড়
ছবি - ০৩। গোবিন্দ ভিটা
ছবি - ০৪। মহাস্থানগড় যাদুঘরের সমনে
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১০:৪৪
ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: সালেহ - বেহুলার বাসর পাইছেন এই বার ?
প্রতু ভাই - এই গরীবের শুধু ১ মে বন্ধ
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১০:৪৬
নাদান বলেছেন: উপড়ের ছবিটাই বেহুলার বাসর ঘর
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১০:৫০
আবু সালেহ বলেছেন: হুমমমমম
পাইিছ....
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১১:০৩
রাগিব বলেছেন: ঝড়ো হাওয়া ভাই, পুরানো কথাই আবার বলছি, ছবি চাই উইকিপিডিয়ার জন্য। আমাকে আগের গুলার মতো ইমেইলে পাঠাবেন কি? আগাম ধন্যবাদ জানালাম।
৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১১:১৫
ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: রাগিব ভাই - উইকিপিডিয়ার জন্য ছবি দিতে পারলে আমর নিজেরো খুব ভালো লাগবে। অবশ্যই পাঠায় দিব । আপনার আবদার আমাকে উৎসাহ দেয়। অনেক ধন্যবাদ।
৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১১:২৫
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: বেহুলার বাসরের ইতিহাস কি? বেহুলার ঘটনা কি সত্যি না কি?
১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ দুপুর ১২:৫১
বিপ্লব রহমান বলেছেন: সুন্দর লেখা। মহাস্তানগড়ের ইতিহাস সম্পর্কে খানিকটা তথ্য দিলে ভাল হতো।...
১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ দুপুর ১:১৩
অন্ধকার বলেছেন: ইশ্ চলে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে!
১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ দুপুর ১:৩৩
শুভ বলেছেন: হায় ঝড়ো, আমার জন্য যদি ওখানকার একটা ইট নিয়ে আসতেন...
১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ দুপুর ১:৩৪
শাওন বলেছেন: সারাক্ষন তো দেখি ঘোরাঘুরির মধ্যে আছেন মামা । আমি আজ অনেকদিন কোথাও যাইনা।
বর্ণনা শুনে চলে যেতে ইচ্ছা করছে ।
১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ দুপুর ২:২৯
ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: উইকিপিডিয়া থেকে মহাস্থানগড়ের ইতিহাস কপি পেষ্ট করলাম ...
মহাস্থানগড়
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। পূর্বে এর নাম ছিল পুণ্ড্রনগর বা পুণ্ড্রবর্ধন। এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এর অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা থানায়। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কি.মি উত্তরে মহাস্থান গড় অবস্থিত।
ইতিহাস
সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষণ সেন যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন তখন এই গড় অরক্ষিত ছিল(১০৮২ -১১২৫) । মহাস্থানের রাজা ছিলেন নল যার বিরোধ লেগে থাকত তার ভাই নীল এর সাথে। এসময় ভারতের দাক্ষিণাত্যের শ্রীক্ষেত্র নামক স্থান থেকে এক অভিশপ্ত ব্রাহ্মণ এখানে অসেন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে । কারণ তিনি পরশু বা কুঠার দ্বারা মাতৃহত্যার দায়ে অভিশপ্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনিই এই দুই ভাইয়ের বিরোধের অবসান ঘটান এবং রাজা হন। এই ব্রাহ্মণের নাম ছিল রাম । ইতিহাসে তিনি পরশুরাম নামে পরিচিত। কথিত আছে পরশুরামের সাথে ফকির বেশী আধ্যাত্মিক শক্তিধারী দরবেশ হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র এর যুদ্ধ হয়। (১২০৫ – ১২২০) যুদ্ধে পরশুরাম পরাজিত ও নিহত হন।
বেহুলার বাসর ঘর
মহাস্থান বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে একটি বৌদ্ধ স্তম্ভ রয়েছে যা সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। স্তম্ভের উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত।
১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ বিকাল ৪:৫১
ঝড়ো হাওয়া বলেছেন: শুভ ভাই - ইট আনতে পারি নাই , তবে দই নিয়ে আসছি
ভাইগনা - গত বৃহঃষ্পতি বারেও অন্য এক জায়গায় ঘুড়তে গিয়েছিলাম , ঐটা নিয়ে পরে আলাদা পোষ্ট দেব।
১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৯
শাহানা বলেছেন: ঝড়ো হাওয়া: ভাল করেছেন ইট আনেননি, সবাই যদি ইট তুলে যায় তো এরপর আমাদের মহাস্থান গড়ের মাঠ দেখতে যেতে হবে।
১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ রাত ১০:৫০
মাহবুব সুমন বলেছেন: বর্ণনা ভালো হয়নি , মুবি সংক্ষিপ্ত। আরেকটু বিস্তারিত হলে ভালো হতো। বগুড়া ও মহাস্তাগড়ের প্রতি আমার অন্য রকমটান রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০০৭ সকাল ১০:৩০
আবু সালেহ বলেছেন: "েবহুলার বাসর" এর ছবি কই......?