![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিবিরের লোকজন এই ব্লগে নিয়মিত দাবি করে তাদের মত ফেরেস্তা সারা দেশ খুজলেও পাওয়া যাবে না। আচ্ছা তাহলে দুই-একটা উদাহরন দেখি তো তাদের কীর্তির-
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: বাইরে লিখে উত্তরপত্র জমা দিত শিবির ক্যাডাররা!
আনু মোস্তফা ও আসাদুর রহমান
শিবির ক্যাডাররা দলীয় প্রশাসনের আনুকূল্য পেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে, তার অন্যতম হলো পরীক্ষার খাতা বাইরে লিখে পরে জমা দেওয়া। নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষায়ও শিবির নানা অপকৌশল ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে হলগুলোর শিবির-নিয়ন্ত্রিত কক্ষ তল্লাশির সময় উদ্ধার হওয়া কাগজপত্র থেকে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ২৩৫ ও ২৬৬ নম্বর কক্ষ তল্লাশি করে শিবিরের নানা অপতৎপরতার বহু প্রামাণ্য দলিল উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি শিবির-নিয়ন্ত্রিত ১১৪ নম্বর কক্ষ থেকে পাওয়া গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগের সিলমারা বেশ কিছু ফাঁকা উত্তরপত্র বা পরীক্ষার খাতা। বেশ কিছু ভর্তি পরীক্ষার ফাঁকা উত্তরপত্রও এ কক্ষ থেকে উদ্ধার করেছে হল প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম সোবহান বলেছেন, 'এসব ঘটনা আমাদের ধারণার অতীত ছিল। এখন দেখছি, শিবির ফাঁকা উত্তরপত্রও পরীক্ষা হলের বাইরে নিতে সক্ষম হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটিকে এসব বিষয় দেখার জন্য অনুরোধ করেছি।'
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে ১১৪ কক্ষের আবাসিক ছাত্র শিবির ক্যাডার আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মতিহার থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন খান জানিয়েছেন, আতাউরের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী। সে রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে তাণ্ডবের পর অন্য শিবির ক্যাডারদের সঙ্গে সেও পালিয়ে যায়। পরে ফিরে এসে ১১৪ নম্বর কক্ষেই ওঠে।
আতাউরকে ৮ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকালই আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত থেকে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মতিহার থানার ওসি বলেন, 'আপাতত আতাউরকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি তার বিরুদ্ধে একাডেমিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মামলা করে, তখন সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।'
সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. আখতার ফারুক আরো বলেন, উত্তরপত্র জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত শিবির ক্যাডার আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হল প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত পেলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে মামলা করা হতে পারে। উত্তরপত্র বাইরে আনার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার ছাত্রত্ব বাতিল হতে পারে বলেও প্রাধ্যক্ষ জানান।
সোহরাওয়ার্দী হল কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ১১৪ নম্বর কক্ষ থেকে পাওয়া যায় রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগের ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত মাস্টার্স শেষ বর্ষের পাঁচটি ফাঁকা খাতা বা উত্তরপত্র। খাতাগুলোর সিরিয়াল নম্বর ০২৮২০৫, ০২৫৯১৫, ০২৫১৫৮, ৪০৮৭১ ও ০২৫১৪২। এসব খাতা পরীক্ষা হলের বাইরে কীভাবে গেল, এই প্রশ্নের কোনো উত্তর এখনো খুঁজে পাচ্ছেন না হল প্রাধ্যক্ষ ড. আখতার ফারুক। তিনি আরো জানান, ২৬৬ নম্বর কক্ষ থেকে ২০০৫-০৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ফাঁকা খাতাও পাওয়া গেছে বেশ কয়েকটি। প্রাধ্যক্ষের আশঙ্কা, রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগেরই কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী পরীক্ষায় অবতীর্ণ কোনো শিবির ক্যাডারকে ভালো ফল করিয়ে দিতে এ অবৈধ সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'যেহেতু আতাউর রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগেরই ছাত্র আর খাতাও পাওয়া গেছে তার বিভাগেরই, তাই তাকেই আমরা সন্দেহ করছি উত্তরপত্র সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত বলে।'
এদিকে ১১৪ নম্বর কক্ষ থেকে ২০০৫-০৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ফাঁকা উত্তরপত্রও পাওয়া গেছে। এসব উত্তরপত্র পদার্থবিজ্ঞান, লোকপ্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও গণিত বিভাগের। প্রাধ্যক্ষ আরো বলেন, 'শিবিরের এসব অপতৎপরতায় আমরা ক্রমাগত বিস্মিত হচ্ছি।' তিনি আরো বলেন, বিদ্যমান পদ্ধতিতে দলীয় শিক্ষকদের সহায়তা ছাড়া পরীক্ষার খাতা পরীক্ষা হলের বাইরে আনা এবং পরে উত্তর লিখে জমা দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।
ফাঁকা উত্তরপত্র কীভাবে বাইরে গেল সে প্রসঙ্গে উপাচার্য ড. এম সোবহান বলেন, 'এসব কাজ বিভাগের কারো সংশ্লিষ্টতা ছাড়া সম্ভব নয়, আপাতত এমনই মনে হয়। আমরা ৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে এসব বিষয় দেখার অনুরোধ করেছি। রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগকেও আমরা বিষয়টি দেখার জন্য বলব। আশা করি, কারা এসবের সঙ্গে যুক্ত তা পরিষ্কার হবে।' তিনি বলেন, এসব যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
> মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির কর্মীরা হাত ও পায়ের রগ কেটে দেওয়ার পর হাবিবুর রহমান হলের মেঝেতে পড়ে আছে ছাত্রলীগ কর্মী বাদশা। ছবি: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/ রাজশাহী, ফেব্র"য়ারি ০৯, ২০১০
মন্তব্য নিস্প্রয়োজন
১. স্কুলছাত্রী উত্যাক্তের দায়ে আটক হল তিন শিবির
২. ইত্তেফাক ২৪শে সেপ্টেম্বর,২০০৮: চট্টগ্রামে অস্ত্র মামলায় শিবির ক্যাডার মুন্নার ২৪ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে অত্যাধুনিক একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেফতার হওয়া শিবির ক্যাডার দুলাল উদ্দিন ওরফে মুন্নাকে ২৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ মজনুল আহসান মঙ্গলবার এই রায় প্রদান করেন। দণ্ডিত আসামি মুন্না পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
২০০৫ সালের ১০ জুন ফটিকছড়ি এলাকায় অভিযান চালানোর সময় সন্ত্রাসীদের সাথে বন্দুক যুদ্ধের পর শিবির ক্যাডার মুন্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হাটহাজারী থানার মন্দাকিনীর গ্রামের বাড়ির মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় একটি একে-৪৭ রাইফেল ও ১২২ রাউন্ড গুলি। এ ব্যাপারে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এ নিয়ে দৈনিক সমকাল এর খবর
এ নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর খবর
3.
কুমিল্লায় মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে জবাই করলেন জামায়াত নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা ও লাকসাম প্রতিনিধি
তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার শমসপুর গ্রামে এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে জবাই করে হত্যা করেছেন লাকসাম উপজেলার রেলওয়ে জংশনের জামায়াতের আমির আবদুল কাহার। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাইজুল কবির। সে ফয়েজগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী। গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টায় ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় জনতা কাহারের সহোদর জাহাঙ্গীর আলমকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শমসপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আলিম পরীক্ষার্থী ফাইজুল কবির গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টার সময় পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফেরে। ওই সময় সে দেখতে পায়, তাদের জমির সীমানার কাছের তালগাছ থেকে তাল পাড়ছেন একই বাড়ির পাশের ঘরের বাসিন্দা লাকসাম উপজেলার রেলওয়ে জংশনের জামায়াতের আমির আবদুল কাহার, তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও ভাতিজা ফারুক আহমেদ। ওই সময়ে ফাইজুল তাল পাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনজন মিলে তাকে ধাওয়া করে। ফাইজুল দৌড়ে ঘরে ঢোকার পর তারাও ঘরে ঢোকে এবং তিনজন মিলে ছেনি দিয়ে তাকে জবাই করে হত্যা করে। ঘরের দরজা খোলা থাকায় বাড়ির সবাই এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। এরপর কাহার ও তাঁর ভাতিজা ফারুক পালিয়ে যান। তবে উপস্িথত জনতা জাহাঙ্গীর আলমকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে। ফাইজুল কবিরের বাবা ফয়েজগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা জয়নাল আবেদীন।
অভিযুক্ত আবদুল কাহারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ধরেননি। ফলে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, জমিজমা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ওই হত্যাকান্ড ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
৪. অস্ত্র রাখার দায়ে চট্টগ্রামে ৫ শিবির কর্মীর ১৭ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম, আগস্ট ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- অস্ত্র ও গুলি রাখার দায়ে চট্টগ্রামে ৫ জনের ১৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। এরা সবাই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান।
এরা হলেন- এয়াকুব আলী ওরফে বাবুল, নাসির উদ্দিন ওরফে বাদশা, মোহাম্মদ ফোরকান, আইমাদুল করিম ও মো. জাহাঙ্গীর। তারা সবাই বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ইনামুল হক ভূইঁয়া এ রায় দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পিপি নোমান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একে-৪৭ রাইফেল ও তিন রাউণ্ড গুলি রাখার অভিযোগ সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক পাঁচজনকে ১৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রপ্তরা সবাই ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত জানিয়ে নোমান চৌধুরী বলেন, প্রত্যেককে অস্ত্র মামলায় ১০ বছর ও গুলি রাখার দায়ে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে।
২০০৪ সালের ৪ আগস্ট মাসে নগরীর বাকলিয়া এলাকার বাসা থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল রাইফেল ও গুলিসহ জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে অপর চারজনের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলার রায় দেওয়া হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমসি/এএনএস/ডিডি/০০২৫ ঘ.
৫. রাবি স্কুলে জামায়াত নেতাদের কাণ্ড !
রাজশাহী, ১৩ মে সাইফুর রহমান আকন্দ এসএনএনবিড ডটকম :-
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বার্ডের (এনসিটিবি) বাইরে জামায়াত নেতাদের লেখা বই বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানো হচ্ছে। স্কুলের পরিচালনা পর্যদের সভাপতি এবং অধ্যক্ষ স্কুলকে জামায়াতীকরণের পাশাপাশি মৌলবাদী শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতে উঠেপড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাবি স্কুলে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদ ও মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর লেখা বই ব্যাধতামূলকভাবে পড়ানো হয়। এনসিটিবি'র সিলেবাসে এসব ক্লাশে এক শ' নম্বরের ধর্ম শিক্ষা বাধতামূলক করা আছে। কিন' স্কুল কর্তৃপক্ষ বিশেষ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ক্লাশে ধর্ম শিক্ষা এক শ' নম্বর থেকে কমিয়ে বাকী পঞ্চাশ নম্বর 'আরবী' শিক্ষার জন্য ব্যাধ্যতামূলক করেছেন। আর সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় পঞ্চাশ নম্বরের সংস্কৃত। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর আরবী ও সংস্কৃততে দক্ষতা না থাকায় তারা চরম ভোগানি-র সম্মূখীন হচ্ছেন বলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন।
সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে স্কুলের ১২ জন সিনিয়র শিক্ষককের বয়স ৬৫ পার হলে তারা পাঁচ বছরের এক্সটেনশন চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে শিক্ষকদের বিভিন্ন মেয়াদে এক্সটেনশন দেয়া হলেও শুধুমাত্র দলীয় স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ১২ শিক্ষককের কাউকেই এক্সটেশন করা হয়নি। ফলে একযোগে স্কুলের সিনিয়র ১২ জন শিক্ষক অবসরে যান। মূলতঃ এর পর থেকেই স্কুলের পরিচালনা পর্যদের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে জামায়াত নেতারা স্কুলকে জামায়াতীকরণ ও মৌলবাদী আস্তানা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।
সূত্র মতে, ১২ জন শিক্ষক একযোগে অবসরে যাওয়ার পর স্কুলের পরিচালনা পর্যদের সভাপতি, জামায়াত নেতা এবং রাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট'র পরিচালক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম; স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষ এবিএম কমরুদ্দৌলা এবং উপাধ্যক্ষ আব্দুল্লা-আল-মাহমুদ দলীয় বিচেনায় পাঁচজন জামায়ত-শিবির কর্মীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। এছাড়া আরও তিন শিবিরকর্মীকে পার্ট-টাইম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। স্কুলে শিক্ষার্থীদের আরবী পড়ানোর জন্য আকতারুজ্জামান আনসারী এবং মোঃ ইসরাফিল নামের দুজনকে পার্ট টাইম হিসেবে নিয়োগ করা আছে। পাঁচজন শিক্ষকের নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাবীদের বাদ দিয়ে দলীয় বিবেচনা এমনকি জীব বিজ্ঞান শিক্ষকের শূন্য পদের বিপরীতে গনিতের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে স্কুলে জীব বিজ্ঞানের কোন শিক্ষক নেই। প্রথম শ্রেনীতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও রাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আলতাফ হোসেনের নাতীকে স্কুলে অবৈধভাবে ভর্তি করানো হয়। এছাড়া বর্তমান অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত পূরন না করে শুধু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পান বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ২০০৭ সালের ২৮ জুন স্কুলের অধ্যক্ষ অবসরে যাওয়ার পর কোন সিনিয়র শিক্ষককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দিয়ে স্কুল সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম দলীয় স্বার্থ কায়েম করতে নিজেই দুই মাস অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। যদিও ২০০৮ সালের মে মাসে বর্তমান পরিচালন পর্যদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র স্কুলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জামায়াতীকরণ এবং মৌলবাদী শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতেই পরিচালনা পর্যদের নির্বাচন দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্কুলের অধ্যক্ষ এবিএম কমরুদ্দৌলা দাবি করেন, এনসিটিবি'র বাইরে স্কুলে বাধতামূলকভাবে আরবি বিষয় পড়ানো হলেও বর্তমানে তা পড়ানো হচ্ছে না। তিনি বলেন, স্কুলের পরিচালনা পর্যদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ধর্ম শিক্ষার পাশাপশি আরবি ও সংস্কৃত পড়ানো হতো। পরিচালনা পর্যদের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জানান, স্কুলে এসসিটিবি সিলেবাসের ধর্ম শিক্ষার বাইরে শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত আরবী ও সংস্কৃত পড়ানো হচ্ছে বলে তিনি অবগত নন
৬. চট্টগ্রাম কলেজে ১৫ আগস্টের কর্মসূচির প্রচারে শিবিরের বাধা
বিডিনিউজ - আগস্ট ১০
প্রথম আলো - আগস্ট ১০ - সারা দেশ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
চট্টগ্রাম, আগস্ট ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চট্টগ্রাম কলেজে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির প্রচারপত্র বিলি করতে দেয়নি ইসলামী ছাত্র শিবির কর্মীরা।
রোববার সকালে কর্মসূচির প্রচারপত্র এবং বোর্ডে টাঙানো নোটিশ তারা ছিঁড়ে ফেলে।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে আজিজ আহমেদ নামে কলেজের একজন পিওনরে মাধ্যমে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত প্রচারপত্র বিলি করার সময় শিবির কর্মীরা কেড়ে নেয়। পরে দুপুর ১২টায় আরেক পিওন মহিউদ্দিনকে দিয়ে বিলি করার উদ্যোগ নিলেও একই ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "শিবিরের নেতারা শোক দিবসের অনুষ্ঠান তিনদিনে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য বলেছিল। কিন্তু আমরা তা মানিনি।"
প্রচারপত্র বিলি করার সময় বাধা দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ওরা কিছু প্রচারপত্র কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন অনুষদ ও আবাসিক হলে মুক্ত আলোচনা, কবিতা পাঠ, স্বেচ্ছায় রক্তাদান, কালো ব্যাজ ধারণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
চট্টগ্রাম কলেজের জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচিতে শিবিরের বাধা
নিজস্ব প্রতিবেদক (প্রথম আলো), চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচির প্রচারপত্র বিতরণের সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার প্রচারপত্র বিলি করার সময় তাঁরা কলেজের পিয়নের কাছ থেকে তা কেড়ে নেন এবং নোটিশ বোর্ড থেকেও প্রচারপত্র ছিঁড়ে ফেলেন।
কলেজ সুত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ বছর জাতীয় শোক দিবসের কর্মসুচি নেয়। আজ সোমবার থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ছয় দিন ধরে এই কর্মসুচি চলার কথা। অনুষ্ঠানসুচির মধ্যে মুক্ত আলোচনা, কবিতা পাঠ, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসুচি, কালো ব্যাজ ধারণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
জানা যায়, এ কলেজে দীর্ঘ সময় ধরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের আধিপত্য আছে। ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা অনুষ্ঠানসুচি ছয় দিনের পরিবর্তে তিন দিনে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য কলেজ প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। শিবিরের নেতা-কর্মীরা কলেজের চারটি ছাত্রাবাসেও শোক দিবসের কর্মসুচি বাতিলের জন্য নানামুখী তৎপরতা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সকালে কলেজের বিভিন্ন বিভাগে শোক দিবসের কর্মসুচির প্রচারপত্র বিলি করার সময় পিয়ন মোহাম্মদ আজিজ আহমেদের কাছ থেকে শিবিরের কর্মীরা তা কেড়ে নেন। পরে অধ্যক্ষ কলেজের তিন শিক্ষক মাহবুব হাসান, শাহ মোহাম্মদ আলমগীর, ইদ্রিস আলী ও পিয়ন মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে আবার প্রচারপত্র বিলি করার দায়িত্ব দেন। কিন্তু মহিউদ্দিনের কাছ থেকে শিবিরের কর্মীরা তা আবার কেড়ে নেন।
অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু জাফর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিবিরের ছেলেরা অনুষ্ঠান তিন দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বলেছিল। কিন্তু আমরা তা মানিনি।’
প্রচারপত্র বিলির সময় বাধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে আবু জাফর চৌধুরী বলেন, ‘ওরা কিছু প্রচারপত্র কেড়ে ছিঁড়ে ফেলে। পরে তাদের ডেকে ধমক দিয়েছি।’
প্রচারপত্র বিলি করতে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘অনুষ্ঠানের বিষয়টা আমাদের আগে জানানো হয়নি। তা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সব ঠিক হয়ে গেছে।’
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৯
নাভদ বলেছেন:
চবি'র শিবির নিয়ন্ত্রিত হল থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
চট্টগ্রাম, নভেম্বর ২৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রিত একটি হল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে তিনটি বন্দুক, একটি পাইপগান, একটি এলজি, একটি দেশি রিভলবার, ৩৮ রাউন্ড কার্তুজ, ৭৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৯ এমএম পিস্তলের ২৩ রাউন্ড বুলেট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ রহমান হলের ৪৩৭ নম্বর কক্ষ থেকে এগুলি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের হাটহাজারী সার্কেল এএসপি বাবুল আখতার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাত সোয়া ৯টার দিকে এসব অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়।
রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের এম ফিল পর্যায়ের শিক্ষার্থী মতিনুর রহমানের নামে কক্ষটি বরাদ্দ ছিলো বলে জানান হলের প্রভোস্ট ড. জহুরুল হক। গত অগাস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন-ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
হলটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রিত হিসেবে পরিচিত।
চবি'র ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আখতার হোসেন পিয়ারু জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে ওই কক্ষে অভিযান চালায় পুলিশ।
গত কয়েকবছরে এটিই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বড় ধরনের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমসি/পিডি/২২১৮ ঘ.
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০০
নাভদ বলেছেন: রাঙামাটিতে জামায়াতের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বান্দরবান: পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে সোমবার সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামীর বিবদমান দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।
রাঙামাটি কোতয়ালি থানা পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সম্প্রতি জেলা জামায়াতের নতুন আমির নির্বাচিত করার পর থেকেই সাবেক আমির এসএস শহীদুল্লাহ এবং বর্তমান আমির আব্দুল আলীমের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সাম্প্রতিক সময়ে জামায়াতনিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ চরমে ওঠে।
সোমবার সন্ধ্যায় শহরের বনরূপায় অবস্থিত ইসলামী সেন্টারে অবস্থিত ছাত্র শিবিরের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের সভা চলাকালে বহিরাগতরা সভায় হামলা চালায়। এ সময় জেলা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, স্কুলছাত্র বিভাগের সম্পাদক নূর জামান মারাত্মক আহত হয়। তাদের রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা ছাড়াও আহত হয়েছেন শিবির নেতা হেলাল এবং রহমতউল্লাহ।
সংঘর্ষের পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে জামাত নিয়ন্ত্রিত ইসলামী সেন্টারে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে জামায়াত এবং ছাত্র শিবিরের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে হামলাকারীরা জেলা জামায়াতের নেতাকর্মী এবং সাবেক আমিরের সমর্থক বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি শহরের বনরূপায় জামায়াতের নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত হয় ইসলামী সেন্টারের ভেতরে মাদ্রাসা, স্কুল, এতিমখানা, হাসপাতাল ও মার্কেটসহ প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:১৯
নাভদ বলেছেন:
Jamaat men clash with cops in city25 injured
Jamaat-Shibir activists pelt police with brickbats from Baitul Mukarram mosque in the capital during a clash yesterday. Photo: Rashed SumonStaff Correspondent
Around 1,000 activists of Jamaat-e-Islami and Islami Chhatra Shibir clashed with police at Paltan area in Dhaka yesterday.
At least 25 people, including 10 policemen, were injured in the half-an-hour clash.
Police used rubber bullets, 40 teargas canisters, water canons and truncheons to disperse the Jamaat-Shibir activists, said Syed Nurul Islam, Ramna division additional deputy commissioner of police, adding that the activists first attacked them with bamboo sticks and brickbats.
Police rounded up 15 Jamaat-Shibir members from the spot and in front of Jamaat-e-Islami office.
The clash started around 5:20pm when police barred a Jamaat-Shibir procession at Paltan intersection. The procession was heading towards Muktangon to hold a rally demanding release of top Jamaat leaders arrested in connection with war crimes during the Liberation War in 1971.
Dispersed and chased, the activists took shelter in Baitul Mukarram mosque and started pelting police with brick chips.
According to party insiders, Jamaat leaders took the rally as a challenge as police earlier in the day barred supporters of Fazlul Huq Aminee, chief of Islamic Oikya Jote, from holding a rally at the same venue.
Around 6:30pm, police again confronted Jamaat-Shibir activists in front of the Jamaat office. They shot rubber bullets and hurled teargas canisters as the activists tried to gather and hold a rally there.
Vehicular movement in Baitul Mukarram and Paltan areas came to a total halt during the clashes. Panicked pedestrians were seen running for safety.
A huge number of police was deployed in Muktangon, Baitul Mukarram and Paltan areas since yesterday afternoon.
AMINEE'S RALLY FOILED >
Earlier in the afternoon, police foiled a rally at Muktangon called by Aminee in protest of the Women Development Policy.
Police charged truncheons to disperse Aminee's supporters when they tried to gather there.
Deputy Commissioner Krishna Pada Roy of Dhaka Metropolitan Police (Ramna Zone) said they barred the followers as Aminee took no permission for the rally.
In an immediate press briefing Aminee claimed that police beat up his party leaders and activists when they went to hold the rally. He threatened to forge an anti-government movement if the government did not punish people responsible for the harassment of the leaders and activists of Islamic Law Implementation Committee
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২১
নাভদ বলেছেন:
ঢাকায় জামায়াতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মঙ্গলবার রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামীর মিছিল পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। ফলে জামায়াতের পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ পালিত হয়নি। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। পুলিশ অন্তত ১৫ জনকে আটক করেছে। এ সময় জিরো পয়েন্ট, দৈনিক বাংলা মোড়, বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর দিক, বিজয়নগর সড়কসহ আশপাশের সড়কগুলো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
জামায়াতে ইসলামী মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান আজাদ জানান, মতিউর রহমান নিজামীসহ বন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে মহানগর জামায়াতের মুক্তাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ছিল।
হাবিবুর রহমান জানান, সে অনুযায়ী তাঁর এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হালিমের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করে মিছিল
নিয়ে মুক্তাঙ্গনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের হামলায় তাঁদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
পল্টন থানার অপারেশন অফিসার উপপরিদর্শক গোলাম সারোয়ার জানান, মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের অনুমতি ছিল না জামায়াতে ইসলামীর। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে বাধ্য হয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টার সংঘর্ষে ৮-১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩০
নাভদ বলেছেন:
৭| ২৮ শে মে, ২০১১ রাত ১:১৬
নাভদ বলেছেন: জনকন্ঠ ২৭/৫/১১ (শেষের পাতা)
রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শিবির কর্মী গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রশিবিরের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিম শিশুর মা বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে। ওই শিবির কর্মীর নাম মইদুল ইসলাম (১৯)। সে উপজেলার পাহাড়পুর নামাজগ্রাম জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন বলে জানা গেছে।
গোদাগাড়ী থানার পুলিশ জানায়, শিশুর মা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পাহাড়পুর নামাজগ্রাম জামে মসজিদে আরবী পড়তে যাওয়া শিশুকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ছাত্রশিবির কর্মী মইদুল। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে হাতে-নাতে আটক করে। তবে স্থানীয় মাতবর ও জামায়াত নেতারা শিশুটির মাকে ম্যানেজ করে আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ রাতেই ছাত্রশিবিরের ওই কর্মীকে গ্রেফতার করে।
এলাকাবাসী জানায়, পাহাড়পুর গ্রামের এনত্মাজ আলীর ছেলে মইদুল ইসলাম মাদ্রাসায় লেখাপড়ার পাশাপাশি মসজিদের মোয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত। সে ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছে।
৮| ০৩ রা জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৬
নাভদ বলেছেন:
কারমাইকেল কলেজের ছাত্রাবাসে তল্লাশী: বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রংপুর: ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঘাটি হিসেবে পরিচিত কারমাইকেল কলেজের ওসমানী ছাত্রাবাসে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ লাঠি, লোহার রড, সাইকেলের চেইন, নিষিদ্ধ ঘোষিত বই, জামায়াতের পোস্টার, পাথরসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কারমাইকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত শিবির নিয়ন্ত্রিত কারমাইকেল কলেজের ওসমানী ছাত্রবাসের ১১৩, ১১৮, ২০২, ২০৩ সহ ছয়টি কক্ষে অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রায় সাড়ে ৩শ লাঠি , বিপুল পরিমাণ লোহার রড, সাইকেলের চেইন, নিষিদ্ধ বই, জামায়াতের পোস্টার ও দেশীয় অস্ত্র, চাঁদা আদায়ের রশিদ, লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
কক্ষগুলো শিবির নেতাদের বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
যে সব পোস্টার উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে নিজামী-মুজাহিদের মুক্তির দাবি করা হয়। এ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক নিষিদ্ধ বইও রয়েছে।
কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দীপকেন্দ্র নাথ দাস বাংলানিউজকে জানান, গত ১৫ মার্চ ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ চারটি ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে শিবির ক্যাডারা ওসমানী ছাত্রবাসসহ অন্যান্য ছাত্রাবাসগুলো খুলে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো ।
শিবির ক্যাডাররা বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতির জন্য এই দেশীয় অস্ত্রগুলো ওসমানী ছাত্রাবাসে রাতের আধারে মজুদ করে রেখেছিল বলে দাবি করেন তিনি।
কোতয়ালী থানার ওসি হায়দার আলী মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, উদ্ধারকৃত মালামালগুলো শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তালিকা তৈরি করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১১
৯| ১০ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২০
নাভদ বলেছেন:
১০| ১০ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২১
নাভদ বলেছেন:
১১| ১০ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২৯
নাভদ বলেছেন: কুমিল্লায় জামায়াত নেতার বাড়িতে ১০ আগ্নেয়াস্ত্র
কুমিল্লা, জুন ১০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বাড়ি থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোর পৌনে ৬ টার দিকে চৌদ্দগ্রামের পশ্চিম ডেকরা গ্রামে জামায়াতে ইসলামীর আলকরা ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারি ও সাবেক ছাত্রশিবির নেতা নজরুল ইসলাম মামুনের (২৮) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি বিদেশি কাটা রাইফেল, ছয়টি পাইপগান ও একটি শাটার গান।
এ ছাড়া শটগানের ৫ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এসব অস্ত্র মজুদ করা হয়েছিলো বলে র্যাব প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা র্যাব-১১ কার্যালয়ে র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মলনে র্যাব কর্মকর্তা মেজর মো. এরশাদুল হক জানান, ঢাকা র্যাব-২ সদস্যরা ভোর পৌনে ৬টার দিকে ডেকরা গ্রামে মামুনের বাসায় অভিযান চালায়। অস্ত্র ও গুলি ছাড়াও সেখান থেকে বেশ কিছু জেহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, মামুনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাসহ তিনটি মামলা রয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/সিএস/কেএমএস/১৫৪৪ ঘ.
==================================
চৌদ্দগ্রামে অস্ত্রসহ জামায়াত নেতা গ্রেফতার
কুমিল্লা, ১০ জুন (শীর্ষ নিউজ ডটকম): কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. নজরুল ইসলাম মামুনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার কাছ থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।
আজ শুক্রবার সকালে চৌদ্দগ্রামের ডেকরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-২ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ এর সদস্যরা এ অভিযান চালায়।
র্যাব জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঢাকার আগারগাঁয়ের র্যাব-২ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ এর মেজর মো. এরশাদুল হক ও ক্যাপ্টেন মো. ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল শুক্রবার সকাল পৌনে ৬টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ডেকরা গ্রাম থেকে মামুনকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪ রাউন্ড গুলি ভর্তি ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ভারতীয় তৈরি কাটা রাইফেল, ৪টি দেশীয় পাইপগান, ১টি শ্যুটার গান ও ৫ রাউন্ড শট গানের কার্তুজ। এ সময় জামায়াত ও শিবিরের বেশকিছু প্রচারপত্রও উদ্ধার করা হয়।
আগামী ১৫ জুন আলকরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে প্রভাব খাটিয়ে বিজয়ী করার জন্য এ অস্ত্র ব্যবহার করতো বলে র্যাব জানায়। স্থানীয় জামায়াত নেতা ইকরামুল কুসুম ও আলাউদ্দিন এ কাজে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছিল বলে র্যাব জানায়। নজরুলের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় ১টি হত্যা মামলাসহ ৪টি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা হয়েছে।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম/প্রতিনিধি/সুম/টিএইচ/১৪.৩৫ঘ.)
১২| ১০ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৩০
নাভদ বলেছেন: চৌদ্দগ্রামে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ জামায়াত নেতা আটক
জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
কুমিল্লা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শুক্রবার ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম (২৮) আটক করেছে র্যাব।
এ সময় তার কাছ থেকে ৪ রাউন্ড গুলি, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি কাটা রাইফেল (ভারতীয়), ৬টি পাইপগান, ওয়ান শ্যুটার ১টি, শটগানের কার্তুজ ৫টি ও ৩১টি পুস্তিকাসহ প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার ভোর পৌনে ৫টায় উপজেলার পশ্চিম দেকা গ্রামে র্যাব-২ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
নজরুল ইসলাম বর্তমানে চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি। এর আগে তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি পশ্চিম দেকাগ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, নজরুল ইসলাম একটি হত্যাসহ ৩টি মামলার আসামি। র্যাবের এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-২ এর এরশাদুল হক ও ক্যাপ্টেন ইমরুল।
আগামী ১৪ জুন চৌদ্দগ্রামের ইউপি নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে প্রভাব খাটিয়ে বিজয়ী করার এ জন্য এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতো বলে র্যাব জানায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, স্থানীয় জামায়াত নেতা ইকরামুল কুসুম, আলাউদ্দিন এ কাজে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১১
১৩| ২৭ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:০২
নাভদ বলেছেন:
সাতক্ষীরায় পর স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় জামায়াত নেতা আটক
সাতক্ষীরা, ২৫ জুন (শীর্ষ নিউজ ডটকম): সাতক্ষীরায় এক ড্রাইভারের স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে জামায়াতের এক রোকনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ের হালিমা হোটেল থেকে আটকের পর জনতা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। আটককৃত জামায়াত নেতার নাম জালাল উদ্দিন (৪৫)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রেউই মির্জানগর দাখিল মাদ্রাসার সুপার। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল লতিফ।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শাহজাহান আলী খান শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, মাদ্রাসা সুপার জালাল উদ্দিন সাতক্ষীরার এক বিচারকের ড্রাইভারের স্ত্রীর মোবাইলে ফোন ও ম্যাসেজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক কথাবার্তা বলে। বিষয়টি ওই মহিলা তার স্বামীকে জানায়। এরপর ফাঁদ পেতে শুক্রবার দেখা করার জন্য শহরের পোস্ট অফিস মোড়ের হালিমা হোটেলে আসতে বলা হয় জালাল উদ্দিনকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সে সেখানে আসলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুপার জালাল উদ্দিন তার দোষ স্বীকার করেছে।
জামাল উদ্দিনের বাড়ি সদর উপজেলার কাউনডাঙ্গা গ্রামে।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম/ প্রতিনিধি/ এস/ ০৮.৩৭ ঘ.)
১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:২০
নাভদ বলেছেন:
চট্টগ্রামে এইট মার্ডার: একে-৪৭সহ সাজ্জাদ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড গ্রেফতার
চট্টগ্রাম, ৬ জুলাই,২০১১ (শীর্ষ নিউজ ডটকম): চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর এইট মার্ডার মামলার অন্যতম আসামি শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহাম্মদ সারোয়ারসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একে-৪৭ রাইফেলসহ ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। মঙ্গলবার ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বায়েজিদ থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার সহযোগিতায় মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিঙ্গার বিল এলাকায় মোহাম্মদ সারোয়ার ও নুরুন্নবী ওরফে ম্যাঙ্নকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি বিদেশি পিস্তল, বিদেশি বন্দুক, দেশীয় অস্ত্র এবং একটি এলজি উদ্ধার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বায়েজিদ থানার চালিতাতলিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আরেক সহযোগী ওসমানকে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ২০০০ সালের ১২ জুলাই নগরীর বহদ্দারহাটে ব্রাশ ফায়ার করে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে হত্যা করে সাজ্জাদ বাহিনী। এর আগে ৯৯ সালের ২ জুন এই বাহিনীর হাতে খুন হয় পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের তৎকালীন কমিশনার ও আওয়ামীলীগ নেতা লিয়াকত আলী। পরে সাজ্জাদ বিদেশে পালিয়ে গেলেও তার বাহিনী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে। কিছু দিন আগেও গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসীরা পাঁচলাইশ থানাধীন প্রবর্তক মোড়ের স্যাভরন নামে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে লুটপাট চালায়। শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ দীর্ঘদিন ধরে দুবাইয়ে অবস্থান করলেও কিছুদিন আগে সে সিঙ্গাপুর চলে যায় বলে জানা গেছে।
(শীর্ষ নিউজ ডটকম/ এসআই/ এআই/ ১১.৫২ঘ)
১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩
নাভদ বলেছেন:
চট্টগ্রামে একে-৪৭সহ ৩ শিবিরকর্মী গ্রেপ্তার
Click This Link
চট্টগ্রাম, জুলাই ০৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- চট্টগ্রামে একটি একে-৪৭ রাইফেলসহ ইসলামী ছাত্র শিবিরের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত নগরীর বায়েজীদ থানা এলাকা এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সিঙ্গার বিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট পাঁচটি অস্ত্র এবং ৩০ রাউন্ড গুলিসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো সরোয়ার ওরফে বাবলা, নুরন্নবী ওরফে ম্যাক্সন ও মানিক ওরফে গিট্টু মানিক।
পুলিশ কর্মকর্তা মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এরা প্রত্যেকে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামি। আলোচিত 'এইট মার্ডার' মামলার আসামি শিবিরকর্মী সাজ্জাদের সহযোগীও তারা।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সিঙ্গার বিল এলাকা থেকে নুরন্নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে বায়েজীদ থানার চালিতাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরোয়ার ও মানিককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মান্নান জানান।
বায়েজীদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি থ্রি কোয়ার্টার পিস্তল, একটি ওয়ানশুটার রাইফেল ও একটি দেশীয় এলজি উদ্ধার করা হয়েছে।
একে- ৪৭ রাইফেলের দুটি ম্যাগজিন ও ২৭ রাউন্ড গুলি এবং বিদেশি পিস্তলের একটি ম্যাগজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও বেলায়েত জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/সিএম/আরএম/এমআই/১২৩৩ ঘ.
১৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২৭
নাভদ বলেছেন: @কমেন্ট ১৫ >
১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩০
নাভদ বলেছেন: আপলোডেড টু দিস সামু সার্ভার >
১৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৪০
নাভদ বলেছেন:
১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৭
নাভদ বলেছেন: প্রথম আলো (২২-০১-২০১২- প্রথম পৃষ্ঠা)
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়আতঙ্ক ছড়াচ্ছে শিবির, মুঠোফোনে হুমকি
শরিফুল হাসান ও মিসবাহ উদ্দিন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে |
‘শিবিরের ধর্মঘট চলছে। কেউ ক্লাসে যাবেন না। এমনকি পরীক্ষাতেও না। কেউ ক্লাসে গেলেই কোপানো হবে। দরকার হলে চিনে রাখা হবে, পরে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে কয়েক দিন ধরে এ ধরনের খুদেবার্তা পাঠানো হচ্ছে। অনেককে আবার দেওয়া হচ্ছে সরাসরি হুমকি। ক্লাস ও পরীক্ষা না নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে শিক্ষকদের। জনপ্রিয় লেখক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান মুহম্মদ জাফর ইকবালকেও মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
শিবিরের এসব হুমকিতে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। তবে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি করেছে। এ ছাড়া ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত রাখলেও আজ রোববার থেকে ক্লাস করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় গত পাঁচ বছরে এক দিনও বন্ধ ছিল না। ফলে সেশনজটও ছিল না। কিন্তু এখন শিবিরের ধর্মঘটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমন সেশনজট ফিরে আসার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট দূর করেছিলাম। এখন যখন দেখি ক্লাস হচ্ছে না, আমার কষ্ট হয়। ক্লাস ও পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য আমাকে এখন মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি এসবকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। এর আগেও আমাকে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে। এখন আমি বললে হয়তো আমার ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে আসবে। কিন্তু কোনো একটা অঘটন ঘটলে কে দায় নেবে? এক ছাত্রকে কোপানো হয়েছে। সে আবার হাঁটতে পারবে কি না চিকিৎসকেরা সন্দেহ করছেন। তারা তো নিয়মতান্ত্রিকভাবে কিছু করছে না। তবে আমি চাই, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসুক। আবার ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হোক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে আমরাও জেনেছি। যেসব নম্বর থেকে এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাচ্ছি। কিন্তু অধিকাংশ নম্বরের কোনো নিবন্ধন নেই। আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি, কারা এসব হুমকি দিচ্ছে।’
গত ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার পর থেকে শিবির হলছাড়া। ওই ঘটনার পর তিন দফা দাবিতে ১৫ জানুয়ারি থেকে ক্যাম্পাসে ধর্মঘট ডেকেছে ছাত্রশিবির।
তবে হুমকি উপেক্ষা করে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোতে ছাত্রশিবির চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। এতে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র হোসাইন জামিল আহত হয়ে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া নগরের টুকেরবাজারের জাঙ্গালিয়া এলাকায় অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বদরুল আলমকে কোপায় শিবির। তাঁকেও ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কয়েক দিন আগে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একটি গুলি ছুড়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায় শিবিরের ক্যাডার গাজী নাসির। সার্বিক পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিল বৈঠক করে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আজ রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রগতিশীল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের অভিযোগ, হলগুলোতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ চায় শিবির। আর সেটি করতে পারছে না বলেই তারা ধর্মঘট করছে, নানাজনকে হুমকি দিচ্ছে।
হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুজাহিদ রুমী বলেন, ‘আমরা ক্ষতিপূরণ, হামলাকারীদের শাস্তি এবং হলে সহাবস্থানের তিন দফা দাবি জানিয়েছি। এই দাবি মানা না হলে ধর্মঘট চলবে।’
ধর্মঘট নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফজাল হোসেন বলেন, ‘সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাস দেখে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু এখন ধর্মঘটের কারণে পরীক্ষা হচ্ছে না। সেশনজটের আশঙ্কায় আছি আমরা।’
শিবিরের প্রতিবাদ: গতকাল শনিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘শিক্ষক-কর্মকর্তারা নিয়মিত চাঁদা দেন শিবিরকে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের প্রচার সম্পাদক। সংক্ষিপ্ত এই প্রতিবাদে বলা হয়,
পরিকল্পিতভাবে কিছু খালি রসিদে নাম ব্যবহার ও ভুয়া দলিল তৈরির মাধ্যমে সম্মানিত ও দায়িত্বশীল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ফোরামের নাম বসানো হয়েছে, যা খুবই হতাশাজনক ও বিস্ময়কর।
প্রতিবেদকের বক্তব্য:
শিবিরের বিভিন্ন কক্ষ থেকে উদ্ধার করা চাঁদা আদায়ের শত শত রসিদ ও মুড়ি প্রথম আলোর কাছে আছে। এসব মুড়িতে শিবিরের নেতাদের স্বাক্ষরও আছে। আর অনেক শিক্ষক চাঁদা দেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন।
২০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৮
নাভদ বলেছেন: প্রথম আলো (২২-০১-২০১২- প্রথম পৃষ্ঠা)
২১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:২৯
নাভদ বলেছেন: শাবিতে শিবিরের এসএমএস সন্ত্রাস: ‘সন্তানকে এতিম করবা?’
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ২৪ জানুয়ারি, ২০১২
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) এসএমএস সন্ত্রাস শুরু করেছে শিবির। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে আতংক ছড়াতে মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে তারা নানা হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এমন সব কথা লিখে তারা ছাত্র-শিক্ষকদের মোবাইলে মেসেজ পাঠাচ্ছে, যাতে করে আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে ক্যাম্পাসে। ক্লাস চালু থাকলেও তাতে অংশ নিতে আসছে না শিক্ষার্থীরা। একই কারণে ক্লাসমুখি হতে সাহস পাচ্ছেন না অনেক শিক্ষকও।
গত ১১ জানুয়ারি ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের পর হল ও ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হয় ছাত্র শিবির। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। কিন্তু ধর্মঘট উপেক্ষা করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে আসলে শিবির ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
ক্যম্পাস সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসতে পারে সেজন্য নেতিবাচক নানা কৌশল বেছে নেয় তারা। ক্যাম্পাসের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহনে ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ছাত্রদের ওপর চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকে। তাতেও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পেরে এসএমএস সন্ত্রাসের পথ বেছে নেয় শিবির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের আতংকজাগানিয়া মেসেজ পাঠাতে শুরু করে তারা। অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে এই অপতৎপরতা শুরু করে শিবির। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, একেক সময় একেক ধরনের মোবাইল নাম্বার থেকে মেসেজ পাঠাচ্ছে জামাতের ছাত্র সংগঠনের দুর্বৃত্তরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ইশফাকুল হোসেন, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান লেখক ড. জাফর ইকবাল, রসায়ন বিভাগের প্রধান প্রফেসর এসএম সাইফুল ইসলামকে এসএমএস এর মাধ্যমে হুমকি প্রদানের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদেরকে ‘তোমার সন্তানকে এতিম করবা, বউকে করবা বিধবা?’ কথাটি লিখে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
শাবির পরিবহন পুল সহকারী খায়রুল আলম চৌধুরী রনিকে ‘জীবনের মায়া থাকলে গাড়ি বের করিস না। বোমা, গুলি করা হতে পারে’ এমন হুমকি দেওয়া হয়। বাস ড্রাইভার রুফিয়ান, মনির ও ধীরেন দাশকেও অভিন্ন কথা লিখে হুমকি দিয়েছে শিবির।
শুধু শিক্ষক এবং পরিবহন সংশ্লিষ্টদেরকেই নয়, ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও মোবাইল বার্তা পাঠাচ্ছে তারা। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে যেসব কথা লিখে এসএমএস পাঠাচ্ছে শিবির তাও ভীতিজাগানিয়া। সেইসাথে বলে দেওয়া হচ্ছে, হুমকির বিষয়টি যেন পুরোপুরি গোপন রাখা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় তাহলে আজ নয়তো, কাল এর বদলা তারা নেবে। তাদেরকে যেখানেই পাবে শিবির সেখানেই ‘প্রতিশোধ’ নেবে।
এ ব্যাপারে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘যেসব মোবাইল থেকে তারা এ ধরনের এসএমএস পাঠাচ্ছে তা রেজিষ্ট্রেশনবিহীন। মেসেজ পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে সিমকার্ড বন্ধ করে রাখে দুর্বৃত্তরা। নানান ধরনের মোবাইল থেকে মেসেজ পাঠাচ্ছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলানিউজকে জানায়, মেসেজগুলোতে পর্যায়ক্রমে কখনওবা প্রাণনাশের আবার কখনওবা হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি আসছে। মেসেজ এমন সব ভাষা ব্যবহার করছে দৃর্বৃত্তরা যাতে করে অনেকেই ভড়কে যাচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসনকে এব্যাপারে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত একজন হুমকিদাতাকেও তারা গ্রেফতার করতে পারেনি। যার ফলে নির্দ্বিধায় মেসেজ সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে শিবির।
২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
নাভদ বলেছেন:
29 Jan 2012 05:20:36 PM Sunday BdST E-mail this
শহীদ মিনারের দেয়াল ভেঙে দিয়েছে শিবির কর্মীরা
জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রংপুর : রংপুর কারমাইকেল কলেজের শহীদ মিনার রক্ষার জন্য নবনির্মিত একটি দেয়াল ভেঙে দিয়েছে ছাত্রশিবির কর্মীরা। এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ বাদী হয়ে শিবিরের জেলা সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশসহ ২২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ দীপকেন্দ্র নাথ বাংলানিউজকে জানান, কলেজের শহীদ মিনারটি সুরক্ষায় একটি দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছিল। শহীদ মিনারের পাশেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের টেন্ড (বসার স্থান)।
তিনি জানান, সেখানে যাতে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ না করা হয় সে ব্যাপারে কয়েকদিন ধরে তাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছিল শিবির কর্মীরা। রোববার ভোরে ৪০ থেকে ৫০ জনের সশস্ত্র শিবিরকর্মী ২০০ ফিট দেয়াল ভেঙে দেয়।
তিনি আরো জানান, পরিকল্পিতভাবে এ কাজটি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন কলেজে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলকারীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিবির কর্মীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১২
২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৪০
নাভদ বলেছেন:
koment 22
২৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৭
নাভদ বলেছেন:
রংপুর কারমাইকেল কলেজে শিবিরকর্মীদের ভেঙে দেওয়া সীমানাপ্রাচীর।
ছবি : কালের কণ্ঠ
কারমাইকেল কলেজশহীদ মিনারে শিবিরের থাবা নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর
রংপুর কারমাইকেল কলেজের শহীদ মিনারের নির্মাণাধীন সীমানাপ্রাচীরের ভিত্তি রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা এটি ভেঙেছে বলে জানা গেছে। শিবিরের কলেজ শাখার সভাপতি কয়েক দিন ধরে ওই কাজ শুরু না করার জন্য মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস। তার পরও কাজ শুরু করায় শনিবার রাতে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ শিবির সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২০-২২ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে মিছিল করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
কলেজ অধ্যক্ষ জানান, দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারগুলোর যথাযথ সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের প্রতি সরকারিভাবে এক নির্দেশনা জারি করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ একমাত্র ইসলামী ছাত্রশিবির ছাড়া সব ছাত্র সংগঠনের মতামত নিয়ে একটি রেজুলেশন করে। পরে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল সভা করে শহীদ মিনারের চতুর্দিকে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য একটি নকশা অনুমোদন করে শনিবার কাজ শুরু করা হয়। প্রায় ৬২০ মিটার সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে শনিবার পশ্চিম দিকের মাত্র ২২০ মিটার নির্মাণাধীন সীমানার ভিত্তি দেওয়া হয়। এ দিন রাতে তারা সেটির পুরোটাই ভেঙে ফেলে। অধ্যক্ষ জানান, শহীদ মিনারের পাশেই লিচুতলায় রয়েছে শিবিরের নিজস্ব টেন্ট। এই সৌন্দর্য বর্ধনের সীমানা দেওয়া হলে তাদের সেই টেন্ট আর সেখানে রাখা সম্ভব হবে না বলে তারা অনেক দিন থেকে ওই কাজ না করার জন্য অধ্যক্ষকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে শিবিরের কোনো নেতা-কর্মীকে না পাওয়ায় তাদের মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রোকেয়া হলে প্রতিকৃতি উন্মোচন :
আজ সোমবার কলেজের মহীয়সী বেগম রোকেয়া ছাত্রী নিবাসে এই প্রথম রোকেয়ার নবনির্মিত প্রতিকৃতি উন্মোচন করবেন অধ্যক্ষ ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহফুজা আনোয়ার ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক। একই সঙ্গে পালিত হবে ছাত্রী নিবাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
২৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১২
নাভদ বলেছেন:
Members of Rapid Action Battalion (Rab) arrest four present and former Islami Chhatra Shibir leaders from Dhaka and Gazipur yesterday. From Left are Alamgir Hossain alias Raju, Mohammad Imran alias Masum, Abdullah Jayed Bin Sabid and Sultan Mahmud alias Ripon. Photo: STARStaff Correspondent
=============
Thursday, August 5, 2010
Rab claims Shibir link with outlaws4 Shibir men held with arms, explosives
The Rapid Action Battalion yesterday claimed to have found link between Islami Chhatra Shibir and banned Islamist outfits.
The elite force claimed that Shibir operatives are collecting arms and explosives from the outlawed organisations to carry out subversive activities in the country.
Rab yesterday arrested four current and former Shibir leaders from Dhaka and Gazipur and recovered a homemade gun, five shotgun bullets, six locally made bombs, five packets of Sulphur and Potassium, Tk 1.10 lakh, nine mobile phone sets and some books on Shibir moral.
The arrestees are Mohammadpur unit Shibir president Abdullah Jayed Bin Sabid, Mirpur Bangla College unit president Sultan Mahmud alias Ripon, former president of Shibir Motijheel unit Alamgir Hossain alias Raju and Mohammadpur Ward-42 unit president Mohammad Imran alias Masum.
"Their [the arrestees] task was to collect arms and ammunition from different sources and to carry out violence in processions and rallies in Dhaka and other places," said Commander Mohammad Sohail, director of Rab Legal and Media Wing, at a briefing at Rab headquarters in Uttara.
The commander said Golam Mortuza, social welfare and cultural secretary of Shibir, guides and arranges them funds.
Alamgir contacted one of the banned groups in Pabna as Mortuza gave him Tk 30,000 for purchasing arms, said the commander.
Alamgir Hossain, who claimed himself as a real estate businessman, said he met one outlaw Jakir, also a rickshaw puller, to buy ammunition as per Mortuza's instructions.
Claiming that he is no longer with Shibir or Jamaat, Alamgir said he was just carrying out Mortuza's instructions.
On their plan, Alamgir said, "We have no plan and I do not know about Mortuza's intentions either." He added that he does not have any expertise on making bombs.
Rab officials suspect that the arrestees might have a connection with Hizb ut-Tahrir as a book of the banned outfit has been recovered from their possession during the raid. The Shibir men were arrested during a Rab drive launched on Tuesday night.
Sohail said they have information that some quarters are trying to carry out subversive activities in the country after the arrests of the top Jamaat leaders.
He claimed that Shibir has divided Dhaka into four zones for the operation.
Acting on a tip off, Rab arrested Sabid from Ratanpur village under Kaliakoir Police Station in Gazipur Tuesday around 8:00pm.
Sabid told Rab that some handmade bombs and ammunition were hidden under the ground behind Square Hospital in the capital as per Mortuza's direction.
Based on the information Rab raided the place but found nothing.
Commander Sohail said Mortuza also gave some homemade explosives to Ripon to keep those in his house and later asked him to throw them into a pond.
On the other hand, Ripon told the media that Mehedi Hasan Tarek, secretary of the city Chhatra Andolan, asked him to keep a packet of handmade bombs and Ripon hid those on his roof. He also threw the explosives into a pond following Mortuza's direction.
Ripon also said Shibir members hold secret meetings at a few messes in Kalyanpur.
Commander Sohail said on Sabid's information, they conducted raids at different student messes in Kalyanpur and Mohammadpur areas and arrested Imran. The major portion of yesterday's recovery was made from there.
Ripon was arrested at Mirpur-1 while Raju at Paltan area Tuesday night, added Sohail.
Rab officials said they would investigate the funding for the purchase of arms and ammunition.
Meanwhile, in a press release, Islami Chhatra Shibir yesterday alleged that Rab personnel planted the firearms and ammunition at the residences of its activists and made the arrests when the activists were in sleep.
In a joint statement, Shibir president Muhammad Rezaul Karim and its Secretary General Mohammad Fakhruddin Manik termed the arrests fabricated, ill motivated, unacceptable and ridiculous. They said it is a part of the conspiracy to create an anti-Shibir sentiment among students.
২৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫১
নাভদ বলেছেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হত্যাকাণ্ডদুই বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি
কুদরাত-ই-খুদা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | তারিখ: ০৮-০২-২০১২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হত্যার দুই বছর হলেও পুলিশ আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দ্রুত বিচার দাবি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রশিবিরের হামলায় গণিত বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন নিহত হন। ওই হামলায় পুলিশসহ ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হন। তারা ওই রাতে ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীর কক্ষে ভাঙচুর চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা ছাত্রলীগের তিন কর্মীর হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে নগরের মতিহার থানায় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ১৪টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে পাঁচ নম্বর মামলাটি হচ্ছে ফারুক হত্যাসংক্রান্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ পর্যন্ত তিনবার ফারুক হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল করা হয়েছে। প্রথমে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলামকে। এরপর তাঁকে বাদ দিয়ে এসআই আরিফুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তাঁকেও বাদ দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই সোহেল রানাকে।
২০১০ সালের নভেম্বর মাসে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন খান মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন। তবে তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দিতে পারেননি।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এ মামলার এজাহারে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। এঁদের মধ্যে ২৫ জন সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। একজন মারা গেছেন এবং চারজন পলাতক রয়েছেন।
ফারুকের পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
ফারুক হোসেনের বাবা ফজলুর রহমান ও মা হাছনা বানু জানান, একমাত্র সন্তান ফারুককে হারিয়ে তাঁরা বহু কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁরা ফারুক হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার দাবি করেন।
গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন খান জানান, এ মামলার তদন্তকাজ শেষ হয়েছে। খুব দ্রুত আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
উপাচার্য এম আবদুস সোবহান বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের বর্বরতার কাছে হার মানা ফারুকের অসহায় পরিবারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা আমাদের সবারই নৈতিক দায়িত্ব।’
২৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:৫১
নাভদ বলেছেন:
২৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৬
নাভদ বলেছেন: গাইবান্ধায় জামাত নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার
গাইবান্ধায় জামাত নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার
গাইবান্ধা, ০৮ ফেব্র“য়ারি,২০১২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকালে নাছিরাবাদ গ্রামের জামে মস্জিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মওলানা সাইদুর রহমানের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
তবে সাইদুর কোন পর্যায়ের নেতা পুলিশ জানাতে পারেনি। এ ঘটনায় পুলিশ কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি আবু আক্কাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জামে মসজিদের নামে ১১ একর ৪৯ শতক জমি রয়েছে ওয়াক্ফ সম্পত্তি, যার মধ্যে আবাদী জমির পরিমাণ আট একর।
আট বছর ধরে জামে মস্জিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক মওলানা সাইদুর রহমান দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সম্প্রতি গ্রামবাসী তাদের কাছে ওই মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে তারা নানা তালবাহানা করেন।
পরে গ্রামবাসী এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করে এবং নতুন মস্জিদ কমিটি গঠন করে।
এতে আব্দুল করিম ও মওলানা সাইদুর রহমান তাদের লোকজন নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে শামীম আকতার, আজাদ হোসেন চৌধুরী, আব্দুর রহিম ও ভুট্টু মিয়ার বাড়িঘরে হামলা করে, বলেন ওসি।
এ ঘটনায় মামলা হলে বুধবার বিকালে পুলিশ সাইদুরের বাড়িতে অভিযান চালায়। তার শয়নকক্ষ থেকে একটি হাসুয়া, এক রাউন্ড গুলি এবং ম্যাগজিনসহ একটি চীনের তৈরি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
তবে মওলানা সাইদুর জামাতের কোন পর্যায়ের নেতা তা জানাতে পারেননি ওসি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমএইচপি/ডিডি/২১১৮ ঘ.
২৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৫৬
নাভদ বলেছেন: ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২, ২৭ মাঘ ১৪১৮, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৩৩
http://www.prothom-alo.com/detail/news/223342
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ বছরে খুন ১৭ শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্যের রাজনীতির জের ধরে গত ২৪ বছরে খুন হয়েছেন কমপক্ষে ১৭ জন ছাত্র। ক্যাম্পাসে রক্তপাতের এই রাজনীতি কোনোভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সালে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা আবদুল হামিদের হাত কেটে উল্লাস করার মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে সহিংস রাজনীতির শুরু করে ইসলামী ছাত্রশিবির। এর পর থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সহিংস রাজনীতির বলি হয় ১২ শিক্ষার্থী, যার মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয় ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী পরিচয়দানকারী সন্ত্রাসীদের হাতে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রায় সব কটি হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গঠন করে একাধিক তদন্ত কমিটি। বেশির ভাগ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। এমনকি এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় কেউ সাজাও পায়নি। নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবার ও সহপাঠীরা বারবার এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি করে আসছেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে হত্যাকারীরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে সব মহলের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন মহল থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খণ্ডিত প্রতিবেদন পেয়েছে, যা দিয়ে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তবে দু-একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের একাধিক নেতা-কর্মীকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করা হয়।
অধ্যাপক মান্নান বলেন, ১৯৯০ সালের ২২ ডিসেম্বরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদনও ছিল খণ্ডিত, যে কারণে ঘটনার খলনায়কেরা পার পেয়ে যায়। আর প্রতিবেদনে সিনেটে নির্বাচিত একজন উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এতে ক্যাম্পাসে অশান্তির সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আরেক উপাচার্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটির খণ্ডিত প্রতিবেদনের কারণে ক্যাম্পাসে হানাহানি বেড়ে যায়, যার খেসারত এখনো দিতে হচ্ছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শিবিরের হাতে ১৯৯৮ সালে নিহত ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী ও চারুকলা বিভাগের ছাত্র সঞ্জয় তলাপাত্রের প্রত্যেক মৃত্যুবার্ষিকীতে ছাত্র ইউনিয়ন সঞ্জয়সহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি করে আসছে। সঞ্জয়ের হত্যাকারীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ছাত্রশিবির ও তৎকালীন ছাত্র ঐক্যের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে নিহত হন পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আমিনুল হক। ১৯৮৮ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে তিনি ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এরপর ১৯৯০ সালের ২২ ডিসেম্বর সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মিছিলে শিবির হামলা চালায়। এতে নিহত হন ছাত্র মৈত্রীর নেতা ফারুকুজ্জামান। এরপর শিবিরের হাতে নিহত হন বিভিন্ন সংগঠনের একাধিক নেতা-কর্মী।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে নিহত হন ছাত্রদলের নেতা নুরুল হুদা। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইমানুল হকের ছেলে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ফটকের সামনে নির্জন এলাকায় তাঁকে শিবিরের কর্মীরা পিটিয়ে আহত করেন। এক সপ্তাহ পর ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ক্যাম্পাসে ১৯৯৭ সালে শিবিরের হামলায় নিহত হন ছাত্রলীগের কর্মী বকুল। ১৯৯৮ সালে শিবিরের গুলিতে নিহত হন বরিশাল থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্র আইয়ুব আলী। ওই বছরেই ১৮ মে শহরতলির বটতল এলাকায় শহরগামী শিক্ষকবাসে শিবিরের সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী আহমদ নবীর ছেলে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্র মুসফিকুর সালেহীন নিহত হন। একই বছরের আগস্টে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী ও চারুকলা বিভাগের ছাত্র সঞ্জয় তলাপাত্র।
২০০১ সালে শিবিরের হাতে নিহত হন ছাত্রলীগের নেতা আলী মর্তুজা। ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসের বাইরে ফতেয়াবাদ এলাকায় ছাত্রশিবিরের ব্রাশফায়ারে তিনি মারা যান। এর আগে ১৯৯৯ সালে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন তিন ছাত্র। এই তিনজন শিবিরের কর্মী-সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে। গতকাল দুজন নিহত হওয়ার আগে এ সরকারের মেয়াদে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে আরও তিনটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত তিনজনের মধ্যে দুজন ছিলেন ছাত্রলীগের কর্মী ও সমর্থক। অন্যজনের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি।
৩০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৪৭
নাভদ বলেছেন:
৩১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৪৮
নাভদ বলেছেন: পিআলো ০৯/০২/২০১২ - পৃষ্ঠা ২
৩২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৪
নাভদ বলেছেন: কালের কন্ঠ (বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০)
শিবিরের জবাই রগ কাটার রাজনীতি শুরু চট্টগ্রামে
রফিকুল বাহার, চট্টগ্রাম
বর্বরোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য সর্বস্তরে নিন্দিত ছাত্র সংগঠন শিবিরের প্রতিষ্ঠা ১৯৭৭ সালে। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের জন্য বিতর্কিত দল জামায়াতে ইসলামীর এই ছাত্র সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মাথায় জবাই করে হত্যার রাজনীতি শুরু করে চট্টগ্রাম থেকে। মূলত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারের জন্যই তারা এখানকার মেধাবী ছাত্র ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের হত্যার কৌশল নেয়।
শিবিরের হত্যার রাজনীতির প্রথম শিকার চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত এজিএস ও ছাত্রলীগ নেতা তবারক হোসেন। ১৯৮১ সালের মার্চে চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে। এর তিন বছর পর চট্টগ্রাম কলেজের সোহ্রাওয়ার্দী হলের ১৫ নম্বর কক্ষে শিবিরেরকর্মীরা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও মেধাবী ছাত্র শাহাদাত হোসেনকে জবাই করে হত্যা করে।
শিবিরের নৃশংসতায় চট্টগ্রামে আরো যাঁরা প্রাণ হারান তাঁদের মধ্যে আছেন ছাত্রমৈত্রী নেতা ফারুক ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মুছা। এ ছাড়া শিবির ডান হাতের কবজি কেটে দেয় জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতা আবদুল হামিদের। পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় ছাত্রনেতা ফরিদের।
'ধর্মের নামে তারা যে রাজনীতি করছে সেটি কোনো মুসলমান করতে পারে না। সহপাঠীরা আমাকে খারাপ ভাবতে পারে, গুনাহগার হতে পারি আমি, কিন্তু কোনো মুসলমান বিনা কারণে আরেক মুসলমান ভাইয়ের হাত কেটে ফেলতে পারে না।' গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন শিবিরের নৃশংসতার শিকার হয়ে এক হাত হারানো আবদুল হামিদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় ছাত্রসমাজের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হামিদ বর্তমানে ব্যবসায়ী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সাবেক ভিপি নাজিমউদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে ২৯ বছর আগের তবারক হত্যাকাণ্ডের বীভৎস বিবরণ দেন। তিনি বলেন, 'কিরিচের এলোপাতাড়ি কোপে মুমূর্ষু তবারক যখন পানি পানি করে কাতরাচ্ছিল তখন এক শিবিরকর্মী তার মুখে প্রস্রাব করে দেয়।' তবারকের সহপাঠী ও সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের তৎকালীন বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, সাক্ষীর অভাবে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে সবাই বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। কারণ রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ভয়ে অনেকে সাক্ষ্য দেয়নি।
১৯৮৪ সালের ২৮ মে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা মহব্বত আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ঘুমাতে যান। তাঁর রুমমেটরা ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে। শাহাদাতের সহপাঠী ও বর্তমানে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আতিক জানান, শিবিরকর্মী হারুন রেয়াজউদ্দিন বাজার থেকে নতুন ছুরি কিনে এনেছিল শাহাদাতকে জবাই করার জন্য। এ কথা হারুন আদালতে স্বীকার করেছে। তার যাবজ্জীবন এবং আরেক আসামি ইউসুফের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতে আপিল করে দুই বছর পর ইউসুফ খালাস পেয়ে যায়।
শাহাদাতের বড় ভাই নির্মাণ ঠিকাদার সাখাওয়াত হোসেন সাক্কু গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শাহাদাতের হত্যার পর আমরা যাতে মামলা না চালাই সে জন্য শিবিরের তরফ থেকে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।'
১৯৮৬ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহ্রাওয়ার্দী হলের চত্বর থেকে ভাত খেয়ে রিকশাযোগে আলাওল হলে ফেরার সময় জঙ্গল থেকে প্রথমে গুলি করা হয় জাতীয় ছাত্রসমাজের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হামিদকে। তারপর ডান হাতের কবজি কেটে দেয় শিবিরকর্মীরা। বিনা দোষে হাতের কর্মক্ষমতা হারানোর সে গ্লানি তিনি এখনো বয়ে চলেছেন।
চট্টগ্রাম কলেজ এখন শিবিরের দখলে। পাশের চট্টগ্রাম সরকারি মুহাম্মদ মহসিন কলেজও তাদের নিয়ন্ত্রণে। শুধু এই দুই কলেজ নয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও শিবিরের আধিপত্য। ১৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর দেশের অন্যতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখলদারিত্ব বজায় রাখার জন্য ১৯৯০ সালের ২২ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ এক মিছিলে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ছাত্রমৈত্রী নেতা ফারুককে। ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এনামুল হকের ছেলে ও ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মুছাকে শিবিরকর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে।
১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দখল করার জন্য শিবির ক্যাডাররা ছাত্র সংসদের ভিপি মোহাম্মদ জমির ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন আহমদকে গুলি করার পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। এ প্রসঙ্গে ছাত্রদল মহানগর কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শিবিরের আক্রমণে যারা মারা যায় তাদের অধিকাংশের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় তারা।'
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রামের আমির শামসুল ইসলাম এমপি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রাজনৈতিক মহলে শিবিরকে হেয় করার জন্য এসব অভিযোগ তোলা হয়। বরং শিবিরই বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।' 'শাহাদাতকে জবাই করে হত্যা ও হামিদের হাতের কবজি কেটে ফেলার অভিযোগ কি তাহলে মিথ্যা?' এ প্রশ্নের জবাবে জামায়াত নেতা বলেন, 'কারা দায়ী সেই খবর আপনারা (সাংবাদিকরা) নেন। শিবিরকে দায়ী করা যাবে না!'
৩৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৪
নাভদ বলেছেন:
৩৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৬
নাভদ বলেছেন:
৩৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৭
নাভদ বলেছেন:
৩৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৫
নাভদ বলেছেন:
ডেইলী ষ্টার
Armed with sticks and sharp weapons, activists of the pro-ruling party student body Bangladesh Chhatra League clash with Islami Chhatra Shibir men on the Chittagong University campus yesterday.
Armed Chhatra Shibir activists attack Bangladesh Chhatra League men on the Chittagong University campus yesterday. The activist marked in the photo is carrying an iron rod covered with red tape. He was killed later on during the clash.
৩৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২১
নাভদ বলেছেন:
শিবিরের ডিজিটাল সন্ত্রাস, বাংলানিউজ কর্মী উজ্জ্বলের জিডি
[বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম] চট্টগ্রাম: পেশাগত দায়িত্ব পালনের পর শিবির কর্মীদের রোষানলে পড়েছেন বাংলানিউজের স্টাফ ফটো জার্নালিস্ট উজ্জ্বল ধর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাকে এবং বাংলানিউজকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক, নেতিবাচক বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে শিবির সমর্থকরা।
এমনকি ফেসবুকের বিভিন্ন মন্তব্যে তাকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
শিবির কর্মী-সমর্থকদের অব্যাহত নেতিবাচক প্রচারণা এবং হুমকি-ধমকির মুখে উজ্জ্বল ধর রোববার রাতে নগরীর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ডায়েরি নম্বর-৮৪২।
ডায়েরির সঙ্গে হুমকিধমকি ও অশালীন উক্তি সম্বলিত ফেসবুকে ৯৩ জনের মন্তব্যের কপি থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফেসবুকে শিবির সমর্থকদের বিভিন্ন পোস্ট ও কমেন্টস পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এরপর তদন্ত করে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত শনিবার দুপুরে অফিসের অ্যাসাইনমেন্টে উজ্জ্বল ধর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন কাভার করতে যান।
সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজক ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষে নিহত শিবির কর্মী মুজাহিদের বাবা মো. হুমায়ন কবির।
সংবাদ সম্মেলনে পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে উজ্জ্বল ধর নিহতের বাবার কাছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার ছেলের লাঠি, রড হাতে ছবি প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চান।
ঘটনার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক এ প্রশ্ন শুনে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হুমায়ন কবির।
এরপর শনিবার রাতেই মওদুদ ইবনে হাবিব নামে এক শিবির সমর্থক ফেসবুক থেকে সংবাদ সম্মেলন এবং উজ্জ্বল ধরের দুটি ছবি সংযুক্ত করে ‘বাংলানিউজ২৪.কমের হলুদ সাংবাদিকতা এবং শিবির’ লিখে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন।
এতে উজ্জ্বল ধরকে কটাক্ষ করে তাকে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টিকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ স্ট্যাটাস দিয়ে মওদুদ ইবনে হাবিব একাই পোস্টটি ৪৫ জনের সঙ্গে শেয়ার করেন। এরপর থেকে শুরু হয় শিবির সমর্থকদের একের পর এক নেতিবাচক, অশালীন, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও হুমকি-ধমকি।
সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তাতে সাংবাদিকের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এমন উত্তেজিত হয়ে পড়া কোনোভাবে কাম্য নয় বলে মনে করেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময় : ১৪ ০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২
৩৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৩৫
নাভদ বলেছেন: মার্চ ০৪, ২০১২
শিবিরের নির্যাতন: স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অপেক্ষায় তারা
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনের শেষ লগ্নে, পরীক্ষা শেষ! বাকি ছিলো শুধু এমএসএসের মৌখিক পরীক্ষা। আর এ পরীক্ষাটি শেষ হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালি দিনগুলো ফেলে ছুটে চলতাম ভবিষ্যতের স্বপ্নের দিকে। কিন্তু সেই স্মৃতিময় অতীতের সঙ্গে যুক্ত হলো একটি দুঃসহ স্মৃতি।
কথাগুলো বলছিলেন গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সোহরাওয়ার্দী হলে ২৫২ নম্বর কক্ষে শিবিরের নির্মম নিযার্তনের শিকার ছাত্রলীগ কর্মী রাহাত হোসেন হিমেল। রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ছাত্র হিমেলের ফাইনাল পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে। তবে আর বন্ধুদের সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। যা ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তার সহপাঠী অনেকেরই পরীক্ষা শেষ হয়েছিল ওইদিন। তিনিও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরীক্ষা শেষে বাড়ি যাওয়ার। কিন্তু তখনই ঘটলো নারকীয় কাণ্ড! শিবিরের সন্ত্রাসীরা হলের গেট বন্ধ করে শুরু করে বর্বরতা। শুধু তিনিই নন। এদিন ওই হলের ফাহাদ, নজরুল ইসলাম এবং পরাগসহ আরও অনেকের ওপরই শিবির নির্যাতন চালায়।
চমেক হাসপাতালের বেডে শুয়ে হিমেল বলছিলেন সেদিনের কথা। ‘আমরা তিন বন্ধু মিলে সোহরাওয়ার্দী হলের ২৫২ নম্বর কক্ষ থেকে দুপুর ১২টার দিকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে বের হচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে শিবিরের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী এসে আমাদের ওই কক্ষে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। অনেকক্ষণ আটকে থাকার পর শিবিরের সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে তিনজন মুখোশ পরা যুবক ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর নির্মম হামলা শুরু করে।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছাত্রলীগ-শিবিরের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে তারা ক্যাম্পাসে আধিপত্যের লড়াইয়ে নেমেছিল। এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং প্রক্টর নাসিম হাসানসহ অন্তত ৩০ আহত হন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। রাহাত হোসেন হিমেল, পরাগ ও ফাহাদ তাদের মধ্যে অন্যতম। হাসপাতালের শুয়ে শুয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দিন গুনছেন।
আহতদের সবাই বর্তমানে চমেক হাসপাতাল এবং অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, আহতদের অনেকেই পূর্বের স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন কি না এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সেলিমউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘সংঘর্ষে গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়েছে। উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য সাধারণ বেড থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
বর্তমান ছাত্র রাজনীতির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে সংঘর্ষে আহত এক ছাত্রের বাবা বাংলানিউজকে জানান, ছাত্র রাজনীতিতে এখন মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেধাবী ছাত্রদের হাতে কলমের বদলে বন্দুক তুলে দিয়ে ফায়দা লুটছেন এক শ্রেণির রাজনৈতিক নামে অপরাজনীতিতে লিপ্ত লোকজন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি তাদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো না যায় তাহলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হবে। আর পড়তে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের।
হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ছাত্রলীগ চবি শাখার সভাপতি মামুনুল হক মামুন জানান, ছাত্রলীগ কর্মী রাহাতের দু’হাত ও দু’পাসহ শরীরে ১৩টি জায়গার হাড়ে ফাটল রয়েছে। উপুর্যপরি রড দিয়ে আঘাত এবং ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রামে পরাগের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারায় ঢাকার অর্থোপেডিক হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। লোহার পাইপ দিয়ে পায়ে ক্রমাগত আঘাত করায় থেঁতলে গেছে তার পা। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরাগকে দেশের বাইরে পাঠানোর পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ফাহাদ হোসেন নামের ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরও হিমেলের মত একই অবস্থা।
এছাড়াও সোহরাওয়ার্দী হলের ২৪৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে লোহার পেরেক ঠুকে দেওয়া হয় নজরুল ইসলামের পায়ে। পায়ের কয়েকটি হাড়ে ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় শঙ্কা রয়েছে। তিনি আদৌ হাঁটাচলা করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানালেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা,মার্চ ০৪, ২০১২
৩৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৪২
নাভদ বলেছেন: ট্রেনচালককে ৬ ঘণ্টা আটকে রাখল শিবিরকর্মীরা
চট্টগ্রাম, এপ্রিল ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ছয় ঘণ্টা আটকে রাখার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের চালককে ছেড়ে দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা।
পরে শাটল ট্রেনের চালককে আটকে রাখা এবং শিক্ষক বাস অকেজো করার ঘটনায় ক্যম্পাস থেকে ১০ শিবিরকর্মীকে আটক করে পুলিশ। সোমবার দুপুরের পর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের চালক ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ঝাউতলা স্টেশনে পিটিয়ে ট্রেন আটকে দেয় শিবিরকর্মীরা।
তারা ট্রেনের চালক গোপাল চন্দ্র দাশকে সেখান থেকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে তিনি ছাড়া পান।
হাটহাজারী থানার উপ-পরির্দর্শক মো. মাসুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চবি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১০ জন শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়।
এরা হলেন- পদার্থবিদ্যা বিভাগের চতুর্র্থ বর্ষের আহমেদ জাজিস, ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আনোয়ার হোসেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মোজাম্মেল হক, একাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের জুলফিকার আলী, লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের রাজিবুল ইসলাম, আতিকুর রহমান ও জিয়াদুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. ইউসূফ, উদ্ভিদবিদ্যার চতুর্থ বর্ষের হোসেন সরওয়ার্দী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের হাফিজ উল্লাহ।
সকালে পরিবহন দপ্তরের গ্যারেজে সাতটি শিক্ষক বাসের চাকা কেটে অচল করে শিবিরকর্মীরা।
ছাড়া পাওয়ার পর গোপাল চন্দ্র দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঝাউতলা স্টেশনে পৌঁছানোর পরপরই ৫০-৬০ জন যুবক ইঞ্জিনে উঠে পড়ে এবং তারা তাকে মারধর করে নামিয়ে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, “নগরীর খুলশী থানার গরিবউল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় গিয়ে আমার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে তারা। তখন মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এরপর আরো আধা ঘণ্টা গাড়িটি চলার পর এক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আমার চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়।
“এরপর সেখানে একটি ভবনের চার তলায় আমাকে আটকে রাখা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে ট্রেন চালানোর কারণ জানতে চায়।”
গোপাল চন্দ্র জানান, ধর্মঘটে শাটল ট্রেন না চালাতে বলে আটককারীরা চালকের চোখ পুনরায় বেঁধে দিয়ে কিছুক্ষণ মাইক্রোবাসে যেয়ে পরে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেয়
মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগটি তারা ফেরত দিয়ে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
“যারা আমাকে আটকে রেখেছিল তারা তাদের পরিচয় না দিলেও আমি বুঝতে পেরেছি তারা সবাই ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী,” বলেন গোপাল।
ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে দুই ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩৮ দিন বন্ধ থাকার গত ১৮ মার্চ খুলে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ চার দফা দাবিতে ওইদিন থেকেই ধর্মঘট চালিয়ে আসছে ইসলামী ছাত্র শিবির।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/আরএ/পিডি/২০৫০ ঘ.
৪০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৪৪
নাভদ বলেছেন:
ছয় ঘণ্টা পর মুক্তি পেলেন চবির ট্রেন চালক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: ছয় ঘণ্টা শিবিরের হাতে আটক থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের চালক গোপাল চন্দ্র দাশ।
সোমবার সকাল পৌনে ৮ টার দিকে ঝাউতলা রেল স্টেশন থেকে শিবিরকর্মীরা ট্রেনে হামলা চালিয়ে চালককে মারধরের পর জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মুক্তি পাওয়ার পর তিনি জানান, সকালে ট্রেনটি স্টেশনে থামার সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিনে উঠে তাকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে খুলশী এলাকার গরিবউল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে সেখান থেকে তার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এসময় তার মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রধর্মঘট চলাকালীন কেন ট্রেন চালাচ্ছি- তারা জানতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই অজ্ঞাত জায়গার একটি ভবনের উপরে আমাকে আটকে রাখা হয়। পরে আমাকে ধর্মঘটে শাটল ট্রেন না চালাতে বলা হয়। আবারও আমার চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে করে কিছুক্ষণ পর একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেয় তারা।
বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তাকে যারা তুলে নিয়ে আটকিয়ে রেখেছিল নিজেরা তাদের পরিচয় না দিলেও তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, তারা সবাই ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী।
এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আযাদ বাংলানিউজকে বলেন, শাটলের চালকে আটকিয়ে রাখায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, শিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে নিহতদের হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ চার দফা দাবিতে গত ১৮ মার্চ থেকে ছাত্রধর্মঘট করে আসছে শিবির।
সোমবার শাটল ট্রেন চালককে আটক ও পরিবহনের ৭টি বাসের চাকা পাংচার করে দেয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে সোমবার কোনো শাটল ট্রেন চলাচল করেনি বলে রেলওয়ে সূত্র জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২ , ২০১২
এমবিএম
সম্পাদনা : ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর
৪১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৪৫
নাভদ বলেছেন:
চবিগামী শাটল ট্রেনে শিবিরের হামলা, ৩ পুলিশ আহত
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম শাটল ট্রেন আটকে দিয়েছে ছাত্রশিবির কর্মীরা। এসময় বাধা দেওয়ায় তিন পুলিশ সদস্যকেও পিটিয়েছে তারা।
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার শাটল ট্রেনটি চট্টগ্রাম নগরীর ঝাউতলা স্টেশনে এলে পৌনে আটটায় শিবিরের নেতা-কর্মীরা ট্রেনে হামলা চালায় ও চালককে মারধর করে নামিয়ে নিয়ে যায়।
রেলওয়ে নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়গামী প্রথম ট্রেনটি চট্টগ্রাম নগরীর ঝাউতলা স্টেশনে থামার সঙ্গে সঙ্গেই শিবিরকর্মীরা ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। এছাড়াও ট্রেনের চালককে জোর করে নামিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তাদের বাধা দিলে তিন পুলিশ সদস্যসের উপর চড়াও হয় শিবির কর্মীরা।
পরে ষোলশহর স্টেশন পুলিশের এএসআই লোকমান হোসেন ট্রেনটি উদ্ধার করতে গেলে শিবিরের উৎশৃংখল কর্মীরা তাকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ে। এতে তিনি আহত হন।
আহত এসআই লোকমানসহ তিন পুলিশ সদস্যকে দামপাড়া পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রায়হান নামের এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ‘শিবির কর্মীরা ট্রেনের চালককে মারধর করে নামিয়ে নিয়ে যায়। এরপর হুমকি ধামকি দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয় তারা।’
ষোলশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই লোকমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘৫০-৬০ জন যুবক হঠাৎ এসে ট্রেনে হামলা চালায়। আমরা থামাতে গেলে লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপরও চড়াও হয়। এরা শিবির কর্মী বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই শাটল ট্রেনের চালক গোপাল চন্দ্র দাশকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ের জুনিয়র লোকো পরিদর্শক নজরুল ইসলাম।
ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ফকরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গামী প্রথম ট্রেনটি ওই স্টেশনে এলেই শিবির নেতা-কর্মীরা ট্রেন চলাচলে বাধা দেয় ও ট্রেনের চালককে ট্রেন থেকে নেমে যেতে বলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর একেএম জিয়াউর রহমান সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, ‘সকাল থেকে কোনো ট্রেন ক্যাম্পাসে আসেনি। আমরা শুনেছি ট্রেন আটকে রাখা হয়েছে।’
অন্যদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হাফেজ আশিকউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কেউ এসব করেনি। আমরা ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ ছাত্র ধর্মঘট পালন করছি।’
ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে দুই ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩৮ দিন বন্ধ থাকার পর গত ১৮ মার্চ খুলে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ চার দফা দাবিতে ওইদিন থেকেই ছাত্র শিবির ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
ক্যাম্পাস খোলার দু’দিন আগে গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হলেও শাহ আমানত হলে ছাত্রলীগ ও শিবির কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় হলটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
৪২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৪৫
নাভদ বলেছেন: চবিতে বাসের চাকা পাংচার করে বাস অচল শিবিরের
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহন দপ্তরের ৭টি বাসের চাকা পাংচার করে অচল করে দিয়েছে শিবির কর্মীরা।
সোমবার পরিবহন দপ্তরের পার্কিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে দপ্তর সূত্র জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রবিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন,‘ সোমবার ভোর চারটার দিকে দপ্তরের গ্যারেজে পার্কিং অবস্থায় ৭ টি বাসের চাকা পাংচার করে দেওয়া হয়। এতে করে প্রতিটি গাড়িই অচল হয়ে পড়েছে।’
শিবিরকর্মীরাই এ কাজ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে গত শনিবার রাতে সোয়া ৮টার দিকে তিনটি বাসের স্টার্টিং সুইচে শক্ত আটা জাতীয় পদার্থ ‘সুপার গ্লু’ লাগিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় সাতটি বাস অচল হয়ে যাওয়ায় শিক্ষক-কর্মকর্তারা সমস্যায় পড়েন।
তবে শিবিরের চবি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশিকুল্লাহ জানান, শিবির শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্র ধর্মঘট করছে। এসব তারা করেনি।
এদিকে সোমবার সকালে প্রথম শাটল ট্রেনে হামলা চালিয়ে ৩পুলিশকে আহত করেছে শিবির। এ ঘটনায় কোন শাটল ট্রেন দুপুর আড়াইটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলাচল করেনি।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ উদ-দৌল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সাতটি বাসের চাকা পাংচার করে দেয় শিবির। বর্তমানে বাস মেরামতের কাজ চলছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গ, ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষে দুই ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩৮দিন বন্ধ থাকার গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারসহ চার দফা দাবিতে ওইদিন থেকেই ছাত্র শিবির ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
ক্যাম্পাস খোলার দুদিন আগে গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হলেও শাহ আমানত হলে ছাত্রলীগ ও শিবিরকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় হলটি বন্ধ করে দেয় কর্তপক্ষ।
এ বিষয়ে ‘পরিস্থিতি শান্ত হলে বৈধ আবাসিক ছাত্রদের হলে তুলে দেওয়া হবে’ বলে প্রক্টর সিরাজ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১২
এমবিএম/
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর
৪৩| ০৬ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮
নাভদ বলেছেন: Click This Link
সমকাল
রোববার | ৬ মে ২০১২ | ২৩ বৈশাখ ১৪১৯
শিবগঞ্জে চোরাই গরুসহ জামায়াত নেতা আটক
বগুড়া ব্যুরো
বগুড়ার শিবগঞ্জে জামায়াতের এক স্থানীয় নেতার গোয়ালঘর থেকে একটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ গরুটি উদ্ধার ও চোরাই গরু রাখার অভিযোগে ওই জামায়াত নেতাসহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো_ বেড়াবালা গ্রামের জামায়াতের রোকন আবদুর রশিদ ও পাশের অনন্তপুর গ্রামের তোতা মিয়া। একই উপজেলার নিমেরপাড়া গ্রামের জনৈক আবদুস সামাদের একটি গরু সম্প্রতি চুরি হয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে গরুটি উদ্ধার ও জামায়াত নেতাকে গ্রেফতার করে। পরে জামায়াত নেতা পুলিশকে জানান, গরুটি তিনি অনন্তপুর গ্রামের তোতা মিয়ার কাছে থেকে কিনেছেন। পুলিশ তোতা মিয়াকেও গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিবগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন,আবদুর রশিদের বাড়িতে চুরি যাওয়া গরুটি পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৪৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫২
নাভদ বলেছেন: কালের কন্ঠ ২৮/০৯/২০১২
Click This Link
বগুড়ায় মেসের মেয়েদের শিবিরি পরোয়ানা -জে এম রউফ, বগুড়া
'যদি ৩০ তারিখের পর তোমরা থাকো, তাহলে আমাদের চ্যালেঞ্জ করে থাকতে হবে। আমরা চাচ্ছি তোমরা ৩০ তারিখের মধ্যেই চলে যাও; অনেক সময় দিয়েছি তোমাদের। তোমরা কোথায় যাবা, কোথায় থাকবা- সেটা তোমাদের ব্যাপার।' বগুড়া শহরের জামিলনগরের ছাত্রীনিবাসগুলোতে (মেস) গিয়ে এভাবেই হুমকি দিচ্ছে ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা। হুমকি-ধমকির কাজে শিবির তাদের ছাত্রী সদস্যদের বিশেষভাবে কাজে লাগাচ্ছে।
বাসা মালিকদের অভিযোগ, ছাত্রশিবিরের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওই সব ছাত্রীনিবাসে দলীয় কর্মীদের তোলার জন্য এমন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। হঠাৎ করে ছাত্রীদের মেস ছাড়তে বলায় বেকায়দায় পড়েছেন ওই মহল্লায় অবস্থানরত ২৫টি মেসের তিন শতাধিক ছাত্রী। এরই মধ্যে অন্তত পাঁচটি মেস থেকে জোর করে ছাত্রীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। শিবিরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর দোকানে কেনাকাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক, মানবাধিকার কমিশন, র্যাব কার্যালয়, পুলিশ সুপার, সদর থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন মেস মালিক।
বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজের দক্ষিণ পাশে জামিলনগর এলাকা ছাত্রশিবিরের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ওই এলাকার বেশির ভাগ বাসা মালিক জামায়াত মনোভাবাপন্ন হওয়ায় ছাত্রশিবির সেখানকার সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে শিবির-তাড়ানো অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস সম্প্রতি সরকারি আযিযুল হক কলেজে যোগদান করায় বগুড়ার ছাত্রশিবিরের মধ্যেও ভীতির সঞ্চার হয়। ফলে তাদের মধ্যে 'নিরাপদ ঘাঁটি' নিশ্চিত করার তাগিদ রয়েছে। পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি পালন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে জামিলনগরে শিবিরকর্মীদের একত্র করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রশিবির ওই এলাকার ছাত্রীনিবাসগুলো উচ্ছেদ করে সেখানে নিজেদের কর্মীদের রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।
জামিলনগরের বাসিন্দা ও ছাত্রীরা জানান, একদিকে কলেজের কাছে, অন্যদিকে সিটভাড়া কম হওয়ায় সেখানে অন্তত ২৫টি বাসা ছাত্রীনিবাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাশের জহুরুলনগর, পুরান বগুড়া, কামারগাড়ী ও সেউজগাড়ীতে ছাত্রীদের ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা সিটভাড়া দিয়ে থাকতে হয়; অন্যদিকে জামিলনগরে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় সিটভাড়া পাওয়া যায়। এ কারণে ওই এলাকাই ছাত্রীদের কাছে আগে বিবেচ্য। কিন্তু ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সেখান থেকে বের করে দিয়ে নিজেদের কর্মীদের তোলার চেষ্টা করছে। ছাত্রীরা ভয়ে শিবিরের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে পারছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ছাত্রী জানান, কলেজে অনার্স প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষা এবং মাস্টার্সের ব্যবহারিক পরীক্ষা চলছে। আগামী ৬ অক্টোবর অনার্স প্রথম বর্ষের এবং ২১ অক্টোবর চতুর্থ বর্ষের সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে। এই সময়ে হঠাৎ ছাত্রীদের মেস ছেড়ে যেতে বলায় তাঁরা বেকায়দায় পড়েছেন। একসঙ্গে এত ছাত্রীর বাসস্থানের কোনো ব্যবস্থা শহরের অন্য কোথাও নেই। এ অবস্থায় তাঁদের বের করে দেওয়া হলে বাড়ি ফিরে যাওয়া ছাড়া অনেকের আর কোনো উপায় থাকবে না।
জামিলনগরের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম জানান, তিনি ছাত্রশিবিরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় জোর করে রনি ভিলা নামে তাঁর ছাত্রীনিবাসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রনি স্টোর নামে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেনাকাটা না করার জন্য ছাত্রছাত্রী ও এলাকার লোকজনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জহুরুল ইসলাম জানান, রাকিব-সেতু ভিলা নামে তাঁর বাসভবনের একাংশ ভাড়া নিয়ে ১১ জন ছাত্রী থাকেন। কয়েক দিন আগে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা ওই ছাত্রীদের বের হয়ে যেতে বলে। তিনি এর বিরোধিতা করায় তারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে অবহিত করায় বুধবার আর্মি স্টোর নামে তাঁর দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনতে এলাকার লোকজনকে নিষেধ করে দেয় শিবির।
ইতি ভিলা নামের ছাত্রীনিবাসের মালিক ইদ্রিস আলী জানান, ছাত্রশিবির এরই মধ্যে জোর করে রনি ভিলা, মাসুম ভিলা, খন্দকার বাড়ি, বিলকিছ ভিলা ও হাজি ম্যানসন থেকে ছাত্রীদের বের করে দিয়েছে। তাদের হুমকির কারণে ঝরনা ম্যানসন থেকে ২০ জন ছাত্রীর অর্ধেক চলে গেছেন।
অন্যরা জানান, সরকারি আযিযুল হক কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মহতাছিম বিল্লাহ, ছাত্রাবাস সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, কলেজ শাখার সাবেক দুই সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ মানিক ও গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন ক্যাডার ১ অক্টোবরের মধ্যে ছাত্রীদের বের হয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ছাত্রীনিবাসগুলোতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। কয়েক দিন ধরে জিন্নাহ ছাত্রাবাসের সামনে বসে তারা ছাত্রীদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করছে। একইভাবে ২০০৬ সালে সরকার পরিবর্তনের আগ মুহূর্তে শিবির সেখান থেকে ছাত্রীদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়েছিল।
বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো জামিলনগর এলাকাবাসীর পক্ষে ছয় ব্যক্তির স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জামায়াত নেতা এরশাদুল বারী, জেলা জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক আবদুল মালেক, জামায়াত নেতা মোজাম্মেল হক, শিবির নেতা নূর মোহাম্মদ ও মানিক শিবিরের ছেলেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার জন্য বলে আসছেন। তাঁদের কথামতো বাড়ির মালিকরা না চললে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। অশালীন ভাষায় ছাত্রী ও মেস মালিকদের গালাগাল করছে শিবিরকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক কাউন্সিলর এরশাদুল বারী বলেন, 'আমি যেহেতু জামায়াতের দায়িত্বশীল কোনো পদে নেই, তাই ছাত্রশিবির আমার নিয়ন্ত্রণে নয়। গত মঙ্গলবার রাতে এলাকায় পুলিশ এসে আমাকে ডেকে নেওয়ার পর বিষয়টি আমি জেনেছি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তাৎক্ষণিক সেখানে ঘোষণা করেছি, এমন কোনো কাজ জামিলনগরে করা যাবে না, যাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ছাত্রীদের সমস্যার কথা জেনে আমি শিবির নেতাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তারা এমন কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।'
জামায়াত নেতা আবদুল মালেক হজ করার জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
ছাত্রশিবির কলেজ শাখার সভাপতি মহতাছিম বিল্লাহ বলেন, একাধিক ছাত্রীনিবাসে অনৈতিক কর্মকাণ্ড হওয়ায় সেই সব ছাত্রীনিবাসের মালিকদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন ছাত্রীদের না রেখে কোনো পরিবারকে বাসা ভাড়া দেন। সংগঠনের কর্মীরা কয়েক দফায় ওই সব মেসে গিয়ে কথা বলেছে। সব ছাত্রীকে এলাকাছাড়া করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ছাড়া জামিলনগরে ছাত্রশিবিরের শক্তি বৃদ্ধি করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।
সরকারি আযিযুল হক কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'কলেজ হোস্টেলে ছাত্রীদের থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় তারা আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বা মেসে থাকে। জামিলনগর কলেজের কাছে হওয়ায় সেখানে ছাত্রীদের সংখ্যাও বেশি। দুদিন আগে আমি জেনেছি, একটি ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাত্রীদের ওই এলাকা ছেড়ে যেতে বলেছে। বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক ও গর্হিত কাজ। কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে হওয়ায় নিজ উদ্যোগে কিছু করতে পারিনি। তবে তাৎক্ষণিক বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।'
বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মকবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। মৌখিকভাবে ঘটনা জানার পরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ছাত্রশিবির ও এলাকার লোকজন এমন ঘটনা ঘটবে না বলে জানিয়েছে। তার পরও সেখানে সার্বক্ষণিক পুলিশি নজরদারি রাখা হয়েছে। আবার এমন কিছু হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫০
নাভদ বলেছেন:
দুইটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধাকক্সবাজারে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার- কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজারের আলোচিত শিবিরের সাবেক ক্যাডার ও গ্রেপ্তারকৃত জামায়াত নেতা শহীদুর আলম বাহাদুর ওরফে ভিপি বাহাদুরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুইটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তবে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কক্সবাজারস্থ র্যাব-৭ এর ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিপি বাহাদুর এ অস্ত্র তার নয় বলে দাবি করেন।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল করিম জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধ জনপদে হামলার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অন্যতম শিবিরের সাবেক এই ক্যাডার শহিদুল আলম বাহাদুর।
গতকাল সোমবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় তাকে আটক করে র্যাব। তার কাছ থেকে পাসপোর্ট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আটকের পর র্যাব ক্যাম্পে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর ভিপি বাহাদুরের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত কক্সবাজার সরকারি কলেজের পেছনে তার পরিচালিত কেজি স্কুল সংলগ্ন পাহাড়ের একটি স্থান থেকে গতকাল সোমবার দিবাগত গভীর রাতে এ পিস্তল দুইটি উদ্ধার করা হয়। সম্মেলনের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সামনে ভিপি বাহাদুরকে হাজির করা হয়। ওখানে তিনি বলেন, রামুর ঘটনার রাতে কক্সবাজার শহরে অন্যান্যদের সঙ্গে দেখতে গিয়েছিলাম। ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। পুলিশের হয়রানির কারণে আত্মগোপনে ছিলাম। আত্মগোপনে থাকাকালীন দেশের বিভিন্নস্থানে ভ্রমণ করি। এর পর ভারতে ভ্রমণে যাওয়ার সময় আটক হয়েছি।
জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার হাজিরপাড়া এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে এবং কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের শিবিরের সাবেক ভিপি শহিদুল আলম বাহাদুরকে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে রামু বাইপাস এলাকায় চট্টগ্রামগামী এস আলম পরিবহনের একটি বাস থেকে আটক করা হয়। রামুর ঘটনার পরিকল্পনাকারীদের একজন হিসেবে সে শনাক্ত। সে এক সময় শিবিরের আলোচিত ক্যাডার ছিল। তার নেতৃত্বে হামলায় কক্সবাজার সরকারি কলেজে অর্ধশতাধিক ছাত্রনেতা আহত হন। তার নেতৃত্বে সরকারি কলেজ এলাকায় শিবিরের অস্ত্রধারী একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে।
৪৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নাভদ বলেছেন:
06 Nov 2012 05:50:23 PM Tuesday BdST
কক্সবাজারে ২টি বিদেশি রিভলবারসহ শিবির ক্যাডার ভিপি বাহাদুর আটক জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুর সহিংস ঘটনায় শনাক্ত হওয়া বহুল আলোচিত শিবিরের সাবেক ভিপি বাহাদুরকে আটক করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট ও নগদ ৫০ হাজার উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটেলিয়ন-৭ (র্যাব) এর সদস্যরা।
পরে তার দেওয়া তথ্য মতে সোমবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার সরকারি কলেজের পেছনে ভিপি বাহাদুর পরিচালিত কেজি স্কুল সংলগ্ন পাহাড় থেকে ২টি রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কক্সবাজার র্যাব-৭ এর ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাইফুল করিম জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলার পরিকল্পনাকারীদের একজন হিসেবে শিবিরের সাবেক ক্যাডার শহিদুল ইসলাম বাহাদুর প্রকাশ ভিপি বাহাদুরকে শানাক্ত করা হয়েছে।
সোমবার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে পাসপোর্ট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটকের পর র্যাব ক্যাম্পে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ভিপি বাহাদুর নিরাপদ আস্থানা হিসেবে ব্যবহৃত কক্সবাজার সরকারি কলেজের পেছনে ভিপি বাহাদুর পরিচালিত কেজি স্কুল সংলগ্ন পাহাড়ের একটি স্থান থেকে ২টি রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২৯ সেপ্টেম্বর ঘটনার পর বাহাদুর খুলনার সুন্দরবন এলাকায় পালিয়ে যান বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। সেখান থেকে চোরাইপথে বেনাপোল সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হওয়ার পর আবার কক্সবাজারে ফিরে আসেন।
এদিকে কক্সবাজার এসে পাসপোর্ট নিয়ে আবারও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় রামু বাইপাস এলাকা থেকে বাহাদুরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বাহাদুর রামুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সম্মেলনের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সামনে ভিপি বাহাদুরকে হাজির করা হলে তিনি বলেন, “রামু ঘটনার রাতে কক্সবাজার শহরে অন্যান্যদের সঙ্গে দেখতে গিয়েছিলাম। ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। পুলিশের হয়রানির কারণে আত্মগোপনে ছিলাম। আত্মগোপনে থাকাকালীন দেশের বিভিন্নস্থানে ভ্রমণ করি। এরপর ভারতে ভ্রমণে যাওয়ার সময় আটক হয়েছি।”
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভিপি বাহাদুর উদ্ধার হওয়া রিভলবার ২টি তার নয় বলে দাবি করলে র্যাব সদস্যরা তাকে দ্রুত সাংবাদিকদের সামনে থেকে সরিয়ে নেন।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার সদর উপজেলার হাজির পাড়া এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে এবং কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের শিবিরের ভিপি শহিদুল ইসলাম বাহাদুর প্রকাশ ভিপি বাহাদুরকে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে রামু বাইপাস এলাকায় চট্টগ্রামগামী এস আলম পরিবহনের একটি বাস থেকে আটক করা হয়। রামুর ঘটনার পরিকল্পনাকারীদের একজন হিসেবে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, শিবিরের এক সময়ের আলোচিত ক্যাডার ছিল বাহাদুর। তার নেতৃত্বে হামলায় কক্সবাজার সরকারি কলেজে অর্ধশতাধিক ছাত্রনেতা আহত হন। তার নেতৃত্বে সরকারি কলেজ এলাকায় শিবিরের অস্ত্রধারী একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১২
সম্পাদনা: শামীম হোসেন, নিউজরুম এডিটর
৪৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৩
নাভদ বলেছেন: 10 Nov 2012 01:24:46 PM Saturday BdST
সাজ্জাদের সাবেক সেকেন্ড ইন কমান্ড মহিম আটক !
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খানের এক সময়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড মহিম চট্টগ্রামে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। মহিমও নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
নগর পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শনিবার সকালে মহিমকে আটকের তথ্য দেয়া হয়েছে। তবে র্যাবের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করায় এ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, `সম্ভবত মহিমের অস্ত্রভান্ডারের এখন সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় এবং অপরাধ জগতের বিষয়ে তার কাছ থেকে তথ্য আদায়ের প্রয়োজনে আপাতত বিষয়টি প্রকাশ করা হচ্ছেনা।`
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লে.কর্নেল সাইফুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, `আপনাকে আপাতত আমি এতটুকু বলতে পারি, মহিম নামে কেউ আমাদের কাছে নেই। যদি থাকত আমি অফ দ্যা রেকর্ড হলেও স্বীকার করতাম।`
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নগরীতে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, মহিমকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল সহ আটক করা হয়েছে। মহিমকে নিয়ে রাতেই র্যাবের সদস্যরা অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন এমন খবরও ছড়িয়ে পড়ে।
গুঞ্জনের বিষয়টি স্বীকার করে র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের কোম্পানি কমান্ডার মেজর রাকিবুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, `মহিম আমাদের মোস্ট ওয়ানন্টেড সন্ত্রাসী। তাকে আমরা আটকের জন্য খুঁজছি এটা ঠিক। তবে এ মুহুর্তে মহিম আমাদের কাছে নেই। কিন্তু গুঞ্জনের কারণে অনেকেই আমাদের কাছে ফোন করছেন।`
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার সাবেক ওসি (বর্তমানে কোতয়ালী থানায় কর্মরত) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে জানান, সাজ্জাদ আলী খানের এক সময়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন মহিম। তবে দু`বছর আগে অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর মহিম নিজেই আলাদা একটি গ্রুপ গড়ে তুলেন।
আর মহিমের অবর্তমানে সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করছিল শিবির ক্যাডার ম্যাক্সন ও সরওয়ার।
গত বছরের আগস্টে সাজ্জাদের দুই সহযোগি সরওয়ার ও ম্যাক্সনকে একটি একে-৪৭ রাইফেল সহ বায়েজিদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন বায়েজিদ বোস্তামি থানার তৎকালীন ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম।
এর আগে গত সপ্তাহে চট্টগ্রামবাসীর এক সময়ের মূর্তিমান আতংক, চাঞ্চল্যকর এইট মার্ডার মামলার ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী সাজ্জাদ আলী খানকে ভারতের কোলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গত ৮ নভেম্বর বিষয়টি ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের সদর দপ্তরে অবহিত করা হয়। ওইদিনই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বিশেষ শাখার কাছে সাজ্জাদ আলী খানের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি চিঠিও পাঠানো হয় বলে নগর পুলিশ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খান দুবাই থেকে ভারতে আসার সময় যে পাসপোর্ট ব্যবহার করেন তাতে তার নাম লেখা ছিল আবদুল্লাহ। ভারতে এসে সাজ্জাদ তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ভারতে এসে সাজ্জাদ নিয়মিত নাইট ক্লাবে যাতায়াত শুরু করেন। কোলকাতার পুলিশ ইন্টারপোলের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে দু`দিন ধরে তার নাইট ক্লাবে যাবার বিষয়টি লক্ষ্য করতে শুরু করেন। এর এক পর্যায়ে সাজ্জাদকে আটক করতে সক্ষম হয় সেদেশের পুলিশ।
সূত্র জানায়, সাজ্জাদ আলী খান সর্বশেষ ২০০১ সালের ৩ অক্টোবর বন্দুকযুদ্ধের পর তার সহযোগী ও দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার দেলোয়ার হোসেন ওরফে আজরাইল দেলোয়ার সহ নগরীর চালিতাতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। সেসময় তার কাছ থেকে পুলিশ একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করে।
২০০৫ সালে আজরাইল দেলোয়ার জামিনে মুক্তি পান। এরপর র্যাবের ক্রসফায়ারে ওই আজরাইল নিহত হন।
তবে তিন বছর জেল খেটে দেলোয়ারের আগেই সাজ্জাদ ২০০৪ সালে জামিনে মুক্তি পান। এরপর কুমিল্লার জামায়াত দলীয় তৎকালীন সাংসদ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের গাড়িতে করে র্যাব-পুলিশের গ্রেপ্তার এড়িয়ে কারাগার প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন সাজ্জাদ।
২০০৪ সালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির মুখে তৎকালীন জোট সরকার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) গঠনের পর সাজ্জাদ আলী খান দুবাইয়ে পালিয়ে যান।
যেভাবে সাজ্জাদের উত্থান: বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০০ সালে খুন হন পাঁচলাইশ এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার লিয়াকত আলী। লিয়াকত হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দেন সাজ্জাদ ও আরেক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার ক্যাডার জসিম উদ্দিন ওরফে ফাইভ স্টার জসিম। মূলত এ ঘটনার পরই অপরাধ জগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
এর কিছুদিন পর নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে মাইক্রোবাসে ব্রাশ ফায়ার করে ছাত্রলীগের আট নেতাকে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা। এ হত্যাকান্ডেরও নেতৃত্ব দেন সাজ্জাদ।
আলোচিত এইট মার্ডারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিবিরের আরেক ক্যাডার নাছির উদ্দিন ওরফে গিট্টু নাছির এবং ফাইভ স্টার জসিম পরবর্তীতে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন।
এসময় নিজের দল জামায়াত ক্ষমতার অংশীদার থাকলেও পরিস্থিতি প্রতিকুল দেখে সাজ্জাদ আর দেশে ফিরে আসেননি।
কিন্তু এ সন্ত্রাসী দুবাইয়ে বসেই নগরীর পাঁচলাইশ, চালিত্যাতলী, অক্সিজেন, মুরাদপুর, চকবাজার, বায়েজিদ, হাটহাজারীসহ বিশাল এলাকায় তার আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। তার নামেই এসব এলাকায় চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড। আর এ কাজে সাজ্জাদ এলাকার উঠতি যুবকদের ব্যবহার করছিলেন বলে নগর পুলিশের কাছে তথ্য ছিল।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তারিক আহম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, “সাজ্জাদের নামে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। বিশেষত জমি কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে এ চাঁদাবাজিটা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন সূত্রে খবর পেলেও কেউ সরাসরি আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেননি।”
গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন এলাকায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরীর বাড়িতে ঢুকে গুলি চালান একদল ক্যাডার। এ সময় তারা চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মালিকের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেন।
এ ঘটনার পর শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের নাম অনেকদিন পর আবারও আলোচনায় উঠে আসে। নগর পুলিশ কর্মকর্তারাও সাজ্জাদের বিষয়ে তৎপর হন।
নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে হাটহাজারী উপজেলার সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টিকারী অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)‘অনন্যা’ নামে একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছে।
মূলত সংযোগ সড়ক এবং আবাসিক এলাকা পাল্টে দিয়েছে ওই এলাকার দৃশ্যপট। বর্তমানে ওই এলাকায় দ্রুত জমির দাম বাড়ছে। এতে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ওই এলাকায় জমি কেনাবেচা নিয়ে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ শুরু করেন। ফলে ওই এলাকায় জায়গা জমি কেনা বেচাকে কেন্দ্র করে একটি চক্রও গড়ে ওঠে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের নির্দেশে তার সহযোগীরা ব্যাপক অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড এবং বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন। জমির মালিকদের কাছ থেকে বিক্রির সময় টাকা আদায়ের পাশাপাশি ক্রেতার কাছ থেকেও টাকা আদায় করছেন সাজ্জাদ বাহিনীর ক্যাডাররা।
বেশ কয়েকটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মালিক, বিদেশ ফেরত জমির ক্রেতা এবং স্থানীয় জমি বিক্রেতাদের কাছ থেকে সাজ্জাদের অনুসারীরা মোট অংকের চাঁদা নিয়েছেন বলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তথ্য আছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৩১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১২
আরডিজি, সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর
৪৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৪
নাভদ বলেছেন: 0 Nov 2012 03:47:30 AM Saturday BdST
রাজশাহীতে ১২টি তাজা বোমাসহ শিবির কর্মী আটক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন মতিহারের মেহেরচন্ডি পূর্বপাড়া এলাকার একটি মেস থেকে শুক্রবার গভীর রাতে ১২টি তাজা বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ নূরুল হুদা (২৩) নামের রাবি ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া নওকুল গ্রামে। তার বাবার নাম গোলাম আজম। তিনি এখানে একটি মেসে ভাড়া থাকতেন।
শুক্রবার দিনগত রাত পৌণে ৩টার দিকে বিশেষ অভিযান চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই মেসে তল্লাশী চালায় পুলিশ। এসময় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার স্বীকারোক্তিনুযায়ী ওই মেস থেকে ১০টি তাজা বোমা, দুইটি পাইপ বোমা ও বোমা তৈরীর সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের প্রথমদিকে এতে সরাসরি নেতৃত্ব দেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার এসএম মনির-উজ-জামান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আবদুল মান্নান। এছাড়া মহানগরের বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন, মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন সঙ্গিয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
মহানগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রাতে বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রশিবির কর্মী নূরুল হুদা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, এ বোমাগুলি পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকবিলা করার জন্য গোপনে সেখানে রাখা হয়েছিল।
এখান থেকে আরও বিপুল সংখ্যক বোমা ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে অতি সম্প্রতি বন্টন করা হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তিনি। রাবি ছাত্রশিবিরের দুই নেতা তা বন্টন করেছেন।
এছাড়া আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন নূরুল। তবে পরবর্তী অভিযানের স্বার্থে এখনই সব বলা যাবে বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, রাতভর অভিযান শেষে সকালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, রাতে মহানগরের উপশহর ৩নং সেক্টরে সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত মহানগর পুলিশ কমিশনারের বাস ভবনের অদূরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে এর কোনো সূত্র পাওয়া গেছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। সকাল হলে সব জানতে পারবেন বলে জানান তিনি। বর্তমানে উদ্ধারকৃত বোমাগুলি সরঞ্জামসহ তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে থানায় সোপর্দ করার কথা রয়েছে।
রাত সোয়া ৩টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৩ ঘন্টা, নভেম্বর ১০, ২০১২
৪৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৭
নাভদ বলেছেন:
08 Nov 2012 11:57:55 PM Thursday BdST
শীর্ষ সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ ভারতে গ্রেফতার
রমেন দাশগুপ্ত, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি : ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের এক সময়ের মূর্তিমান আতঙ্ক, পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার, আলোচিত এইট মার্ডার মামলার মৃত্যুণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ আলী খান ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার (ইন্টারপোল) পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতরে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি সাজ্জাদ আলী খানের গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) বনজ কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, “সাজ্জাদ ভারতের কোলকাতায় গ্রেফতার হয়েছেন এতটুকু জানি। তবে কখন, কোথা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়টি আমরা এখনও নিশ্চিত না।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, গত মঙ্গলবার কোলকাতায় গ্রেফতার হন সাজ্জাদ। তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য বৃহস্পতিবার বিষয়টি বাংলাদেশের পুলিশ সদর দফতরকে ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতর থেকে নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় সাজ্জাদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তারেক আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, “সাজ্জাদ ভারতের কোলকাতায় গ্রেফতার হয়েছেন বলে শুনেছি। ইন্টারপোলই বিষয়টি পুলিশ সদর দফতরকে জানিয়েছে। যেহেতু সাজ্জাদ আমাদেরও মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি ছিল, তাই তার বিষয়ে আমরা সব ধরনের তথ্য নেব।”
চট্টগ্রামে এক সময়ের মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত এ সন্ত্রাসী দুবাইয়ে বসেই নগরীর পাঁচলাইশ, চালিত্যাতলী, অক্সিজেন, মুরাদপুর, চকবাজার, বায়েজিদ, হাটহাজারীসহ বিশাল এলাকায় তার আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। তার নামেই এসব এলাকায় চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড।
আর এ কাজে সাজ্জাদ এলাকার উঠতি যুবকদের ব্যবহার করছিলন বলে নগর পুলিশের কাছে তথ্য ছিল। তবে সাজ্জাদ মধ্যপ্রাচ্য থেকে কবে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য ছিলো না।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তারিক আহম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, “সাজ্জাদের নামে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। বিশেষত জমি কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে এ চাঁদাবাজিটা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন সূত্রে খবর পেলেও কেউ সরাসরি আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেননি।”
গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন এলাকায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরীর বাড়িতে ঢুকে গুলি চালান একদল ক্যাডার। এ সময় তারা চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মালিকের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেন।
এ ঘটনার পর শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের নাম অনেকদিন পর আবারও আলোচনায় উঠে আসে। নগর পুলিশ কর্মকর্তারাও সাজ্জাদের বিষয়ে তৎপর হন।
নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে হাটহাজারী উপজেলার সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টিকারী অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)‘অনন্যা’ নামে একটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছে।
মূলত সংযোগ সড়ক এবং আবাসিক এলাকা পাল্টে দিয়েছে ওই এলাকার দৃশ্যপট। বর্তমানে ওই এলাকায় দ্রুত জমির দাম বাড়ছে। এতে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ওই এলাকায় জমি কেনাবেচা নিয়ে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ শুরু করেন। ফলে ওই এলাকায় জায়গা জমি কেনা বেচাকে কেন্দ্র করে একটি চক্রও গড়ে ওঠে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের নির্দেশে তার সহযোগীরা ব্যাপক অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড এবং বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন। জমির মালিকদের কাছ থেকে বিক্রির সময় টাকা আদায়ের পাশাপাশি ক্রেতার কাছ থেকেও টাকা আদায় করছেন সাজ্জাদ বাহিনীর ক্যাডাররা।
গত বছরের আগস্টে সাজ্জাদের দুই সহযোগী সরওয়ার ও ম্যাক্সনকে একটি একে-৪৭ রাইফেলসহ বায়েজিদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বায়েজিদ বোস্তামি থানার তৎকালীন ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম।
এ বিষয়ে নগরীর কোতোয়াwল থানায় দায়িত্বরত ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, “সাজ্জাদ সবসময় কিছু উঠতি যুবককে সন্ত্রাসী কাজে লাগান। আমি দায়িত্ব পালনকালে তারা এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এখন শুনছি আবারও এলাকায় এসে চাঁদাবাজি শুরু করেছেন।”
পুলিশ সূত্র জানায়, সাজ্জাদ সর্বশেষ ২০০১ সালের ৩ অক্টোবর বন্দুকযুদ্ধের পর তার সহযোগী ও দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার দেলোয়ার হোসেন ওরফে আজরাইল দেলোয়ারসহ নগরীর চালিতাতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার হন। ওই সময় তার কাছ থেকে পুলিশ একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করে।
২০০৫ সালে আজরাইল দেলোয়ার জামিনে মুক্তি পান। এরপর র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ আজরাইল দেলোয়ার নিহত হন।
তিন বছর জেল খেটে দেলোয়ারের আগেই সাজ্জাদ ২০০৪ সালে জামিনে মুক্তি পান। এরপর কুমিল্লার তৎকালীন জামায়াতের সাংসদ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের গাড়িতে করে পুলিশের গ্রেফতার এড়িয়ে কারাগার প্রাঙ্গY ত্যাগ করেন সাজ্জাদ।
২০০৪ সালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মুখে তৎকালীন জোট সরকার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গঠনের পর সাজ্জাদ আলী খান দুবাইয়ে পালিয়ে যান।
যেভাবে সাজ্জাদের উত্থান
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০০ সালে খুন হন পাঁচলাইশ এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার লিয়াকত আলী। লিয়াকত হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেন সাজ্জাদ ও আরেক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার জসিম উদ্দিন ওরফে ফাইভ স্টার জসিম। মূলত এ ঘটনার পরই অপরাধ জগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
এর কিছুদিন পর নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে মাইক্রোবাসে ব্রাশফায়ারে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা। এ হত্যাকাণ্ডেরও নেতৃত্ব দেন সাজ্জাদ।
আলোচিত এইট মার্ডারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিবিরের আরেক ক্যাডার নাছির উদ্দিন ওরফে গিট্টু নাছির এবং ফাইভ স্টার জসিম পরবর্তীতে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন।
এরপর নিজের দল জামায়াত ক্ষমতার অংশীদার হিসেবে থাকলেও পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে সাজ্জাদ আর দেশে ফেরেননি।
বাংলাদেশ সময় : ২৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১২
আরডিজি/এসএইচ/ সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর
৫০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৩
নাভদ বলেছেন:
10 Nov 2012 08:21:31 PM Saturday BdST
রাজশাহীতে ছয় শিবির নেতার নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা
ইমরান আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা : রাজশাহীতে ছয় শিবির নেতার নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা হয়েছে। এর মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশের রাইফেল কেড়ে নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। এই ছয়জনের কাউকে এখন পর্যন্ত আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ছয় নেতাকে আটক করতে তারা অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার এসএম মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “শিবিরের ছয় শীর্ষ নেতা ছাড়াও পুলিশের উপর ওই দিন যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “শহরের বিশেষ বিশেষ স্থানে নজরদারির মাধ্যমে তারা অভিযান পরিচালনা করছে। ”
গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেনকে ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে নির্মমভাবে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালানোর পর সারাদেশে শিবিরের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে ওঠে। বর্তমান সরকারও শিবিরের প্রতি কঠোর অবস্থান নেয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এক প্রকার তারা বিতাড়িত হয়। মূলত এই ঘটনার পর থেকে সারাদেশে কোণঠাসা হযে পড়ে শিবির।
জানা যায়, এ ঘটনার পর দীর্ঘ দিন ঘাপটি মেরে থাকলেও শিবির গোপনে সংঘঠিত হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা বিনোদপুর, মেহেরচণ্ডি, কাঁটাখালি, হেতেম খাঁ, বিসিক এলাকায় তারা এক প্রকার নিরাপদ আস্তানা গড়ে তোলে।
কোণঠাসা শিবিরকে গোপনে নেতৃত্বের দায়িত্ব পায় ৬ জন। এরা হলেন- ইসলামী ব্যাংক রাজশাহী কলেজের শিবির নেতা জোহা, মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্র ডা. আলমগীর হোসেন, রাজশাহী মহানগর শিবিরের সভাপতি ইমন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির ক্যাডার ও জোহা হলের শিবিরের সাবেক সভাপতি তুহিন, রাবির দূধর্ষ শিবির ক্যাডার ও ফারুক হত্যা মামলার পলাতক আসামি ইয়াহিয়া এবং রাবির শিবির নেতা আজিজুর রহমান।
গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানায়, এই ছয়জনই মূলত কোণঠাসা শিবিরকে সংঘঠিত করার কাজ করেছে। একই সঙ্গে এদের নেতৃত্বে ৭ নভেম্বর পুলিশের উপর হামলা হয়। এই ছয়জনের মধ্যে তুহিন পুলিশের রাইফেল কেড়ে নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করে।
গোয়েন্দা সংস্থার মতে, ৭ নভেম্বর সকাল থেকে রাজশাহী মহানগরীর বিশেষ বিশেষ জায়গায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। গোয়েন্দা সদস্যরা নজরদারি করে আসছিল। এরমধ্যেই কিভাবে অতর্কিতভাবে পুলিশের উপর হামলা হলো এ নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম হয়েছে।
এদিকে হামলায় নেতৃত্ব দানকারী ওই ছয় শিবিরক্যাডারসহ দায়েরকৃত মামলার আসামিদের গ্রেফতারে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার এসএম মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা মামলার আসামি শিবির কর্মীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। এরই মধ্যে কিছু গ্রেফতারও হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১২
৫১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪২
নাভদ বলেছেন: KalerKntho
ঢাকা, রবিবার ১১ নভেম্বর ২০১২, ২৭ কার্তিক ১৪১৯, ২৫ জিলহজ ১৪৩৩
সাজ্জাদ গ্রেপ্তারের পর শিবির সন্ত্রাসী মহিন ও আরমান লাপাত্তা
এস এম রানা, চট্টগ্রাম
দেশের বহুল আলোচিত এইট মার্ডার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিবিরের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর চট্টগ্রামে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড মোহাম্মদ মহিন ওরফে মহিম এবং আরমান এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তবে শুক্রবার রাত থেকে চট্টগ্রামে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, মহিন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু র্যাব এ তথ্য নিশ্চিত করেনি। পুলিশ বলছে, সাজ্জাদ ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার খবর চট্টগ্রামে বসে প্রথমেই জানে মহিন। এর পর থেকেই সে নিরুদ্দেশ। শনিবার দিনভর র্যাবের হাতে মহিনের গ্রেপ্তারের গুঞ্জন বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব-৭-এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার নাজমুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অনেক সংবাদকর্মী ফোনে মহিন গ্রেপ্তারের খবর জানতে চাচ্ছেন, কিন্তু আমরা মহিন নামের কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা আটক করিনি।'
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্যমতে, বায়েজিদ বোস্তামি থানার হাজিপাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মহিন সিএমপির তালিকাভুক্ত পলাতক শিবিরের সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় ১৫টি মামলা ও একাধিক সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি মামলায় ওয়ারেন্ট জারি করেছেন আদালত। এ ছাড়া এইট মার্ডার মামলায় সাজ্জাদসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ার পর পলাতক সাজ্জাদের পক্ষে নেপথ্য থেকে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ শুরু করে মহিন। অবশ্য কিছুদিন আগে সাজ্জাদের সঙ্গে মহিনের কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। পুলিশের তথ্য মতে, মহিনের কাছে একটি একে-৪৭ রাইফেলসহ বেশ কিছু অস্ত্র আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএমপির একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ভারতে সাজ্জাদ গ্রেপ্তার হয় গত মঙ্গলবার। চট্টগ্রামে বসে প্রথমেই এ খবর জানতে পারে মহিন। সঙ্গে সঙ্গে সে খবরটি অপর একজন সহযোগীকে জানায়। ওই সহযোগীর তৃতীয় একটি পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে এ খবর আসে। মূলত মঙ্গলবার রাত থেকেই মহিন নিরুদ্দেশ। তিনি জানান, চালিতাতলীতে পুলিশ প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই মহিন খবর পেয়ে যায়। কারণ স্থানীয় লোকজন মহিনকে সহযোগিতা করে।
মহিন এবং তার সহযোগী সন্ত্রাসী আরমান বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় নেই উল্লেখ করে সিএমপির (উত্তর) অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তিন-চার দিন ধরে মহিন এলাকায় নেই। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সে এলাকায় ছিল।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'কোরবানির ঈদের তিন-চার দিন আগে বেশ কিছু ফোর্স দিয়ে আমরা মহিনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়েছিলাম। কিন্তু সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।' তিনি জানান, ওই সময় যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবর এবং মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। মহিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরমানের অবস্থান সম্পর্কেও পুলিশ এ মুহূর্তে নিশ্চিত নয়।
ওদের আস্তানা চালিতাতলী : প্রায় দেড় যুগ আগে বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী এলাকায় ছাত্রশিবিরের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা আস্তানা গড়ে তুলেছিল। এখানে পরিকল্পনার পর শিবির সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক মাহমুদ সিদ্দিকী ও সোলায়মান খান। এরপর ২০০০ সালের ১২ জুলাই শহরের সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটে যাওয়ার পথে আট ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চালিতাতলী এলাকায়ই উত্থান হয়েছিল শিবির ক্যাডার গিয়াস হাজারিকা, ফাইভ স্টার জসিম ও সাজ্জাদের। কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও অঙ্েিজন এলাকা ছাড়া আর কোনো পথ দিয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেতে পারে না ওই এলাকায়। এ কারণে সন্ত্রাসীরা অপরাধ করে ওই এলাকায় আত্মগোপন করে। ২০০৪ সালে গিয়াস হাজারিকা র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার পর তার বিশাল অস্ত্রভাণ্ডার সাজ্জাদের দখলে ছিল। সাজ্জাদ পালানোর পর অস্ত্রভাণ্ডার সরোয়ার, নিঙ্ন ও মহিমের নেতৃত্বে যায়। অস্ত্রভাণ্ডারের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে তারা অন্তত ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। এ ছাড়া চালিতাতলীতে বসে নগরের মুরাদপুর, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত তারা। গত বছর সরোয়ার ও নিঙ্ন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সর্বশেষ বাকি ছিল মহিম এবং তার অনুগত সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে কারাগারে বন্দি শিবির ক্যাডার নাছিরও একসময় চালিতাতলী আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করত।
৫২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪৪
নাভদ বলেছেন:
Ctg 8 Murder: Interpol arrests convicted Shibir cadre in India
Star Report
Interpol has arrested in India a Bangladeshi fugitive convicted of murdering eight people in Chittagong in 2000.
An activist of Islami Chhatra Shibir, Sazzad Hossain, 33, was convicted of shooting dead the eight. Of the victims, seven were members of the Bangladesh Chhatra League (BCL), an associate body of the ruling Awami League.
The Interpol branch of India's Central Bureau of Investigation detained him at Amritsar airport in Punjab on Thursday when he was about to flee to Dubai with fake travel documents, reports our New Delhi correspondent.
Sazzad is now in police custody in New Delhi.
India has informed Bangladesh of his arrest and sought details of the eight-murder case. If the Bangladesh government makes a formal request, India will definitely hand over the arrestee to them, a highly-placed source told The Daily Star yesterday.
“The incumbent government in Bangladesh has cooperated with us so much in the security area, and there is no reason why we would not hand over the detainee."
Talking to newsmen in New Delhi yesterday, visiting Agriculture Minister Matia Chowdhury hinted that Bangladesh would formally request India to hand over Sazzad.
Our Chittagong correspondent adds: A Chittagong court on March 27, 2008 had sentenced Sazzad to death by hanging.
A resident of Bayezid area in the port city, Sazzad was carrying a forged passport bearing the name Md Abdullah as the son of one Hajji Sukkur from Barisal.
An official at the police headquarters in Dhaka said the authorities had already completed all the legal formalities to have the killer extradited from India.
The ministries of home and foreign affairs will soon send to India the papers required for his extradition, he added.
The Chittagong Metropolitan Police earlier on February 16 sent a letter to Interpol, the world's largest international police organisation, seeking his arrest.
Apart from the murder case, Sazzad is an accused in ten other criminal cases in Chittagong city.
Police arrested him on October 3, 2001, but he secured bail in 2004 and fled to Dubai.
৫৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩১
নাভদ বলেছেন: 1. কোন পথে বুয়েট? সাম্প্রতিক ঘটনা ও আশংকা
2. 11 Nov 2012 04:26:45 PM Sunday BdST
বুয়েটে নিরাপত্তা জোরদার: শিবির ক্যাডারের বিরুদ্ধে মামলা স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বুয়েট থেকে: বুয়েটের শিবির ক্যাডার আমিনুল বিন খালিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এদিকে বুয়েটে জামায়াত শিবিরের সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততার খবর বাংলানিউজে প্রকাশের পর রোববার সকালে বৈঠক করেছে বুয়েটের আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত নিরাপত্তাবাহিনী।
জামায়াত-শিবির যেন কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে জন্যে কঠোর নিরাপত্তা ও নজরদারির কথা বলা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে বুয়েটে এক শিবির ক্যাডার আমিন বিন খালেদের আহসানউল্লাহ হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে অভিযান চালায় বুয়েটের ছাত্ররা। আমিনুল পালিয়ে গেলেও উদ্ধার হয় রামদা, গোলাবারুদ, জেহাদী বইসহ বেশ কিছু আলামত। এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গ্রেপ্তার হয় সিভিল বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম।
তথ্য প্রমাণের আলামতের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে আমিন বিন খালেদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র মামলা করে।
পুলিশের লালবাগ থানার ডিসি হারুন উর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, শিবিরের সঙ্গে বুয়েটের ৫৯ জন শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততার আলামত, তথ্য ও ফেসবুক ও ই-মেইলের তথ্যপ্রমাণ দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। চকবাজার থানায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
তিনি জানান, যে ৫৯ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিবিরের সম্পৃক্ততার আলামত পাওয়া গেছে, তাদের তালিকাও নিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শিবির ক্যাডার শফিকুল ও আমিনের ডায়েরিতে সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমের তথ্য ও সদস্যদের তথ্য পাওয়া যায়।
এর আগে সকালে নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে হলের প্রভোস্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কড়া নজরদারির। বৈঠকে কোন বহিরাগত যেন হলে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যে পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে।
৫৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৫
নাভদ বলেছেন: ১. বুয়েট আন্দোলনে মহিলা জামাতীদের কার কি ভূমিকা !!!!
২. শিবির সম্পৃক্ততায় বুয়েটের ৪ শিক্ষক: মাজেদুল নয়ন; স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ড. জাহাঙ্গীর আলম (সিভিল)
মাহবুব রাজ্জাক (মেকানিক্যাল)
স্নিগ্ধা আফসানা (সিভিল)
11 Nov 2012 10:53:53 AM Sunday BdST
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) চার শিক্ষকের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
গত মঙ্গলবার দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব চালানোর সময় রাজধানীতে আটক শিবিরকর্মী বুয়েট ছাত্র শফিকুল ইসলামের কম্পিউটার, ফেসবুক, ই-মেইল ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে জামায়াত-শিবিরের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের প্রমাণ পাওয়া যায়।
গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুয়েটে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় নিজেদের ‘সাধারণ শিক্ষক‘ বলে দাবি করলেও শিবিরের সঙ্গে তিনজন শিক্ষকের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীতে জামায়াত নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে মৌচাক থেকে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শফিকুল ইসলামকে শিবির ক্যাডার হিসেবে আটক করে রমনা থানা পুলিশ।
এরপর মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় বুয়েটের সোহরাওর্য়াদী হলের ২০০৮ নং কক্ষে শফিকুলের অবস্থানে তল্লাশি চালায় বূয়েটের শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ২০১১ নং কক্ষও তল্লাশি চালানো হয়। কক্ষ দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ জেহাদি বই, পুস্তক, সিডি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা কম্পিউটার ও একটি ডায়েরি থেকে বেরিয়ে আসে অনেক তথ্য।
ডায়েরিতে বুয়েটে শিবিরের কর্মকাণ্ডের একটি ছক পাওয়া যায়। শিবির ক্যাডারদের নাম, তাদের ছদ্ম নাম, মেইল ও ফেসবুক আইডি এবং তার গোপন পাসওয়ার্ডসহ নানা তথ্য প্রমাণ রয়েছে ডায়েরিতে। পাসওয়ার্ড ও ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করলে বুয়েটে জামায়তপন্থী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ ও কর্মকাণ্ডের আলাপচারিতা পাওয়া যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা শিক্ষক আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষকের ব্যানারে জামায়াতের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে প্রমাণও মিলেছে।
শফিকুল ইসলামের ফেসবুক আইডি ও মেইল আইডি’তে প্রবেশ করে দেখা যায়, জামায়াতী শিক্ষকরা তাকে মেইল, ফেসবুক ও চিঠি দিয়ে গত আন্দোলনে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন।
শফিকুলের মেইল ও ফেসবুকে শিবিরদের পরামর্শ, নির্দেশনা ও অর্থনৈতিক যোগান দিতে দেখা গেছে জামায়াতি শিক্ষকদের। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মাহবুব রাজ্জাকের সঙ্গে শিবিরের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দেখা যায়, আন্দোলন নিয়ে কথোপকথনের এক পর্যায়ে মাহবুব রাজ্জাক শফিকুল ইসলামকে বলছেন, “সালাম স্যার। কিন্তু আপনার লাস্ট আপডেটের প্রথম লাইনটা নিয়ে একটু সন্দেহ আছে। আমি জাহাঙ্গীর স্যারের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি বললেন, স্যার কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিষয়টা একটু পরিষ্কার করুন।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. জাহাঙ্গীর আলম সিভিল বিভাগের শিক্ষক। শফিকুল বলছেন, “সামনে ভিসি অফিস ঘেরাও কর্মর্সূচি আসছে। আর আমি ছাত্র শিবিরের হল কমিটির জন্য আবেদন করেছি।”
বুয়েটে সিভিল শিক্ষক স্নিগ্ধা আফসানার সঙ্গেও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় শিবিরের। ফেসবুকের এক আলাপচারিতায় তিনি শফিকুলকে বলেন, “শফিকুল, তোমরা কালকে যেসব বই বিতরণ করতে চাচ্ছো সেগুলোর নাম একটু আমাকে জানিও। আমি একটা বই প্রপোজ করতে চাই সেটা হলো ‘প্রত্যেক মুসলিমের যেসব বিষয় জানা একান্ত কর্তব্য।’ যদি এই বইটা দিতে চাও আমাকে জানালে আমি ব্যবস্থা করতে পারবো। আর কোনো ফাইনান্সিয়াল সাপোর্ট লাগলে প্লিজ অবশ্যই আমাকে জানাবে। আল্লাহ আমাকে যতটুকু তৌফিক দিয়েছেন তার মধ্যে কন্ট্রিবিউট করব- ইনশাল্লাহ, স্নিগ্ধা।”
এই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আরেকটি আলাপচারিতায় স্নিগ্ধা বলেছেন, “তোমরা তো আমারে প্যাঁচের মধ্যে ফেলে দিলা। আসলে আমি প্রচার থেকে দূরে থাকতে চাই। যে জন্য মিডিয়ার সামনে কোনো সাক্ষাৎকার দেই না। তোমার রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলাম।”
উদ্ধার করা ডায়েরিতে শিবিরকে শিক্ষকদের আর্থিক সহযোগিতারও প্রমাণ মিলেছে। এতে উল্লেখ রয়েছে, “জাহাঙ্গীর স্যার ১০০০। মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষক মো: আলী স্যার ৫০০ টাকা।”
এ শিক্ষার্থীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার ব্যাপারে ড. জাহাঙ্গীর আলম শনিবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, “এক শিক্ষার্থীর অ্যাডভাইজার ছিলাম আমি। অ্যাডভাইজার মানে হচ্ছে, তার অভিভাবকের মতো এ চার বছরের দায়িত্ব আমার।”
তিনি বলেন, “তার সঙ্গে শিবিরের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তবে সে খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তবে নিজের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে কোনো মত দিতে চাননি এ শিক্ষক।”
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ঘণ্টা; নভেম্বর ১১, ২০১২
৫৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৯
নাভদ বলেছেন: Ahsanullah Hall BUET, Room 108 - Find from Shibir
Activist
ডিটেইলস: কমেন্ট ৫৩
৫৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১১
নাভদ বলেছেন: 12 Nov 2012 01:00:36 PM Monday BdST
ছাত্রশিবিরে ভেড়ানোর কাজ শুরু শিশুকাল থেকেই!
মাজেদুল নয়ন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশ ও সংবিধান বিরোধী সবচেয়ে সক্রিয় ছাত্র সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির দলের সদস্য অর্ন্তভুক্তি করে শিশু বয়স থেকেই।
শিবির থেকেই উৎপত্তি হয়েছে হিজবুত তাহরির, জামাত উল মুজাহিদীনসহ (জেএমবি) নানা জঙ্গি সংগঠনের। আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামী ছাত্রশিবির পরিচিত জঙ্গি সংগঠন ‘আইসিএস’ নামে। দেশের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ছে এ সংগঠনের কার্যক্রমে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শিশু সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরসহ ফোকাস, রেটিনা, ইত্যাদিপ্রভৃতি কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সংগঠনে নিয়ে আসছে শিবির।
শিবিরে ভেড়ানোর কৌশল
শিবিরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদেরকে শিশুকাল থেকেই টার্গেট করে শিবির। আর শিশু সংগঠন ‘ফুলকুঁড়ি আসর’ গঠন করা হয়েছে এ উদ্দেশ্য নিয়েই।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ফুলকুঁড়ি আসরে যেসব শিশু যুক্ত হয়, পরবর্তীতে তারা যোগ দেয় ছাত্রশিবিরে। শিবিরের সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় ক্রমানুযায়ী। প্রথম পর্যায়ে একটি শিশুকে পরিচিত করা হয় ফুলকুঁড়ি আসরের সঙ্গে। ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উঠলেই তাকে দিয়ে পূরণ করানো হয় ছাত্রশিবিরের ফরম। যখন শিশুটি শিবিরে যোগ দেয়, তখন সে নিবন্ধিত হয় সংগঠনের সমর্থক হিসেবে। এরপর ধাপে ধাপে কর্মী, সাথী এবং শেষে সংগঠনের সদস্যপদ লাভ করে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানীর বেশ কয়েকটি প্রথম সারির স্কুলে কাজ করে ফুলকুঁড়ি আসর। তারা সবচেয়ে বেশি কাজ করে স্কুলের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ স্কাউটের মধ্যে। এছাড়া রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে সক্রিয় শিবির কর্মীরা। বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, স্কাউটের শিশুরা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত না হলে ফুলকুঁড়ি আসরের মাধ্যমে অংশগ্রহণের জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়।
এক ধরনের কৃতজ্ঞতবোধ থেকে শিশুরা এরপর ফুলকুঁড়ির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। তখন তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক বই সরবরাহ করা হয়। সুযোগ বুঝে ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণীতে উঠলে শিবিরের ফরম পূরণ করিয়ে নেওয়া হয়। শিশুদের মধ্যে ‘নতুন কিশোর কণ্ঠ’ এবং ‘ইয়ুথ ওয়েব’ নামে দুটি মাসিক সম্পাদনা সরবরাহ করা হয়। যা প্রকাশ করা হয় ছাত্রশিবির থেকে ।
স্কুল পর্যায়ে এসব দ্বায়িত্ব পালন করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মিজানুর সরকার, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মোবারক হোসেইন, কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মাসুদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক হাফেজ শাহিনুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক মোস্তফা সাকেরুল্লাহ।
সারা দেশে শিবিরের পরিচালিত বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়াতে সহায়তা করে। এর মধ্যে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘ফোকাস’, মেডিকেলে ভর্তির জন্য ‘রেটিনা’ এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য ‘কনক্রিট’ সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। দেশব্যাপী শতাধিক শাখা রয়েছে এ তিনটি কোচিংয়ের।
দেশের যেসব জেলা বা উপজেলা-থানায় এসব কোচিং এর শাখা রয়েছে সেগুলো স্থানীয় শিবির নেতাকর্মীদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। এসব কোচিংয়ে শিক্ষকতা এবং অন্যান্য চাকরির মাধ্যমে শিবির কর্মীদের থাকা-খাওয়ার নিশ্চয়তা দেয় ছাত্রশিবির। বর্তমানে কোচিংগুলোর মূল পরিচালনার দ্বায়িত্বে রয়েছেন শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. বদিউল আলম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মোবারক হোসেইন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সকল নেতাকর্মী ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন কোচিং সেন্টারগুলোর সঙ্গে। রেটিনা কোচিংয়ের সঙ্গে মেডিকেল কলেজ এবং কনক্রিটের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির কর্মীরা।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় এক কোটি টাকার মতো আয় হয় দেশব্যাপী কোচিং সেন্টারগুলোর বিভিন্ন শাখা থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের এভাবেই সংগঠনে ভেড়ায় শিবির।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন শিক্ষকদের যে নিয়োগ হয়েছে তার বেশিরভাগই শিবিরের কর্মী বা নেতা। বিএনপি ঘরানার ছাত্ররাও নিয়োগে ছিলেন অনেক পিছিয়ে। শিবির ব্যাকগ্রাউন্ডে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের নেতাকর্মীদের মতো কাজ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিবিরের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং ভালো ফলাফলে এসব শিক্ষকরা সর্বোচ্চ সাহায্য করেন বলেও জানা গেছে।
যেভাবে জন্ম শিবিরের
বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীশক্তি জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের প্রথম থেকেই ধর্মীয় রাজনীতির ভুল চর্চার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটি। ১৯৪৭ সালে মওলানা মওদুদীর নেতৃত্বে যে জামাত-ই-তালেবার নামক যে সংগঠনের জন্ম হয় পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে তা ইসলামী ছাত্রসংঘে রূপ নেয়।
তৎকালীন সময়ে জামায়াত এবং ইসলামী ছাত্রসংঘ প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় আলবদর বাহিনী। এই আলবদর বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু সব ধরনের ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে এ ধরনের সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও দেশ স্বাধীন হলে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্যরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
এরপর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে ইসলামী ছাত্রসংঘ ১৯৭৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী ছাত্রশিবির নামে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মীর কাশেম আলী এবং আগের ইসলামী ছাত্রসংঘের শীর্ষ নেতা কামারুজ্জামান, মুজাহিদ ও আব্দুল জলিল আবু নাসের তারা সবাই আলবদরের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিবিরের বর্তমান সভাপতি মোঃ দেলাওয়ার হোসেন এবং সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বারর নামে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জঙ্গি কার্যক্রমে মদদ দেয়ার অভিযোগ।
বর্তমানেও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জঙ্গি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরা সক্রিয় রয়েছে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাহাঙ্গীরনগর ও সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পতনের আগে মহাজোটের আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র তৎপরতাই সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরও এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিবির তাদের জঙ্গি কার্যক্রম বন্ধ করেনি বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের স্কুল-কলেজগুলোতেও শিবির নিজস্ব নামে অথবা বিভিন্ন সংগঠনের নামে চালিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রম।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শিবিরের সরচেয়ে বেশি সক্রিয়তা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলোতে বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে।
কিরিস বাহিনী
শিবিরের রয়েছে বিশেষ জঙ্গি বাহিনী। এ বাহিনীকে বলা হয় ‘ক্রিজ (কিরিস) বাহিনী’।
বিশেষভাবে অস্ত্র চালানোয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং হাতবোমা বানানো ও ছোড়ায় পারদর্শী এরা প্রায় সকলেই শিবিরের কর্মী, সদস্য অথবা সাথী। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিবির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস ও হল দখলের কাজে ক্রিজ বাহিনীকে কাজে লাগায় বলে জানা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এ বাহিনীর সদস্যরা অপারেশনের কয়েকদিন আগে থেকেই নির্দিষ্ট ক্যাম্পাসের আশপাশে অবস্থান করে।
গত সপ্তাহজুড়ে দেশব্যাপী পুলিশের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষেও পিকেটিং বাহিনীর সঙ্গে ছিল ক্রিজ বাহিনীর উপস্থিতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবিরের এক কর্মী বাংলানিউজকে জানান, একমাত্র এ বাহিনীর কারণেই তারা এখনো রাজশাহী ও চট্টগ্রাম এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাব বজায় রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১২
৫৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৬
নাভদ বলেছেন: 12 Nov 2012 08:42:37 PM Monday BdST
জয়পুরহাটে পুলিশ সদস্যকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা শিবিরের
জেলা প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে শিবিরের কর্মীরা গোলাম মোস্তফা নামে এক পুলিশ সদস্যের গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে।
এর আগে তাকে একা পেয়ে বেধড়ক মারপিট করে জখম করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জয়পুরহাটের কাছে হিচমী বাজারে পুলিশ সদস্যকে হত্যার চেষ্টা চালায় ইসলামী ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররা।
গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য গোলাম মোস্তফাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, সোমবার শিবিরের ডাকা হরতাল চলাকালে বিকেলে ক্ষেতলাল থানার কনস্টেবল গোলাম মোস্তফা কোর্টে সাক্ষ্য দিয়ে ক্ষেতলাল যাওয়ার হিচমী বাজারে পৌঁছালে শিবির কর্মীরা তাকে একা পেয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে।
এ সময় স্থানীয় জনতা শিবির কর্মীদের হাত থেকে ওই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে দেন।
সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার হামিদুল আলম আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, শিবির কর্মীরা পুলিশ কনস্টেবল মোস্তফাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে শিবিরের কর্মীরা। তবে স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
এঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১২
৫৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫৯
নাভদ বলেছেন: বুয়েটে শিবিরের অশুভ তৎপরতা প্রমাণ গ্রেপ্তার কর্মীর ডায়েরিতে
ভোরের কাগজ : ১৩/১১/২০১২
কাগজ প্রতিবেদক : ছাত্রশিবিরের এক কর্মীকে গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) ঘিরে সংগঠনটির কিছু চক্রান্ত ফাঁস হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা কম্পিউটার, ফেসবুক ও ই-মেইল অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য কাগজপত্রে থেকে বুয়েটকে ঘিরে শিবিরের নানা অশুভ তৎপরতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জানা যায়, বুয়েটের অন্তত চারজন শিক্ষক ছাত্রশিবিরের কর্মকা-ে শলা-পরামর্শ ও ম“ দিচ্ছেন। এই শিক্ষকেরা একসময় শিবিরের কর্মী ছিলেন এবং এখন বুয়েটে পড়ানোর সুযোগ পেয়ে সেখানে সংগঠনটির ভিত্তি মজবুতের সকল চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গতকাল সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এ বিষয়ে তাদের শীর্ষ সংবাদ সম্প্রচার করে। তারা তাদের এই প্রতিবেদনটিকে (নিউজস্টোরি) দীর্ঘকাল প্রথম স্থানে রাখে। এর ফলে বুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, পুলিশ বুয়েটের ৫৯ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী শিবিরের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে। গত মঙ্গলবার দেশব্যাপী জামাত-শিবিরের তা-ব চলাকালে রাজধানীতে আটক শিবিরকর্মী ও বুয়েট ছাত্র শফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন। শফিকুলের কম্পিউটার, ফেসবুক ও ই-মেইল অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য কাগজপত্রে দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে জামাত-শিবিরের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের ছক পাওয়া যায়। এসব কাগজপত্রে বুয়েটের চার শিক্ষকের সঙ্গে জামাত-শিবিরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। তারা হলেন-মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মাহবুব রাজ্জাক ও মোঃ আলী এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. জাহাঙ্গীর আলম ও স্নিগ্ধা আফসানা। এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই ৪ শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
এদিকে ক্যাম্পাসে সমাজসেবা আড়ালে শিবিরের কর্মকা- ফাঁস হয়ে পড়ার পর গতকাল বুয়েট কর্তৃপক্ষ শিবির সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাব ‘সেবা’র কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি হারুন উর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, সকল আলামত নিয়ে তদন্ত হয়েছে। যাদের অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষকদের জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেবল শিক্ষার্থী নয় তদন্ত হচ্ছে শিক্ষকদের বিষয়েও। তাদের ফেসবুক নিয়ে কাজ চলছে। তদন্তে শিক্ষকদের যাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হবে তাদের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা অবশ্যই নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, শিবিরের সঙ্গে বুয়েটের ৫৯ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততার আলামত, তথ্য ও ফেসবুক ও ই-মেইলের তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। চকবাজার থানায় একজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তিনি জানান, যে ৫৯ জনের সঙ্গে শিবিরের সম্পৃক্ততার আলামত পাওয়া গেছে, পুলিশ তাদের তালিকা নিয়েছে।
এদিকে গতকাল বুয়েট ক্যাম্পাসে সকলের আলোচনার কেন্দ্রে ছিল শিবিরের কর্মকা- এবং অতি সম্প্রতি হয়ে যাওয়া আন্দোলন যে আসলে শিবিরের আন্দোলন ছিল তার তথ্য ফঁাঁস হয়ে পড়ার ঘটনাটি। আন্দোলনে অংশ নেয়া সাধারণ ছাত্র রবির বলেন, স্যাররা আমাদের বিভ্রান্ত করেছেন। অনেক শিক্ষক আন্দোলনে ছিলেন না, তখন আমরা তাদের সমালোচনা করেছি কিন্তু আজ টেলিভিশনে যা দেখছি তাতে মাথা হেঁট হয়ে আসে। পাশে বসা সহপাঠী রুখসানা বলেন, যেসব শিক্ষকের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
গতকাল বুয়েট ছাত্রলীগ বলেছে, আমরা চাই যে অপরাধী তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা সোচ্চার হোক। এবার শিবিরের আসল চেহারা নিজেরাই প্রকাশ করেছে।
উপাচার্য এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, যা প্রকাশ হয়েছে তা উদ্বেগজনক। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজধানীতে আটক শিবিরকর্মী বুয়েট ছাত্র শফিকুল ইসলামের কম্পিউটার, ফেসবুক, ই-মেইল ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে জামাত-শিবিরের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের ছক পাওয়া যায়। বুয়েটে চার শিক্ষকের সঙ্গে জামাত-শিবিরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি বুয়েটে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার সময় নিজেদের ‘সাধারণ শিক্ষক’ বলে দাবি করলেও শিবিরের সঙ্গে তিনজন শিক্ষকের সম্পৃক্ত থাকার খবর ফাঁস হয়েছে। শিবির ক্যাডারদের নাম, তাদের ছদ্মনাম, মেইল ও ফেসবুক আইডি এবং তার গোপন পাসওয়ার্ডসহ নানা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে শফিকুলের ডায়েরিতে। পাসওয়ার্ড ও ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করলে বুয়েটে জামাতপন্থী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ ও কর্মকা-ের আলাপচারিতা পাওয়া যায়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা শিক্ষক আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষকের ব্যানারে জামাতের শিক্ষকদের অংশগ্রহণের ছবিসহ প্রমাণও মিলেছে।
শফিকুলের মেইল ও ফেসবুকে শিবিরের পরামর্শ, নির্দেশনা ও আর্থিকভাবে সহায়তাকারী হিসেবে যারা আছেন তারা হলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মাহবুব রাজ্জাক, সিভিল বিভাগের শিক্ষক ড. জাহাঙ্গীর আলম, সিভিলের শিক্ষক স্নিগ্ধা আফসানা ও মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষক মোঃ আলী। শিবির ক্যাডারের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপচারিতায় জামাতি এই শিক্ষকরা শফিকুলকে বলেন, ‘শফিকুল, তোমরা কালকে যেসব বই বিতরণ করতে চাচ্ছো সেগুলোর নাম একটু জানিও। একটা বই প্রপোজ করতে চাই যার মোদ্দা কথা হচ্ছে ‘প্রত্যেক মুসলিমের যেসব বিষয় জানা একান্ত কর্তব্য।’ আর কোনো ফাইনান্সিয়াল সাপোর্ট লাগলে প্লিজ অবশ্যই আমাকে জানাবে। উদ্ধার করা ডায়েরিতে শিবিরকে শিক্ষকদের আর্থিক সহযোগিতারও প্রমাণ মিলেছে। এতে উল্লেখ রয়েছে, ‘জাহাঙ্গীর স্যার ১০০০। মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষক মোঃ আলী স্যার ৫০০ টাকা’ ইত্যাদি লেখা।
৫৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪৬
নাভদ বলেছেন: Tuesday, November 13, 2012
Jamaat, Shibir go berserk: Clash with police, burn vehicles; stab cop before attempting to set him afire
Star Report
Activists of Jamaat-e-Islami and Islami Chhatra Shibir fought pitched battles with cops, torched vehicles and damaged public property during a daylong hartal in Joypurhat yesterday.
Some Shibir men tried to gouge out a constable's eyes with sharp weapons and poured kerosene on him to set him on fire at Hichmi Bazar on the Joypurhat-Khetlal road around 5:30pm.
The injured policeman, Golam Mostafa, was admitted to Shaheed Ziaur Medical College and Hospital in Bogra, reports our Dinajpur correspondent.
Meanwhile, police rounded up 75 Jamaat-Shibir activists from across the country yesterday on charges of creating anarchy and attacking law enforcers. They also held five BNP and 13 Sramik Dal workers.
Jamaat and its student body Shibir enforced the strike in Joypurhat, protesting the death of a Shibir activist on November 10. The deceased, Badiuzzaman, 22, was bullet-hit during a clash with police in the capital on November 5. He hailed from Joypurhat.
Witnesses said constable Mostafa of Khetlal Police Station was riding a motorcycle on his way to Khetlal from a Joypurhat court.
He came under attack when he pulled over after a tyre of his bike had punctured at Hichmi Bazar.
Locals rescued him from the spot and rushed him to Joypurhat Adhunik Hospital, from where he was later shifted to Bogra for better treatment.
Law enforcers said pickets torched an auto-rickshaw in front of Joypurhat Govt Girls School around 10:30am and damaged a truck before Joypurhat Palli Bidyut office in Shahartoli area around 2:00pm.
At Panchbibi, police fired five rubber bullets during a clash with Shibir men.
Police detained nine Shibir activists from different places in Joypurhat.
Yesterday was the fourth day in the last seven days when Jamaat-Shibir men clashed with law enforcers across the country over the release of their top leaders, including the nine facing trial for crimes against humanity during the 1971 Liberation War.
In the capital, police detained 23 Shibir members. Of them, 14 are residents of Jatiya Sangsad Colony in Agargaon.
Officials of the Detective Branch of police said they recovered five Molotov cocktails, anti-government leaflets and jihadi books during raids in Agargaon and Tejgaon.
Sher-e-Bangla Nagar police said the 14 detainees were tenants of the houses allocated to Parliament Secretariat's administration officer Amirul Islam, assistant secretary Abul Kalam Azad and another government employee named Anwar Hossain.
Talking to The Daily Star, DB Deputy Commissioner Monirul Islam said the detainees had admitted their involvement in Saturday's violence in the capital.
He said police would investigate why the officials rented their quarters to the Shibir men. "If it is found that they [officials] share a similar ideology with the detainees, they would be brought to book."
In Munshiganj, police arrested district Jamaat Nayeb-e-Ameer Nurul Haque Matabbar, Baitul Mal secretary Akhter Hossain and activist Abdus Sobhan on charges of involvement in subversive activities. Akhter is also an official of Islami Bank, reports our correspondent, quoting police.
In Laxmipur, law enforcers picked up 10 Shibir activists from different parts of Sadar upazila. Police sued 200 Jamaat-Shibir men for creating violence.
The Rapid Action Battalion in Feni detained four Jamaat activists while they were distributing leaflets.
Police held two Jamaat men in Sunamganj and 11 in Chapainawabganj and seven Shibir men in Jhenidah.
Kurigram police captured five BNP and two Shibir activists.
Our Patuakhali correspondent adds: Law enforcers rounded up 13 Sramik Dal and two Shibir workers from a procession in the town.
Students of Patuakhali Science and Technology University handed over two other Shibir men to police.
A group of Jubo League activists torched upazila Jamaat office in Taras of Sirajganj.
In the capital, Bangladesh Awami Swechchhasebak League held a protest rally on Bangabandhu Avenue. Addressing the rally, Awami League Joint General Secretary Mahbubul Alam Hanif said the ruling party men along with the common people will resist Jamaat-Shibir's subversive activities.
৬০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০০
নাভদ বলেছেন: প্রআলো
হরতালে শিবিরের তাণ্ডব: পুলিশকে কুপিয়ে জখম, কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরানোর চেষ্টা
জয়পুরহাট প্রতিনিধি | তারিখ: ১৩-১১-২০১২
জয়পুরহাটে হরতাল চলাকালে গতকাল সোমবার পুলিশের একজন কনস্টেবলকে কুপিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। জনগণের বাধার মুখে তাঁরা আগুন ধরাতে পারেননি। বেলা দুইটার দিকে সদর উপজেলার হিচমী বাজারে জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহত কনস্টেবল গোলাম মোস্তফাকে (৪৮) প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গোলাম মোস্তফার হাত ও চোখের নিচের অংশ জখম হয়েছে। এর মধ্যে চোখের নিচের আঘাতটি গুরুতর। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্র বদিউজ্জামান নিহত হন। এর প্রতিবাদে ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল জয়পুরহাটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে শিবির।
পুলিশ সুপার হামিদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, হরতাল চলাকালে ক্ষেতলাল থানার কনস্টেবল গোলাম মোস্তফা গতকাল এক মামলায় সাক্ষ্য দিতে জয়পুরহাট আদালতে আসেন। সাক্ষ্য দিয়ে ক্ষেতলাল এলাকার একজনের মোটরসাইকেলে বসে ক্ষেতলাল থানায় যাচ্ছিলেন। পথে জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কে সদর উপজেলার হিচমী বাজারে মোটরসাইকেলটি নষ্ট হয়। চালক মোটরসাইকেল মেরামতের চেষ্টা করেন। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মোস্তফা। ওই সময় হরতালের সমর্থক আট-দশজন শিবিরকর্মী মোস্তফাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন এবং তাঁর শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে শিবিরের কর্মীরা আগুন দিতে পারেননি এবং সেখান থেকে সটকে পড়েন। পরে লোকজন মোস্তফাকে উদ্ধার করে জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়।
পুলিশের ওপর হামলার কারণ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, দুপুর ১২টার দিকে শিবিরকর্মীরা একটি ট্রাক ভাঙচুর করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে খোরশেদ (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা পালিয়ে যান। এই ক্ষোভেই শিবিরের কর্মীরা কনস্টেবল মোস্তফাকে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
জেলা আধুনিক হাসপাতালে গতকাল বিকেল চারটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, ১ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে শুয়েছিলেন কনস্টেবল মোস্তফা। পাশেই ছিল কেরোসিন মাখা পুলিশের শার্ট। চিকিৎসকেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বারণ করেন।
জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসলাম হোসেন প্রথম আলোকে জানান, হিচমী বাজারে পুলিশ এক যুবককে অকারণে আটক করলে ওই এলাকার লোকজন কনস্টেবল মোস্তফার ওপর হামলা চালায়। এর সঙ্গে শিবিরের কেউ জড়িত নন।
হরতালে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর: প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, হরতাল চলাকালে জয়পুরহাট শহরের প্রধান রাস্তা কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বর এলাকা থেকে আমতলী এলাকা পর্যন্ত অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। জয়পুরহাট থেকে আন্তজেলা ও ঢাকাগামী কোনো বাস চলেনি। শহরে ছিল বিপুলসংখ্যক র্যাব ও পুলিশ। এরই মধ্যে সকাল নয়টার দিকে শহরের রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে একটি অটোরিকশা পুড়িয়ে দেন শিবিরের কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কে পল্লী বিদ্যুৎ ও হিচমী এলাকায় একটি ট্রাক ও দুটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় শহর থেকে শিবিরের আট কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
৬১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৬
নাভদ বলেছেন: শিবিরের হামলার মুখে আইনমন্ত্রীর গাড়িবহরও
Tue, Nov 13th, 2012 8:19 pm BdST
ঢাকা, নভেম্বর ১৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পুলিশের পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবিরের হামলার মুখে পড়েছিলেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদও।
মঙ্গলবার বিকালের এই হামলায় আইনমন্ত্রী অক্ষত থাকলেও তার বহরের দুটি গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন মন্ত্রীর পাহারায় থাকা তিন পুলিশ সদস্য।
পুলিশ জানায়, বিকাল পৌনে ৫টার দিকে শিবিরের একটি মিছিল থেকে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে এক পুলিশ সার্জেন্টকে মারধর করে তার মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। ভাংচুর করা হয় কয়েকটি গাড়ি।
এরপর কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে মিছিলকারীরা পান্থপথের দিকে সটকে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভাংচুরের সময় সার্ক ফোয়ারার মোড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে যানজটে আটকা পড়ে আইনমন্ত্রীর গাড়িবহর। তখন শিবিরকর্মীরা মন্ত্রীর বহর লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে।
মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আকসির চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হামলায় মন্ত্রীর গাড়ি অক্ষত থাকলেও দুটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত একটি মন্ত্রীর পাহারায় থাকা পুলিশের গাড়ি এবং অন্যটি এপিএসকে বহনকারী গাড়ি। তবে মন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি নিজেও বেঁচে যান বলে জানান আকসির।
ঘটনার পর রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের বাসায় যান। তিনি ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারওয়ান বাজারে তেজগাঁও মহিলা কলেজের গলি থেকে শিবিরের একটি মিছিল বের হয়, মিছিলকারীরা গাড়ি চলাচলে বাধা দিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে।
“পুলিশের ধাওয়ার মুখে মিছিলকারীরা সার্ক ফোয়ারার সামনে এক সার্জেন্টের গাড়িতে আগুন এবং কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে।”
পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব জানান, হামলায় পাঁচ থেকে ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর পুলিশ সদস্যরা তৎপর হয়, পান্থপথ সংলগ্ন বিভিন্ন গলিতে অভিযানও শুরু করে।
তাৎক্ষণিকভাবে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত উপকমিশনার বিপ্লব জানান।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবিতে গত ৫ নভেম্বর মতিঝিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত চলছে।
সোমবার জয়পুরহাট শহরের অদূরে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা এক পুলিশ সদস্যের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে পুলিশের ওপর চড়াও হচ্ছে জামায়াতকর্মীরা।
অন্যদিকে জামায়াতের অভিযোগ, পুলিশ তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এলএইচ/এমআই/২০১১ ঘ.
৬২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৫৯
নাভদ বলেছেন: Wednesday, November 14, 2012
Shibir strikes terror in capital: Beat up cop brutally; try to slit Jubo League leader's throat; attack law minister's escort car; vandalise vehicles
Jamaat and Shibir men attack a policeman at Sonargaon intersection in the capital yesterday afternoon during their rampage in the area. Inset, the policemen who was riding the motorbike is seen bleeding from the head while the bike is burning in the background.Photo: STARStar Report
It was a planned attack by the Jamaat-Shibir men. They snatched the rifle from a policeman and beat him up with the rifle butt and sticks, assaulted other members of law enforcement agencies, attempted to hack a Jubo League leader and attacked law minister's private secretary's car -- all on the capital's main thoroughfares yesterday.
And that is not all. The Islamist party men torched and vandalised dozens of vehicles.
These were only a few snap shots of the guerilla-style attack from a procession of the Islami Chhatra Shibir, a pro-Jamaat-e-Islami student wing, that hundreds of people witnessed, many of them helplessly, in Farmgate and Karwan Bazar areas in the afternoon.
It was not the first time that the Jamaat-Shibir men went on the rampage and wounded police personnel in running battles, though. They have done so almost every day since November 5 in different districts across the country.
On November 4, the Jamaat announced a nine-day agitation programmes beginning from November 5 demanding the immediate release of their top leaders, including those facing war crimes trial.
They ended their protest programme yesterday through a targeted attack on the law enforcers in a way never seen before.
Noticeably, police role during these attacks throughout the week also seemed very unusual. They either tried to escape such attacks or were just silent observers, witnesses said.
They added a very few policemen went on a counter attack, mainly in self-defence.
In the past, police role during political violence was one of attacking.
THE RAMPAGE
It was about 4:15pm. Hundreds of vehicles were stranded on both sides of Farmgate-Karwan Bazar road in a heavy traffic. All of a sudden, around 50 Shibir men started vandalising vehicles --double-deckers, private cars, motorbikes -- on whatever their eyes fell.
They also vandalised news vans of ATN News and set fire to two police motorbikes at Karwan Bazar, police said.
The Jamaat-Shibir men also beat up the common people, injuring at least 30 people witnesses said, adding at least 30 vehicles were damaged by the attackers.
Businesses on both sides of the road were shut during this mayhem to avoid vandalism, with people running for their lives.
As this group continued their rampage in Karwan Bazar, another group coming out of a lane opposite The Daily Star building, was trying to hack a Lokman Hossain, general secretary of ward-25 Jubo League. When about 20 policemen approached to Lokman's rescue, the Jamaat-Shibir men swooped on the law enforcers, snatching a rifle from one of them and beating him up with the rifle, police said.
Traffic sergeants Abdul Aziz, Abdur Razzak, Md Helal, Shahidul Islam Shahid and Md Shaheen are among those injured in the attack. They were taking treatment at Dhaka Medical College Hospital and Rajarbagh Police Lines Hospital.
Lokman was admitted to a private hospital at Farmgate.
Police arrested more than 25 Shibir men for vandalism and attacking the law enforcers.
Besides, a mob beat up two Shibir men -- Borhan Uddin and Ismail Hossain -- at the Farmgate.
The Shibir men attacked the motorcade of the law minister, injuring three policemen who were guarding the minister. One of the policemen received serious injuries and was taken to hospital for treatment, Mahbub Shafique, son of the law minister, told The Daily Star.
Mahbub said he was the car in which Akshir M Chowdhury, assistant personal secretary to the minister, was travelling. This car was attacked and damaged by the Jamaat-Shibir men.
The attack was made at Kawran Bazar, when the minister was returning to his Indira Road residence around 4:30pm.;
The minister, however, escaped unhurt.
৬৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৫
নাভদ বলেছেন: Wednesday, November 14, 2012
30 cops hurt in attacks:
Jamaat-Shibir men attack a police officer in front of a tyre store, top, on Kazi Nazrul Islam Avenue and vandalise a police van, bottom left, a BRTC bus, bottom centre, and a police vehicle, bottom right, protecting the law minister's car. The Jamaat-Shibir men also hurled brickbats at police, top right, and beat up an allegedly pro-ruling party man on the busy thoroughfare of the capital. Photo: Amran Hossain/Rashed Shuman/Sajjadur RahmanStaff Correspondent
Jamaat-e-Islami and its student wing Islami Chhatra Shibir once again swooped on law enforcers yesterday, the last day of Jamaat's nine-day programme, leaving about 20 policemen injured in Dhaka, Khulna and Cox's Bazar.
They launched sudden attacks on police and vandalised around 30 vehicles in the capital's Farmgate and Karwanbazar. Jamaat-Shibir men also torched the motorbike of a traffic police sergeant and attacked roadside business establishments in the areas.
At least 30 people, including 15 policemen, were wounded in the attacks.
Police arrested 16 Jamaat-Shibir men in Dhaka and 87 others in Khulna, Joypurhat, Bagerhat, Chapainawabganj and Cox's Bazar.
Khulna City Jamaat called a dawn-to-dusk hartal for today protesting the arrest of Golam Parwar, former lawmaker and Jamaat assistant secretary general, on Sunday night in connection with violence and attacks on police.
Panic gripped Farmgate and Karwanbazar areas when several hundred Jamaat-Shibir men suddenly launched attacks on law enforcers at around 4:30pm.
Witnesses said the attackers beat up law enforcers with sticks and hurled brickbats and stones at policemen, vehicles and roadside establishments.
Police picked up 16 Jamaat-Shibir men from the spot.
In the meantime, Khulna City Jamaat demanded immediate release of Parwar and all detained activists of Jamaat and Shibir.
Earlier, Jamaat-Shibir men clashed with police on Shamsur Rahman road in the city. Four people, including two policemen, were injured in the incident.
Police detained three Shibir activists from the spot.
The clash ensued when police intercepted a procession brought out by Jamaat-Shibir men at about 1:00pm in protest of Parwar's arrest, said witnesses and police.
When Jamaat-Shibir men pelted police with brickbats, the police fired teargas canisters to bring the situation under control, said OC Shahbuddin Azad of Khulna Sadar Police Station.
Law enforcers arrested at least 65 Jamaat-Shibir activists in Dinajpur following attacks on policemen on Monday afternoon.
Jamaat-Shibir men enforced a daylong hartal in Joypurhat protesting the death of a Shibir activist. Several vehicles were set ablaze during the hartal.
In Cox's Bazar, Shibir men launched attacks on police when law enforcers intercepted their procession at around 3:00pm.
Two policemen were injured. Law enforcers arrested four Shibir men in this connection.
Rab arrested two Jamaat-Shibir cadres from Islami Bank Institute of Technology in Bogra at about 11:50am for attacking police and vandalising a police van on November 5 in the town.
In Chapainawabganj, police arrested three Jamaat-Shibir men on Monday night on charge of creating chaos.
Six Jamaat-Shibir men were arrested in Bagerhat for bringing out a procession in the town defying police orders.
৬৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:০৮
নাভদ বলেছেন: Wednesday, November 14, 2012
Armed yet in danger: Rashidul Hasan
Hit with brick chips in the head, face and eyes and knocked down to the ground, he made a last-ditch effort to strike back. But bad luck; the pistol misfired.
“Shibir men attacked me all of a sudden [around 4:30pm yesterday]… tried to snatch my pistol… I tried to fire shots but my pistol didn't work,” Abdur Razzaq, sub-inspector of Tejgaon Police Station, told this correspondent.
“Otherwise, I could have gunned down at least one or two of the Shibir men. Capturing at least one attacker from the spot [near The Daily Star Centre] could have helped us identify others.”
He was coming out of Al-Razi Hospital at Farmgate with a bleeding nose around 5:00pm.
Four locals, who helped him keep standing, said his treatment was not possible in this hospital as the injuries were grave.
Razzaq was looking for his fellow officers but did not find any as they were busy with tackling the Shibir attack aftermath. He made several phone calls.
During this conversation, he shot into the air from his pistol and said “The pistol seems OK now.”
Like Razzaq, Constable Helal, who suffered injuries to the hands, was waiting for treatment. “Such hit-and-run attacks are new in the city; we don't have proper equipment to save us in such a situation,” he said.
Around 5:45pm, Jibon, cameraperson of Prime Minister Sheikh Hasina, was seen taking Razzaq and Helal to Samorita Hospital at city's Panthapath on a CNG-run auto-rickshaw.
৬৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:১০
নাভদ বলেছেন: Wednesday, November 14, 2012
Witness Account: An eerie evening
Jamaat-e-Islami and Islami Chhatra Shibir men attack an alleged pro-ruling party man for protesting the rampage they carried out between Farmgate and Sonargaon intersection in the capital yesterday. The photo was taken from Kazi Nazrul Islam Avenue.Photo: Amran HossainSyed Badrul Ahsan
The commotion outside, on the streets, was unmistakable. On the pavement across from the offices of this newspaper, hundreds of young men were suddenly seen to be running toward the Sonargaon crossroads. It was clear that they were coming down in droves from the high street on Farmgate or its vicinity. Just how they emerged in such force and with such seeming determination was a mystery.
It was yesterday. The time was close to 5:00pm and approaching the twilight hour. A greyness had settled over the day. Stillness was supposed to be in the air. But the shouts and the screams drew everyone, in this office and in offices and homes on both sides of Kazi Nazrul Islam Avenue, to the windows and the roofs. These were young Jamaat-e-Islami and Shibir activists and their supporters. Suddenly, as you watched, you seemed to be living through a nightmare. It couldn't be happening before your very eyes. Yes, over the past four days in seven, Jamaat and Shibir workers had gone on the rampage in other places, other towns of the country. But in Dhaka, the capital?
Yes, it was a nightmare. And it was happening right before you. Panicky vehicle drivers slowed down or screeched to a halt, in the natural fear that if they didn't, their vehicles would be dashed into pieces or go up in flames. Shop owners briskly pulled down their shutters. As the young men marched or ran, you knew they were in little mood to be pacified. There were, initially, no policemen in sight. And then a few of them appeared, batons and rifles drawn, hoping to intimidate the mob into retreating.
The mob was not afraid. One policeman who hit out at a young activist was kicked from behind by another. As he turned to see who was behind him, another activist tried snatching his rifle from his hands. The rifle fell from his hands. As he picked it up, almost keeling over as he did so, a push from another violent young man sent him reeling on the pavement. His attempt to pick himself up was nearly thwarted by a stone thrown at his head. You could feel, from your safe distance, that blood had begun to ooze from that wounded forehead. The policeman looked for refuge. Some people quickly pushed him into a shop.
As if the assault on this policeman were not enough, two others came under attack as well. They could not be seen clearly, for they were at quite a remove from the vantage point where one could spot them. But that they were under attack was clear. The Jamaat-Shibir activists moved on, driven by a bizarre sort of bravado. They kept coming, but one didn't know from where. The vehicles remained stranded on the road. One kept hoping that police reinforcements would arrive soon, for unless they did, there would be more violence. That mob was baying for blood.
And then a platoon of policemen appeared, with more following them in jeeps. They got down right where their colleague had taken the bruising and beating, sent him and the other injured policemen off to hospital in whatever vehicles were on hand, got together in separate lines and slowly moved forward in riot-preparedness formation. They soon went out of sight. And then they marched back, sending what probably were the remnants of the mob running for cover.
It was an unreal day. Reports soon came in of a young Jubo League activist pushed down to the ground, within the Farmgate area, and readied for a slitting of his throat. He escaped with his life, but not before he had been grievously wounded on the head and arms. When last reports came in, he was fighting for life in a hospital.
As evening descended and an eerie calm returned to the streets, one could not help recalling the viciousness with which an earlier generation of fanatically driven young men had pounced upon a nation struggling to be free of colonial rule. The thought was saddening. In the imagination, you wondered if such violence could be handled purposefully, if democracy could put such dark elements to flight -- for all time.
৬৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৫
নাভদ বলেছেন: ডেইলী ষ্টার (১৪/১১/১২)
৬৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৬
নাভদ বলেছেন:
৬৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫৯
নাভদ বলেছেন:
৬৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৪
নাভদ বলেছেন: daily star-14/11/12, pg 20
৭০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৪
নাভদ বলেছেন: পআ ১৫/১১/১২
৭১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৮
নাভদ বলেছেন: পআ ১৫/১১/১২ (উপসম্পাদকীয়)
৭২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০৬
নাভদ বলেছেন: ভোকা ১৫/১১/১২
৭৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১৪
নাভদ বলেছেন: সংবাদ (১৫/১১/১২)
সিলেটে জামায়াত-শিবিরের আস্তানায় অভিযান
বোমা তৈরির সরঞ্জাম গান পাউডার অস্ত্র উদ্ধার, ৫ মামলা : এক সপ্তাহে গ্রেফতার ১৪৭
মো. নাসির উদ্দিন, সিলেট
জামায়াত-শিবিরের আস্তানার সন্ধানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের ওপর মারমুখী হয়ে উঠা জামায়াত-শিবিরের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে সক্রিয়ভাবে অ্যাকশনে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই ধারবাহিকতায় গতকাল সিলেট নগরী ও দক্ষিণ সুরমায় শিবির নিয়ন্ত্রিত মেস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও জেহাদি বই। গতকাল ভোররাতে অভিযানকালে বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, গান পাউডার, ৫ রাউন্ড গুলি, বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র ও সহস্রাধিক জেহাদি বইসহ চার শিবিরকর্মীকে গ্রেফতার করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদির মধ্যে ১টি ল্যাপটপ কম্পিউটার ও স্কানার মেশিনও রয়েছে। অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলো_ সিলেট পলিটেকনিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখার শিবির ক্যাডার তারেক আহমদ (২০), মুকাদ্দিম আল মুনিম (১৮)। তাদের দেয়া তথ্য মতে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় নগরীর দরগা মহল্লায় শিবির নিয়ন্ত্রিত মেসের চৌকিদার টুনু মিয়া (৪৫) ও জামায়াত কর্মী আজিজুল খালেককে (২৮) গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে গতকাল দুপুর ১টায় সদর দফতরে প্রেস ব্রিফিং করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রেস ব্রিফিংয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল্লাহ আল আজাদ চৌধুরী জানান, গত এক সপ্তাহের অভিযানে সিলেটে জামায়াত-শিবিরের ১৪৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিপরীতে দায়ের করা হয়েছে ৫টি মামলা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বুধবার ভোররাতে গ্রেফতার হওয়া চারজনের সঙ্গে জেহাদি বই ছাড়াও গান পাউডার, মোবাইলের সঙ্গে তার সংযুক্ত ডিভাইস, রামদা, জিআই পাইপ, কম্পিউটার, স্কেনার মেশিন ছাড়াও বেশকিছু জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার বেশিরভাগ জেহাদি বই সায়েইদ আবুল আলা মওদুদীর লেখা। এ ছাড়া শিবিরের মাসিকপত্র 'ছাত্র সংবাদ' 'কিশোরকণ্ঠ'সহ উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণীর বইও রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, সিলেটে জামায়াত-শিবির মরিয়া হয়ে উঠেছে। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তারা মরণকামড় দিয়েছে। পুলিশকে নিরুৎসাহিত করতে কৌশল অবলম্বন করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ জন্য জামায়াত-শিবিরের একটি বাহিনীও নামানো হয়েছে মাঠে। এ বাহিনীটির ব্যাপারে ব্যাপক খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, জামায়াত-শিবিরের সব অপকৌশল এবং প্রচারণা শক্ত হাতে দমনে পুলিশ প্রস্তুত। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ আল আজাদ চৌধুরী বলেন, এ পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে কোন মামলা হয়নি। কারণ তারা জ্বালাও পোড়াও করেনি। শুধু ভাঙচুর করেছে। যে কারণে এসল্ট মামলাই হয়েছে। তবে এজাহার নামীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীরাই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারাই তো পত্রিকায় লিখেন_ 'আসামিরা সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার শেল্টারে থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না'।
সিলেট এসএমপি সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিলেটে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৭টি মামলার সবক'টিই পুলিশ এসল্ট মামলা। এ সরকারের সময়ে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি হয় ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে পুলিশ এসল্ট মামলা হয়ে আসছে। সর্বশেষ মামলাটি হয়েছে ১২ নভেম্বর বিমানবন্দর থানায়। এ পর্যন্তু দায়েরকৃত ৪৭টি পুলিশ এসল্ট মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৩ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটে জামায়াত-শিবিরের উত্থান শুরু হয় ১৯৯০ দশকের পর। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জামায়াত-শিবির সিলেটে শক্তিশালী ভিত গড়ে তোলে। সিলেট নগরী ও আশপাশ এলাকায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি ছড়িয়ে দিতে ডোর টু ডোর সদস্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া করে দেয়া হয়। প্রতিটি স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করে গ্রামে-গঞ্জে শক্তিশালী অবস্থান নেয়। রাজনীতির পাশাপাশি জামায়াত নেতারা সিলেট নগরীতে অসংখ্য ব্যবসা ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। শুধু তাই নয়_ সিলেট নগরীর বৃহৎ ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠান অনেকগুলোই এখন জামায়াত নিয়ন্ত্রিত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের ব্যবসা অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ডভিত্তিক হয়ে যায়। অনেকটা গোপন অবস্থানে থাকা জামায়াত-শিবির ১৮ দলীয় জোটের ব্যানারে ১২ নভেম্বর প্রত্যক্ষ মিছিল বের করে।
৭৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:২৩
নাভদ বলেছেন:
Jamaat mayhem again in Dec?
2012-11-15
Jamaat-e-Islami and Islami Chhatra Shibir men attack policemen at several places in the country this month injuring at least 200 law enforcers. Even though police were the apparent target, 300 civilians were also injured. The attacks were carried out at a time when trials of a few Jamaat leaders accused of crimes against humanity were at the final stages. Photo: Star/focus Bangla
৭৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:২৯
নাভদ বলেছেন: Star Report
Jamaat-e-Islami and Islami Chhatra Shibir are likely to intensify violent activities across the country in December as they think the international crimes tribunals would deliver verdicts against a few Jamaat leaders then, sources said.
According to sources, including intelligence agency personnel, Jamaat-Shibir men would disengage from their violent activities seen in the last couple of weeks and reengage more fiercely in December to hinder the war crimes trials.
Meanwhile, the authorities concerned have seized a huge amount of funds from different middle-eastern countries, which, the intelligence agencies believe was brought in to pay for the hindrance of the war crimes trials through destabilising law and order.
One source even claimed that the amount was around Tk 100 crore.
The intelligence agencies have been gathering information about Jamaat and pro-Jamaat student body Shibir's next course of action. They were interrogating the arrested Jamaat-Shibir leaders and workers, sources said.
Sources in the intelligence and other law enforcement agencies said detained Jamaat-Shibir men told them that they had been attacking police and resorting to violence following instructions from their high-ups.
The intelligence agencies were trying to identify those “high-ups”, added the sources.
However, the government thinks that opposition parties, including the main opposition BNP, have been backing the Jamaat-Shibir violence. Home Minister Muhiuddin Khan Alamgir yesterday claimed that they had proof in this regard.
Meanwhile, ruling Awami League and all of its associated bodies and like-minded organisations are planning countrywide elaborate programmes to counter the Jamaat-Shibir activities and press home their demand for quick trials of war-crime suspects.
Ruling party insiders said they would take to the streets and stay there until the trials were over.
“We think that Jamaat-Shibir will try to put their last bite when the verdict of war crimes trial will be announced. So, we, along with all other pro-liberation organisations which are in favour of the war crimes trial will remain on the street to help the government and the administration under any circumstances,” Jubo League Chairman Omar Faroque Chowdhury told The Daily Star.
A dawn-to-dusk hartal was called by Jamaat in Khulna yesterday. The day was marred with ransacking of vehicles and clash with police.
During the hartal in Khulna, Jamaat-Shibir activists vandalised two buses, a truck, two auto rickshaws and fought pitched battles with police, reports our Khulna correspondent.
Police rounded up 26 Jamaat-Shibir activists in the city's Goalkhali area in connection with attack on law enforcers.
The hartal was called to protest the arrests of party Assistant Secretary General Golam Parwar and Jamaat-Shibir activists in Khulna.
The home minister yesterday said 2,000 people have so far been arrested across the country in connection with the recent attack on police and violence.
Police arrested eight activists of Jamaat-Shibir at Abhoynagar upazila of Jessore and four in Sylhet.
Sylhet police also recovered five bullets, five knives, a laptop and a scanner, and some Islami books, said police officials.
In Bagerhat, at least 12 people including eight minor students were injured as allegedly local workers of Bangladesh Chhatra League attacked a madrasa and ransacked it at Morelganj upazila yesterday morning, reports a correspondent.
In Cox's Bazaar, police pressed charges against 145 Jamaat-Shibir men for attacking them.
In Bogra, police arrested seven Shibir activists from different parts of the district.
A Noakhali court yesterday granted a two-day remand for 20 Jamaat-Shibir leaders and activists accused of attacking police on November 26 at Maizdi.
In Dinajpur, 64 Jamaat-Shibir men have been accused in a charge sheet filed before the speedy tribunal in connection with their involvement in attacking the law enforcers on November 5. At least 32 of them are on the run.
FAKHRUL REFUTES
BNP acting secretary general Mirza Fakhrul Islam Alamgir yesterday refuted government allegations that it was instigating Jamaat-e-Islami to carry out attacks on police.
The BNP spokesperson in a briefing termed the home minister's claim of having proof in this regard a blatant lie.
“Jamaat is a registered political party and it can observe any programme on political grounds and Jamaat is responsible for what it is doing and they will be accountable,” Fakhrul Islam said.
He was briefing newsmen after a meeting of BNP-led 18-party alliance late last night at alliance chief Khaleda Zia's Gulshan office.
Asked whether BNP supports Jamaat's violent activities, Fakhrul said BNP does not believe in any kind of violence and wants to avoid it.
He, however, said the government should allow Jamaat to carry out their democratic programmes to avoid further violence.
৭৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৩৫
নাভদ বলেছেন: Thursday, November 15, 2012
Front Page
Attack on Cops: Jamaat out with one purpos
Staff Correspondent
No fewer than 200 policemen were injured across the country in the last nine days of violent demonstrations by Jamaat-Shibir men. Interestingly, the law enforcers were apparently the target of “planned attacks” that also left at least 300 people injured.
A former police chief thinks the attacks on the law enforcers might have been carried out to demoralise them and disrupt law and order. Two eminent citizens, however, consider the attacks as a manifestation of fear in the Jamaat-e-Islami and its associated body Islami Chhatra Shibir, and their desperate bid to foil the ongoing war crimes trial.
"The reason behind targeting policemen [in the attacks] might have been to undermine their spirit," former inspector general of police ASM Shahjahan told The Daily Star.
He said the attacks were probably carried out to obstruct law and order and to push the war crimes trial off course.
"But whatever the reason might be, it is a must for the government to take necessary action against those who are involved," he added.
War crimes researcher Shahriar Kabir considers the attacks as Jamaat's desperation, saying that the party needs a few dead bodies so that it can claim “there is no democracy in the country”.
"This is why they are attacking police to force them to retaliate [on Jamaat-Shibir] with fire and injure at least one," he said, adding, "It's their old strategy."
He also labelled the attacks as “pre-planned” whereas the government considers them as stray incidents.
Shahriar, executive president of Ekatturer Ghatak Dalal Nirmul Committee, said the countrywide brutal activities of the Jamaat “prove its efforts to push the country towards a civil war”.
The more the war crimes trial is approaching its final stages, the more the Jamaat is becoming desperate to foil it, he observed, and added that once the trial was completed properly and the accused punished, it would not be able to continue politics. "It is their life and death problem.”
The government has no alternative but to ban the Jamaat as “it does not accept Bangladesh's constitution and its existence," he said.
Besides, Shahriar said, the politics of the Jamaat could also be banned by trying its leaders on charges of their involvement in genocide, murder, rape, and arson during the Liberation War of 1971.
Human rights activist Sultana Kamal thinks the Jamaat has gone violent as the trial is nearly at an end.
However, the attacks did not come to her as a surprise. A former advisor to a caretaker government, Sultana Kamal recalled the way the intellectuals of the country were killed at the fag end of the Liberation War. These new attacks, though not done in that large scale, were carried out to cause frustration among people.
She said the attacks were made also to baffle the war crimes trial or change its present course.
"Their [Jamaat-Shibir men] activity is not merely an anti-government one, rather it should be considered as a serious affair," Sultana said. “If they continue to carry on with such activities, they will take Bangladesh to a place where there will be no secularism, non-communalism, human rights and women's rights.”
Sultana, who is executive director of the rights body Ain o Salish Kendra, asked secular and progressive people to raise their voices in a bid to show their resistance against such activities. “It is not the time when the good people should keep silent.”
She also suggested that the government take the people on its side. "There are many allies of the government in citizens' groups. And so the government should make its effort to resist the Jamaat-Shibir with the people's support.”
৭৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৩
নাভদ বলেছেন:
15 Nov 2012 12:42:41 PM Thursday BdST
রাবিতে শিবিরের উত্থানে খুনের পর খুন
ইমরান আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রাজশাহী থেকে: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের উত্থানের কারণে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে। এদের হাত থেকে রেহাই পাননি শিক্ষকরাও। এ পর্যন্ত শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবিরকর্মীসহ অন্তত ২৫ জন ছাত্রের নির্মম মৃত্যু হয়েছে। তারপরও থেমে থাকেনি শিবিরের সন্ত্রাস।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আস্কারা থেকে শুরু করে পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় একক আধিপত্য বিস্তার করেছে এই উগ্রবাদী সংগঠনটি। বিশেষ করে, ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এরা সবচেয়ে বেশি আধিপত্য বিস্তার করে। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ এর আশপাশের এলাকায় নিরাপদ ঘাঁটি গড়ে তোলে এরা।
শিবিরের উত্থান ও খুন
১৯৮২ সালের ১১ মার্চ শিবির ক্যাম্পাসে প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি ঘোষণা করে। ক্যাম্পাসের বাবলা চত্বরে আয়োজন করে নবীন বরণ অনুষ্ঠান। শিবিরের ওই কর্মসূচিতে সে সময় একযোগে বাধা দেয় তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নসহ সব ছাত্র সংগঠন। শিবিরের সঙ্গে ওই দিন সংঘর্ষে ছাত্রলীগের নেতা মীর মোশতাক এলাহীসহ চার শিবিরকর্মী শাব্বির আহমেদ, আইয়ুব আলী, আবদুল হামিদ ও আবদুল জব্বার মারা যান।
জানা যায়, সেই সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি শুরু করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে শিবির। তবে সব ছাত্র সংগঠন মিলে শিবিরকে বারবারই প্রতিরোধ করেছে। এর ফলে ১৯৮৮ সালের ১৭ নভেম্বর ছাত্রমৈত্রীর নেতৃত্বে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান আসলাম হোসেন। পরদিন ১৮ নভেম্বর সংঘর্ষে মারা যান আজগর আলী। পরের বছর ১৯৮৯ সালের ১৮ এপ্রিল সংঘর্ষে মারা যান শফিকুল ইসলাম। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষে ১৯৯০ সালের ২২ জুন খলিলুর রহমান, ১৯৯২ সালের ৭ মে আজিবর রহমান, ১৯৯৩ সালের ১৭ জানুয়ারি মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, ৬ ফেব্রুয়ারি মুস্তাফিজুর রহমান ও রবিউল ইসলাম, ১৯৯৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মুস্তাফিজুর রহমান ও ইসমাইল হোসেন মারা যান।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ১৯৯২ সালের ১৭ মার্চ শিবির ক্যাডারদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জাসদ ছাত্রলীগের তৎকালীন কর্মী ইয়াসির আরাফাত ওরফে পিটু। ১৯৯৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের সামনে শিবির ক্যাডারদের হাতে খুন হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রমৈত্রী নেতা জুবায়ের হোসেন ওরফে রিমু। রিমুকে শিবির ক্যাডারেরা ঘুম থেকে ডেকে তুলে হত্যা করে। এছাড়া ১৯৯৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি খুন হন ছাত্রমৈত্রীর আরেক নেতা দেবাশীষ ভট্টাচার্য ওরফে রূপম।
সোহরাওয়ার্দী হল দখলকে কেন্দ্র করে ১৯৯৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শিবিরের হামলায় নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলকর্মী বিশ্বজিৎ ও নতুন। একই দিন শিবিরের হামলায় গুরুতর আহত ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী তপন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ১৯৯৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে শিবির ক্যাডাররা কুপিয়ে হত্যা করে জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমানকে। ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের হামলায় নিহত হন শিবিরকর্মী সাইফুদ্দিন।
এছাড়া বর্তমান সরকারের সময়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে খুন হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান নোমানী। এর প্রতিশোধ হিসেবে শিবির ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ম্যানহোলে ফেলে রাখে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক অস্থিরতায় সংঘটিত এসব হত্যাকাণ্ডের বেশিরভাগেরই আজ পর্যন্ত বিচার হয়নি। এর আগে শিবিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলার অনেকগুলোরই বিগত বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারে আমলে বিচার ছাড়াই নিষ্পত্তি ঘটে বলে জানা যায়। আর অনেক মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে।
এদিকে শিবিরের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন প্রবীণ ও প্রগতিশীল অধ্যাপক। উভয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী। অন্যদিকে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সালেকীনের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হত্যা চেষ্টাসহ হত্যার হুমকি দেয় শিবির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এম শাহ নওয়াজ আলী বলেন, “হত্যার বিচার না হলে পরবর্তী সময়ে হত্যাকারীরা আরো উৎসাহী হয়। তাই বিচার হওয়া জরুরি। আর রাজনীতি শুভ কাজের জন্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কারণে অনেককে জীবন দিতে হয়েছে।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ নূরুল্লাহ্ বলেন, “হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জড়িতদের সর্বোচ্চ যা করতে পারে তা হচ্ছে বহিষ্কার। আর হত্যার বিচার করতে পারে আদালত। সেক্ষেত্রে মামলা,পুলিশের তদন্ত, সাক্ষ্য-প্রমাণ সব লাগে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব না হওয়ার কারণেই হয়তো বিচার হয় না। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব বেশি করণীয় থাকে না। তবে আমরা কোনো হত্যাকাণ্ড চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার একটি প্রতিষ্ঠানে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১২
আইএ/এআর/সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম, নিউজরুম এডিটর/আরআর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর
৭৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৪
নাভদ বলেছেন: বাংলাদেশে ‘সাম্প্রতিক সহিংসতায়’ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
Thu, Nov 15th, 2012 12:07 pm BdST
ঢাকা, নভেম্বর ১৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির কর্মীদের হামলা, সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই সহিংসতার ফলে যারা আহত ও ব্যক্তিগতভাবে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাদের প্রতি রয়েছে আমাদের সহমর্মিতা।”
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবিতে গত ৫ নভেম্বর মতিঝিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত চলছে।
সোমবার জয়পুরহাট শহরের অদূরে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা এক পুলিশ সদস্যের গায়ে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের গাড়িবহরও ইসলামী ছাত্রশিবিরের হামলার মুখে পড়ে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে পুলিশের ওপর চড়াও হচ্ছে জামায়াতকর্মীরা। অন্যদিকে জামায়াতের অভিযোগ, পুলিশ তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে জড়িত হওয়া একটি মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার; সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। আমরা বিশ্বাস করি, সংলাপই যে কোনো মতপার্থক্য দূর করার উত্তম পন্থা।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বুধবার এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ‘অন্য দলেরও’ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় যে ‘ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় দমন করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
সারা দেশে পুলিশের ওপর হামলা-তাণ্ডব চললেও পুলিশ কঠোর অবস্থানে যায়নি কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে তারা চোরাগোপ্তা হামলা করছে। পুলিশ আক্রান্ত হলেও কোথাও গুলির ঘটনা ঘটেনি। সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়েছে।”
“আইনের আওতায় সর্বশক্তি দিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে। সকল অপরাধীদের বিচার করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না”, বলেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/জেকে/১২০৩ ঘ.
৭৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০১
নাভদ বলেছেন: জামায়াত নেতার বাসায় ‘জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’
Thu, Nov 15th, 2012 4:52 pm BdST
কুষ্টিয়া, নভেম্বর ১৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কুষ্টিয়া শহরে জামায়াতের এক নেতার বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণরত নয় শিবিরকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
জামায়াত নেতা সাদ আহমেদের শহরের সাদ্দাম বাজার এলাকার বাড়ি থেকে এ অভিযানে বিপুল সংখ্যক জিহাদি বই, লিফলেট ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সাদ আহমেদের এ বাড়িতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদ আহমেদের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
“ওই সময় ওই বাসা থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণরত নয় শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়,” বলেন তিনি।
এরা হলেন আব্দুল কুদ্দুস (২২), সাজিদ হোসেন (২৩), সোহাগ (২১), রবিউল ইসলাম (২৫), আব্দুল আলীম (২২), আশিকুর রহমান (২৪), ইছাহক আলী (২৩), আশরাফুল ইসলাম (২৮) ও সাইফুল্লাহ (২৮)।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, সাদ আহমেদের বাসা থেকে অনেকগুলো জিহাদি বই, সিডি, লিফলেট, চাঁদা আদায়ের রশীদ ও বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সাদ আহমেদ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর কুষ্টিয়া শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বাধীনতার পর দেড় বছর জেল খেটে ১৯৭৩ সালে সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পান। কুষ্টিয়ায় রক্ষিত স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকার প্রথমেই তার নাম রয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/১৬২৯ ঘ.
৮০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৫৫
নাভদ বলেছেন: পআ ১৯/১১/১২
৮১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৫৭
নাভদ বলেছেন: আবার জামায়াত-শিবিরের হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম | তারিখ: ১৯-১১-২০১২
চার দিন বিরতি দিয়ে আবার পুলিশের ওপর হামলা করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রামের ষোলশহরে ও বিকেলে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে এই হামলা চালানো হয়।
হামলায় পুলিশের আটজন ও আনসারের একজন সদস্য আহত হন। কুমিল্লায় সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন।
পুলিশ সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে হামলার সময় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কর্তব্যরত আনসার সদস্যের ২০টি গুলি ও একটি বেতারযন্ত্র (ওয়াকিটকি) ছিনিয়ে নেন। তাঁরা ১০টি গাড়িও ভাঙচুর করেন।
প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে ৫ নভেম্বর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জামায়াত। ওই দিন দলটি ঢাকাসহ ১০ জেলায় মিছিল নিয়ে বের হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে পুলিশের ২২ জন সদস্যসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এরপর কয়েক দিন দলটি বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল মোড়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
চট্টগ্রামে রণক্ষেত্র: পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেট থেকে গতকাল সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিল বের করেন। তাঁদের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা ও ইটের টুকরা। মিছিল থেকে হঠাৎ পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে হামলা চালানো হয়। হামলায় ভ্যানে থাকা বায়েজিদ থানার আটজন পুলিশ ও আনসার সদস্য আহত হন। হামলায় আহত আনসার সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা হঠাৎ মিছিল নিয়ে এসে আক্রমণ করেন। তাঁরা তাঁর কাছ থেকে ২০টি গুলি ও বেতারযন্ত্র নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, এরপর জামায়াত-শিবির মিছিল নিয়ে প্রবর্তক মোড়ে গেলে পুলিশ তিন দিক থেকে ঘেরাও করে ফেলে। এ সময় পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। শিবিরের কর্মীরা সেখানে ১০টি গাড়ি ও কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেন। এ সময় অটোরিকশাচালক রুহুল আমিনসহ কয়েকজন আহত হন। একপর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস, চকবাজার ও চট্টগ্রাম কলেজের দিকে চলে যান।
পরে পুলিশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসসহ আশপাশ থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মী সন্দেহে ৪১ জনকে আটক করে। তাঁদের মধ্যে ৩০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় দ্রুত বিচার আইন ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (সদর) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, হামলাটি ছিল আকস্মিক। পুলিশ সাধ্যমতো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
ঢাকায় হামলা: প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে জামায়াত-শিবিরের প্রায় দেড় শ নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কাজলা প্রধান সড়কে উঠে পড়েন এবং কর্তব্যরত পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশের নায়েক সাইদুর রহমান আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করে।
তবে ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ শুরুর প্রাক্কালে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালালে জামায়াত-শিবির প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পুলিশের হামলায় তাদের ৩৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন।
তবে, যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়লেও গুলি করেনি।
প্রায় একই সময়ে মিরপুর ১০ নম্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত।
পুলিশ সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির আবারও পুলিশের ওপর হামলা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে—এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বিভিন্ন স্থানে হাজার খানেক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
কুমিল্লায় সংঘর্ষ: নগরের রেসকোর্স এলাকায় জামায়াত-শিবিরের মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশের উপপরিদর্শকসহ পাঁচজন আহত হন। পুলিশ জামায়াত-শিবিরের কর্মী সন্দেহে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গাজীপুরে মিছিল: র্যা ব-পুলিশ গতকাল দিনভর জামায়াতের জেলা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত।
৮২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৯
নাভদ বলেছেন: প্রআ: রগ কাটা অবস্থায় ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মী উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১৯-১১-২০১২
সিলেট সরকারি কলেজসংলগ্ন এলাকার একটি মেসবাড়ি থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যায় হাত ও পায়ের রগ কাটা অবস্থায় ছাত্রলীগের দুজন নেতা-কর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, অসীম কান্তি কর (২৪) ও রাজু আহমেদ (১৮)। অসীম সিলেট সরকারি কলেজের বিএসএস (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও জেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং রাজু সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের কর্মীরা এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
আহত অসীম ও রাজুর বরাত দিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, আজ সন্ধ্যায় সরকারি কলেজসংলগ্ন বালুচর ফোকাস আবাসিক এলাকার একটি মেসে ৮-১০ জন শিবিরকর্মী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঢোকেন। সেখানে তাঁরা ছাত্রলীগের নেতা অসীম কান্তি ও রাজু আহমদকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন। খবর পেয়ে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দেবাংশু দাসসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা সেখানে গিয়ে তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এরপর শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে পুলিশের একটি দলও সেখানে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁদের উদ্ধার করে রাত আটটায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের উপপরিচালক ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘হাত ও পায়ের রগ কাটায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাঁদের রাত নয়টার দিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে।’
হাসপাতালে অবস্থানকালে শাহপরান থানার ওসি লিয়াকত আলী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, পুলিশের একটি দল হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বালুচর এলাকাবাসীও হামলাকারীরা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী বলে পুলিশকে জানিয়েছে বলে ওসি জানান।
ছাত্রলীগের নেতা দেবাংশু দাস বলেন, উদ্ধারকালে অসীম ও রাজু তাঁদের ওপর এমসি কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি এনামুল মনোয়ারের নেতৃত্বে হামলা হয় বলে জানান। অস্ত্রধারী কয়েকজনের মাথায় হেলমেট ছিল।
শিবিরের নেতা এনামুল মনোয়ারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর শিবিরের এক নেতা দাবি করেন, এমসি কলেজ ছাত্রাবাস পোড়ানোর ঘটনার পর থেকে শিবিরের কোনো নেতা-কর্মী ওই এলাকায় অবস্থান করছেন না। তাই হামলাকারী হিসেবে শিবিরকে জড়ানো ঠিক হবে না।
৮৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:২৮
নাভদ বলেছেন: Tue 20 November 2012(pa)- pg 4
৮৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪৫
নাভদ বলেছেন: 21 Nov 2012 09:13:07 PM Wednesday BdST
রাবি ছাত্রলীগ নেতার হাত-পায়ের রগ কাটল শিবির
শরীফ সুমন ও জনাব আলী
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রাবি: রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিমের ওপর বুধবার রাত ৮টার দিকে চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শিবিরের ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে বলে ছাত্রলীগ অভিযোগ করেছে।
এ ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া ও মুন্নুজান হলের মাঝামাঝি স্থানে ঘটেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকিমের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। এসময় দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।
পরে আহত অবস্থার তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এ হামলার খবর পাওয়া মাত্র পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানাউল হক বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবোয়া হবে।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান কিটু বাংলানিউজকে বলেন, “রাতের আঁধারে ছাত্রশিবির এ চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তাকিমের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
তিনি আরও বলেন, “তাকিমের কিছু হলে এর দায় শিবিরকেই নিতে হবে।”
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও ডাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুবৃত্তদের খোঁজে রাবির বিভিন্ন হলে তল্লাশি চালানো হতে পারে।
৮৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪৭
নাভদ বলেছেন:
প্রচ্ছদ » জাতীয়
22 Nov 2012 12:35:52 AM Thursday BdST
আইসিইউতে মুমূর্ষু তাকিম: রাজশাহীতে থমথমে রাত
শরীফ সুমন ও জনাব আলী
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রাবি: শিবিরের হামলায় গুরুতর আহত রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিমকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়ায় বুধবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তাকে আউসিইউতে ভর্তি করা হয়।
এ পরিস্থিতিতে সারা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভাঙচুরের আশঙ্কায় বন্ধ হয়ে গেছে রাতের দোকানপাটও। পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় নগরজুড়ে বিপুল সংখ্যক ৠাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া ও মুন্নুজান হলের মাঝামাঝি স্থানে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে তাকিমের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। শিবিরের ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকিমের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। এসময় দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।
পরে আহত অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়।
মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মনির-উজ-জামান বাংলানিউজকে জানান, এ হামলার খবর পাওয়া মাত্র পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
হামলাকারীদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানাউল হক বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান কিটু বাংলানিউজকে বলেন, “রাতের আঁধারে ছাত্রশিবির এ চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাকিমের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
তিনি আরও বলেন, “তাকিমের কিছু হলে এর দায় শিবিরকেই নিতে হবে।”
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুর্বৃত্তদের খোঁজে রাবির বিভিন্ন হলে তল্লাশি চালানো হতে পারে।
৮৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪৯
নাভদ বলেছেন: রাবি ছাত্রলীগ নেতার রগ কেটেছে শিবির
Wed, Nov 21st, 2012 10:05 pm BdST
রাবি, নভেম্বর ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক নেতার হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার রাতের এই ঘটনার জন্য ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে রাজশাহী নগরীতে রেটিনা কোচিং সেন্টারে ভাংচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগকর্মীরা। ভাংচুর হয়েছে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও।
আহত আখেরুজ্জামান তাকিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি।
গত জুলাই মাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে আবদুল্লাহ আল হাসান সোহেল নিহত হওয়ার পর তাকিমকে বহিষ্কার করে সংগঠন। তবে এরপর তিনি সক্রিয় ছিলেন।
গত সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় তাকিমকে তৎপর দেখা যায়। অক্টোবরে শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ও অস্ত্র হাতে দেখা গিয়েছিল তাকিমকে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে মতিহার থানার ওসি সানাউল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাত ৮টার দিকে তাকিমসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা খালেদা জিয়া হলের সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়েন।
“তিনটি মোটর সাইকেলে অজ্ঞাত পরিচয়ের ছয় যুবক পথরোধ করে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে পেটায় তাকে। পরে বাম হাত ও বাম পায়ের রগ কেটে দিয়ে চলে যায়।”
সোহেল হত্যার ঘটনায় বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল-তুহিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাকিমের শরীরের ছয় জায়গায় জখম হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
তুহিন বলেন, “তাকিম জ্ঞান হারানোর আগে বলে গেছে, শিবিরের কয়েকজন চিহ্নিত ক্যাডার এই হামলা চালিয়েছে। যাওয়ার সময় ফাঁকা গুলি ছুড়ে ‘নারায়ে তকবির’ স্লোগান দিয়ে চলে যায় তারা।”
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রগ কাটার রীতি ছাত্রশিবিরের। মৌলবাদী এই গোষ্ঠী আশির-দশকের মতো তাণ্ডবলীলা চালানোর পাঁয়তারা শুরু করেছে।”
এ অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাবি সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুউদ্দিন ইয়াহিয়ার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
হামলাকারীদের পরিচয় পাওয়া গেছে কি না- জানতে চাইলে ওসি বলেন, তা এখনি বলা যাচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ঘটনাটি শুনেছি। তবে কারা এই ধরনের কাজ করেছে তা নিশ্চিত নয়। পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।”
এর আগে গত ১১ অক্টোবর ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন ডেভিড এবং ২৪ অক্টোবর মাহবুব আলম রতন নামের দুজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছিল।
তাকিমের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। তার আগে নগরীতে মিছিল বের হয় এবং সেখান থেকে রেটিনা কোচিং সেন্টার ও ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাংচুর চালানো হয়।
নগরীর লক্ষ্মীপুরে রাত ৯টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভের সময় ছাত্রলীগকর্মীরা এই ভাংচুর চালায়। তাদের অভিযোগ, এই দুটি প্রতিষ্ঠান জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির দ্বারা পরিচালিত।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা একটি মোটর সাইকেলও পুড়িয়ে দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
রাজশাহী মহানগরী পুলিশ কমিনার এস এম মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতাল ও কোচিং সেন্টারে ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরো বলেন, “জামায়াত-শিবির যেন কোনো ধরনের নাশকতা না চালাতে পারে, সেজন্য পুলিশ সর্তক অবস্থায় রয়েছে।”
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ এবং আটক নেতাদের মুক্তি দাবিতে আন্দোলনরত জামায়াতকর্মীদের সঙ্গে গত দুই সপ্তাহ ধরে সারাদেশে পুলিশের সংঘাত চলছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/এমআই/২৩০৫ ঘ.
৮৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:২১
নাভদ বলেছেন: 22 Nov 2012 10:06:12 PM Thursday BdST
তাকিমের হাত-পায়ের রগ কাটার জন্য শিবির দায়ী: পুলিশ কমিশনার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আখেরুজ্জমান তাকিমের হাত ও পায়ের রগ কাটার জন্য ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার এস.এম মনির-উজ-জামান।
বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শিবিরের কিলিং স্কোয়াডের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধপরাধীদের বিচারে বাধা সৃষ্টির জন্যই এ কাজ করেছে।
এসময় তিনি ছাত্রশিবিরের অপতৎপরতায় মহানগরবাসীকে আতংকিত না হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, “মহানগরজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা তাকিমকে হত্যার প্রচেষ্টার অভিযোগে রাজশাহীর কাটাখালি পৌর মেয়রসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৫৩ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে মতিহার থানায় মামলা করেছেন রাবি ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শাহানূর ইসলাম শাকিল।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১২
৮৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪০
নাভদ বলেছেন:
22 Nov 2012 08:02:43 AM Thursday BdST
রগ কাটার আদর্শে ফিরেছে শিবির! ইসমাইল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: ইসলামের কথা বলে মানুষকে বোকা বানিয়ে রাজনীতি করছে ইসলামী ছাত্রশিবির। জামায়াত সমর্থক এই ছাত্র সংগঠন মুখে ধর্মের কথা বললেও সুযোগ পেলেই ছোবল মারে প্রগতিশীল ধারার বিরোধী পক্ষের নেতা-কর্মীদের।
হাত-পায়ের রগ কাটা, গান পাউডার ব্যবহার করে পুড়িয়ে মারা এবং খুনের পর ম্যানহোলে লাশ ফেলে দেয়ার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই আছে শিবিরের বিরুদ্ধে।
সর্বশেষ বুধবার রাতে তাদের আদর্শের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ উঠেছে, শিবির হামলা চালিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিমের। তাকিমের শরীরের ছয় জায়গায় জখম ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মধ্য রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
আশির দশকের গোড়ার দিকে রাবিতে শিবির তাদের জাল বিস্তার করতে শুরু করে। ওই সময়ে ক্যাম্পাসে প্রভাবশালী ছাত্রসংগঠন ছাত্রমৈত্রীর দখলে থাকলেও মসজিদভিত্তিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করে শিবির। ধীরে ধীরে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছাত্রবাসে থাকতে শুরু করে তারা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মেয়েদের বিয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নিয়ে অবস্থান শক্তিশালী করে।
Shibir-zahid
১৯৮২ সালের ১১ মার্চ শিবির ক্যাম্পাসে নবীনবরণের আয়োজন করে। ওই কর্মসূচিতে সম্মিলিতভাবে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রমৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন। এদিন শিবিরের সঙ্গে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সংঘর্ষে তিন ছাত্র মারা যায়। আহত হয় অন্য সংগঠনের অসংখ্য কর্মী। এরপর থেকে প্রভাব বিস্তার করে শিবির। নব্বইয়ের দশকে জামায়াতপন্থি উপাচার্য ইউসুফ আলী শিবিরকে প্রশাসনিক সহায়তা দিয়ে আরও শক্তিশালী করেন। হলগুলোতে সিট দখল করে তাদের কর্মীদের যোগ্যতা না থাকলেও থাকার ব্যবস্থা করেন।
১৯৯২ সালে শিবির ক্যাডাররা রাবির নবাব আবদুল লতিফ হলের বিভিন্ন কক্ষ গান পাউডার দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। পরের বছর শিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলে রাতের আঁধারে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ অসংখ্য সাধারণ ছাত্রকে মারাত্মকভাবে আহত করে।
এরপর থেকেই শিবির ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন আবাসিক হলগুলোতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারির রাজত্ব কায়েম করে।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বুধবার রাতে তাকিমের ওপর হামলা চালিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা ‘নারায়ে তকবির’ স্লোগান দিয়ে চলে যায়। Shibir-zahid
রাবি ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ আল-তুহিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাকিম জ্ঞান হারানোর আগে বলেছেন, শিবিরের কয়েকজন চিহ্নিত ক্যাডার এই হামলা চালিয়েছে। যাওয়ার সময় তারা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এসময় তারা ‘নারায়ে তকবির’ স্লোগান দেয়।
ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বিপু বলেন, রগ কাটার রীতি শিবিরের। মৌলবাদী এই গোষ্ঠী আশির দশকের মতো ক্যাম্পাসে তাণ্ডবলীলা চালানোর পাঁয়তারা শুরু করেছে।
পুলিশও বলছে হামলার সঙ্গে শিবিরের সম্পৃক্ততার কথা।
রাজশাহীর মতিহার থানার ওসি সানাউল হক বলেন, রাত ৮টার দিকে তাকিমসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা খালেদা জিয়া হলের সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়েন। অজ্ঞাত পরিচয় ছয় যুবক তিনটি মোটর সাইকেলে পথরোধ করে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে পেটায় তাকে। পরে বাম হাত ও বাম পায়ের রগ কেটে দিয়ে চলে যায়।
এঘটনার প্রতিবাদে রাতেই রাজশাহী শহরের ঘোষপাড়া এলাকায় শিবির নিয়ন্ত্রিত রেটিনা কোচিং সেন্টারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগকর্মীরা। একই সময়ে লক্ষ্মীপুর মোড়ে অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গত ১১ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন ডেভিড এবং ২৪ অক্টোবর মাহবুব আলম রতন নামের দু’জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছিল।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান কিটু বাংলানিউজকে বলেন, “রাতের আঁধারে ছাত্রশিবির এ চোরাগোপ্তা হামলা চালচ্ছে। তাকিমের কিছু হলে এর দায় শিবিরকেই নিতে হবে।”
আশির দশকে শিবিরের উত্থানের পর বিরোধী ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের রগ কাটার ইতিহাস অনেক পুরনো।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে রাবির হলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় শিবির। এসএম হলের ছাত্র ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেনকে খুন করে তার লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেয়। এসময় শিবির হাত-পায়ের রগ কাটে চার ছাত্রলীগকর্মীর। এরা এখনও সুস্থ জীবনে ফিরতে পারেনি।
সূত্র জানায়, রগ কাটার জন্য বিশেষ ধরনের ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে শিবির। ধনুকের মত বাঁকানো এই অস্ত্রে রগ কাটে সহজে।
রাবি ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের প্রাক্তন নেতারা জানান, একাত্তরের বর্বরতার মতো মানুষ মেরে ম্যানহোলে পুঁতে রাখাও শিবিরের স্বভাব।
ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদকে হত্যা করে বাসার ম্যানহোলে ফেলে রাখা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহীর বিরুদ্ধে। ২০০৬ সালে রাবি ক্যাম্পাসে ড. তাহেরের বাসার পেছনের সেফটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ম্যানহোলে ফেলে রাখা হয় ২০১০ সালে শিবিরের হাতে খুন হওয়া গণিত বিভাগের ছাত্র ফারুককে। এদিনও ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি হলে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় শিবির।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সালেকীনের বিরুদ্ধে। ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী বিনোদপুর এলাকায় প্রাত:ভ্রমণের সময় বাসার তিনশ` গজ দূরে খুন হন তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কারমাইকেল কলেজে রগ কাটাসহ বিভিন্ন নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে শিবিরের বিরুদ্ধে।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ এবং আটক নেতাদের মুক্তি দাবিতে আন্দোলনরত জামায়াতকর্মীদের সঙ্গে গত দুই সপ্তাহ ধরে সারাদেশে পুলিশের সংঘাত চলছে। এরই জের ধরে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরির জন্য হামলা চলছে বলে মনে করেন ছাত্রনেতারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আউয়াল কবির জয় বলেন, “রগ কাটার ইতিহাস ছাত্রশিবিরের অনেক পুরনো সংস্কৃতি। তাকিমের উপর যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে, শিবির ছাড়া কেউ এভাবে হামলা চালাতে পারে না।”
হামলাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি এবং আইন করে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান আউয়াল কবির। পাশাপাশি তিনি দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করারও দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১২
এমআইএইচ/জেডএম; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর [email protected]
৮৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৭
নাভদ বলেছেন: 23 Nov 2012 10:43:31 PM Friday BdST
লাইফ সাপোর্টে রাবির তাকিম, হাসপাতালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ইসমাইল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: নুর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা আখেরুজ্জামান তাকিম রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে তাকে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার রাতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাকিমের ওপর হামলা চালানো হয়। তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা তার মাথায় হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এরপর তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া ও মুন্নুজান হলের মাঝামাঝি স্থানে হামলার শিকার হন তাকিম।
রাজশাহীর পুলিশও হামলার সঙ্গে শিবিরের সম্পৃক্ততার কথা বলেছে।
হামলার পরপরই তাকিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সঙ্গাহীন তাকিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন সেখানকার চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকিমের মাথায় রক্ত জমাট বেধেছে বলে জানতে পারেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে তিন ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচার করা হয় তার মাথায়। পরে তাকে আইসিইউতে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউ’র কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. হাসনুল আলম বাংলানিউজকে জানান, “সকালে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতে তাকিমের মাথার মধ্যে রক্তক্ষরণ হয়ে জমাট বেঁধেছিল। দীর্ঘ অস্ত্রোপচারে জমাট বাঁধা রক্ত বের করা হয়। এখন তাকে ২৪ ঘণ্টার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, “তাকিমের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়।’’
হাসপাতালে তাকিমের ভাই ওয়ালিউল ইসলাম তপু বাংলানিউজকে বলেন, “চিকিৎসকরা বলেছেন, তার মাথায় ৬/৭টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার বাম হাত ও বাম পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা না গেলে কিছু বোঝা যাচ্ছে না।’’
এদিকে রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আউয়াল কবির জয়, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুর রহমান মিঠু, কর্মী আজিজ, নিপেন, পলাশ, রকিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী সন্ধ্যায় তাকিমকে দেখতে যান হাসপাতালে।
আউয়াল কবির জয় বাংলানিউজকে বলেন, “ছাত্রশিবির পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে তাকিমের ওপর”।
হামলার সময় দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায় বলেও জানান ছাত্রলীগ নেতারা।
অন্যদিকে তাকিমের ওপর হামলার ঘটনায় মতিহার থানায় দায়ের করা মামলায় কাটাখালি পৌরসভার মেয়র মাজেদুর রহমান, রাবি শিবির সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন, সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়াসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রাবি ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শাহানুর ইসলাম শাকিলের করা এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক এম এ মালেকসহ ১১ জনকে।
রাবি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সংগঠনের কর্মী আবদুল্লাহ আল হাসান সোহেল নিহত হওয়ার পর গত ১৬ জুলাই তাকিমকে সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২২ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ওই আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।
৯০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৫৯
নাভদ বলেছেন: 24 Nov 2012 12:47:39 AM Saturday BdST
রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা তাকিমের রগ কাটার ঘটনায় জামায়াত নেতাসহ আটক ৪ রাবি প্রতিনিধি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিমের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তার হাত ও পায়ের রগ কাটার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার জামায়াতের রোকনসহ ৪ জনকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর-মির্জাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, বিনোদপুর ইসলামিয়া কলেজের পদার্থ বিভাগের শিক্ষক ও জামায়াতের রোকন হুমায়ুন কবির, ছাত্রশিবিরের স্থানীয় ক্যাডার ওমর ফারুক বাবু, দেলদার রহমান অমিত ও শান্ত। তারা সবাই মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা ও জামায়াত -শিবিরের স্থানীয় নেতা বলে জানা গেছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানাউল হক বাংলানিউজকে বলেন, তাকিমের ওপর হামলার পরিকল্পনাকারী সন্দেহে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্রলীগের নেতা তাকিমের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান ওসি সানাউল হক।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিমের ওপর চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় শিবিরের ক্যাডাররা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১২
জনাব আলী/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর
৯১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:০১
নাভদ বলেছেন:
23 Nov 2012 05:16:33 PM Friday BdST
মহসিন কলেজ: শিবির নেতা-কর্মীদের দখলে ছাত্রীনিবাস! মাহবুব আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: বন্দরনগরীর অন্যতম প্রধান হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রীদের জন্য একটি হল থাকলেও প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তা শিবিরের নেতা-কর্মীরা দখল করে আছেন।
কলেজের ছাত্রীদের আবাসন সংকট লাঘবের জন্য নির্মাণ করা হলেও আধিপত্য বিস্তার করতে ছাত্রীনিবাসটি শিবির দখলে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার দূর-দূরান্ত থেকে বন্দরনগরীর ঐতিহ্যবাহী কলেজে পড়তে এসে শিক্ষার্থীদেরকে আবাসন সমস্যাসহ নানা সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে ছাত্রীদের কোন হল বা ছাত্রীনিবাস না থাকায় ভোগান্তি তাদেরই বেশি পোহাতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলা অনুষদের এক শিক্ষক বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রীদের থাকার সুবিধার্থে অধ্যক্ষের বাসভবনের কাছে একটি হোস্টেল নির্মিত হলেও ক্ষমতার দাপটে তা শিবির দখল করে রাখছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বারবার চেষ্টা করেও তা দখলমুক্ত করতে পারেনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে ছাত্রীনিবাসটিকে নতুন হোস্টেল নাম দেওয়া হয়েছে।
ফেনীর পরশুরাম থেকে এ কলেজে পড়তে আসা দর্শন বিভাগের ছাত্রী সৈয়দা শারমিন বলেন, ‘‘ছাত্রীদের জন্য কোন আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় বেসরকারি বিভিন্ন হোস্টেলে থাকতে হচ্ছে। সেখানে ইভটিজিংসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।’’
অন্যদিকে ছাত্রদের জন্য মহসিন মুসলিম ছাত্রাবাসের ছাত্র নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘হাজারো শিক্ষার্থীর এই কলেজে কোন ছাত্রী হোস্টেল নেই। ছাত্রদের জন্যও রয়েছে এ সমস্যা।’’
আর যে হলটি আছে তা একটি ছাত্রসংগঠনের নিয়ন্ত্রণে, সেখানে তাদের লোক ছাড়া কাউকে উঠতে দেয় না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কলেজের প্রশাসনিক অফিস সূত্র জানায়, কাগজপত্রে ছাত্রী হোস্টেল হলেও নির্মাণ হওয়ার পর ২০০৫ সাল থেকে সেখানে ছাত্ররা অবস্থান করছেন। তবে এ প্রশ্নের কেউই সঠিক উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান।
নতুন হোস্টেল ছাত্রীদের জন্যই নির্মাণ করা হয়েছিল উল্লেখ করে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল গোফরান বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘পরে বাজেট সংকটের কারণে ওই ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তাই সেখানে হোস্টেল সুপারের জন্য কোন ডরমেটরি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। কোন সুপার ছাড়া তো আর মেয়েদের একা থাকতে দেয়া যায় না।’’
তিনি জানান, ছাত্রদের আবাসন সংকটের সমস্যার কারণে এরপর থেকে নতুন নির্মিত হোস্টেলে ছাত্ররাই থাকছে। তবে ছাত্রীদের আবাসন সংকট দূর করতেও কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেও জানান কলেজের অধ্যক্ষ।
কলেজের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ১৮৭৪ সালে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম ইসলামী উচ্চমাধ্যমিক কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এ দুই প্রতিষ্ঠানকে একত্রিত করে ১৯৭৯ সালে হাজী মুহম্মদ মহসীন কলেজে রূপান্তর করা হয়।
১৯৭৯-৮০ সেশনে স্নাতক (পাস), ১৯৯৬-৯৭ সেশনে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৯৩-৯৪ সেশনে স্নাতকোত্তর প্রথম পর্ব চালু করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৬-৯৭ সেশনে মাস্টার্স শেষ পর্বের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে ১২টি কোর্সে সম্মান ও দুটি বিষয়ে স্নাতকোত্তরসহ এইচএসসি-ডিগ্রি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজারেও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন এ কলেজে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কলেজে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ইসলামের ইতিহাস, ইসলাম শিক্ষা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিদ্যা, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও দর্শন বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং হিসাববিজ্ঞান, অর্থনীতিতে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে স্নাতক (পাস) এবং উচ্চমাধ্যমিকও আছে।
বন্দরনগরীর ঐতিহ্যবাহী কলেজটিতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়তে এসে শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, অবকাঠামো এবং আবাসন সংকটসহ নানামুখী সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন।
শ্রেণিকক্ষ সংকট:
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানালেন, এই কলেজে একাডেমিক ভবনের অভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হয় এক ভবন থেকে অন্য ভবনে ছোটাছুটি করে।
উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল বাসার বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘উচ্চমাধ্যমিকে মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের আলাদা শ্রেণিকক্ষ না থাকায় বাংলা ও ইংরেজি ক্লাস করতে বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে ছুটতে হয়।’’
এছাড়াও একই ক্লাস রুমে এক পাশে ব্যবহারিক ও অন্যদিকে তত্ত্বীয় ক্লাস করতে হয় বলে তিনি জানান।
শিক্ষক সংকট:
শিক্ষা সম্পর্কিত এনাম কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী অনার্স পাঠদানকারী কলেজে ৯ আর স্নাতকোত্তরে ১২ জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু মহসিন কলেজে অর্থনীতি ও হিসাববিজ্ঞান বাদে কোন বিভাগে শিক্ষক নেই।
এছাড়া শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, বিজ্ঞান ও ইংরেজি বিভাগের দু-একজন শিক্ষক বাদে সবাই প্রাইভেট পড়তে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেন।
সোলায়মান বাদশা নামে অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘আমাদের বিভাগে দু-একজন শিক্ষক ছাড়া অন্যরা নিয়মিত ক্লাসে আসেন না। তারা বেশির ভাগ প্রাইভেট নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।’’
‘‘প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষকরা আলাদা চোখে দেখেন।’’ যোগ করেন কলেজের এই ছাত্র।
মিলনায়তনের অভাব:
মহসিন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক বা অন্য কোন অনুষ্ঠানের জন্য মিলনায়তনের ব্যবস্থা নেই। বিজ্ঞান ভবনের নিচতলায় একটি বড় কক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে এসময় তত্ত্বীয় ও ব্যাবহারিক ক্লাসের ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বন্ধ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড:
কলেজটি শিবিরের নিয়ন্ত্রণে থাকায় শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারেন না। এ নিয়ে ফাহিমা জান্নাত নামে এক ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘ক্যাম্পাসে কারও সঙ্গে একটু কথা বললেই শিবিরের ছেলেরা এসে বাজে আচরণ করে। অনেক জ্ঞানও দিতে চায়!’’
তিনি বলেন, ‘‘কলেজে কোন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতে গত চার বছর ধরে দেখিনি।’’
পরিবহন সংকট:
সংশ্লিষ্টরা জানান, কলেজে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল গোফরান বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘অপ্রতুল বাজেটের কারণে অনেক সময় তা করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’’
সার্বিক বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষক সংকট, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সমস্যা আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করছি সরকার বরাদ্দ দিয়ে কলেজের উন্নয়নে সহযোগিতা করবেন।’’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১২
৯২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:২৮
নাভদ বলেছেন: নারায়ণগঞ্জে পুলিশের ওপর শিবিরের নৃশংস হামলা সমকাল, ৬/১২/১২
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে শিবির ক্যাডাররা। এতে পুলিশের এক এসআইসহ চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে শহরের মণ্ডলপাড়া এলাকায় ছাত্রশিবিরের একটি মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে এ হামলা চালানো হয়। আহতরা হলেন_ সদর মডেল থানার এসআই রবিচরণ
চৌহান, কনস্টেবল আবুল কাশেম, সুলতান মাহমুদ ও পুলিশের পিকআপ ভ্যানচালক তাজুল ইসলাম।
এসআই রবিচরণ চৌহানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার পর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিবিরকর্মী সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন_ রবিউল আউয়াল, সাখাওয়াত হোসেন, আবু নাঈম ও আশিকুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত পুলিশ সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার হরতাল চলাকালে বিভিন্ন স্থানে শিবিরকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রশিবিরের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শহরের মণ্ডলপাড়া এলাকায় মিছিলটি পেঁৗছলে নগর ভবনের সামনে দুই কনস্টেবল নিয়ে এসআই রবিচরণ চৌহান মিছিলে বাধা দেন। এ সময় শিবিরকর্মীরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং ইট দিয়ে আঘাত করে এসআই রবিকে গুরুতর আহত করে। ঘটনার আকস্মিকতায় কনস্টেবল আবুল কাশেম এবং সুলতান মাহমুদ হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে শিবিরকর্মীরা তাদেরও পিটিয়ে আহত করে মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে এগিয়ে যায়।
তারা এ সময় ভবনের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যদের বাইরে বের হয়ে আসতে বলে। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ১০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর শিবিরকর্মীরা পালিয়ে যায়।
সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে শহরের টানবাজার, বাবুরাইল, পাইকপাড়া ও শহীদনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
৯৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৩১
নাভদ বলেছেন: Daily Star (6/12/12)
Jamaat attacks BGB vehicle: 70 hurt in clash with cops in different districts
A policeman lies motionless on a road in Narayanganj yesterday after an attack by Jamaat-Shibir activists, but this young man continues to beat him up with a large stick. Photo: Courtesy
Star Report
At least 70 people including policemen and journalists were injured as activists of Jamaat-e-Islami and its student wing Islami Chhatra Shibir clashed with law enforcers in five districts yesterday.
Our Chapainawabganj correspondent reports that Amjad Hossain, a sepoy of Border Guard Bangladesh (BGB), sustained injuries when Jamaat-Shibir men attacked their vehicle.
Around 200 Jamaat-Shibir activists held a rally at Mohananda Bus Stand around 3:45pm. Suddenly a group strayed from the rally and vandalised the passing van of 9 BGB Battalion, injuring its driver, said Golam Mortuza, officer-in-charge (OC) of Sadar Police Station.
They also vandalised a pick-up van at the same time.
In Khulna, at least 15 people including a policeman were injured. The Jamaat-Shibir activists hurled five cocktails on the policemen who retaliated by firing rubber bullets and teargas shells, reports our Khulna correspondent.
The clash sparked around 10:00am when over a hundred Jamaat-Shibir men brought out a procession in front of Boyra Bazaar demanding release of the arrested Jamaat leaders including the war crimes suspects.
When the procession drew near Khulna Public College, police intervened, said Quamruzzaman, OC of Sonadanga Model Police Station.
Rakib, a police constable, sustained injuries during the clash, the OC added.
In Sylhet, at least 50 people including six policemen and two journalists were injured in a battle between law enforcers and Jamaat-Shibir activists at Zindabazar yesterday afternoon.
Police detained at least 49 activists from the spot. The clash ensued when police attempted to prevent the activists from bringing out a procession.
The injured journalists -- Shafique Ahmed, camera crew of Channel 24, Md Mahmud, photojournalist of Daily Inquilab -- and Md Ataur Rahman, OC of Kotwali Police Station, were admitted to MAG Osmani Medical College Hospital.
In Narayanganj, three policemen sustained injuries when Jamaat-Shibir men clashed with the law enforcers in the town yesterday.
The injured -- Robi Charan Chowhan, sub-inspector of Narayanganj Sadar Police Station, constables Abul Kashem and Jewel -- were admitted to a local hospital.
Police detained four activists on the spot, said Sheikh Nazmul Alam, superintendent of police (SP) of Narayanganj.
In Jessore, police dispersed a Jamaat-Shibir procession by charging batons and firing two rounds of shots in the air.
In Chittagong, police filed 13 cases against more than 400 Jamaat-Shibir men on charges of vandalism, arson and obstructing vehicles on the city streets during Tuesday's hartal.
The cases were filed with different police stations of the district and the metropolitan area, said police sources. Of those, four were lodged under the Speedy Trial Act, 2002.
Nine Jamaat-Shibir men, detained during the hartal hours, were shown arrested in the cases.
৯৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৩৩
নাভদ বলেছেন:
নারায়ণগঞ্জ সিলেট খুলনায় পুলিশের উপর জামায়াত-শিবিরের হামলা: চাঁপাইয়ে বিজিবির গাড়ি ভাংচুর
Ittefaq, 6/12/12
আবারো জামায়াত-শিবিরের হামলার শিকার হলো পুলিশ। গতকাল বুধবার দেশের বিভিন্নস্থানে জামায়াত-শিবিরের মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়। নারাণগঞ্জে শিবিরের হামলায় এক এস আইসহ আহত হয়েছে তিন পুলিশ সদস্য। শিবির কর্মীরা পুলিশ পিটিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে একটি ওয়ারলেস সেট। চাঁপাইনবাবগঞ্জে গতকাল বিকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি টহল ভ্যান ভাঙচুর করেছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় বিজিবির গাড়ি চালক সিপাহী আমজাদ হোসেন আহত হন। খুলনায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। আহত হয়েছে একজন কনস্টেবল। এ সময় দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। সিলেটে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশসহ আহত হয়েছে অর্ধ শতাধিক। আটক করা হয়েছে ৪০ জনকে।
আমাদের অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
নারায়ণগঞ্জ : হামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের একজনের কাছে ইসলামী ব্যাংকের একটি চেক বইসহ নগদ এক লাখ টাকা পাওয়া গেছে। হামলায় গুরুতর আহত এসআই রবি চরণ চৌহানকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত কনস্টেবল কাশেম ও সুলতানকে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের মণ্ডলপাড়া থেকে জামায়াত-শিবিরের একটি জঙ্গি মিছিল বের হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাছিরউল্লাহ। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে লাঠি ও ইট-পাটকেল ছিল। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকার দিকে যাওয়ার সময় মণ্ডলপাড়া পুলের কাছেই ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা পুলিশের এস আই রবি চরণ চৌহান ও কনস্টেবল কাশেমকে অবরুদ্ধ করে পিটিয়ে আহত করে। এসময় এস আই রবি চরণের কাছ থেকে ওয়্যারলেস সেটটি ছিনিয়ে নেয় শিবিরের লোকজন। তাদের বাঁচাতে এসে অপর পুলিশ কনস্টেবল সুলতান আহত হন। পরে মিছিলটি নিতাইগঞ্জ যাওয়ার সময় অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
ঘটনার পর পুলিশ শহরের মণ্ডলপাড়া, নিতাইগঞ্জ, শহীদনগর, কাশীপুরের ফরাজীকান্দা এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালায়। ফরাজীকান্দা এলাকায় ছাত্রশিবিরের একটি কার্যালয় থেকে শিবিরের বই, চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রবিউল আউয়াল, সাখাওয়াত হোসেন, আবু নাঈম, আসিফুর রহমান। রবিউল আউয়ালের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ও ইসলামী ব্যাংকের চেক বই পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বরও শহরে জামায়াত-শিবিরের জঙ্গি মিছিল বের হয়। সেদিনের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হলে সদর মডেল থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ আহত হন। ঐ মিছিলেরও নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রশিবির মহানগর শাখার সভাপতি নাছিরউল্লাহ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : শহরের মহানন্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গতকাল বিকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি টহল ভ্যান ভাঙচুর করেছে জামায়াত-শিবির। আহত হয়েছেন বিজিবির গাড়ি চালক সিপাহী আমজাদ হোসেন।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার গোলাম মোরতুজা জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের আম গবেষণা কেন্দ্রের সামনে থেকে একটি জঙ্গি মিছিল বের করে জামায়াত শিবির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি মহানন্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শেষ হয়ে সমাবেশ করে। এ সময় পাশ দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল শিবগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হয়। এতে গাড়ির সামনের কাচ ও লাইট ভেঙ্গে যায়। ইট-পাটকেল ও লাঠি-সোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয় অপর একটি বেসরকারি ভ্যানে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রক্রিয়া চলছিল।
খুলনা অফিস : দিনাজপুরে পুলিশের গুলিতে শিবির কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সকাল ১০টার দিকে জামায়াত বয়রা মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বয়রা পাবলিক কলেজের সামনে পৌঁছলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এসময় মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ ও জামায়াত কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে দুইটি শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ তিন রাউন্ড টিয়ারশেল ও এক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামান বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হামলায় রাকিব নামে পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
সিলেট অফিস : গতকাল দুপুর ২টার দিকে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় মিছিল বের করে জামায়াত। এ সময় পুলিশ মিছিলকারীদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে মিছিলকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ার শেল ও শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে। মিছিলকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে দুই পক্ষে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এসময় ২০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ৩০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। আহত হয়েছে পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন। গুরুতর আহত চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের ক্যামেরাম্যান শফি ও দৈনিক ইনকিলাবের আলোকচিত্রী মাহমুদ হোসেন ও দুই পুলিশ কনস্টেবলকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে পুলিশ জিন্দাবাজার এলাকা থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মী সন্দেহে ৪০ জনকে আটক করে।
৯৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০৪
নাভদ বলেছেন: মুসল্লিদের জামায়াত ধোলাই
প্রতি শুক্রবারের মতো গতকালও মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় করছিলেন রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ওভারব্রিজের পাশে শেওড়াপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। নামাজ পড়া শেষ হতেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা জড়ো হয়ে 'নারায়ে তাকবির' বলে মিছিল শুরু করে। একজন মুসল্লি তাদের নিষেধ করলে মিছিলকারীরা তাঁর মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে সব মুসল্লি ও এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দেয়। দৌড়ে পালানোর সময় তাদের পাঁচজনকে ধরে মুসল্লি-জনতা ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। মিরপুর থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আব্দুল্লা আল মাহমুদ (৪২), মো. শাজাহান (৫৫), আবদুল হাই (৪৫), রাশেদুল ইসলাম (২৮) ও হাবিবুল্লা (৫০)। মিছিলকারীরা সবাই জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। গতকাল রাত পৌনে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটকদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হবে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল জুমার নামাজের পর মিরপুর থানার শেওড়াপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা বের হতে থাকেন। হঠাৎ পাঁচ-ছয়জন লোক নারায়ে তাকবির বলে মসজিদের সামনে দাঁড়ায়। ওই সময় মসজিদ থেকে আরো কয়েকজন গিয়ে তাদের সঙ্গে মিলে নারায়ে তাকবির বলে মিছিল শুরু করে। আর তখনই মুসল্লি ও এলাকাবাসী ধাওয়া করে পাঁচজনকে ধরে ধোলাই দিতে শুরু করে। এ সময় পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে জনতা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাদের কাছ থেকে একটি ব্যানার উদ্ধার করা হয়েছে বলে মিরপুর থানা পুলিশ জানায়।
মিরপুর বিভাগের পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) ইমতিয়াজ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সংগঠিত হওয়ার আগেই সাধারণ মানুষ তাদের ধোলাই দিতে শুরু করে। তখন কাছেই পুলিশ ছিল, তারাও সেখানে পৌঁছায়। পরে জনতা তাদের ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।' তিনি আরো বলেন, 'এ ধরনের প্রতিরোধ আগে কখনো দেখা যায়নি। এতে প্রমাণিত হচ্ছে, সাধারণ মানুষ যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়।'
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল জুমার নামাজের সময় ওই মসজিদের বাইরেও একটি সারি হয়। ওই সারিতে দাঁড়িয়ে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা নামাজ পড়ে। নামাজ শেষে মুসল্লিরা বের হতে থাকলে কয়েকজন নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে একটি ব্যানার বের করতে থাকে। এ সময় সেখানে উপস্থিত হন মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি লিয়াকত আলী (৬০)। তিনি জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের মিছিল করতে নিষেধ করেন। এ সময় জামায়াতের এক কর্মী তাঁর মাথার পেছনে কিছু একটা দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ দৃশ্য দেখে মুসল্লি ও এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে। তাদের কাছ থেকে 'সমমনা ইসলামী দল' লেখা একটি ব্যানার পাওয়া গেছে। তাতে 'দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার বন্ধ করতে হবে' লেখা ছিল।
স্থানীয় লোকজন আহত লিয়াকত আলীকে (৬০) মিরপুরের আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর অবস্থায় সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আটকদের মধ্যে আব্দুল্লা আল মাহমুদের বাবার নাম সালামত আলী, বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী। শাজাহানের বাবা মৃত হাসমত আলী, বাড়ি ঢাকায়। আবদুল হাইয়ের বাবা মৃত নাজির হোসেন, বাড়ি লালমনিরহাটের পানবাড়ী গ্রামে। রাশেদুল ইসলামের বাবা আবদুল হালিম, বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভাঙ্গা খা গ্রামে। হাবিবুল্লার বাবা তাজউদ্দিন, বাড়ি পটুয়াখালীর পুকুরজানা গ্রামে।
ওই এলাকার ৯৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের আগে কখনো এ এলাকায় দেখা যায়নি। আমি লিয়াকত আলীকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মাথার পেছন দিকে জামায়াতের কর্মীরা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে।' তিনি আরো বলেন, 'জামায়াত-শিবিরকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে।'
পুলিশের ডিসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, 'এর আগেও জামায়াত-শিবিরের অনেক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে যে ঢাকার বাইরে থেকে এসে তারা ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায়। এতে মামলা হলেও স্থানীয় লোকজন না চেনার কারণে তাদের ধরা কঠিন হয়ে পড়ে।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিয়াকত আলীকে হাতুড়িজাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়।
অন্যদিকে গতকাল যাত্রাবাড়ী থানাধীন মির হাজীরবাগ এলাকায় জামায়াত-শিবির ভাঙচুর চালাতে চাইলে পুলিশের বাধার কারণে তা ব্যর্থ হয়। সেখান থেকে তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান।
৯৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৭
নাভদ বলেছেন:
যুবলীগকর্মীর কবজি কেটে ছুড়ে মারল শিবিরকর্মী হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় পূর্ববিরোধের জের ধরে আবদুল কাইয়ুম (২৫) নামের এক যুবলীগ কর্মীর বাঁ হাতের কবজি কেটে নিয়েছে এক শিবিরকর্মীসহ কিছু যুবক। তাঁকে প্রথমে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে গতকাল রাতে মোহনপুর ও সুলতান মাহমুদপুর এলাকায় সংঘর্ষ বাধে। এতে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দোকানপাট ও বাসাবাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট করা হয়। এ সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে সদর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, সুলতান মাহমুদপুর গ্রামের রহমত আলীর ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী ও যুবলীগকর্মী আবদুর কাইয়ুমের সঙ্গে মোহনপুর এলাকার শিবিরকর্মী বাহারের (২৫) দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে ওই শিবিরকর্মী বাহার মোহনপুর এলাকার কয়েকজন যুবককে নিয়ে আবদুল কাইয়ুমকে কোর্ট স্টেশন এলাকায় একা পেয়ে আটক করে। তারা তাঁকে ধরে রামদা দিয়ে তাঁর বাঁ হাতের কবজি কেটে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়। পরে এলাকার লোকজন ধাওয়া করলে শিবিরকর্মীসহ যুবকরা পালিয়ে যায়। লোকজন তাঁর হাতের কবজি রাস্তা থেকে কুড়িয়ে আনে ও আহত অবস্থায় আবদুল কাইয়ুমকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে এ ঘটনার জের ধরে রাতে মোহনপুর ও সুলতান মাহমুদপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মোহনপুর এলাকার আবদুুল মতিন (৫০) আবু সালেকসহ (২৫) ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয় গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৭
নাভদ বলেছেন:
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জামায়াত নেতা গ্রেপ্তার
নীলফামারী, নভেম্বর ১৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে জামায়াতের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে নীলফামারী পুলিশ।
রোববার আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের রোকন জয়নাল আবেদীনকে (৪০) শনিবার রাতে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
তার বাড়ি উপজেলার বালাগ্রাম এলাকায়।
জলঢাকা থানার ওসি শেখ লেলিন আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, জয়নাল শনিবার রাতে একই এলাকার সংখ্যালঘু এক ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে ওঁৎ পেতে থাকেন। পরে স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূকে টেনে হিঁচড়ে পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
গৃহবধূর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে জয়নালকে আটক করে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদি হয়ে থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছেন।
তিনি জানান, জয়নালকে রোববার সকালে জেলার বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে হাকিম আব্দুল কুদ্দুস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।