![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা অদ্ভূত দেয়াল যেনো সেই। একপাশে আমি আর অন্য পাশে সে। তাকে দেখা যায়, শোনা যায়, বলা যায়; ছোয়া যায় না।
হাসির জন্য নয়, নেশা ধরিয়ে দেয়া রূপের জন্য নয়, হৃদয় ধুমড়ে-মোচড়ে দেয়া চাহনিও নয়; এই জাদুকরী, মন্ত্রমুগ্ধ অনুভূতির কারণ ধুলো আর কাদামাখা পৃথিবীর কোনোকিছু দিয়ে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। সে অন্য জগতের, অন্য ভুবনের।
"সে রহস্য, রাণী,
তুমি নাহি জানো,
আমি নাহি জানি-
চেনে তা প্রেম, জানে শুধু প্রাণ-
কোথা হতে আসে এতো অকারণ প্রাণে প্রাণে বেদনার টান-"
সে "অর্ধেক মানবী আর অর্ধেক কল্পনা" নয়। হয় ও পুরোটাই মানবী অথবা পুরোটাই কল্পনা। যখন সামনে থাকে- সাথে থাকে; তখন এই শোক- জরা-মৃত্যু আর বেদনায় রিক্ত এই পৃথিবী কিভাবে যেনো অদৃশ্য হয়ে যায়। অন্য একটা ভূবন সামনে আসে- যেখানে কোনো ফুল নেই, পাখি নেই, চাঁদ নেই। ওখানে শুধু ও থাকে, ওর হাসি থাকে- কথা থাকে।
আর তাই মাঝে মাঝেই এই কমলালেবু পৃথিবীকে আমার কাছে বড় রঙহীন মনে হয়। জোছনা-গোলাপ-বৃষ্টির রিমঝিম- এগুলোর যেনো কোনো দরকার ছিলো না, যেনো সবটাই অপ্রাসঙ্গিক আর বিষাদময়। এই মেয়েটি ছাড়া বাকী গোটা পৃথিবীটা সাদা-কালো হয়ে গেলেও আমার আজ কিছুই যায় আসে না।
দেয়ালটা ভাঙা তাই খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। দেয়ালের ঐপাশ এজন্য কতোটুকু ব্যাকুল সেটা বলতে পারি না তবে দেয়ালের এইদিক এখন আর রবীন্দ্রনাথীয় "হাসিটুকু, কথাটুকু, নয়নের দৃষ্টিটুকু, শাড়ির আঁচল-" এতো অল্পতে তুষ্ট নয়।
জীবন কতো অদ্ভূত জায়গায় আমাদের জন্য কতো অনন্য উপহার সাজিয়ে রাখে। আমরাই বেখেয়ালী, এড়িয়ে যাবার দুরন্ত ইচ্ছাটাকে আমরা দমন করে রাখতে পারি না।
©somewhere in net ltd.