![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা সময় ছিল বাংলাদেশের ক্রীড়া উন্মাদনার অনেকটা জূড়ে ছিল ফুটবল।ক্রিকেয় তখন মোটামুটি জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও এখনকার মত ছিলনা।হয়তোবা মান বা জয়ের ধারাবাহিকতা ছিলনা বলেই ফুটবলের ক্লাব পর্যায়ে খেলাগুলোতেও দর্শক ছিল উপচেপড়া।আবাহনী আর মোহামেডান হলে তো কথাই নেই।আমাদের প্রজন্ম বিশেষ করে নব্বই দশকের শেষের দিকে যাদের জন্ম তারা নিশ্চয়ই আলফাজ,জুয়েল রানা,মাসুদ রানা,হাসান আল মামুন, মতিউর মুন্না,আরমান মিয়া,রজনীদের কথা ভুলে যাওয়ার কথা না।তখন ব্রাদার্স, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মত দলও সমান তালে খেলে যেত।জাতীয় পর্যায়ে ভারত বা এ জাতীয় মোটামুটি ভাল দলগুলোর সমীহ আদায় করা ডাল ভাত ছিল বাংলাদেশের জন্য।৯৯ এ সাফ গেমসে সাহাজুদ্দীন টিপুর মাঝমাঠ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে করা গোল এখনো চোখে ভাসে।আর ফাইনালে নেপালকে হারানোর ক্ষেত্রে আলফাজ আহমেদের নৈপুণ্য এখনো মনে আছে।তখনো ক্লাব ফুটবল হতো কিন্তু পারিশ্রমিক কিন্তু এখনকার মত ছিলনা।কিন্তু আন্তরিকতায় খেলোয়াড়রা ঘাটতি রাখেননি।কিন্তু পরিবর্তন হল হঠাৎ।শেখ জামাল সহ কিছু নাম সর্বস্ব দল ক্লাব পাড়ায় ঢুকল যারা আফ্রিকার কিছু বিশাল দেহের মানহীন খেলোয়াড় ঢুকাল যারা শারীরিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের সাথে টেক্কা দিয়ে গোল করে কাপ পাইয়ে দিল।আলফাজের মত কোন স্ট্রাইকার কিন্তু আর বের হয়ে আসলনা।আরমান মিয়া,রজনী,হাসান আল মামুনদের জায়গা পূরণ হল কিছু মানহীন খেলোয়াড় দিয়ে।ওদিকে কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে আশাহত করালেন সালাউদ্দিন।দিন দিন মানহীনতার চরমে ওঠা বাংলাদেশ গতকাল পরাজিত হল ভূটানের কাছে।৩-১ এ।অথচ এই ভুটানের সাথে জয় তো বটেই সেটা অর্ধহালি বা অর্ধডজনের কাছাকাছি হত।এ এফ সি আয়োজিত যেকোন টুর্নামেন্ট খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে বাংলাদেশ।এ লজ্জা বাফুফের,আমাদের সবার।এরকম চললে আমাদের জাতীয় ফুটবল বিলুপ্ত হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।
©somewhere in net ltd.