![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভিক্ষুকরা বিনয়ের সাথে ভিক্ষা চাইলে পাত্তা না দিয়ে তাড়িয়ে দেই। সাথে ফ্রি নসিহত। কাজ করে খেতে পারো না? বেশী বয়স্ক হলে মানবতাবাদী সেজে বলি-ছেলেমেয়ে কি করে? আহারে ! বেচারা এই বয়সে ভিক্ষা করছে। মাফ করেন বাবা।
সেই আমরাই হোটেলে বসে খাওয়ার পর সার্ভিস দাতাকে ৫ টাকা দিতে লজ্জা পাই। পিছে যদি লোকে দেখে বসে ! মাত্র ৫ টাকা ?
মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায়। কখনো হোটেলের সার্ভিসম্যানদের বকশিস দিতে ভুলে গেলে এমনভাবে তাকিয়ে থাকে যেন-আমি মহা অন্যায় করে ফেলেছি। খ্যাপ মার্কা আবাল বানিয়ে ছাড়ে !
এবার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোন বকশিস দিব না। দরিদ্র বৃদ্ধাকে সম্ভব হলে ৫ টাকা দিব। হোটেলের যুবক ভিক্ষুককে আর এক টাকাও দিতে রাজী নই। না হয়-একটু খ্যাপ মার্কা হয়েই থাকলাম।
পারলে রিক্সায় ঘাম ঝরিয়ে যিনি আমাকে গন্তব্যে পৌছে দেন তাকে ৫ টাকা বকশিস দিব। গ্রামের ১৫ কিলোমিটার রাস্তার ভ্যান ভাড়া ১০ টাকা না দিয়ে ২০ টাকা দিব।
কি অদ্ভুদ শিষ্টাচার ! পকেটে টাকা নাই বলেই তো রুটি আর ডালভাজী অর্ডার দেই। তখন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে বুঝাতে চায়-ধুর মিয়া ২০ টাকার নাস্তা করতে হোটেলে এসেছেন কেন? ফুটপাতে দাঁড়িয়ে খেতে পারেন না?
©somewhere in net ltd.