নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি উন্মুক্ত ও স্বাধীন নই

ঝিগাতলা

আমার পরিচয় আমি মানুষ

ঝিগাতলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখনই উপযুক্ত সময়

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩০



সেকেন্ড,মিনিট,ঘন্টা, দিবস, মাস আর কিছু বছরের সমষ্টি হচ্ছে আমাদের জীবন। যেমন কেউ যদি সত্তর বছর বাঁচে তবে তা ঘন্টার হিসাবে হবে ৬,১৩,৬৩২ ঘন্টা; সংখ্যাটা অনেক বড় মনে হয় তাই না? কিন্তু হিসাব কষলেই বুঝবা জীবনটা কত ছোট! যেমন শৈশবের অপরিপক্কতা ও বার্ধক্যের দুর্বলতার জন্যে যথাক্রমে পাঁচ ও দশ বছর হিসাব থেকে বাদ দিলে মোট বছর থাকে পঞ্চান্ন। এর ভিতর ঘুম ও বিশ্রামে যাবে প্রতিদিন কমপক্ষে আট ঘন্টা। দাঁতব্রাশ থেকে শুরু করে টয়লেট,ওযু, নামায, গোসল, খাওয়া, পত্রিকা পড়া, কাপড় পরা, যাতায়াত, গাড়ির জন্যে অপেক্ষা, যানজট, চা-নাস্তা, খেলাধুলা, টিভি দেখা, গল্পকরা ইত্যাদি দৈনন্দিন আনুষঙ্গিকতায় কমপক্ষে প্রতিদিন যায় ছয় ঘন্টা। সুতরাং মৌলিক কাজের সময় থাকলো প্রতিদিন মাত্র দশ ঘন্টা। অর্থাৎ পঞ্চান্ন বছর মানে সারা জীবনে মাত্র ২,০০,৮৯০ কর্মঘন্টা। তার ভিতর আবার প্রায় পঁচিশ বছর কেটে যায় লেখাপড়ায় অর্থাৎ প্রস্তুতিমূলক কাজে। অতঃপর মূলকাজের জন্যে থাকে ত্রিশবছরে মাত্র ১,০৯,৫৮০ কর্মঘন্টা। দশ বছর বয়স থেকে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে টিভি দেখলে মোট সময় যাবে ২১,৯১৫ ঘন্টা, যা জীবনের মোট কর্মসময়ের ৫ ভাগের এক ভাগ। সুতরাং কর্মের তুলনায় জীবনের পরিধি খুবই কম। আর তাই সময় নষ্ট করা মানে জীবনকেই ধ্বংস করা। আর তাই আল্লাহপাক সময় (আছর ) নামক সূরায় বলেন “ সময়ের কসম; নিশ্চয়ই সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত (যারা সময়ের মূল্যায়ন করেনা)।” সুতরাং আমাদের প্রতিটি মুহূর্তকে অত্যন্ত হিসেব করে কাজে লাগাতে হবে। আর এ জন্যে চাই একটি পরিকল্পিত রুটিন, আর গোছালো জীবন।

কিন্তু তা কখন থেকে? অবশ্যই এখন থেকে। কেননা প্রবাদ আছে, “সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়” ।আর জীবনে বড় কিছু করতে হলে তা শুরু করার এখনই উপযুক্ত সময়। কারণ, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) সমাজ সংস্কারে হিলফুল ফুযুল গড়ে তুলেছিলেন মাত্র সতের বছর বয়সে। আলী রা: সমগ্র আরবের বিরুদ্ধে রাসূলের সঙ্গী হয়েছিলেন এগার বছর বয়সে। নেপোলিয়ন ইটালী জয় করেছিলেন মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে। আইনস্টাইন ষোল বছর বয়সেই আপেক্ষিক মতবাদ নিয়ে প্রথম চিন্তা করেন যা পরবর্তীতে ছাব্বিশ বছর বয়সে প্রমাণ করেন। ১৯৩৫ সালে, নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্র সম্মেলনে দশম শ্রেনীর চৌদ্দ বছরের যে বালকটি তার বিশ/পঁচিশ মিনিটের ভাষনে সকল জাদরেল বক্তাকে মাত করে দিয়েছিলেন সাইত্রিশ বছর পর তিনিই হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। ১৯৩১ সনে সপ্তম শ্রেণীর যে ছেলেটি ‘বোম্বাই ক্রনিক্যাল ‘পত্রিকা আয়োজিত সারা ভারতবর্ষব্যাপী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হন তিনিই উত্তরকালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন হয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে যে ছেলেটি তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম কিশোর পত্রিকা ‘মুকুল’এর পাঠক নয় সম্পাদক হয়েছিলেন, তিনি হন পরবর্তীতে ইউনেস্কোর সম্মানজনক আর্ন্তজাতিক কলিঙ্গ পুরস্কার পাওয়া এশিয়দের দু’জনের একজন ডঃ আব্দুল্লাহ আল মুতি। সুতরাং আজ থেকেই শুরু হোক বিজয়ের অভিযাত্রা। চলো কবি তালিম হোসেনের ভাষায় আমরাও গেয়ে উঠি:

“আমরা জাতির শক্তি -সৈন্য, মুক্তবুদ্ধি বীর,
আমাদের তরে শূন্যে আসন জাতির কান্ডারীর।”

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

তারেক ফাহিম বলেছেন: জীবনের সবচেয়ে দামী জিনিসটি আমরা অপচয় বেশি করি।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

ঝিগাতলা বলেছেন: তারেক ফাহিম ভাই, একদম ঠিক বলেছেন।
আমাদের উচিত সময়ের সঠিক ব্যবহার করা

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: নবীজি যদি আরেকবার আসতেন তাহলে আমাদের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

ঝিগাতলা বলেছেন: আমাদের জন্য আবার আসবেন হযরত ঈসা নবী, আমাদের সঠিক পথে নিয়ে যেতে

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বারবার কারো পানে ফিরে চাহিবার নাইরে সময় নাই নাই

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২০

ঝিগাতলা বলেছেন: সময় তি এতোই বেয়াড়া? নাকি মানুষ?

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কবিগুরুর কথা :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

ঝিগাতলা বলেছেন: তাহলে তো মানতেই হবে.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.