![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
নভেম্বরের ২ তারিখ, ২০১৪তে কাটখোট্টা মেজাজ নিয়ে চেয়ারে হেলান দিয়েছেন জেটস্কেটার সাব্বির আহমেদ। কোন সাব্বির আহমেদ? ওই যে এজেন্টস অব ডি এর "শূন্য" গল্পে একজন পাওয়ার স্কেটারের কথা বলেছিলাম। মেজর তালহা একটা এক্সটেনশন ইউনিট করেছেন এজেন্টস অব ডি এর। জেটস্কেটার সাব্বির তারই প্রধান। যদিও এটা একটা চোখের আড়াল তবুও এজেন্টদের জন্যে একটা ব্যাকআপ।
মেজাজ খিটখিট করা স্বাবাবিক। প্রতিনিয়ত এখানে সেখানে নির্যাতন হচ্ছে। তবুও মেয়েরা মামলা করতে ভয় পায়। কিন্তু গত দুদিন ধরে এসব আশংকাজনকভভাবে কমে গেছে। উল্টো যাদের নামে মামলা আছে তারা শিকার হচ্ছে নৃশংস সব অবর্ণনীয় আক্রমণের।
বারিধারার শুনশান একটি বাড়ি। পুষ্পার শরীরে ক্রোধের আগুন জ্বলছে। সমাজের অনিয়ম আর সহ্য হচ্ছে না। ঘুরে ফিরে একটি মানুষই যদি এতোজনের কাছে নির্যাতিত হয় তাহলে আর কিছুই কি করার নাই? বারবার তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে এক শৃংখলের ভেতর। ভিডিও বের করার হুমকি দিয়ে সাত আট জন প্রতিদিন নির্যাতন করছে। তাই আজ রুখে দাড়াতে হবে ভেবে ব্লেড ফিট করেছে।
-হ্যালো বেইবি হরনি লাগছে আজকে।
--ইয়েস ইয়েস। তোমার নাম্বারটা হবে? তোম্যর রাতের রাণী হবো।
-আছে মানে? এই নাও।
এবং সেই রাতে সবার নাম্বার নিয়ে এক এক করে সবার একি হাল করলো। প্রত্যেকেই মারাত্নকভভাবে জখম হয়ে হাসপাতাল গেলো। ঘটনার তদন্ত শুরু হলো আরও পরে যখন একজনের মৃত্যু হলো। তদন্ত শেষে জেটস্কেটারকে বলা হলো এই ঘটনার মূল হোতাকে খুঁজে বের করতে। কিন্তু আসলে কোথায় পাওয়া যাবে খুনিকে?
পুষ্পার ভেতর খুন করার এক অদম্য ক্রোধ জেগে উঠেছে। বেছে বেছে সমাজের নরপশুদের টার্গেট ছিলো যেখানে তার সাথে যারা কামুক চোখে তাকানো মানুষদের কাউকে রেহাই বা ছাড় দেবে না সে। আজ যাদের জন্য তার এই অবস্থা তাদের প্রত্যেকের দুর্বিসহ জীবন বানিয়ে ছেড়েছে। এবং সামনে আরো অনেকের হবে এমন দশা।
আজকের টার্গেট একটা ইন্টারভিউ বোর্ড। সেখানে একজন অতিমাত্রায় নারীলোভী আছে যার কারণে অনেক মেয়ের জীবন ধ্বংস হয়েছে। পুষ্পা তার ব্যাগে ছুরি রেখেছে। সাথে একটা ম্যাগহুক আর একটা পিস্তল। পরনে সামার জ্যাকেট, ভেতরে টি-শার্ট আর জিন্স।
-মে আই কাম ইন স্যার?
-ও বিউটিফুল লেডি! কাম ইন।
প্রশস্ত একটা রুম। ধরতে গেলে পুরোদস্তুর একটা ফ্ল্যাট। মাঝখান থেকে থাই অ্যালুমিনিয়াম ডিভাইডার দিয়ে একটা অন্ধকার ঘর। ইন্টারভিউ বোর্ডের একজন হাঁ করে গিলছে তার সৌন্দর্য।
-এখানে কাজ করার ইচ্ছা আছে?
-নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবো।
-কিছু পেতে হলে তো কিছু দিতে হয়।
-তাই নাকি। দিতে হলে দেবো।
ইশারায় একমুহুর্তের ভেতর বুঝে গেলো কি করতে হবে। রুম খালি করে দিলো বাকিরা। শুধু রইলো পুষ্পা আর লোকটা।
-চলো।
-কোথায়?
-সামনের রুমটাতে।
লোকটা শাট খুলে ফেললো। লোকটার মেদভরা পেট দেখে পেট ঠেলে বমি উঠ আসতে চাইছে। এগিয়ে আসছে লোকটা। খপ করে ছুরিটা বের করে গরুর নাড়ি ভুঁড়ি ফালা ফালা করে দেয়ার মতো করলো পুষ্পা। কিন্তু ভূলটা করলো তখনি যখন হাতে রক্ত নিয়ে বের হতে যাবে। কোথায় পালাবে সে? তার অরিজিনাল ডকুমেন্ট যে ভাইবা বোর্ডের লোকেরা আগেই নিয়ে গেছে।
ঝনঝন শব্দে ২৫তলা বিল্ডিং এর একটা জানালার শাসি ভেঙে পড়লো। প্রায় উড়ে এসে নামলো নিচে পুষ্পা। এক শসাওয়ালার কাছ থেকে পানি চেয়ে হাত ধুয়ে নিলো।
-মেয়েটার ডিটেইলস জানা গেছে? পুলিশ কমিশনার ভ্রুঁ কুচকে তাকিয়ে আছেন।
-না। তবে ওর ডকুমেন্টস অফিসে আছে। জেটস্কেটার বললেন।
-আজ রাতে অপেক্ষায় থাকতে হবে।
পুষ্পা একটা কষ্টিউম বানিয়ে নিয়েছে। কালো। পিচ্ছিল। অন্ধকারে সহজেই মিশে যাওয়া যায়। সন্তর্পনে সেই ২৫তলার পেছনে এসে দাঁড়ালো। ঠিক যেখানটায় মার্ডার হয়েছিলো লোকটা সেই জায়গা বরাবর ম্যাগহুক ফিট করলো। সাঁই সাঁই করে উড়ে চললো।
জেটস্কেটার সাব্বির এখনো জানেনা মেয়েটার বিষয় আশয়, কোথায় থাকে। এমনকি নাম পর্যন্ত না। যে রুমে ডকুমেন্ট খুঁজতে যাবে সে রুমের আলো বাইরে থেকে জ্বালিয়ে সে সিকিউরিটি সহ ঢুকতে যাবে এমন সময় দরজা খুলে দেখে একটা কিম্ভুতকিমাকার মাস্ক পরা মেয়ে হাতে ফাইল নিচ্ছে।
-এই মেয়ে এই এতো রাতে এখানে কি!
আত্নরক্ষার্থে পুষ্পা কারাতে প্রয়োগ করলো। সাব্বির ঠেকালো। পিস্তল নিয়ে হাঁটু বরাবর গুলি করলো সাব্বিরের।
-আমার কি দোষ? আমি তো কিছু করিনি।
-পুরুষ সমাজের উপর আমার ঘৃণা আজন্ম।
-কি নাম তোমার? কে তুমি?
-আমি অদৃশ্যা। আমি কেউ নই।
বলেই ফাইলটা নিয়ে লাফ দিলো ১৭তলা থেকে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৮
রাগিব নিযাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। না অমন পাওয়ার নেই
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো প্রচেষ্টা।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩১
রাগিব নিযাম বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: পুষ্পের কি সুপার পাওয়ার আছে?
প্রচেষ্টায় শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল