![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
অদ্ভুত অজানা আশংকা মনে ভর করেছে। যদিও এই মফঃস্বলে সব কিছু ছেড়ে আসাটা ভালো ছিলো। স্বামী ও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সেই ২৫ বছর আগে ঢাকা ছেড়ে ময়মনসিংহে চলে আসাটা এখনো মনে পড়ে। পাড়ার ত্রাস বলে খ্যাত আজমলের কুদৃষ্টি এড়াতে এভাবে চলে আসাটা অনেকটুকু যুক্তিসংগত ছিলো কিনা বোঝা যায়না। তবুও, এখন নিরাপদ জীবন মানেই সবকিছু থেকে দুরে।
এই গল্পটি যখন লিখছি, নাদিয়া হুসাইন চুয়াল্লিশে পা রাখা এক নারী। ২৬ বছর আগে তিনি আজমল নামে এক নরপশুর ইভটিজিং এর শিকারে বাধ্য হয়েছিলেন বিয়ে করতে। তার কোন কিছুর অভাব ছিলোনা। অন্ততঃ বাবা মার ধন দৌলতের প্রাচুর্যে তার জীবন কেটে যেতো। নাদিয়ার একমাত্র ছেলে মাশফিক। যৌবনে পা রাখা উচ্ছ্বল অস্থির প্রকৃতির ছেলে। আজ সেই কিনা চাকরি করে থাকছে আজমলের এলাকায়।
পৃথিবীতে দুধরণের মানুষ আছে। যারা খারাপ হয়ে জন্মায় আরেক জন খারাপ হতে বাধ্য হয়। আজমল হচ্ছে সিস্টেমে থেকে খারাপ কাজ করার মতো মানুষ।
-পশ্চিম বাজারের সাইদুর টাকা দিছে?
-না বড়ভাই।
-'ফালাই দে' কথাডা আমারে কওন লাগবো?
মাশফিক সবে পড়ালেখা শেষ করেছে। তার কাছে মেধা যা আছে তা দিয়ে মোটামুটি সব ধরণের সেক্টরে জবের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবে। আজকে হিম ঠান্ডার ভেতর বের হয়েছে একটা ইন্টারভিউ দিতে যেতে হবে বলে।
-মামা যাইবা?
-ওই চল। মাস্তানগোছের একজন মাশফিকের আগেই রিকশায় উঠে রিকশাওয়ালার পিঠে বাড়ি মেরে বসলো।
-এক্সকিউজ মি! আমি আগে কথা বলেছি। আমার দরদাম করা রিকশায় আপনি উঠতে পারেন না।
-কি কইছত?
নেমে মাশফিকের মুখোমুখি দাঁড়ালো। তারপর চোখ পাকিয়ে বললো আবার,
-কি কইছত আবার ক?
-আমি দ্বিতীয়বার উচ্চারণ করি না।
দড়াম করে ঘুষি এসে পড়লো মাশফিকের মুখ বরাবর। ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটে বেরিয়ে এলো মুখ দিয়ে। হাতের তালুতে না মুছে ধুপ করে কারাটে স্টাইলে হাত বাড়িয়ে দিলো মাশফিক। ছিটকে দু গজ সামনে গিয়ে মাটিতে পড়লো লোকটা।
-মামা চলো।
অফিসে বসে আছে আজমল। গম্ভীর মুখে ডেস্কের ওপাশে লোকটার দিকে তাকিয়ে আছে।
-তরে যে মারছে তুই কিছু করতে পারলিনা?
-হের এক ঘুঁষিতেই কাইত হইয়া পড়ছি। মারুম কেমনে।
-চোপ! খুঁইজা বাইর কর। নিয়া আন আমার সামনে।
মাশফিকের খুব ইচ্ছা প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশনের। তবে তার আগে অবশ্য তার একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এর আন্ডারে কাজ করা চাই। তাই সে আজ যেখানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছে সেটা ডিবির একটা কার্যালয়ে।
-মাশফিক, বলুন কেনো আপনার এই লাইনে ঢোকার চিন্তা হলো?
-গোয়েন্দাগিরি আমার নেশা। আমি মন প্রান দিয়ে এটা করতে চাই।
-গুড উই আর ইম্প্রেসড। তো আপনি কি জবটা করতে চান?
-অবশ্যই।
তারপর বাকি সব পেছনে। সেদিনই মাশফিককে আ্যসাইনমেন্ট দেয়া হলো আজমলের এলাকার উপর নজরদারি করার জন্য।
-দে আর ভেরি মাচ আ্যাক্টিভ অন স্মাগ্লিং। চাঁদাবাজি আর রাহাজানি ও মারাত্নক। এইস কিছুর মূল হোতা আজমল।
-সো লেট'স আ্যাম্বুশ।
রাত ১২টা। বিশাল শান বাধানো পুকুর ঘাট। দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকেছে তিন চারজন।
-ঠুশ!
-গুলি আসছে ওদিক থেকে।
-সাবধান অনেক সাবধান থাকতে হবে।
তারপর লোক গুলো ভেতরে ঢুকলো বাড়ির। খুব সন্তর্পণে এগিয়ে যেতে চেয়েও এগোতে পারছেনা কারণ দুদিক থেকে অনবরত গুলি বৃষ্টি হচ্ছে।
বাড়ির ভেতর দিকটায় আজমল বাসা গেড়েছে। তাই বুদ্ধি করে এসকেপের জন্য পেছন দিকে দরজা বানিয়েছে। তবে আজমল এতোটা কাপুরুষ নয় যে লড়াই করবে না। একটা একে-৭২ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করলো। ততোক্ষণে কমান্ডো ট্রেনিং প্রাপ্তরা সব চ্যালাকে খতম করে দিয়েছে।
আজমল বুদ্ধি করে সামনের দিকে এসে গুলি করতে চাইলো। ততোক্ষণে জেটস্কেটার সাব্বির ক্রল করে বাউন্ডারির ভেতর এসে আজমলকে দেখতে পেলো। সাথে সাথেই ট্রিগার টিপে দিলো। আজমল পুকুরের পানিতে পড়ে গেলো। কিন্তু ডুবুরি দিয়ে তাকে খুজে পাওয়া গেলো না।
আজমল মারা যাওয়ার দুদিন পর সেই জায়গায় একটা অদ্ভুত জিনিস ঘটলো। দিনের আলোয় পস্ট দেখা গেলো ফোস করে কিছুক্ষণ পর পর পানি উঠছে। সাব্বির ল, মাশফিক সহ আরো অনেকে সেই জায়গায় এলেন এবং ঘন্টাখানেক থাকার পর টের পেলেন কিছু একটা পুকুরের পানি থেকে উঠে আসছে।
কিম্ভূত দর্শন জন্তু গায়ে অসংখ্য ফুটো। তার ভেতর থেকে পানি বের হয়ে আসছে।
-কে তুমি?
-আমি? জলদানব.....
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
রাগিব নিযাম বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: +++