![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
-আরে খাচ্ছো না কেনো?
-উঁ উঁ উঁ।
-বাবা খাও।
-না!
-দেখো যদি না খাও তাহলে বস্তা পাগল চলে আসবে।
-গররর...
দৌড়ে গিয়ে শিহাব কার্বাডের ভেতর লুকোয়। তার মা খুঁজতে হয়রান হয়ে গেলেন। নাসরিনের একমাত্র ছেলে শিহাব। স্বামী ব্যবসায়ী। কাল ছেলের জন্মদিন অথচ ছেলের আজ অদ্ভুত আচরণে কেমন জানি লাগছে। ছেলেকে খুঁজতে কার্বাডের সামনে এলেন। অথচ ছেলে এদিকে এসেছিলো কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একটু করে কার্বাডের দরজা খুলে দেখলেন ভেতরটা। খালি কাপড়। হঠাৎ একটু উপরে তাকালেন। কাপড় যেখানে টাঙ্গানো হ্যাঙ্গারে সেখানে তাকিয়ে ভালোভাবে লক্ষ্য করলেন কাপড়ের পাড়ের রংয়ের শেষ প্রান্তটা একটা ছোট্ট মানুষের মাথার আকৃতি ধারণ করে। এক সেকেন্ড হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে রইলেন। তার খানিক পরেই জ্ঞান হারালেন।
এ ঘটনাটি ঘটে আজ থেকে সতেরো বছর আগে। শিহাব এখন ভাগ্যদোষে বস্তিতে। তার বাবা মাকে সেদিনই রাতে এক প্রতাপশালী নেতা লোকজন পাঠিয়ে খুন করে। ভাগ্যক্রমে শিহাবের রং ও অবয়ব পাল্টানোর অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। তাই সেদিন খুনের সময় শিহাব অদ্ভুতভাবে ডাইনিং টেবিলের তলটায় লেপ্টে গিয়েছিলো। এই অদ্ভুত ক্ষমতার জন্য তাকে আশেপাশের সবাই বর্ণচোরা ডাকতে শুরু করে।
সেই বাড়িটার কি হলো? প্রভাবশালী নেতা সেই দোতলা বাড়িটাকে হেডকোয়ার্টার বানায়। শিহাব তার অতীত ভোলেনি। বুঝে নেয় কিভাবে তার ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিয়েছে নেতা।
এবং সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে ঠিক যে সময়টা দেশে ক্রিটিক্যাল একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কথায় আসা যাক, প্রভাবশালী নেতার নাম নাসির। খুব বড়সড় ধরণের দাঁও মেরেছে যৌবনে। তার সেই দাঁও মারাতে ফেলে ফুঁপে উঠেছে ব্যবসাপাতি। চালের আড়তটা খুঁজে পেয়েছে বর্ণচোরা। এক রাতে ঢুকে বস্তাগুলো ফুটো করে দিলো।
-কেডা করছে এই কাম?
-স্যার ঠিক জানিনা।
-খুইজা বাইর কর।
সেদিন রাতে অদ্ভুত কান্ড ঘটলো। নাসিরের বাসার পাশ দিয়ে যেই বিশাল মাঠটা ছিলো তাতে হঠাৎ করে বিকট বিস্ফোরণ হয়ে ধ্বস নামে। তারও কিছুদিন পর নাসিরের নতুন কেনা পাজেরো অল্প সময়ের জন্য বেচে যায়। একটা লরি ট্রাক এসে ঠিক দু ইঞ্চি ফাক থাকতে পাশ দিয়ে চলে যায়।
এসব প্রত্যেকটি ঘটনার সাথে বর্ণচোরা ওরফে শিহাব জড়িত। সে চেয়েছিলো আস্তে আস্তে নাসিরকে ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলতে। তবে সে খুনোখুনিতে জড়াতে চায়নি। কিন্তু একদিন...... মস্ত এক ভুল করে বসলো। নাসিরের ঠিক মূল জায়গায় আঘাত করার প্ল্যানে একজন চলে আসলো।
শিহাব যেদিন নাসিরের মার্কেট এ একটা ভয়াবহ বিস্ফোরণের প্ল্যান করেছিলো সেদিন সে জানতো না যে একজন মন্ত্রী আসবে উদ্বোধন করতে। এবং সেই মারাত্নক ভুলটা সেদিনই হলো। মন্ত্রী থেকে দশ গজ দুরে বিস্ফোরণ হলো। যেখানে প্ল্যান মোতাবেক কারো ক্ষতি হওয়ার কথা ছিলো না, সেখানে দুজন প্রচন্ড আহত হয়ে হাসপাতালে যায়। পরদিন একজন মারা যায়।
বিষয়টা সরকারের নজরে আসে। বর্ণচোরাকে ধরিয়ে দিতে হুলিয়া জারি করা হয় এবং মন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ায় আর একটি মামলা করা হয়। এতে ক্ষেপে যায় বর্ণচোরা। প্ল্যান করে নেতাকে খুন করার।
সেই রাত......
আকাশের দিকে তাকিয়ে মা কে খুজছিলো শিহাব।
"মা আজ তোমার খুনিকে খুন করবো।"
ঠিক রাত বারোটার কাটা ছুলো।
আস্তে আস্তে দেয়ালের সাথে লেপ্টে গিয়ে ঢুকে গেলো নাসিরের বাড়ির ভেতর। নাসির হিসাব নিকাশ শেষ করছিলো। এমন সময় খেয়াল করলো অদ্ভুত কি একটা দেয়াল থেকে খুব সাবধানে নেমে আসছে। ঘ্যাচ করে নাসিরের গলায় ছুরি বসিয়ে দিলো।
-কে কে তুমি?
-আগে বল আমার বাবা মাকে তুই খুন করেছিস কেনো?
-আমি না। ঐ মন্ত্রীই খুন করিয়েছে। কিন্তু কেকে তুমি?
-আমি? বর্ণচোরা......
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
রাগিব নিযাম বলেছেন: ধন্যবাদ সাথেই থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
ডরোথী সুমী বলেছেন: একটু অন্যরকম গল্প। ভাল লেগেছে। সাথে থাকার চেষ্টা করব। ভাল থাকুন।