নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের খলেরা-সাইকো সায়েন্টিস্ট(গল্প সিরিজ)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২০

শো কেসে সাজানো থরে থরে টুর্ণামেন্ট কাপ, অ্যাকাডেমিক শিল্ডস। ছেলে হওয়া উচিত তো এমনই। যদিও ছেলে বলিহারি ট্যালেন্টেড তারপরও মা আয়েশা খানম ভয় পান একমাত্র ছেলে না জানি কারো ফাঁদে পড়ে। এই ছেলে সোনার টুকরা একটা। বাইরের দেশ থেকে বায়োটেকনলজি থেকে এমএসসি পাশ করে এসেছে। এখন পিএইচডিতে আছে। এখন যদিওবা বিভিন্ন কোম্পানীতে ডাকছে। তবু মনমতো ইচ্ছা তার নিজের কিছু করা। কোটিপতির ছেলে, সামান্য ইনভেস্ট করে বড় কিছু করতেই পারে। তবে তার আগে রিজার্ভ মানি দরকার। তাই একটু চাকরি বাকরি করা।

ইকবাল আজ পরিপাটি হয়ে এসেছে। কেএম কর্পোরেশনের সাথে তার মিটিং। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে কাছে টেনে ধরতে কেএম যথাসাধ্য ব্যবস্থা করছে। তবে এই বিষয়টাতে মতানৈক্য আসায় তারা আজকে সমঝোতা করতে চাচ্ছে।

-ইটস আওয়ার প্লেজার টু মিট ইউ অ্যাগেইন মিঃ ইকবাল।
-মাইন টু।
-দেখেন আপনার রয়্যালটি আমরা বুঝি। এই ফর্মূলাটা আপনি দিলে আমরা মানবকল্যাণে এগিয়ে আসতে পারবো। আপনি যদি চান তো আপনাকে শেয়ার দেবো এবং আজীবনের জন্য আপনি বডি অব গভর্নেন্স এ জায়গা পাবেন।
-ওকে সো এগ্রিমেন্ট?

ইকবাল ঘুণাক্ষরেও জানতো না যে তার জীবনে নরক নেমে আসতে চলেছে। তার জীবনে মারাত্নক ভূলটি সে করে ফেলে যখন সে এগ্রিমেন্টে সাইন করে ফেলে। তাতে লেখা ছিলো-
¤আমার যতো ফর্মূলা আবিষ্কার হবে তার ভেতর কেএম এর অংশীদ্বারিত্ব থাকবে।
¤মৃত্যু পর্যন্ত আমি কেএম এর সিনিয়র সায়েন্টিস্ট হিসেবে বিনা বেতনে কাজ করবো।
¤কোন ক্ষয়ক্ষতির সাধন হলে আমি ব্যাক্তিগত সম্পত্তি থেকে জরিমানা প্রদানে বাধ্য থাকবো।

তার পরের সপ্তাহেই তার উপর খড়্গ নেমে এলো। ইকবালকে তার এগ্রিমেন্ট দেখিয়ে বাধ্য করা হলো খাটতে। এতে ইকবাল গেলো ক্ষেপে। বানিয়ে ফেললো এমন একটা রোবোটিক ডিভাইস যা দিয়ে কেএম কর্পোরেশন এর সকল টপ লেভেল ম্যানেজমেন্ট অফিসারের সাইন নকল করে ফেলা যায়।

দু সপ্তাহের মাথায় ধরে ফেললো গোটা কর্পোরেশন এর ভিত। নাড়া দিলো ভিতরকার অংশ ধরে। পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নিয়ে ফেললো। এরপর আরো লোভ পেয়ে বসলো। সরকার পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় কব্জা করতে পারলো না তাকে। তবে পেছনে ফেউ লাগিয়ে দিলো। কিন্তু কিছুই করতে পারলো না।

এসব কিছুই ঘটছিলো ঠিক তখনই যখন শেয়ার বাজার চাংগা ছিলো। তৈরি করে ফেললো মৃত মানুষদের ভেতরে নকল মানুষ। ছেড়ে দিলো মার্কেট এ। ধরে ধরে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কব্জা করে ফেললো। ২০১০ এর প্রথম দিকে টার্গেট করে ফেললো বড়গুলোকে। ইনশিউর ইন্স্যুরেন্সকে কব্জায় আনলো। এরপর চেপে ধরতে গেলো হেক্সা কর্পোরেশনকে। বাগে পেলো না।

আ্যনুয়াল মিটিং এ শেয়ার হোল্ডারদের ভেতর চুপিসারে ঢুকে সেই রোবোটিক ডিভাইস ছেড়ে দিলো। সুযোগ বুঝে হেক্সার চেয়ারম্যান ও এমডি পালাতে চাইলো। কিন্তু টিম নিয়ে বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলো ইকবাল।
-সাইন প্লিজ। না হয় মারা পড়বেন যে।
-হু আর ইয়ু?
-আই আ্যম? সাইকো সায়েন্টিস্ট ইকবাল।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একদিন সময় করে সিরিজের সব কয়টা পর্বই পড়বো আশারাখি ভ্রাতা।

হ্যাপ্পি নিউ ইয়ার !:#P !:#P !:#P

০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৩

রাগিব নিযাম বলেছেন: আপনি পড়তে পড়তে আমার দুইটা ধারাবাহিক রানিং চলতেছে :p

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.