নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহিক উপন্যাস: বাংলাদেশের অতিমানবেরা s02(অধ্যায়-১, পর্ব-৬)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৯

২০১২ সালের ১১ফেব্রুয়ারি। পশ্চিম রাজাবাজারে ঘটে গেছে মর্মান্তিক হত্যাকান্ড। খুন হয়ে গেছেন সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতি। মেঘ সকালেই নানিকে ফোন করেছে।

দাফন কার্য শেষ করার পর ....


-বস কাজ শেষ। এইবার বর্ডার পার হইতে দেন।
-সব কিছুই প্রস্তুত। তোগো টিকেট টাকা পয়সা সব রেডি। সব প্রমাণ মুইচ্ছা ফালাইছি। অহন তোরা যাইতে পাতস। পুরা সেইফ।

আফজল(কল্পিতভাবে সাগর রুনির খুনির নাম দিলাম) তার জীবনের শেষ- সাগর রুনিকে খুন করে দেশ ছাড়ছে। ব্যচেলর তাই ফ্যামিলির তাড়া নাই। তার উপর ত্যাজ্যপুত্র। তার উপর সে তার মা ও বাবার সন্তান নয়। তার বাবা কোন পতিতার সাথে অনেকদিন শুয়েছে সেই বেশ্যার পেটে জন্ম হওয়ার পর আফজলকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেছে।

এরকম আরো পাঁচজন দেশ ছাড়ছে। কারণ একটাই, নেতাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাখতে হবে। তাই তাদের সুবিধার্থে বর্ডার ক্রস করার সকল রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কয়েক ঘন্টার ভেতর যে তাদের জীবনে নরক নেমে আসবে তা তারা জানতো না।

দম্পতি পুত্র মেঘের এক দুঃসম্পর্কের ফুফাতো ভাই জাহিন ইদানীং টেলিপ্যাথি ও টেলিকিনেসিস নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। তার সাথে সায়েন্টিফিক আ্যবসরবমেন্ট অফ হিউম্যান লিভস এর উপর গবেষণা করছে। এই বিশেষ পদ্ধতি দিয়ে নার্ভ সিস্টেম অকেজো করে পঙ্গু করে দেয়া যায়।

চেকলিস্ট থেকে আজ শিডিউল অনুযায়ী লেভেল থ্রি কমপ্লিট করতে হবে। তবে পদ্ধতিটা অনেক জটিল। এই লেভেলে একজন মানুষের মগজের ভেতর ঢুকে যেতে হবে।

-বুয়া জাহিনের রুমে এক গ্লাস ডিটারজেন্ট লিকুইড রেখে আসো। আ্যই জাহিন তোর লাল শরবত নিয়ে যা বাবা।
-মা আসছি।

রুমে ঢুকে কনফিউজড হয়ে গেলো জাহিন। দুই গ্লাসেই লাল তরল।

একটা তুলে নিলো।

এক ঢোক ঢুকতেই মনে হলো পেটের ভেতর জলন্ত কয়লা ছেড়ে দিয়েছে কেউ। খক করে বমি উগরে দিলো।

সিড়ি বেয়ে দৌড়ে নিচে এলো। একটা গাড়ি হাত দিয়ে ইশারায় দাঁড়াতে বলে অবাক হয়ে গেলো। একি দেখছে সে? সব যান চলাচল এক নিমেষে বন্ধ হয়ে গেছে। একটার ভেতর ঢুকে ডিএমসিতে যাওয়ার নির্দেশ দিলো। সিএনজিওয়ালা বোকার মতো হা করে তাকিয়ে থাকলো। কেমনে চলবে? তার ডানে বামে সামনে পেছনে যে সব অচল হয়ে পড়েছে। খটাৎ করে একটা শব্দ হতেই তার গায়ের রক্ত হিম হয়ে গেলো। সাথে জাহিনেরও। কারণ জাহিন শুধু মানুষ নয় যন্ত্রও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে।

ডিএমসিতে নামিয়ে দেয়ার সাথে সাথেই আ্যাডমিট হলো আ্যবডমেন ওয়াশ ইউনিটে।

জ্ঞান ফেরার পর জাহিন পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। হঠাৎ মনে পড়লো তিনদিন আগের কথা তার মামা-মামীকে খুন করা হয়েছে। ক্রোধে ফেটে পড়তে চাইলো তার চারপাশ। সমাজের অন্যায় অবিচার আর সহ্য হয় না।

দ্রাম করে জানলা সব বন্ধ হয়ে গেলো কেনিনের। কাচ গুলো ফেটে পড়লো।

দ্রুত ছুটে এলো নার্স, ইউনিট বয় সহ সবাই। সিরিঞ্জ গুলো খুলে দৌড়ে চলেছে রাস্তার দিকে। সিকিউরিটি এলো এক হাতের ইশারায় ঝটকা দিয়ে সরিয়ে দিলো।

তার ঠিক দুদিন পর সাগর রুনির খুনি আফজলের সতীর্থ জামালের ফোনে একটা কল এলো।
-হ্যালো কে বলতাছেন?
-সাগর রুনির খুনিদের খুনি। পাশের রুমে আয়।

পাশের রুমে এসে হতভম্ব হয়ে গেলো সে।

এযে জসীম! কিভাবে খুন হলো?
-এভাবে?
ভড়কে গেলো জামাল!
মাথার চারপাশে যন্ত্রনা শুরু হয়েছে।

-আ আ আ। চিৎকার করে চলেছে জামাল।

তার মনের সবটা পড়ে চলেছে জাহিন।
-আ্যাই তুই কেডা? আমার এরাম লাগতাসে ক্যান।

মড়াত!

ধড়টা ফেটে পড়লো। মগজ ছিটকে চারপাশে ছড়িয়ে গেলো।

-আমি স্নায়ু নিয়ন্ত্রক। দ্য মাইন্ড কন্ট্রোলার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.