নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহিক উপন্যাস: বাংলাদেশের অতিমানবেরা s02(অধ্যায়-১, পর্ব-৮)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

২০০৯ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি। দুদিন আগেই ঘটে গেছে পৃথিবীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ। বিডিআর ইতিহাস কালিমায় ভরে গেছে। সেনাবাহিনীর ভেতর থেকে চলে গেলো অমূল্য রত্নগুলো। কিন্তু এমন কেউ কি বেচে ছিলো যার কারণে হত্যাকারীদের এই হত্যাযজ্ঞ বুমেরাং হয়ে ফিরে যাচ্ছে তাদের কাছে? আজো অনেক খুনির খোজ পাওয়া যাচ্ছে না। কেনো যাচ্ছে না, কেউ জানে না।



২৭ শে ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই রাঙ্গামাটির সেনা ঘাটিতে একটা কল আসে। মেজর আফনান নামে একজন বেচে পালিয়েছেন পিলখানা থেকে। হইচই বেধে গেলো। কি হলো কি হলো? জানা গেলো সেদিন তিনি ল্যাবে বসে ছিলেন একটা কাজে। ওয়েভ ওভার দ্যা এয়ার প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়েছিলেন পিলখানায়। পরে অজ্ঞাত সেই হত্যাকারীদের গুলির আঘাতে প্রজেক্টের রেডিয়েশন কিউব ফেটে যাওয়ায় নিউক্লিয়ার হিট এসে পড়ে তার গায়ে। আফনানের মৃত্যু হয়েছে ভেবে হত্যাকারীরা আর এগোয়নি ল্যাবের দিকে।



কিন্তু এমন কিছু কি হয়েছিলো যে আফনান অন্যরকম চুপচাপ হয়ে যায়? বেচে ফেরার পর থেকে আজ পর্যন্ত সে মাথায় ইয়া বড়ো হুড ও ক্যাপ পড়ে বেরোয়। এমনকি প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটুও কথা বলে না। না সাব অর্ডিন্যান্স ডিভিশন এর কেউ ভয়ে তার কাছে আসে না, না উর্ধ্বতন কেউ তাকে রুমে ডাকে।



-আফনান হত্যাকান্ডের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন মেডিকেল টেস্ট দেননি।

-তো?

-আপনাকে টেস্ট দিতে হবে কিছু। কোনো ধরণের হিস্টিরিয়া, ট্রমা থাকলে সেটা কিউর করানোর চেষ্টা চালানো হবে।

-আই আ্যাম ওকে। নো নিড টু টেস্টিফাই।



আজ ২০১৩ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি। রাত বারোটার কাটা পেরুবার সাথে সাথেই আফনান বেরিয়ে পড়লো ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে। ছুটি নিয়ে বাসায় যাচ্ছে সে। সিভিল এরিয়াতে ঢোকার সাথে সাথে সে খেয়াল করলো যে ফেউ লেগেছে। সোজা মিরপুরের দিকে একটা রিকশা নিলো। ২ নম্বর রোড আসতেই হুট করে নেমে গেলো। অন্ধকার একটা গলিতে ঢুকে আড়াল নিলো।



-আরে কই গেলো?

-দেখ এইটারে আজকে না মারলে মিশন শেষ হবে না। তিন বছর ধরে ঘুরছি। আর প্ল্যান তোমার তুমি জানো।

আরে তোমরা থামবা? আমি শেয়ালটাকে খুজছি। আর এরা আর্গুমেন্ট এ জড়িয়ে যাচ্ছে।



কথাগুলো শুনে আফনান মুচকি হাসলো। হাত গুটিয়ে প্রশস্ত করলো। তারপর...



-এইতো আমি এখানে। আমাকে খুজছিলে?

-আরে ঘুঘু দেখি এখানে।

-শুধু কি ঘুঘু একটা?

-মানে?



"এইযে"...



এরপর যা দেখা গেলো তা বর্ণনাতীত। আফনান একটা নয়, দুটো নয়। দশে দশে, শতে শতে বেরিয়ে এলো।



-ক্কে কে তুই?



-আমি কপিমাস্টার....

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
দারুণ লাগল। :)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৫

রাগিব নিযাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.