![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
আজ বুধবার।
একটা প্রশান্তির ছায়া লেগে আছে আফনানের চেহারায়। ঘুমিয়ে আছে সে বিছানায়। কিন্তু জানে না আজ ভয়ংকর একটা কান্ড ঘটতে যাচ্ছে তার বাসায়। ২০০৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর হত্যাকান্ড তার জীবনে যে বিভীষিকা নিয়ে এসেছিলো ঠিক একই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে তার খুন করার জন্য ওত পেতে থাকা খুনিদের জন্য।
ওদিকে সূত্র ধরে ঠিকই আফনানের বাসার সামনে হাজির দ্য নার্ভ কন্ট্রোলার জাহিন, যন্ত্রমানব ও গোয়েন্দা শামীম।
-গেট কাভার। কেউ আসছে। শামীম বললেন।
যন্ত্রমানব ও জাহিন আলাদা হয়ে পড়লেন। দশ জনের একটা দল চুপি চুপি আফনানদের বিল্ডিং এর ভেতর ঢুকে পড়লো। সামনাসামনি একটা বিল্ডিং থেকে তাদের লুকিয়ে দেখছে শামীমরা।
-উজি সাব মেশিন? পাগল নাকি?
-ব্যাকআপ হিসেবে রাখার চিন্তা বোধহয়।
-জিম্মি টিম্মি করার ইচ্ছা নাকি আফনানকে? আমার তো তাই মনে হচ্ছে।
-হতে পারে।
ক্লিক!
দরোজাটা খুলে গেলো এক নিমেষে। লকটা খুলে ফ্রণ্টের লোকটা সামনে বাড়লো। লিভিং রুমের পাশেই আফনানের মা-বাবার বেডরুম। তার পাশেই আফনানেরটা। নবে হালকা মোচড় দিয়েই দরোজা খুলে ফেললেন সামনের দুজন। মেশিনগান তাক করে রাখলো ঘুমন্ত ভয়ংকর আফনানের দিকে। পাশের রুমে তিনজন ঢুকে তাক করলো তার মা বাবার দিকে। জেগে উঠেই ভিরমি খেয়ে উঠলেন আফনানের বাবা।
চোখ মেলে আফনান দেখতে পেলো তার রুমে দুজন বন্দুকধারী। শিউরে উঠলো সে। চোখ বন্ধ করে ভাবলো, না। তার নাম কপিমাস্টার। মুহুর্তেই দশজনে ভাগ হয়ে গেলো। দুজন মার্শাল আর্টস ট্রেনিং প্রাপ্ত মানুষের সামনে নিরীহ দশজন মানুষ কিছুই না। কিন্তু দশজন কমান্ডো ট্রেনিং প্রাপ্ত মানুষ মানে অনেক ভয়াবহ ব্যাপার।
সাই সাই করে চারটা আফনানের কপি হয়ে গেলো। এখন চৌদ্দটা আফনানের ভেতর আরো চৌদ্দটা আফনান যোগ হলো। ধুপ করে একটা শাওলিন কিক ঝেড়ে দিলো আফনানের প্রথম কপিটা সামনের লোকটাকে। উব্বুয়া করে আওয়াজ হলো। ঠং করে লোকটা বাড়ি খেয়ে থাই আ্যালুমিনিয়াম এর গ্রিলে বাড়ি খেলো। পরেরজনের ও একই দশা হলো। অপরদিকে আফনানের বাকি কপিগুলো ফাইট শুরু করে দিয়েছে। লোকগুলো বুঝতে পেরেছে যে তারা ভয়ানক এক ফাদে পড়েছে। ২০০৯ সালের প্রতিশোধ আজই যে নেয়া হয়ে যাচ্ছে তা হাড়ে হাড়ে টের পেলো কুচক্রীরা। বিডিআর পিলখানায় তারা যেভাবে খুন করেছিলো সামরিক অফিসারদের, তার চেয়েও ভয়াবহভাবে নৃশংস অবস্থায় তাদের খুন হতে হচ্ছে।
দড়াম করে পাখার সাথে বাড়ি খেলো শেষ লোকটা। পিলখানার প্রতিশোধ নিয়ে নিলো আফনান। লাশ গুলো সরাতে তার সব ক্লোন একযোগে নেমে পড়লো। রাস্তায় ফেলে দিয়ে সব আফনানের ক্লোন আসল আফনানের ভেতর মিশে গেলো। দরোজা বন্ধ করতে যাবে এমন সময় যন্ত্রমানব বাধা দিলো।
-দাঁড়ান। আমরা মেটাহিউম্যান আ্যান্ড কমান্ডো আ্যালায়েন্স প্রজেক্ট থেকে এসেছি।
-তো? আমি কি করতে পারি?
দ্যা নার্ভ রিডার জাহিন হঠাৎ সামনে এসে চুপ হয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো। তার সেই চোখে কি ভাষা ছিলো তা শুধু আফনানই বুঝে নিয়েছে।
-ওকে আই আ্যাম ইন।
(অধ্যায়-১ এর শেষ পর্ব লিখে একটু বিরতি দিচ্ছি। আগামী অধ্যায় একটু অন্যরকম হবে। তাই আগের পর্বগুলো পড়া না থাকলে পেছনের পোস্ট গুলো পড়ার অনুরোধ রইলো।)
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪০
সুদীপ্ত সরদার বলেছেন:
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১১
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫১
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: