![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
মেটাহিউম্যান আ্যান্ড কমান্ডো আ্যালায়েন্স প্রজেক্ট(macap) এর গোপন মিশনের একটা অংশ হিসেবে অতীত সময়ের ঐতিহাসিক সমরনায়ক, যোদ্ধা এবং লোকমুখে ফেরা চরিত্রগুলো ঘেটে বের করার নির্দেশ এসেছে উপর মহল থেকে। কিন্তু কেউ বুঝে উঠতে পারছে না এর মানে কি? নাম এসেছে এমন কিছু মানুষের যাদের অতীত থেকে টেনে আনতে হবে।
-কিভাবে সম্ভব?
-টাইম ট্রাভেল। যন্ত্রমানব বললেন।
-এইটা দেখেন। রানার। খুব একটা অতিমানবীয় শক্তি না থাকলেও এর ঘন্টা প্রতি দশ মাইল দৌড়ানোর ক্ষমতা আছে। রণিন বললো।
-সমস্যা নাই। আমি আর শরীফ ভাই ল্যাবে এক্সপেরিমেন্ট চালাবো। সেকেন্ডে পঞ্চাশ মাইল দৌড়াবে।
-এখন?
-এখানে দেখাচ্ছে যে পথে আব্দুর রহিম যাচ্ছে সেই পথে সে খুন হচ্ছে। সুতরাং টাইম ট্রাভেলারে আমাদের আগেই পৌছাতে হবে।
প্রত্যেকের দু হাতে দুইটা করে টাইম সুইংগার। মেশিন চালু করে দিলেন যন্ত্রমানব। চুইইই করে আওয়াজ শুরু হলো।
-নাউ!
ধাম করে ছিটকে পড়লো রণিন উনিশশো শতাব্দীর বাংলার মাটিতে। রে শালা। একটু পর যন্ত্রমানব। চল্লিশটা মিনি নেটওয়ার্ক স্প্লিটার আ্যাক্টিভেট করে দিলেন। বলা যায় না আবার কখন আসতে হয়। একবিংশ শতাব্দীতে কন্ট্রোলার যারা আছে তাদের সাথে কথা বলার জন্য এই নেটওয়ার্ক সেট আপ এমনিই করতে হতো।
আব্দুর রহিম জমিদার বাড়ি থেকে তার কাজ সেরে ঘরে ফিরছে। এমন সময় দেখলো দশজনের একটা দল।
-এই দাড়া।
-কে আপনারা? অমন করে পথ আগলে রেখেছেন কেনো?
-তোকে মারার জন্য।
-তা আর হবে না বোধ করি। আমরা এসে গেছি। পেছন থেকে যন্ত্রমানব বলে উঠলেন।
আঠারোশো শতকের লোকজন দেখলো অদ্ভুত দর্শন দুজন লোক তাদের বাধা দিচ্ছে। একজনের গায়ে ধাতব বর্ম আরেকজন আকাশে উড়ছে। যন্ত্রমানব দু হাত সামনে বাড়ালেন,
-ছেড়ে দাও নাহলে...
-নাহলে কি?
সাইই করে হাত থেকে দুটি মিনি মিসাইল ছুটে এলো যন্ত্রমানবের কাছ থেকে। পাশের ঝোপটা বিস্ফোরিত হলো। লোকগুলো ছুটে পালালো।
-রানার। আমরা ভবিষ্যৎ থেকে এসেছি।
©somewhere in net ltd.