নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের অতিমানবেরা: s02 অধ্যায়-২, পর্ব-৭

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪

প্রিয় সুষমা,
জানি আমাদের সম্পর্কটা ঘরে কেউ মেনে নেবে না। বাবার অগাধ সম্পত্তি থাকার কারণে আমি অসহায়। কেনো জানো? কারণ একমাত্র ছেলে হিসেবে আমাকে বাবার ব্যাবসায় বসতে হবে। তবুও আমি তোমাকে হারাতে চাই না। গভীর এ সম্পর্ক যে কখনো ম্লান হবার নয়। জানি তুমি দু সপ্তা ধরে প্রেগন্যান্ট। কিন্তু আমার যে এই মুহুর্তে এতো বিশাল একটা পৃথিবী ছেড়ে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু ভরসা রাখো একদিন তোমাকে নিয়ে টোনাটুনির সংসার পাতবোই এবং এই সন্তান আসার আগেই।
-তোমার নিশো।

চিঠিটা পোস্ট করে ফেরার সময় নিশোর মনে হলো সে পৃথিবীর জঘন্যতম পাপটা করেছে। একটা মেয়ের সবচেয়ে দামী জিনিস তার সতীত্ব। আর সেই সতীত্বে সোহাগের ভাগ বসাতে পারে শুধু তার স্বামী। কিন্তু নিশো আর সুষমার ভেতর যা আছে তা শুধু অবৈধ সম্পর্ক ছাড়া আর কিছুই নয়।

ঘরে ঢুকে বুঝতে পারলো আবহাওয়া মোটেই ভালো নয়। মামা, চাচী এবং ফুফি মায়ের সাথে কথা বলছে। সে প্রবেশ করতেই ঘরে একটা নিস্তব্ধতার ছায়া নেমে এলো। বুঝতে পেরে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো।

দুদিন পর।
-নিশো ওয়েক আপ।
-কি? সমস্যা কি?
- আজ তোমার বিয়ে।
-মানে?
যা বলছি তাই। যাও গোসল করে লিভিং রুমে আসো।

মাথায় যেনো হাজারটা বাজ পড়লো। কি হবে সুষমার? বাচ্চাটার কি হবে?

আজকে আট মাস তেরো দিন হয়ে গেছে নিশোর আংটি বদল হয়ে গেছে। কিন্তু সে তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে নি। মফঃস্বল এর সুষমার কাছে ফিরে এসেছে। তার প্রথম ও শেষ ভালোবাসা যে সুষমাই! বিয়ে থা করে গোটা পাঁচেক দিন থাকলো একসাথে।
মোবাইলে ভাইব্রেট হতেই দেখলো তার বোনের মেসেজ। "কাম ইমারজেন্সি, ড্যাড ইজ সিক।"
-কি ব্যাপার কোথায় যাচ্ছো তুমি?
-বাবা অসুস্থ। শহরে যেতে হবে।
-আমার যে সামনের সপ্তায় ডেট।
-চলে আসবো বিষ্যুদবার নাগাদ।

কিন্তু সে কি জানতো তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর দেখা সে কোনদিনই পাবে না?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.