![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
সুষমাকে রেখে যেদিন নিশো শহরের উদ্দ্যশ্যে রওনা হয়ে যায় সেদিন রাতে কোন এক অজ্ঞাত কারণে সুষমাদের বাড়িতে আগুন লেগে যায়। বিধ্বস্ত বাড়ির ছায়া আর মাড়ানো হয়নি সুষমার। একজন স্কুল শিক্ষকের আদর্শবান মেয়ে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছে এই কথা হিন্দুপাড়ায় রটবার ভয়ে মা বাবা তাকে আলাদা ঘর নিয়ে দেন। যাতে করে নিশো ও সুষমা একসাথে থাকতে পারে। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস বাড়িতে আগুন লাগার কিছুদিন পর যখন সুবল চন্দ্র রায় অন্য জায়গায় চলে যেতে চান তখন সুষমাও নিশোর কথা মাথায় না রেখে পরিবারের সাথে স্থানান্তরিত হয়ে যায়।
আজ ঠিক পঁচিশ বছর পর সেই রহস্যের উদঘাটন হলো যেখানে আগুন লাগানোর পেছনে দায়ী নিশোর দ্বিতীয় পক্ষের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সাথে মূল ইন্ধনদাতা নিশোর মামাই।
কিন্তু আজও নিশোর জানা হয় নি তার প্রথম স্ত্রী সুষমার ঘরে ছেলে না মেয়ে জন্মেছিলো। শুধু এই কারণে নয়, ভালোবাসার ফসলটিকে এক পলক দেখতে চাওয়ার আকুলতা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে নিশোকে। সাথে ফরমানও কিছুটা মুষড়ে পড়েছে তার বাবার এই অতিগোপনীয় ঘটনায়। আর ওদিকে জারাও পঁচিশ বছর ধরে চেপে যাওয়া ক্ষোভকে ক্রোধে রুপান্তর করলো ঘরে ফিরে।
-বাস্টার্ড!
-মা থামো।
-কিসের থামা? ঐ মহিলাকে আমি খুন করবো! আর তাদের সন্তান, ওটাকে এই বাড়ির ছায়া পর্যন্ত মাড়াতে দেবো না। লাশ আঠারো টুকরো করবো!
-ভুলে গুণে সবাই তো মানুষ। বাবা একজনকে ভালোবাসতো সেটা কি ঐ মহিলার দোষ?
আর কিছু না বলে ফরমান বেরিয়ে চলে আসে মায়ের রুম থেকে। বাবার স্টাডিতে ঢুকে চিন্তিত মুখে বাবাকে দেখে বললো,
-কি ব্যাপার এতোবড়ো একটা কথা গোপন করে রেখেছো, আমাদের বলো নি কেনো?
-আই আ্যাম স্যরি।
-স্যরি দিয়ে তো কোনো ব্যাপার পরিমাপ করা যায়না। উনাদের খুঁজে বের করা দরকার।
-পারবি তোর বড় মাকে খুজে বের করে আনতে?
-তোমার কথা কোনোদিন কি ফেলে দিয়েছি?
-তাহলে যা আজই বের হ ওদের খুঁজতে।
©somewhere in net ltd.