নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহিক উপন্যাস: রেড ব্যাটেলিয়ন s01 (অধ্যায়-১, পর্ব-১)

০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

২০১৪ সালের ২৮শে ডিসেম্বর। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। সকাল দশটা বাজতেই খবর এলো গুলশান থেকে একজন শিল্পপতির ছেলেকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। বয়সে তরুন। ৬ ফিট লম্বা। এমন সুন্দর শীতের সকালে খবরটা শুনে এসআই সাব্বিরের মুখটা গম্ভির হয়ে গেলো। কারণ, ছেলেটি তার আপন ফুপাতো ভাই। দাঁত খিঁচে রোলার স্কেটার জোড়া পায়ে বেধে নিলেন। কাঁধের ব্যাগে বাতাস থেকে সীসা টেনে নেওয়ার একটা কম্প্রেস। আর ছোট একটা নাইট্রোজেন সিলিন্ডার লাগানো। ব্যাগ থেকে দুটো ৭ ইঞ্চি রবার কম্প্রেসড কপার প্লেটেড ওয়্যার চলে গেছে দুটো স্কেটারে। আর দুটো নাইট্রোজেন আ্যাক্সেলারেটর পাইপ। পথে নামার পর রাস্তার মানুষজন হা হয়ে গেলো। ভুত দেখার মতো চমকে উঠলো যেনো। হলিউডের অবাস্তব ফ্যান্টাসি মুভির কোনো দৃশ্য।



গভ ল্যাবরেটরি স্কুল আ্যন্ড কলেজের সামনে আসতেই শিল্পপতির ছেলেটা অদ্ভুত আচরন শুরু করলো। হঠাৎ তার চোখ গুলো কোটর থেকে যান্ত্রিক আওয়াজ করে বেরিয়ে এলো। যেনো জুম করা কোনো ক্যামেরার লেন্স। হাতটা লম্বা হয়ে প্রসারিত হয়ে ইউএসবি জ্যাকে রুপান্তরিত হলো। হাইজ্যাকাররা আতংকিত হয়ে পড়লো। ঘ্যাচ করে গাড়ির সিডি প্লেয়ারের ইউএসবি পোর্টের ভেতর জ্যাকটা ঢুকে গেলো।



"রিডিং, আ্যাকাউন্টস টেন। টোটাল সাম টুয়েন্টি বিলিয়ন টাকা।"



ব্যাস, আ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলো। হাইজ্যাকাররা যাদের হয়ে কাজ করছিলো সেটা শিল্পপতির এক প্রতিদ্বন্দ্বীর। তার গাড়ি ব্যবহার করে শিল্পপতির ছেলেকে তুলতে গিয়ে নিজেরাই বিপদে পড়ে গেলো। গাড়িতে মালিকের নিজস্ব স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক আছে। ডিজিটাল প্রপার্টি আ্যন্ড আ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ডিভাইস যা বাংলাদেশের গুটিকয়েক বিলিওনিয়ার ব্যাবহার করেন। যান্ত্রিক রেপ্লিকাটা গাড়ির ছাত এক পাশে কেটে উপরে উঠে গেলো।



"রোল অন টু দ্যা ওয়ে"!



ধাঁই করে মাটিতে লাফ দিয়ে নামলো। হাত থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটা জিথ্রি মডেলের লেজার গান বেরিয়ে এলো। যন্ত্রটার মুখে শুধু একটা শব্দ, "ডাই"।



চিঁইইই একটা আল্ট্রা ভায়োলেট রে বেরিয়ে গেলো। বীম লেজারের আঘাতটা পড়লো বেচারা নিরীহ গাড়িটার উপর। মুহুর্তে ফুয়েল ট্যাংকটা বার্স্ট করে উঠলো। গোটা গাড়ি নিমেষে ছয়জন হাইজ্যাকার সহ কাবাব হয়ে গেলো।



"দিস ইজ সাব্বির, পুশ রেড বাটন, দিজ ইজ আ্যানাদার ন্যাশনাল থ্রেট টু বি কনফার্ম।"



গাড়ির ভেতরে তার বোনপোর চেহারার রোবট কি করেছে সব বোঝা হয়ে গেছে। যা করার এখনই করতে হবে। না হলে বড় ধরণের বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।



স্কেটার জোড়া ঘাঁই করে করে উঠলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.