![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
বিরক্তি সহকারে একটানা ঘ্য ঘ্য করে চলেছে কার্গো গাড়িটা। ড্রাইভার মোটা সোটা মানুষ। কাচপুর ব্রিজ পার হয়ে ঢাকার দিকে ঢুকছে এমন সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট হাত দেখালো। ড্রাইভার আড়ষ্ট হয়ে বসলো। হয় লাইসেন্সহীনতা না হয় টু পাইস যে কোন একটা।
-নাম।
-জ্বে স্যার?
-কইলাম না নামতে?
গাড়ি একপাশে সরিয়ে দরজা ঠেলে নেমে এলো। সার্জেন্ট রুমাল মুখে দাড়িয়ে আছে। চোখটা লাল। কটমট করে তাকিয়ে আছে ড্রাইভারটার দিকে। তার চোখ লাল হয়ে গেছে। আলো ঠিকরে এলো। ভয় পেলো যেনো নিরীহ মোটাসোটা ড্রাইভারটা।
-ভাই কি হইসে? এমনে তাকান ক্যান?
-চোপ! সোজা বাড়িত যা। পিছন ফিরা তাকাবি রাইতের আন্ধারে ভ্যানিশ বানায়া দিমু।
গলা শুকিয়ে কাঠ।
কার্গোটার পাশে দাঁড়ানো মানুষটা ছায়া ঢাকা অন্ধকারকে পুঁজি করে আকাশ পানে চেয়ে আছে। যেনো ড্রাইভারের যাওয়া গুনছে।
ড্রাইভার বিশ কদম পার হওয়ার পর ঝটকা ফিরে দেখলো অদ্ভুত লোকটার দিকে। তারপর ঝেড়ে দৌড় দিলো। উরিব্বাস! সে যেনো উসাইন বোল্টকেও হার মানায়।
লোকটা ক্রুর হাসি হাসলো। কারণ এতোই গোপনীয় জিনিস কার্গোটাতে আছে যে ড্রাইভার ও জানতো না। এইবার কার্গোর তালা ভেংগে খুলে ফেললো।
ওমা! একটা জায়ান্ট পাওয়ার স্ট্যাবিলাইজার। এ দিয়ে কি করবে?
১.৫ কিলো প্রবাহিত বৈদ্যুতিক তরঙ্গ যাচ্ছে তার বেয়ে। এক ঝটকায় সেই স্ট্যাবিলাইজার কানেক্ট করলো। তারপর তার প্যান্ট খুলে একটা সকেটে স্ট্যাবিলাইজারের আউট জ্যাক ফিট করলো।
রুমালটা খুলে নিলো।
এ সেই জাকুয়া!
ইকবালের কুৎসিত সৃষ্টি গুলোর একটা।
"ঢাকা এখন আমার" বলেই চার্জ হতে শুরু করলো সেই খল আর্মি রোবট।
-দেখছেন?
-ব্যাটা আসলেই এক জিনিস বানাইছে। আসলেই ইকবালের হাতে অনেক ভালো কিছু হতে পারতো। কিন্তু কেনো সে এমন করলো কে জানে।
চিন্তিত অবস্থায় তানভীর আর যন্ত্রমানব বসে আছেন। স্যাটেলাইট ভিউতে সব দেখলেন এতোক্ষণ।
কাল সকালে যে ভোর আসবে তা কি সুসংবাদ না কোনো বর্বর যুগের সূচনা করবে?
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:২০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
++