নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতন্দ্র প্রহরী (ধারাবাহিক- বাংলাদেশের অতিমানবেরা s02ch03)

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৬

গোস্তাকি মাপ করবেন।



আমি সাংবাদিক নই। চাচা জোর করে ঠেলে দিয়েছেন আমার মত বাপমরা ছেলেকে এমনধারা কাজে। মুন্ডুপাতের অভিশাপ দিই ঘন্টায় ছ'বার। ব্যাটা আমাকে হাড়ির তলার পোড়া ভাত বানাতে চাচ্ছে। সাংবাদিকদের জীবন আর পিঁপড়ের জীবন সে তো সবার জানা। কিন্তু, জীবনে প্রথম বেমক্কা হাতে পাওয়া সুযোগ যে আমার চৌদ্দপুরুষের ভবিষ্যৎ আলোকময় করে দেবে কে জানতো? যে ব্লগে লিখলে এখন দিনে দু লাখের ওপর হিট হয়, সে ঘটনার পেছনে আছেন একজন সুপুরুষ। যার জীবনী আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।



বংশালের যেদিকটায় উচ্চবিত্ত পেটমোটা ভবনের সারি নেই, ছোট ছোট শেকড়বাকড় গজানো অজস্র ছুঁচো গলি দেখে ভাববেন বাহরে! কি খাসা এলুম আকবর-শাহজাহানের দেশে, ঠিক তার মধ্যিখানে মাথা উঁচু করে আছে এক বিশাল প্রাসাদোপম বাড়ি। চাকরির প্রথম দিনেই বলা হলো "রেডি করে দেয়া প্রশ্নগুলো শুধু জিজ্ঞেস করবে। ভদ্দরলোক একটা গ্রুপ অব কম্পানিজের চেয়ারম্যান, হিসেব করে কথা বলেন।"



এইটুকু পর্যন্ত ঠিক ছিলো। শুধু ধাক্কাটা খেয়েছি যখন গিয়ে দেখলুম ভদ্দরলোক গায়ে রোব জড়িয়ে দন্তকুল বুরুশ করতে করতে গাছের গায়ে জলদান করছেন। যখন জিজ্ঞেস করলাম- "হাসমান ফরাজিটা কে?"



"আমি".



পাক্কা দু মিনিট কপর্দকহীন চেতনামুক্ত হয়ে সার্কাস পার্টির মুগ্ধ দর্শক হয়ে তাকিয়ে রইলুম সেদিকে। কি বৃহৎ তার বাহুজোড়া, সুগঠিত পাঁজরপেশি।



বিশাল বৈঠকখানা। রোদ এসে পড়েছে তার অর্ধেকটায়। অবাক হলুম এই চৈত্র দাবদাহে বেশুমার ঠান্ডা এই ঘরটা। কারণ সিলিংটা অনেক উঁচুতে।



হাতে প্রশ্নপত্র নিয়ে যেমন শিক্ষক শেষবারের মত ছাত্রের দিকে তাকায়, তাকালাম তার দিকে।

"ইন্টার্ভিউ নিবেন জীবনে অনেকবার, কিন্তু আজকে আপনারটা দিন"



হকচকিয়ে গেলাম একথা শুনে।



"এতিম ছেলে, ইন্টার্ন সাংবাদিক, ছাপোষা বেতনে" শত অনুনয় বিনয়ে যেনো তার কর্ণপাত হলোনা।



বয়সে ত্রিশের কোঠায় দাঁড়ানো ভদ্দরলোক আমায় যে প্রশ্ন জিগোলেন, জল খাওয়ার চেয়ে সহজ ছিলো যেনো।



"মাইনে কত পাও"?



এবং শেষতক যে প্রশ্নটি আগেরটির চেয়েও আরো সহজ ছিলো তা হলো আমার নিজস্ব কোন ব্লগ আছে কিনা, তার হিট কতো?



দুটোর উত্তরই সহজ ছিলো। ছ হাজার পাঁচশ উনুনব্বই টাকা পঞ্চাশ পয়সা। হা আছে, একশ মাসে।



ভদ্দরলোক মুখ কোচকালেন না। শুধু ফিসিফিসিয়ে মা শোনে মতন আমায় ব্যক্ত করলেন, "তোমার জীবন পাল্টে যাবে।"

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: কি হইলো!!!! বুঝিয়া উঠিতে পারিলাম না। ও আচ্ছা ধারাবাহিকতো তাইলে আগামী পর্বে বুইঝে নেবোনে।
পড়তে ভাল লাগছে জনাব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.