![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
এতোদিন জীবনে অনেক ধরণের চমক পেয়েছি। কিন্তু বাস্তবতার ধাক্কা সামলাতে যে আমার এইরকম কথা শুনতে হবে তা কি দুনিয়ার তাবৎ মনীষী জানে?
"আমার জীবন বদলে যাবে" কথাটা প্রথমে ধাক্কা দিলেও পরে হা-হা করে হাসতে শুরু করলাম। একজন যুবক বিলিওনিয়ার আমাকে জীবন বদলে দেয়ার কথা বলছেন আর আমি কিনা হেসে উড়িয়ে দিচ্ছি।
"চলুন যাওয়া যাক"।
খেই হারিয়ে ফেললাম। জিজ্ঞেস করলাম কোথায়? তিনি উত্তর না দিয়ে হেটে যাচ্ছেন। পাছে হারিয়ে ফেলি তার ভয়ে ছুট দিলাম। সেকি তার চলার ক্ষিপ্রতা রে বাবা। রীতিমত যেনো দৌড়ান।
হঠাৎ কিসে যেনো হাত রাখলেন। একটা বিশালাকারের কিচেন ফ্রিজ ছিলো যা নিজ থেকে সরে গেলো।
"স্বাগতম পাতালপুরীতে"।
বহুদিনের প্রাচীন একটা গন্ধ গায়ে এসে ঠেকলো। সিঁড়িটা গোল হয়ে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। এবং শেষ ধাপ পেরুতে মনে হলো ভবিষ্যৎের কোনো দরজায় এসে দাঁড়িয়েছি।
হঠাৎ একটা চাবুক এসে খ্যাচ করে আমার জুতার দু'ইঞ্চি সামনে থামলো। মুখ এক অদ্ভুত ধরণের মুখোশে ঢাকা। বয়সে কিশোরি হবে।
"বাবা ও কে?"
বাবা? কে বাবা? এই বয়সে বাবা হবেন কিভাবে হাসমান ফরাজি? বুঝতে পেরে হাসমান বললেন,
"আমি আমার গ্রুপ অব বিজনেসে আ্যাপ্লায়েড সায়েন্স রেখেছি সংগত কারণে। মনে আছে নিশ্চয়ই ড. ইকবাল একটা ভয়ংকর রকমের ভাইরাস ছড়িয়েছিলো যেটা ইনফেকশন হলেই মানুষ অল্প কথাতেই রেগে থাপ্পড় দিলেই মানুষ মারা যেতো? আমরা একটা আ্যান্টি-ডোট স্যাম্পল পাঠিয়েছিলাম ডিজিএফআই এলিট ফোর্সের সায়েন্টিস্ট শামীমের কাছে। এবং এই স্যাম্পলটা সবার প্রাণ বাঁচিয়েছিলো সেদিন।
এবার আসি মূল কথায়, ইকবালের ঘটনারও বছর পাঁচেক আগে, আমার ল্যাবে ডক্টরদের দ্রুত পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি বলে নির্দেশ দেই যেনো এমন একটা ডোপ বানায় যার কারণে চল্লিশ গুন ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষ হওয়া যায়। এবং বাইরের জগত এখনো জানে না আমার সংসার আছে। কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে আমার স্ত্রী, সন্তান আছে এটা জানাইনি। শুধু আমি নই আমার ভালোবাসার ছায়া যাদের উপর- স্ত্রী, সন্তান, বাড়ির লোক সবাইকে এই সিন্থেটিক পিল খাইয়েছি। এই ডোপ আমাদের প্রত্যেককে অমরত্বের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে আমাকে দেখছেন একজন ত্রিশ বছর বয়সী যুবকের মত। অথচ আমার বয়স ৫০ এর ও অনেক বেশি। এ আমার মেয়ে শান্তা। যার বয়স ২০ বছর। এ আমার ছেলে হামান ফরাজি যার বয়স ১৫ এবং আমার স্ত্রী ফাহমিদা ফরাজি ৪০ এর কোঠায় এখন"।
"শুভ সকাল সাংবাদিক সাহেব।"
মনে হলো আমার কান এতোদিন ঘুমিয়ে ছিলো, এই কন্ঠ শোনার পর আমি ঘুম থেকে উঠলাম। এতো মধুর কন্ঠ আগে কখনো শুনিনি।
পিছন ফিরতেই চোখ ধাধিয়ে গেলো অপরুপ সুন্দরী মহিলাকে দেখে।
©somewhere in net ltd.