![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
হঠাৎ সাইরেনের শব্দে হতচকিত হয়ে গেলাম। পুলিশ আসলো কোথা থেকে? চোখ বন্ধ করে গাড়ির দিকে দৌড় দিলাম। ঢুকেই অদৃশ্য আ্যসিস্টেন্ট জুয়নকে জিজ্ঞেস করলাম কি সমস্যা?
-আপনার ব্লগ থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছিলো। ভাগ্যিস আমি আ্যনোনিমাস করে দিয়েছি আইপিটা।
-কিন্তু পুলিশ চলে এলো যে।
-আমি গাড়িকে ইনভিজিবল মোডে রেখেছি।
ঠক ঠক!
-জুয়ন। আমরা।
ভেতরে ঢুকেই গম্ভীর চেহারা নিয়ে তাকালেন। তার মেয়ে বলে উঠলো,
-এতো তাড়াতাড়ি পুলিশ চলে আসবে কল্পনাও করতে পারি নাই।
-আমার কারণেই হয়ে গেছে। আমি ব্লগে পোস্ট করেছি ফটোগুলো।
-টের পেয়েছি পুলিশের সাইরেন বাজাতে।
ততোক্ষণে পুলিশ চারপাশে ঘিরে এসেছে। খুঁজছে। হাসমান ভাসমান ম্যাপটায় টাচ করে ঝুঁকলেন। বুড়িগঙ্গার দিকে লালবাতি জ্বলছে।
জিজ্ঞেস করলাম কি ওখানে?
-নদীর পাড় দখল করা শুরু করছে আবার।
-এখন কি করবেন?
-ওখানে যাবো।
কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর পুলিশ চলে গেলো। তারপরো বসে রইলাম কিছুক্ষণ। এর পর রওনা দিলাম।
বুড়িগঙ্গার একধারে পৌছে দেখলাম বিশাল কারবার। মাটি ভরাট করে দেদারসে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছে। আমাকে গাড়ি থেকে নামতে নিষেধ করা হলো। হাসমানের মেয়ে জাইমা হাটতে শুরু করেছে। হাসমান নেমে গিয়েছেন ততোক্ষণে।
-আ্যই এইদিকে যাইতে মানা।
-আমরা যেদিকে খুশি সেদিকে যাবো। তুমি বলার কে?
-কি কইলি টেংরা মাইয়া?
জুয়ন ততোক্ষণে স্যাটেলাইট প্রক্সি নিতে শুরু করেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মারামারি শুরু হয়ে গেছে। এক পশলা বুলেট বৃষ্টি হলো। হাসমান ও জাইমা কাভার নিলো ড্রামের আড়ালে।
চ্যিউ! ঠাং ঠাং!
বুঝলাম জায়গাটা রণক্ষেত্রে পরিণত হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই। হাসমান ফাঁকতালে দুজনকে ধরাশায়ী করে দিলেন। জাইমাও তার চাবুক দিয়ে এখানে ওখানে দু চারটা লাগিয়ে দিচ্ছে।
রুদ্ধশ্বাসে দেখতে লাগলাম।
হঠাৎ!
©somewhere in net ltd.