নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতন্দ্র প্রহরী (পর্ব-৬) [বাংলাদেশের অতিমানবেরা s02ch03]

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

কিছু একটা খুব দ্রুত আকাশ চিরে ফেলছে, মনে হলো বুড়িগঙ্গারর আকাশ খুব লাল হয়ে হয়ে গেলো। সেই অত্যুজ্জ্বল আলোকরশ্মিটা এমন ত্রাস সঞ্চার করলো আশেপাশের সবার ভেতর যে মারামারি বন্ধ করে সবাই তাকিয়ে রইলো সেদিকে। আলোটা মনে হলো এদিকেই আসছে। আমি খুব দ্রুত কাভার নিতে একটা ভ্যনের পেছনে গিয়ে লুকালাম।

ঠাং!

ধাতব শব্দে জিনিসটা মাটিতে পদার্পণ করলো।

"দশ মিনিটের মধ্যে এই দখল করা মুল্লুক ছেড়ে চলে যাও। নাইলে অবস্থা খারাপ করে ফেলবো।"

মুহুর্তের ভেতর জায়গা খালি হয়ে গেলো।

আইমান!

হাসমান, জাইমা অবাক!
হাসমানের ছেলে নিজেই একটা মেটাল বডির পাখা লাগিয়েছে শরীরে।

-বাজপাখি! পুরা বাজপাখি! কেমন করে বানিয়েছিস? জাইমা বললো।
-ল্যাবে অনেকদিন অপেক্ষা করছিলাম একটা অর্গান তৈরি করবো যেটা শরীরের সাথে মিশে আটকে থাকবে। উড়তে পারা যায় স্বাচ্ছন্দ্যে।
-বাজ। ভালো নাম। চলো সবাই বাড়ি ফেরা যাক।

সেদিন রাতের মতো বাড়ি ফিরলেও পরের রাত যে বিভীষিকাময় হয়ে উঠবে তা কি ঘুণাক্ষরেও কেউ জানতে পারতো? রোজকার মতো বাড়ি ফিরছি সন্ধ্যায়। সবকিছুই কেমন যেনো লাগছিলো। কোথাও যেনো অস্থিরতা। অফিস থেকে বের হয়ে আসতেই হুট করে একটা মাইক্রো বাস সামনে এসে দাঁড়ালো। মাথার পেছনে ধাতব আওয়াজ হলো। আমার মুখ চোখ অন্ধকারে ঢেকে গেলো। জ্ঞান হারালাম।

-পানি মার ভালো করে। মেয়েলি কন্ঠ শুনতে পেলাম যেনো।

মুখের উপর কালো কাপড় বাধা ছিলো বোধহয়। খুলে ফেলা হলো। এর আগে কেউ পানি মেরে দিয়েছে। ভেজা বদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেলাম যেনো।

-সাংবাদিক হাসানুজ্জামান। হাসমান ফরাজির বাড়িতে গিয়েছিলে। সুন্দর চেহারার এক মহিলা কথা বলছেন আমার সাথে। কিন্তু চেহারা শক্ত, কূটিল ধরণের। তিনি বলে যাচ্ছেন, সেই বাড়িতে সারাদিন ছিলে এবং হাসমান গ্রুপ ইউনাইটেড এর চেয়ারম্যান তোমাকে সারাদিন সময় দিয়েছেন আমরা জানি। আমাকে জানাবে কি তুমি ওখানে কি কি দেখেছো?
-আমি একজন সিআইপির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আরেকজন সম্পূর্ণ অপরিচিতের কাছে দিতে বাধ্য নই।
-এবং তুমি যে অপহরণের ঘটনায় তোমার ব্লগে ছবিগুলো প্রকাশ করেছো সেটাও আমাদের জানা। মহিলা আসল রূপ ধারণ করলেন। আমরা পুলিশের হাতে তোমাকে ধরিয়ে দেবো।
-আমার বাসা ওখানেই। কৌতুহলী হয়েই সেদিন ছবি তুলছিলাম।
-শাট আপ! নো মোর এক্সকিউজেস!

সেলের ভেতর বিশ্রী পচা ইঁদুর মরা গন্ধে আমি তিনবার বমি করলাম। এমন সময় একজন সৌম্য চেহারার ভদ্রলোক এলেন।
-হাসানুজ্জামান?
-জ্বি?
-আপনার জামিন হয়ে গেছে।

বের যখন হয়েছি তখন সন্ধ্যা হবে হবে। আকাশে হঠাৎ আলো দেখা গেলো। লাল গোলাপি রং। তার মাঝে ছায়া। বাজপাখির ছায়া। থানার সামনে হঠাৎ তিনটে গাড়ি থামলো।
-এই যে সরে যান। থানার হাবিলদার বলছে। "সরে যান কমিশনার সাব আসছেন।"

সরে এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালাম। দেখলাম কমিশনারকে। তিনি আকাশ পানে তাকালেন। সেই লাল গোলাপি আলোর মাঝে বাজপাখির ছায়ার দিকে।

-এটা কি অশুভ লক্ষণ নয় যার জন্য আমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখছি। এ কার অশনি সংকেত যার জন্য আমাদের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিতে হবে।
-কিছু সংকেত শুভত্বের লক্ষণ কমিশনার সাহেব। হয়তো নতুন ভোরের শুভ্রতা আমাদের ছুঁয়ে যাবে।

কমিশনার অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.