![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
খুব দ্রুত আমাদের বের করে আনা হলো টাউন হল থেকে। নাবিলা শেহজাদকে দেখলাম একটা সাদামাটা গাড়িতে ঢুকতে। যদিও অতোটা সাদামাটা লাগলো না, ঝকঝকে কাচ দেখে আন্দাজ করলাম বুলেট প্রুফ হবে। সামনে একটা গাড়ি এলো। সায়মা ফরাজি আমার দিকে না তাকিয়েই ইশারায় অন্য গাড়িতে যেতে বললেন। বুঝলাম আরেকটা গাড়ি অপেক্ষা করছে।
ফরাজিদের বাড়িতে ঢোকার পর একটা বোমা ফাটলো যেনো। হাসমান সাহেব বললেন, তৃতীয় পক্ষ এসে গেছে। মোটেই সুখকর নয় ব্যাপারটা। আর নাবিলা ইচ্ছে করেই দাঁড়িয়েছে যাতে প্রথম স্ত্রী হিসেবে তার প্রতি আমার দুর্বলতা আমি প্রকাশ করি।
"প্রথম স্ত্রী"!!!
জাইমা, আমি ও হাইমান একই সাথে বলে উঠলাম।
সায়মা কোন কথা বললেন না। শুধু ভেন্টিলেটরের দিকে তাকিয়ে অভিমানে তাকিয়ে রয়েছেন।
-হ্যা, নাবিলা আমার প্রথম পক্ষের স্ত্রী।
-বিয়ে টিকলো না কেনো?
-তার বাবা আমার সব কিছু করায়ত্ত করতে চেয়েছিলো। তারপর আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর তারা নানা রকম ভাবে আমার ক্ষতি করতে চেষ্টা করে।
টিট টিট টিট।
বিগ স্ক্রিন অন হলো।
"নাবিলা শেহজাদ অপহৃত"!
-আইমান আমার গ্লোভের নতুন কিট তৈরি তো?
-হ্যা বাবা তৈরি।
দুই হাতে পয়েভ্রি ব্ল্যাংক এর দামি দস্তানা জোড়া লাগিয়েছেন। দেখতে মোটেই সাধারণ দস্তানা মনে হচ্ছে না আমার। পিঠের পেছন ধাতব গোলাকার কিছু একটা লাগানো। একটা ব্লেজার গায়ে চাপালেন।
-পিঠে কিছু একটা লাগাতে দেখলাম। ওটা কি?
-মোবাইল নিউক্লিয়ার পাওয়ার জেনারেটর। ওটা থেকে যা সাপ্লাই হয় তা যায় এই দস্তানার ইম্যুনাইজারে। লেজার বীম বের হয় হাতের তলু থেকে।
ভারি অবাক হলাম। পারমাণবিক শক্তি যে আসলেই হাতের মুঠোয় চলে এসেছে তা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। আমার হাতে একটা ট্র্যাকার দিলেন।
-চলেন।
আধাঘন্টা পেরিয়ে গেছে। নাবিলা শেহজাদের বাড়ির একশ গজের সামনে চলে এসেছে আমাদের গাড়ি। বেশি ক্লোজ না যাওয়াই ভালো। চুপচাপ দুজনে দেখতে লাগলাম। ডিজিএফআই, র্যাব, ডিবির লোকজন ভর্তি।
-হাসান, আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিলো নাবিলার লোকজন বলতে পারবেন?
-সদরঘাট এর কোনো একটা জায়গায়... আরে ঐ-তো! ঐ লোকটা আমাকে কিডন্যাপের পর মুখ থেকে কাপড় খুলে নাবিলার সামনে ফেলেছিলো।
হাসমান ঝটপট নেমে একটা দৌড় দিলেন। লোকটা গেটের বাইরে ছিলো। পিঠের উপর হাত রেখে হেসে হেসে কি যেনো বললেন। লোকটা মুখ গোমড়া করে হাসমানের সাথে আসতে লাগলো।
আমরা যে পথে যাচ্ছিলাম সেটা সদরঘাট না, নবাবগঞ্জের দিকে। অনেক ঘুরে একটা ভেজা ভেজা এলাকায় ঢুকলাম। শিল্প কারখানা জাতীয় এলাকা। একটা মিলের সামনে দাড় করালেন গাড়িটা।
-পথ দেখা।
লোকটা হাসলো।
-হাসলি ক্যা?
ততোক্ষণে মিলের ভেতর ঢুকে গেছি। বিপদের গন্ধ টের পেলাম। পেছন ফিরবো তার আগেই ঠাং করে বাড়ি খেলাম। হাসমানকে ডাবল দেখতে লাগলাম। তিনিও টলছেন।
জ্ঞান ফিরতেই দেখি হাসমানকে শেকল দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমি চেয়ারের হাতায় রশি দিয়ে বন্দী। এক বুড়ো মতন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে হাসছেন আমার দিকে। পাশে নাবিলা!
"ওয়েলকাম জেন্টেলম্যান"!
©somewhere in net ltd.