নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোর দিশারী
আমাদের সংসার আছে, কর্মক্ষেত্রে সময় দিতে হয়, ছেলেমেয়েকে পড়াতে হয়, স্কুলে নিয়ে যেতে হয়, সময় দিতে হয় স্ত্রীকে। কতো কি ব্যস্ততা। যে প্রতিযোগিতার যুগ, ছেলেমেয়েকে ঠিকমতো পড়াশুনা না করালে পিছিয়ে পড়বে, সুতরাং এদের সময় না দিলে কি চলবে? ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য কিছু সঞ্চয় করা দরকার। সোসাইটিতে তো কিছুটা সময় দিতে হয় সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য। আত্মীয়স্বজন, আচার অনুষ্ঠান সব কিছুতেই তো সময় দিতে হয়। এতো সবের পর কি আর পরিবারের বয়োবৃদ্ধের জন্য সময় বরাদ্ধ রাখা যায়? এখানে সময় না দিলেও তো কেউ কিছু বলবে না। নিজের ভবিষ্যতের জন্য তো এখানে কিছুই নেই। তা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে এসব ব্যাপারে স্ত্রীরা খুব বিরক্ত হন। কে চায় প্রিয়তমা স্ত্রীকে অসন্তুষ্ট করতে।
নিচে একজন বয়োবৃদ্ধের ছবি দেখতে পাচ্ছি। তার পরেই শিশুর ছবি। এই বৃদ্ধও একসময় এমনই শিশু ছিলেন, তাঁর বর্ণিল শৈশব ছিল, কৈশোর, যৌবন। ছিল প্রেম, ভালবাসা আদর স্নেহ, কর্মব্যস্ততা, স্বপ্নরঙ্গীন দিন। স্ত্রী সন্তানসহ সাজানো সুন্দর সংসার। সারাটা সক্ষম জীবন কাটিয়েছেন সন্তান গড়ার পেছনে। তাঁর কঠোর পরিশ্রমে সন্তান জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁদেরও কর্মচাঞ্চল্যে যাচ্ছে সময়গুলো। বয়স্ক পিতা সংসারের ঘানী টেনে যখন ক্লান্ত, অবসন্ন। নিস্তরঙ্গ হয়ে আসছে জীবন, নিঃসঙ্গ মুহূর্তগুলো কতোটা বিষাদে আচ্ছন্ন করে রাখে তাকে, আমাদের কি একটু সময় হবে সময় দেবার?
আমরা কি কখনো দুটো জিনিস ভাবি?
১. আমাদের এই অবস্থানে আসার পেছনে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশী? কাদের নিঃস্বার্থ ত্যগের বিনিময়ে আমরা আজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত? যাঁদের অবদানে আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি, তাঁদের জন্য কি করছি? তাঁরা তো মুখ ফুটে কখনো কিছু চাইবেন না, তাঁরা ছেলেমেয়েদেকে দিতে জানেন, ছেলেমেয়েদের থেকে কখনো নিতে শেখেননি। তারপরও কিছু চাওয়া থেকে যায়, সেটা হলো একটু সময়। একটু সময় বের করে তাঁদের সাথে কাটানো। দায়িত্ব পালন করতে নয়, ভালবেসে। আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে যেমন ভাবি, একটা সময় কিন্তু আমাদের নিয়ে তাঁরাও ভাবতেন, এখনো ভাবেন, আমরা কি তা বুঝি, বা বুঝার চেষ্টা করি? বয়সের ভারে হোক, রোগভোগেই হোক তাঁদের উদ্যোমী রঙ্গীন জীবন ক্রমশ ফ্যকাশে হয়ে আসে। আমরা চাইলে আদর ভালবাসা সম্মান এবং পর্যাপ্ত সময় দিয়ে যতটা সম্ভব রাঙিয়ে তুলতে পারি।
২. আমরাও সুন্দর শৈশব, কৈশোর কাটিয়ে এসেছি। আমাদের সামনে প্রৌঢ়তা, বার্ধক্য অপেক্ষা করছে, এখন যে অবস্থানে রয়েছেন আমাদের পূর্ব প্রজন্ম। আমরা কেমন ভবিষ্যত জীবন আশা করি? যেমনটা আমাদের মা-বাবাকে আমি দিচ্ছি, আমার স্ত্রী দিচ্ছেন? নাকী অন্য রকম? আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের যতো রকম শিক্ষাই দেইনা কেন, প্রকৃতির কিছু শিক্ষা রয়েছে। সেখান থেকেও ওরা কিছু শেখে। আমরা যদি আমাদের মা-বাবা আর সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দেই, সন্তানরাও একই ভাবে তাঁদের মা-বাবা আর সন্তানদের সময় দিবে। আমরা যদি মা-বাবাকে সময় না দিয়ে শুধু সন্তানদের সময় দেই, তাহলে সন্তানরাও তাই করবে।
সুতরাং মা-বাবার জন্য না ভাবলেও ভবিষ্যতের কথা একটিবার ভাবুন তো?
(দ্বিতীয় ছবিটি ছাড়া অন্য ছবিগুলো নেট থেকে সংগৃহীত)
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৮
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ মি. রয়।
আজ নাজিম উদ্দিন সামাদের বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট লিখতে হলো খুব কষ্টে।
তৈরী থাকুন, কোন একদিন হয়তো আমাকে নিয়ে এমনই পোস্ট লিখতে হবে আপনাকে বা অন্য কাউকেই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: কি খবর আপনার? কেমন আছেন?
ভাল বিষয় নিয়ে এই পোস্ট দিয়েছেন।
+++