নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। প্রবলভাবে আশাবাদী। স্বপ্ন দেখি শান্তিময় সমৃদ্ধ পৃথিবীর।

জহিরুল ইসলাম সেতু

আলোর দিশারী

জহিরুল ইসলাম সেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাম্পকে নির্বাচন! মার্কিন গণতন্ত্রের ভুলভ্রান্তি?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৭


আমেরিকায় গত নির্বাচনে সেখানকার এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত যে খবর আমরা পেয়েছিলাম। সবখানেই হিলারি ক্লিনটনের জয় জয়কার শুনেছি। এমনকি বিভিন্ন জরীপেও একই কথা ওঠে এসেছিল।

ডোনাল্ড ট্রাম্প মাথা গরম একজন ব্যবসায়ী মানসিকতার লোক। নির্বাচনপূর্ব বেশ কিছু আলোচনায় এবং প্রচারণায় তিনি বিতর্কের সূচনা করেছেন। রাজনীতিতে অদক্ষ এই ব্যক্তির বিরোদ্ধে তাঁরই দলের ভিতরে অনেক বাদ প্রতিবাদ হয়েছে, সে খবরও আমরা মিডিয়ার মাধ্যমেই জেনেছি। রিপাবলিকান দলের দলের ভেইতরেই নির্বাচনে ট্রাম্পের হারের ব্যপারে নিশ্চিত ছিলেন অনেকেই। বণিকমুঘল বিলিওনিয়ার ট্রাম্প উন্মুক্ত বিতর্ক অনুষ্ঠানেও পিছিয়েছিলেন বরাবর।

ওদিকে হিলারির জনপ্রিয়তা ছিল তাঁর ডেমক্রেটিক দলের ভেতরে ও বাইরে। সাবেক প্রেসিডেন্টের স্ত্রী (ফার্স্ট লেডী), সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী। সবদিক দিয়েই তিনি ছিলেন সফল। রাজনীতিতে ওতোপ্রোত জড়িত এই ব্যক্তির গগণচুম্বী জনপ্রিয়তা নিয়ে কোথাও সন্দেহ ছিল না। নির্বাচনের আগের দিনেও এই ধারনাই ছিল হিলারিই হবেন মার্কিনের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। এর মধ্যে এমন কিছুই ঘটেনি যে এই জরীপ বা জনমতের কোন নাটকীয় পরিবর্তন হতে পারে। আমরা জানি মার্কিন জনগণ শান্তিপ্রিয়। উদারনীতির ধারক। ধারনা ছিল ট্রাম্পের কট্টর নীতিসমূহ ধুলায় উড়িয়ে দিবেন মার্কিন জনগণ ভোটের মাধ্যমে।
নির্বাচনে হলো কি?

ট্রাম্প কিন্তু কখনোই কোন শান্তির বারতা দিতে পারেননি এখনো। যদিও নির্বাচনের আগেও তাঁর কথায় সেরকম কোন ইঙ্গিত ছিল না। জনগণ তাঁকেই নির্বাচিত করেছেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সরকার গণরায় মেনে নিয়েছেন।
বিশ্বশান্তির পক্ষে এই গণরায় কতোটা সফল হবে সেটাই দেখার বিষয় ছিল। সকালের সূর্য যেমন সারাটা দিনের আভাস দেয়, ট্রাম্পের বেলায়ও তাই ঘটেছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে শুরুতে তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এবং আদালতের রায় তাঁর বিপক্ষেই গেছে। শিক্ষিত সভ্য মার্কিন জনগণ কি জানতো না ট্রাম্পের স্বভাব, তাঁর নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে কি তা ওঠে আসেনি তখন? যে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের রায় দিতে হয়, সেখানে আমরা কি বলবো? প্রেসিডেন্টের অযোগ্যতা, নাকি নির্বাচকদের? একটা দেশকে যিনি নেতৃত্ব দিবেন, তাকে নির্বাচন করা তো গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় না। একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিষয়।

নিজের দেশের বিভিন্ন বিষয়ে বাড়াবাড়ির পর উত্তর কোরিয়াকে নিয়েও তাঁর বহুত হম্বিতম্বি ছিল। যদিও কোরিয়ার পাগলাটে প্রেসিডেন্ট কিম জং উন তাকে থোরাই কেয়ার করেন। এ নিয়ে ট্রাম্প আবার বিভিন্ন দেশের নেতাদের পিছু পিছু দেনদরবার করে বেড়ান। আর যাই হোক তাঁর আত্মসম্মানে লাগে কিমের সেই অবজ্ঞা।

আবার রগচটা এই প্রেসিডেন্ট বিশ্বজনমতের তোয়াক্কা না করেই জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে দিলেন, এমনকি দ্রুতার সাথে তেল আবিব থেকে মার্কিন দুতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের আদেশ পর্যন্ত দেন। জেরুজালেমের মতো স্পর্শকাতর একটা বিষয় নিয়ে কারো সাথে কোন আলোচনার কথাও ভাবলেন না তিনি।
সভ্য আর দুর্বলের প্রতি ডোনাল্ট ট্রাম্পের একক ও আগ্রাসী নীতি, আর পাগলাটে ক্ষেপাদের মোকাবিলায় আশেপাশের নেতাদের ডেকে দেন দরবারের এসব অসভ্য নীতি কি মার্কিন জনগণকে কোন সম্মান এনে দিবে? ব্যবসায়ে ট্রাম্প ন্যায়-অন্যায় যাই করে সম্পদের পাহাড় গড়ুক না কেন, বিশ্ব তো তা দেখবে না, দেখবে মার্কিন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিকে।

এদিকে জাতিসংঘকে ব্যাপক চাপে রাখার নীতি গ্রহণ করলেন এই বলে যে সেখানে সবচেয়ে বেশী চাঁদা মার্কিনীরা দিয়ে থাকে। জাতিসংঘ নাকি সামাজিক ক্লাব। নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে লিখেছে, "দায়িত্বের এক বছরের মধ্যে পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের অর্জন করতে চাওয়া ট্রাম্পের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জেরুজালেমনীতির পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করাই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কূটনীতিক অবস্থা। এর আগে জাতিসংঘকে ‘সামাজিক ক্লাব’ হিসেবে মন্তব্যকারী ট্রাম্প ও জাতিসংঘের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই মনে হবে।" ইসরায়েলকে উস্কানী দিয়ে ফিলিস্তিনী জনগণের উপর অত্যাচার, শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা তৈরি করছে। তাঁরই উস্কানীতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই ভোটাভুটির পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘকে "house of lies." বলার দুঃসাহস দেখায়।

মার্কিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট কোন কিছুরই তোয়াক্কা করেন না, তিনি ক্রমশঃ হয়ে উঠছেন আন্তর্জাতিক মাস্তান। তাঁর এই মাস্তানীর দুর্নাম এখন ভোগ করতে হবে সেই জনগণকেই।

তাঁর বহুত হুমকি ধমকি সব কিছু ছাপিয়ে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ জেরুজালেম বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে। গুটি কয়েক দেশ ছাড়া পুরো বিশ্ব যে কষে একটা চড় মারলো, এই চড়টা কে খেয়েছে ট্রাম্প একা, নাকি মার্কিন জনগণ?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ট্রাম্পের ব্যাপারে লিখেছেন, "এই প্রেসিডেন্ট বিশ্বজনমতের তোয়াক্কা না করেই জেরুযালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী 'ঘোষনা" করেই দিলেন"।

-ইহা সঠিক নয়, ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষনা করেনি, "স্বীকৃতি" দিয়েছে।
রাজনৈ্তিক পোষ্ট লিখতে সঠিক শব্দ ব্যবহার না করলে উহার অর্থ বদলে যায়।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৮

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই। ওই অংশটুকু সংশোধন করে দিচ্ছি। শেষ প্যারায় কিন্তু ঠিকই আছে।

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: খেয়েছে "সাম্প্রদায়িক" আমেরিকা!! কারন ট্রাম্পের নির্বাচনী এজেন্ডার মূল সুরটি যদি ফলো করে থাকেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন।। কারন ট্রাম্পের ছিল না আমাদের দেশের মত কোন "হিডেন এজেন্ডা"।। অথচ আজ সেটারই বাস্তবায়ন দেখে আমরা ভীত হচ্ছি কেন!! ট্রাম্প তো তার দেশের ভোটারদেরই ইচ্ছে পূরন করছে, নয়কি??!!তাহলে??
আর হিলারীর বিপক্ষে ছিল, ইমেইল এবং লিবিয়ায় আমেরিকান রাষ্ট্রদুত হ্ত্যা।। আমেরিকানরা আর যাই করুক, নিজ দেশ এবং লোককে ভুলে যায় না।।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভীত হচ্ছি এজন্য যে, এমন একজন বিশ্বনেতৃত্বের কিছু গোয়ার্তুমির কারণে সারা বিশ্বে যে অস্থিরতা দেখা দেয়, তার মাশুল আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকেই দিতে হয় সবার আগে।
সে আর যাই করুক, মার্কিন জনগণের উদার ভাবমূর্তির কোন প্রতিফলন ঘটাতে পারবে বলে মনে হয় না।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আরো সময় যাক। ওআইসি, ইইউ আর জাতিসংঘ এখন ট্রাম্পের বিপক্ষে...

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: একটা সময় আসবে হয়তো, খোদ আমেরিকার বেশিরভাগ জনগণই উপলব্ধি করবে তাদের ভোট প্রয়োগ কতটা সার্থক।

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৭

সোহানী বলেছেন: এ ক্রেজি আধা পাগল বুড়োর আরো অনেক কিছুই বিশ্ব দেখবে...........

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: তাঁর বডি লেঙ্গুয়েজই প্রথম তাঁর চরিত্রের প্রকাশ ঘটায়, বাকিটা তো . . . . .

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ডেমোক্রেটদের প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল, এবং মিডিয়ার হিলারিকে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারনেই আজ ট্রাম্পের আবির্ভাব

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: তা জানিনা। তবে নির্বাচক মার্কিন জনগণকে এর মাশুল দিতে হবে বলেই মনে হচ্ছে।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন:






ট্রাম্প বলছেনঃ আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রেট।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: নিজেকে কে না গ্রেট ভাবে। তবে কেন জানি হিটলারকে তারচেয়ে গ্রেট মনে হয় আমার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.