নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। প্রবলভাবে আশাবাদী। স্বপ্ন দেখি শান্তিময় সমৃদ্ধ পৃথিবীর।

জহিরুল ইসলাম সেতু

আলোর দিশারী

জহিরুল ইসলাম সেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদঃ ব্যক্তিগত অনুভূতি

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

(৭০। কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরুপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-
(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা
(খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন,
তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।)
অনুচ্ছেদটি মূলত সংসদীয় শাসনে রাষ্ট্রপতির শাসনের ছায়াটিকেই ধারণ করে। প্রধানমন্ত্রী পদের নির্বাহী ব্যাক্তি রাষ্ট্রপতির ন্যায় শাসন চালাবেন। তিনি বা তাঁর দলের নীতিনির্ধারকগণ যা বলবেন তাতেই সকলের চোখকান বন্ধ করে হ্যাঁ সূচক ধ্বনি দিয়ে যেতে হবে। এটা কি গণতন্ত্রের মূলমন্ত্রকে ধারণ করে কখনো? তাহলে রাজনীতিবিদদেরকে দলের মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনে না পাঠিয়ে, প্রতীকের নির্বাচন দেওয়াই শ্রেয় ছিল না? যে আসন থেকে যে দলের প্রতীক জয় লাভ করবে, সে দল সে আসনে তাঁদের প্রতিনিধি বাছাই করবেন।
আমরা জনগণ কেউ কেউ ব্যক্তির চেয়ে প্রতীককে গুরুত্ব দিয়ে ভোট প্রদান করে থাকি, দলের পলিসি ও মেনিফেস্টু বিবেচনা করে। আবার কেউ কেউ প্রার্থীকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সৎ ও নির্ভীক প্রার্থী দেখে ভোট দেই, যিনি সংসদে গিয়ে, আমাদের এলাকার জন্য কথা বলতে পারেন, দেশের জন্য নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারেন, মতামত প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু সে যদি এই ধারায় বন্দী হয়ে পড়েন, তাহলে সেই ব্যাক্তিকে ভোট প্রদান নিরর্থক হয়ে দাঁড়ায়। দলের স্বার্থের চেয়ে তাঁর এলাকার জনগণের স্বার্থ, দেশের স্বার্থ ক্ষীণ হয়ে যায় তখন। ফলে জনগণের বিশ্বাস আর ভরসার স্থানটা হারায় সে।
ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়, কথাটা আমরা প্রায়শঃ বলে থাকি, বিশ্বাস করি। যারা রাজনীতি করেন তাঁদের কাছেও কথাটি গুরুত্বের। দলের জন্য ব্যক্তির স্বার্থ ত্যাগ, আর দেশের জন্য দলের ত্যাগ স্বীকার হলো দেশপ্রেমেরই প্রকাশ। তা ই যদি সত্যি হয়, তাহলে ঐ অনুচ্ছেদটি কি কোন গুরুত্ব বহন করে? বরং তা হলো অবিশ্বাসেরই বহিঃপ্রকাশ। স্বার্থের জন্য বিশ্বাসঘাতকতা! এতো অবিশ্বাসই যে ব্যাক্তির উপর থাকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়াই বা কেন? যদিওবা পল্টি খাওয়ার রাজনীতিকের উদাহরণ এদেশে ভুরি ভুরি রয়েছে। নৈতিক স্খলনে পর্যুদস্ত এদেশের রাজনীতি। আপদমস্তকে সেই পচনের প্রদাহ। কোন দল অনেক ছাটাই বাছাই করে যাকে মনোনয়ন দেয়, তাঁকে বিশ্বাস করতে পারে না। কি লজ্জা! ওদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অবক্ষয় কতোটা নিচে নামলে সংবিধানে এমন একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত হতে পারে! রাজনীতিবিদদের চৌর্যবৃত্তি আর অবিশ্বাসের প্রকাশ সংবিধানের এই অনুচ্ছেদটি।
বিষয়টি এখন আদালতে গড়িয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের রায় কি হবে জানি না। প্রার্থনা কেবল আমাদের রাজনীতি কলুষমুক্ত হোক। বিবেকবোধ আর দেশপ্রেম জাগুক সকলের। সত্যিকারের গণতন্ত্র আসুক এ দেশে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটা গরিবি দেশের জন্য।
কারন ঘুষখোর সাংসদ বার বার বিল আটকে দিত।

০৭ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:১৯

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: রাজনীতিবিদদের চৌর্যবৃত্তির কারণেই দেশটা গরীব এখনো। ওরা দূর্নীতিতে নিমজ্জিত, ওদের প্রশ্রয়ে আমলারাও। আমাদের দেশের রাজনীতি কলুষমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি নেই।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকের অধিকারের কথা লেখা নেই, ইহা দেশ শাসনের দুই পয়সার ম্যানুয়েল।

০৭ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:২৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: অবস্থাদৃষ্টে তো তাই মনে হয় চাঁদগাজী ভাই।
ক্ষমতাসীনদের স্বৈরশাসনের জন্য এটা মূল্যবান মন্ত্রনা গ্রন্থ। সময় সময় এই সংবিধান সুরক্ষার জন্য তারা কারচুপির নির্বাচন দেয়।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সংবিধান শুধু দরিদ্র মানূষদের জন্য।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: মূলতঃ ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য। সময়ে সময়ে কেটেছেটে সংশোধন করে ক্ষমতাকে পোক্তও করে থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.