নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোর দিশারী
শিশু-কিশোর ও মধ্যবয়সীদের জন্য শীত যেমনই হোক, বয়োবৃদ্ধদের জন্য শীত এক বিড়ম্বনার। শীতে খেজুরের রস, পিঠা পায়েস, রকমারি সবজির সমারোহ সকলকে আমোদিত করলেও বয়স্করা খুব কাতর অবস্থায়ই থাকেন এ সময়টায়। সাধারণভাবে আমাদের দেহ যতটা উষ্ণ থাকে বা প্রতিকূল অবস্থায় যেমন সামাল দেয়, বৃদ্ধদের বেলায় ততোটা সম্ভব হয় না। তাই এ সময়ে তাঁদের জন্য প্রয়োজন হয় কিছুটা বাড়তি যত্নের। ঠান্ডা-কাসির প্রকোপও দেখা দেয় অনেক সময়। এছাড়াও ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ সহজেই কাবু করে বয়স্কদের। পরিচ্ছন্ন পর্যাপ্ত গরম কাপড় তাঁদের জন্য খুবই দরকার। এতেও কোন কোন সময় শীত মানে না, বিশেষ করে রাতের বেলায়। তাই রাতে শোবার সময় বয়স্কদের জন্য কয়েকটা গরম পানির ব্যাগ রাখা যায় তাঁদের কাথা-কম্বল বা লেপের নিচে। বিশেষ করে পায়ের কাছে এবং বুকের কাছে। এ ব্যাগের উষ্ণতা শীত দূর করে তাঁদের বিছানায় উষ্ণতা পরশ বুলিয়ে দিবে সহজেই। ঔষধের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে “হট ওয়াটার ব্যাগ” কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়াও প্লাস্টিকের পানির বোতল বা কোমল পানীয়র বোতল খুবই সহজলভ্য। এসব বোতলে সহনীয় মাত্রার গরম ভরে ব্যবহার করা যায়। গরম পানির এ বোতল দীর্ঘক্ষণ বিছানায় গরম থাকবে এবং হাত-পা ঠান্ডা হয়ে থাকা মানুষকে উষ্ণতায় স্বস্তি এনে দিবে, এমনকি ঠান্ডাজনিত রোগবালাই থেকে রক্ষা করবে। আবার পরিবারের পাচ-সাত বছরের শিশুদেরও রাখা যেতে পারে বৃদ্ধদের সাথে। এর ফলে শিশুদের শরীরের উষ্ণতায়ও অনেকটা শীত কেটে যাবে, আবার বৃদ্ধের নিঃসঙ্গতা দূর করে মানসিক চাঙ্গা রাখবে। শিশুটিরও সখ্যতা তৈরি হবে সিনিয়র সিটিজেনের সাথে। খাবার এবং গোসলের সময় কুসুম গরম পানির ব্যবস্থা করা ভাল। গ্রামে তীব্র শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হন বয়োবৃদ্ধ ব্যাক্তি। বয়স বেশি হবার কারণেই অনেকটা অগোছালো হয়ে পড়েন তাঁরা। তাই সহজেই আগুনে পুড়ে ভোগান্তিতে পড়েন। শীতে এই পোড়া অনেক কষ্টের। এজন্য বৃদ্ধদের আগুন পোহানো থেকে বিরত রেখে তাদেরকে গরম পানির বোতল সূতী গরম কাপড়ে মুড়িয়ে দিলে একদিকে যেমন শীতের কষ্টা লাঘব হয়, অন্য দিকে থাকেন সম্পূর্ণ নিরাপদ।
হজমের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যত সম্ভব শীতকালীন সবজি বৃদ্ধদের খাবার তালিকায় রাখা উচিত। এসব খাবার ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। প্রতিবারই পানের জন্য গরম পানির ব্যবস্থা করা যায়। এজন্য গরম পানি ফ্লাস্কে রাখা যেতে পারে। ফ্লাস্ক না থাকলে প্লাস্টিকের বোতলে গরম পানি ভরে মোটা কাপড়ে ভালভাবে মুড়িয়ে রাখলেও তা দীর্ঘক্ষণ গরম থাকে।
বয়োবৃদ্ধদের যথেষ্ট সম্মান ও মার্যাদায় রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এক সময় তাঁরা যখন কর্মক্ষম ছিলেন, তাঁদের তারুন্যকেই তাঁরা উৎসর্গ করেছেন এখন যারা বয়সে তরুণ ও কর্মক্ষম আছেন তাঁদের জন্য। আর ছোটরাও শিখবে বড়দের মর্যাদা দানের বিষয়টি। পরিবারে পারস্পরিক সম্মান, সহানুভূতিই আমাদের সমাজের অবক্ষয় দূর করতে পারে। জোরদার করতে পারে সম্প্রীতির বন্ধন।
(ব্যবহৃত ছবিটি নেট থেকে সংগৃহীত)
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।
শীতের কাতর যে কেউ এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন, খুব ভাল ফল দিবে।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫১
Hasin mahtab বলেছেন: শিক্ষণীয় কিছু ছিলো। ভালো লাগলো
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ, হাসিন মাহতাব ভাই
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: এক কথা সুন্দর পোষ্ট।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নূর ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রয়োজনীয় কথা বলেছেন, কাঁথা-কম্বলের সাধারণ বোতলে গরম পানি রাখলে রাতে ঠান্ডার প্রকোপ কমবে; ব্লগার নুর মোহাম্মদ নুরু সাহেব এটা ট্রাই করে দেখতে পারেন।