নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোর দিশারী
ধর্ম (Religion) হলো এমন একটা শব্দ, যা ছুরির চেয়েও ধারালো, সাপের বিষের চেয়েও বিষাক্ত। একমাত্র এই শব্দটাই মানুষকে নৃশংসভাবে কেটে খন্ডিত করে। মানুষকে বানায় হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন, ইহুদী, খৃষ্টান এসব। মানবতা লুন্ঠিত করার শক্তিশালী হাতিয়ার এই ধর্ম। দুর্জন ব্যক্তিরা এই ধর্মটাকেই যুগ যুগ ধরে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে। কেবল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। সমাজের অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত মানুষের মাঝে ধর্মের মাতম তুলে নিজেরা লুফে নেয় স্বার্থ। আরাম আয়েশে বিলাসিতায় জীবনকে উপভোগ করে নিরালায়। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাস ঘাটলে যা দেখি, রাজ্য বিস্তার বা ক্ষমতা দখলের জন্য যত না প্রাণহানি হয়েছে, ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ সংঘাতে তার চেয়েও বেশি প্রাণহানি হয়েছে, বিধ্বস্ত মানবতা। বেশি দূরে নয়, আমাদের এই মহাদেশের দিকে দৃষ্টি দিলেই সহজে উপলব্ধি করা যায় বিষয়টা। বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের বাড়াবাড়ি, ভারতে সনাতন ধর্মের বাড়াবাড়ি, মায়ানমারে বৌদ্ধ ধর্মের বাড়াবাড়ি, ইসরাইলে ইহুদী ধর্মের বাড়াবাড়ি, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের কথা বাদই দিলাম। আর ইউরোপে? জার্মান, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক ওসব দেশের দিকে তাকাই। ওসব দেশে শান্তি আছে, ধর্ম নেই। আর যেখানেই ধর্ম, ধর্মের বাড়াবাড়ি সেখানেই অশান্তি, বিপন্ন মানবতা।
অনেকে ধর্মশিক্ষাকে নৈতিক শিক্ষা বলে গুলিয়ে ফেলেন। উন্নত অনেক দেশেই ধর্ম নেই, তাই বলে কি সেখানে নৈতিক শিক্ষা নেই? নৈতিকতা নেই? বরং আমাদের মতো যেসব দেশে ধর্মের জিকির তোলা হয়, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি হয়, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছড়াছড়ি, সেসব দেশই পিছিয়ে আছে উন্নয়নে, নৈতিক শিক্ষায়। বিশ্বে উন্নত সব দেশে ধর্মের বাড়াবাড়ি নেই, সেসব দেশ মানবতা ও নৈতিকতায় এগিয়ে রয়েছে আমাদের থেকে বহুদুর। তাঁরা বিজ্ঞানমনস্ক জাতি, নিয়মশৃঙ্খলা, নৈতিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে ব্যাস্ততা তাঁদের। এই উপমহাদেশের ধর্মাশ্রয়ী নেতাদের মতো কার ফ্রিজে গরুর মাংশ, শুকরের মাংশ আছে, কাকে পিটিয়ে বা পুড়িয়ে মারতে হবে, কে কোন ধর্মপ্রবক্তাকে কি বলে কটাক্ষ করেছে এসব ঘাটার মতো অযথা সময় ব্যয় করার মতো সময় ওদের নেই। এদেশের দুর্নীতি আর ওসব দেশে দুর্নীতির তুলনা করলেই বুঝা যায় অনায়াসে নৈতিকতার অবস্থান।
আজ সমাজের যে নেতা ব্যক্তিটা ব্যাঘ্র নিনাদে ধর্মের মাতম তুলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে এগিয়ে আছে, তাকে বা তার সন্তানকে সেসব ধর্মমুক্ত দেশে শুধু যাবার সুযোগ দিলে, লেজ গুটিয়ে ম্যাও ম্যাও করে ছুটবে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। মধ্যপ্রাচ্যে কতোটা শিক্ষা আর মানবতা আমরা দেখতে পাই? ইসলাম ধর্মের পূণ্যভূমি সৌদি আরবের কথাই দেখি। এদেশ থেকে নারী শ্রমিক কাজ নিয়ে সেখানে গিয়ে কি অবস্থার শিকার হয়ে দেশে ফিরছে? সেখানে তো সম্পুর্ন ধর্ম শাসিত দেশ। ধর্মীয় অনুশাসনে চলে সব কিছু। একজন নারী শ্রমিক ফিরে এসে যখন কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানায়, উপুর্যুপুরি পিতা ও পুত্রের ধর্ষণের শিকার হয়েছে সে। বিচার চাওয়ার অধিকার পায়নি ধর্মীয় অনুশাসনের পুণ্যভূমিতে। তাদের অর্থে এদেশে যারা ধর্মীয় শিক্ষা তথা অনুশাসনের দাবী তোলে, খুব ভয়াবহ বিপর্যয়ের দুশ্চিন্তাই তখন যেকোন বিবেক সম্পন্ন মানুষকে বিচলিত করে।
বঙ্গভঙ্গ হয়ে পাকিস্তানের উপনিবেশে প্রবেশ করেছিলাম আমরা ধর্মেরই দোহাইয়ে। ধূর্ত ইংরেজরাও বুঝেছিল, ভারতবর্ষের স্বাধীনতায় আন্দোলনরত সুসংগঠিত নাগরিকদের খণ্ডিত করার একটাই উপায়, তা হচ্ছে ধর্ম। এই একটা উস্কানীতে বৃটিশরা এ দেশের সম্পদ লুন্ঠনের জবাবদিহিতা এড়িয়ে স্বচ্ছন্দে পগার পার হবার পথ খুঁজে পেয়েছিল সহজে। তারপরের ধর্মীয় দাঙ্গার ইতিহাস কি ভুলে যাবার? ইতিহাস থেকে তা মুছবে না কখনো, যদিও জাতি হিসেবে আমরা প্রায়শঃ ইতিহাস বিস্মৃত। পাকিস্তান গঠিত হবার পর সেই ধর্মের ভূত পুরোই চেপে বসলো শাসকদের মাথায়। ধর্মের মওকায় শাসনের চেয়ে শোষন অনেক বেশি সহজ। ওরা তাই করলো। যেখানে বৃটিশের সাথে লড়াই করে ওদের দ্বারা লুণ্ঠিত সম্পদ পুনরুদ্ধারে লেগে থাকার কথা, সেখানে ভারত বিদ্বেষ ও ইসলাম কায়েমের দোহাই দিয়ে এদেশের উপর স্টিম রোলার চালিয়ে সম্পদ চুরির পাঁয়তারা শুরু করলো। দেশ বিভাগের সীমানার জটিলতার দিকেও দৃষ্টি দিতে ভুলে গেল পাকি ক্ষমতাধরগণ। দীর্ঘদিন যার ভুক্তভোগী ছিল এদেশের সীমান্তবর্তী সাধারণ জনগণ। তারা এদেশে ইসলাম কায়েমের নামে সম্পদ লুণ্ঠন শুরু করেছিল, সাধারণ মানুষের শান্তি-স্বস্তির কথা ভাবেনি, উন্নয়নের কথা ভাবেনি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ধর্মের জিকিরে শোষণ নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকি সেনারা এদেশে যুদ্ধ করেছে নাকি ইসলাম রক্ষার জন্য! আর এই ইসলাম রক্ষার জোসেই এরা আমাদের মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে অবলীলায়। এখানেও ধর্মই হাতিয়ার।
মায়ানমারে ধর্মীয় গুরুর উস্কানী আর সেনাবাহিনীর তান্ডবে বিপন্ন মানবতা কি আমাদের দৃষ্টি এড়ায়? সেখানেও জাতি ও ধর্ম নিয়েই সঙ্ঘাত। পালেস্টাইনের নিরীহ শিশুও রক্ষা পায় না ইসরাইলের ইহুদী জান্তার হাত থেকে। নজিবউল্লাহর আধুনিক সুসভ্য আফগানিস্তান আজ বিধ্বস্ত কেবল ধর্মের কারণেই। পৃথিবীর বহু দেশ আজ অস্থির এই ধর্মের সংঘাতে। মানবতার বানী সকল ধর্মেই রয়েছে, কিন্তু মানবতাকেই নৃশংসভাবে ধ্বংস করেছে ধর্ম ও ধর্মের ধ্বজাধারীরা। যদিও কেবল ধর্মকে বাদ দিলেই সম্পূর্ণ অখন্ড থাকবে মানুষ, সুরক্ষিত হবে মানবতা, এ কথা বলা যায় না। তবে অনেকাংশেই নৃসংসতা ও কুপমণ্ডকতা থেকে পরিত্রান পাবে নিঃসন্দেহে বলতে পারি। অন্তত এক ধাপ এগিয়ে যাবে সভ্যতা।
দূর হোক সকল অধর্ম, জয় হোক মানবতার।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৫৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: কষ্ট করে পড়া আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আবু তালেব শেখ ভাই।
আমিও তাই মনে করি, যার যার ধর্ম সেই পালন করুক। একে যেন স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। ধর্মকে পুঁজি করে রক্তের হোলি খেলা অনেক হয়েছে, ক্ষতি বই কল্যান কিছুই হয়নি। বন্ধ হোক ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, বন্ধ হোক সকল ধরনের বাড়াবাড়ি আর উগ্রতা।
যার যা ধর্ম বিশ্বাস, সে তা স্বাধীনভাবে পালন করুক। অপরকে চাপিয়ে না দিক।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কোন ধর্মই খারাপ নয়। আপনার লেখার ভেতরই আপনি বলেছেন বিভিন্ন ধর্মের বাড়াবাড়ির কথা। মনে রাখতে হবে বাড়াবাড়ি যে কোন কিছুর বৈশিষ্ঠ্যকে নষ্ট করে। এটা খুবই ক্ষুদ্র এবং স্বাভাবিক একটি লজিক। সেই কারনে বিভিন্ন ধর্মে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে মানা করা হয়েছে।
পৃথিবী ছয়টি দেশে আয়োজন করে কোন ধর্ম পালন করা হয় না। যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে ধর্ম পালন করতে চায়, সেখানে সমস্যা নেই।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালবাসা। সুন্দর যুক্তি বিশ্লেষণ করেছেন।
যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে ধর্ম পালন করতে চায়, সেখানে সমস্যা নেই- এটাই প্রতিষ্ঠিত হোক সমাজে। জেহাদী জোস নিয়ে অন্যের উপর জবরদস্তিটা কেবল বন্ধ হোক। পরমত সহিষ্ণুতা, বিজ্ঞান, যুক্তি বিচারের ধৈর্য্য থেকে আমরা যেন বিচ্যুত না হই আমরা, এটাই কামনা।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১১
গরল বলেছেন: ধর্মই যত অধর্মের মূল, কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সহমত।
ধন্যবাদ মি. গড়ল ।
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২২
মানিজার বলেছেন: মাথায় বেদনা হইছে অহন মাথাডাই ফালায়া দেন ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধর্মকে ব্যবহারকারীদের ভাষায় বলছেন! ওদের কাজই করে মাথাবিহীন কিছু মানুষদের নিয়ে। সমস্যাটা তো এখানেই।
আমি চাই বেদনা নিরাময় করে মাথার সদ্ব্যবহার হোক।
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
নতুন বলেছেন: কোন ধম` আপনাকে খারাপ হতে বলেছে?
কোন ধম`ই মানুষকে খারাপ হতে বলেনা। সুবিধাবাদীরাই ধম`কে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে।
তাই আপনি সুবিধাবাদী+ধান্দাবাজ ধামিকের পোশাক পরে যারা থাকে তাদের ঘৃনা করতে পারেন।
ধম`কে না।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বিজ্ঞান আর যুক্তির মানদন্ডের কোন ধর্মকে আপনি উত্তীর্ণ বলেন?
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধর্ম মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে, এথেকে ধর্মকে কেউ থামাতে পারবে না। তবে মানবতাকে কে লুণ্ঠন করার ক্ষেত্রে এক কথায় ধর্মকে দায়ি করা যায় না। ধর্ম নয়, ধর্মহীনতাই মানবতাকে লুণ্ঠন করছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধর্মহীন রাষ্ট্রগুলোর দিকে দেখেন, সে ধরনের অধিকাংশ রাষ্ট্রেই মানবতা সমুন্নত আছে।
বিবেক যেখানে জাগ্রত, সেখানে আর কিছুর প্রয়োজন পড়ে না।
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: ধর্ম মানুষের মধ্যে মানবতার উন্মেষ ঘটায়- কিন্তু মানুষ তা ভুলে গিয়ে খারাপ কাজে ধর্মকে ব্যবহার করে। দোষ ধর্মর না, দোষ অপব্যবহারের।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন জনাব করুণাধারা, দোষটা ধর্মের অপব্যবহারের। ব্যক্তিগত বিশ্বাসে ধর্মাচরণে আমারো আপত্তি নেই। হিন্দু, মুসলিম, ইহুদী, বৌদ্ধ, খৃষ্টান যে যার ধর্ম তাঁর মতো পালনের স্বাধীনতা ভোগ করা তাঁর নৈতিক অধিকার। আমিও একে সম্মান করি। আমার অনীহা বা ঘৃণা রাজনৈতিকভাবে অপপ্রয়োগকৃত ধর্মের প্রতি, কিংবা বলা যায় ধর্মের রাজনৈতিক অপপ্রয়োগের প্রতি।
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার আর চাঁদগাজী ভাইএর মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি।
ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
নতুন বলেছেন: ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫ ০
লেখক বলেছেন: বিজ্ঞান আর যুক্তির মানদন্ডের কোন ধর্মকে আপনি উত্তীর্ণ বলেন?
সকল ধমেরই লিমিটেসন আছে... আমি বলেছি আপনার ঘৃনা করার ব্যাপারে.... ঘৃনা করার মতন খারাপ কিছু কোন ধম` আপনাকে কখনোই বলেনাই।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: প্রচলিত কোন ধর্মের প্রতি আমার কোন ঘৃণা নয়। বলতে চেয়েছি, আমার ঘৃণা রাজনৈতিকভাবে অপপ্রয়োগকৃত ধর্মের প্রতি। যার বিস্তারিত উল্লেখ করেছি আমার পোস্টে। যুগে যুগে এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী চক্র স্বীয় স্বার্থ কায়েমের উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের অধিকার খর্ব করেছে, অশান্তির বীজ বুনেছে শান্তিপ্রিয় অসাম্প্রদায়িক সমাজে।
১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
কাতিআশা বলেছেন: নয়া পাগল আইছে ব্লগের পরিবেশ নস্ট করতে..! একটা কথা, যাদের কমেন্ট আপনার পছন্দ হচ্ছে, তাদের গুলাই শুধু রিপ্লাই দিচ্ছেন, বাহ্! বায়াস্ড্!
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বাহ দারুণ বলেছেন!
আপনার কমেন্টটাও পছন্দ হয়েছে, তাই রিপ্লাই দিলাম।
বেশ বিনোদন।
১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫০
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
ধর্ম আর আধ্যাতিকতার মধ্য পার্থক্য কি?
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ভাল আছি প্রিয় বিজন রয়।
সুন্দর ও সুকঠিন প্রশ্ন করেছেন। সংক্ষেপে উত্তর দেওয়া আরো কঠিন।
ধর্মের মাঝেও আধাত্নিকতা রয়েছে, যখন তা জ্ঞানীদের কাছে যায়। আর মূর্খের কাছে কেবল লোকাচার, পরচর্চা, জিহাদী জোস। তবে ধর্মের পুরোটাই বিশ্বাস। যে করে করবে, কিন্তু একে দুরভিসন্ধিমূলকভাবে ব্যবহার করা আর চাপিয়ে দেওয়াটাই বিরক্তির বড় কারণ ........
১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৮
পুকু বলেছেন: ১০০% সহমত।মানবতাই শেষ কথা।সবার উপর মানব ধর্ম তাহার উপর নাই।কেবল মানবতার জয় হোক ।এটাই হোক শেষ কথা।আমরা যদি মানুষই না হতে পারলাম তাহলে আর এইসব তথাকথিত ধর্মে প্রয়োজনীয়তা কোথায়?আর দরকারই বা কি?সময় এসেছে নতুন করে ভাববার।সময়োপযোগী পোস্ট।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সহজ ভাষায় সুন্দর একটি বিষয়ে লেখার জন্য।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ পুকু, সহমত পোষণ ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য। বিবেক শানিত হোক, জয় হোক মানবতার।
১৩| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধর্মের কারণে পৃথিবীতে যত খুনোখুনি ও রক্তপাত হয়েছে, অন্য কিছুর জন্য তা' হয়নি। আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। আমরা নিজেদের হাতের মোবাইল ফোনটা অন্যের হাতের মোবাইল ফোনের সাথে তুলনা করে বলি, আপনার সেটটা আমারটার চেয়ে ভালো । চোখে দেখা যায় বলে আমরা অকপটে এরকম নতি স্বীকার করতে পারি। কিন্তু ধর্মের উৎসমূল এবং হাজারো গালগল্পে ভরা বিভিন্ন ধর্মের অসারতা গুলো আমরা চোখে দেখিনি বলে 'আমারটাই সেরা' এই অর্বাচীন মনোভাবের বাইরে আমরা যেতে পারি না। পৃথিবীর পুরো জনগোষ্ঠীর বৃহদাংশই মূর্খতার অন্ধকারে ডুবে আছে। হাজার হাজার বছর পেরিয়ে এসেও আমরা সভ্য হতে পারিনি।
ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার জীবনে ধর্মের আচার আচরণ গুলো মেনে চলি। নামাজ পড়ি, রোজা রাখি, সবই করি। কিন্তু আচার সর্বস্ব ধর্মের অনুশীলনের চাইতে আমি ধর্মের মূল্যবোধ গুলোর ওপর বেশি জোর দেই। একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে এক বেলা খেতে দিয়ে আমি এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চাইতে বেশি তৃপ্তি পাই। আমার বেহেশতে যাওয়ার লোভ নেই। কিন্তু একজন অসহায় মানুষকে সাহায্য করার লোভ আছে। মানুষকে ভালোবাসার লোভ আছে। আমার মরহুম পিতা এই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন আমাকে। তিনি কঠোরভাবে ইসলাম ধর্মের অনুশাসন যথাসম্ভব মেনে চলতেন।
আমি ব্লগে কোন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পোস্টে কখনো মন্তব্য করি না। এই প্রথম আপনার এই ধর্মীয় পোস্টে মন্তব্য করলাম।
ধন্যবাদ ভাই জহিরুল ইসলাম সেতু।
২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাই, আপনার সুচিন্তিত চমৎকার মন্তব্যের জন্য অভিনন্দন জানাই।
আপনার মতোই মানুষকে ভালবাসার লোভ, অসহায়কে সাহায্য করার লোভ আমারো। মানবতাকেই আপনার মতো, আপনার শ্রদ্ধেয় বাবার মতো আমিও উর্ধ্বজ্ঞান করে থাকি। ধর্ম যার যার আন্তরিক বিশ্বাস। এ বিশ্বাসকে অবমূল্যায়ন করার স্পর্ধা কখনো আমার নেই। কিন্তু ধর্মের নামে ভণ্ডামী, জুলুম, নির্যাতন, স্বার্থসিদ্ধির পাঁয়তারাকে চরমভাবে ঘৃণা করি।
রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার, আর অপরাজনীতির কারণেই এই সুন্দর পৃথিবীটা কলুষিত হয়ে উঠেছে। এজন্যই আমার এই লেখা। আপনার মতো গুণী মানুষ এখানে মন্তব্য করে উদ্দীপ্ত করেছেন, এ আমার সৌভাগ্য।
সবসময় এভাবেই পাশে চাই।
ভাল থাকবে সব সময়, আপনার সুস্থ ও সুন্দর জীবন কামনা করি।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ধর্মপালন করো কিন্তু বাড়াবাড়ি করোনা।
যার যার ধর্ম সেই পালন করুক। ধর্ম কে রাজনিতির হাতিয়ার বানানো থেকে বিরত থাকো, পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসবে।
অনেক যুক্তিপূর্ণ আলোচনা করেছেন।
তবে ধর্ম পরকালের সম্পদ দৃঢ় বিশ্বাস করি।