নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। প্রবলভাবে আশাবাদী। স্বপ্ন দেখি শান্তিময় সমৃদ্ধ পৃথিবীর।

জহিরুল ইসলাম সেতু

আলোর দিশারী

জহিরুল ইসলাম সেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলুন নতুন এ বছরটিতে ইতিবাচক ধারায় পাল্টাই

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৫


নতুন বছরকে স্বাগত জানানো আমাদের মজ্জায় এমনভাবে গেঁথে আছে যে অবচেতন মনেই আমরা বাংলা সন বা খৃষ্টীয় সালের শুরুতে বেশ আড়ম্বরে স্বাগত জানিয়ে পরস্পরকে শুভেচ্ছা বাণী পাঠিয়ে থাকি। বিগত বছরের সব গ্লানি দূর করে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার সংকল্প করে থাকি। সময় সুযোগ হলে হয়তো কেউ কেউ রমনায় যাই, ঘরে-বাইরে পান্তা ইলিশ খাই, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপভোগ করি। তারপর যা আছি তা-ই হয়ে যাই। ঘুষ খেয়ে সম্পদ বাড়াই, অপরের সম্পদ কুক্ষিগত করার ধান্ধায় মেতে উঠি, বিলাসিতায় গা এলিয়ে দেই, পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে সমগ্র দেশকে দখলের পাঁয়তারায় মানুষের শান্তি বিনষ্ট করি। কতো কি-ইনা করে নিজের কর্তৃত্বকে অধিষ্ঠিত করার জন্য বেপরোয়া হয়ে থাকি। কেউবা দেশে ধর্মীয় শাসনের স্বপ্নে জিহাদী হয়ে উঠে অন্যের জীবন, পরিশেষে নিজের জীবনটাকেও বিপর্যস্ত করে তুলি। আবার কেউ ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজে আনন্দে পুলকিত হয়ে অন্যের জীবনকে বিভীষিকাময় করে তুলি। বছরের পর বছর ধরে একই ধারায় চলে আসছে এসবের ধারাবাহিকতা। আবার কেউ কেউ উল্টোস্রোতে নীতি আদর্শ নিয়ে শান্তির বাণী ছড়িয়ে জীবনকে সার্থক করে তুলি।
জীবনের জয়গান, মানবতার জয়গান দিয়ে শুরু যে নতুন বছরটা, তা পুরাতন হতে লাগে মাত্র ৩৬৫ দিন। আর একটা জীবন পুরাতন হতে সময় লাগে কতোটা? জগত সংসারের ইঁদুর দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে জীবনের সায়াহ্নে হিসেবে বসলে কী পাই? যা দিয়েছি মানুষের জন্যে, পাওয়ার হিসেবে তা-ই ফিরে ফিরে আসে। আর যা ভোগ করেছি, তা প্রাতঃকৃত্যের মতোই খরচের খাতায় চলে যায়। তাহলে লাভটা কীসে?
আমরা কি এ বছরটাকে নিজের জীবনে অনন্য একটা বছর হিসেবে ধরে নিয়ে এই একটা বছর সৎ জীবন যাপন করার চেষ্টা করতে পারি? এই একটা বছর নিজের কর্মক্ষেত্রে কোন ফাঁকি দিবো না, ঘুষ নিবো না, অন্যের সম্পদ দখলের পাঁয়তারা করবো না, এই একটা বছরের আয় থেকে উদ্বৃত্তের কিছুটা অংশ মানব কল্যানে ব্যয় করবো। ধর্মের ঝাণ্ডা তুলে ধরতে গিয়ে অপরের জীবনের শান্তি বিনষ্ট করবো না। কাউকে শহীদী দরজা দেখানোর জন্য উস্কানি পরিহার করে যার বিশ্বাস বা ধর্ম তার মতোই পালন করার সুযোগ দিবো। পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে ফতুয়া দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভক্তির উদ্রেক করবো না।
বিবেককে শানিত করে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব কর্তব্যকে নিষ্ঠার সাথে পালন করার ব্রতই হোক ১৪২৫ সন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


নববর্ষের শুভেচ্ছা।

ব্লগারেরা পরিবর্তনের মাঝ দিয়ে যাচ্ছেন

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: শুভেচ্ছা চাঁদগাজী ভাই। ইতিবাচক একটা পরিবর্তনের চেষ্টা জেগে উঠুক আমাদের চেতনায়।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫০

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।


"শুভ নববর্ষ"

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: গ্লানি মুছে নতুন শপথের সময় এসেছে সোহাগ তানভীর সাকিব ভাই। চলুন পাল্টাই পজিটিভলি।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: বৈশাখে পান্তা, ইলিশ, কনসার্ট, সাহিত্য কোনটাই চাই না। অন্তত ধর্ষণ বিদায় হোক তাতেই চলবে...

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০৮

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আনুষ্ঠানিকতা হোক, হোক মঙ্গল শোভাযাত্রা; আমার প্রার্থনা কেবল "শুভ"টা আসুক আমাদের অন্তরে। ধুয়ে যাবে সকল কালিমা।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০৫

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: রাজীব নূর ভাইয়ের সাথে সহমত...

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১২

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ আকতার আর হোসাইন ভাই, দূর হোক সকল অশুভ। শুভ আসুক আমাদের চেতনায়।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৩০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


সুস্থ ধারার যে কোন সাংস্কৃতিক চর্চাকে আমাদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এটি বিদেশি বা স্বদেশী যাই হোক না কেন। আমরা যে নীতি ও আদর্শ বিশ্বাস করি তা আমাদের নিজস্ব ব্যাপার, এতে সমাজের কিছু যায় আসে না। সমস্যা দেখা দেয় তখনই যখন আমরা নিজের ইচ্ছাকে জোর করে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করি। এটা অন্যায়। এতে সমাজে বিভাজন দেখা দেয়। হিংসা-বিদ্বেষ বেড়ে যায় ফলে সমাজে শান্তি বিনষ্ট হয়। একুশ শতকের বিশ্বায়নের এ যুগে জোর করে নিজের পছন্দ-অপছন্দ অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। মানুষ তা শুনতে বাধ্য নয়।

কালচার/সাংস্কৃতিক চর্চাটা আসে মানুষের ভালবাসা ও দীর্ঘ দিন থেকে সমাজে প্রচলিত অভ্যাস থেকে। এজন্য জোর করে কোন কালচার/সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া যায় না, আবার জোর করে মানুষের নিজস্ব কালচার/সংস্কৃতি থেকে বের করে আনা যায় না। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ও বিনোদন মানুষের বুদ্ধিভিক্তিক জ্ঞানকে বিকশিত করে, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক দৃঢ় করে। সমাজকে পরিশুদ্ধ করে। পৃথিবীর উন্নত ও সভ্য দেশগুলো এভাবেই আজ এগিয়ে যাচ্ছে আরো উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে। তারা নিজেদের মতামত কারো উপর চাপিয়ে দেয় না; বরং অন্যের পছন্দ অপছন্দকে সম্মান দেয়, সহযোগিতা করে। এতে সমাজে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা অটুট থাকে।

...............শুভ নববর্ষ।
.............................ব্লগে স্বাগতম।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৯

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: অনেক সুন্দর বলেছেন কাওসার চৌধুরী ভাই। অভিনন্দন।
"তারা নিজেদের মতামত কারো উপর চাপিয়ে দেয় না; বরং অন্যের পছন্দ অপছন্দকে সম্মান দেয়, সহযোগিতা করে। এতে সমাজে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা অটুট থাকে"
নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই বছর থেকে জাতি সঠিক পথ খুঁজে পাবে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: জী ভাই, আপনারা যদি আবার ৭১এর মতো গর্জে উঠেন। আবার সংগ্রামে নামেন, সঠিক দিক নির্দেশনা দেন, জাতি অবশ্যই সঠিক পথটি খুঁজে পাবে। আমরা আপনাদের সাথে থাকবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.