নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোর দিশারী
শিল্পে বিষয়বস্তুর বৈচিত্র অপরিসীম। শিল্পীর ভাবনায় বস্তু জগতের অস্তিত্ব যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে অসীম কল্পনার সৃষ্টিশীল বিস্তারও। তিনি তা চর্মচক্ষু দিয়ে দেখে হৃদয়চক্ষুতে অনুভব করেন, আর শিল্পে ফুটিয়ে তোলেন আপন মহিমায়। শিল্পী আনিসুজ্জামানের শিল্পের বিষয়বস্তু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিচরণ করে নগরের রড-ইট-কাঠ-পাথরে এসে থিতু হয়েছে। শিল্পী তাঁর মুনশিয়ানা তুলে ধরেছেন অসীম মমতা আর ধৈর্য্যে। স্থূল এবং অতি সাদামাটা বিষয়কে সুক্ষ্ণ বোধ দিয়ে অসাধারণ করে তুলে এনেছেন তাঁর শিল্পে।
আজ ৩০ জুন, শিল্পী আনিসুজ্জামানের জন্মদিন। জন্মদিনের শুভক্ষণে শিল্পীর প্রতি ভালবাসা ও শুভ কামনা।
জলরঙ, তেলরঙ, এক্রেলিকসহ শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যমে বিচরণ থাকলেও, আনিসুজ্জামান মূলতঃ কাজ করেন ছাপচিত্রের কাঠখোদাই মাধ্যমে। তাঁর শিল্পের বিষয় যন্ত্রসভ্যতার এই নগরী। নগরে উন্নয়ন কার্যক্রম চলে অহর্নিশি। আনিসুজ্জামানের চোখ সেখানে নিবদ্ধ হয়েছে, ভাবনাগুলো ডানা মেলেছে শিল্পের ধারায়। রড-কংক্রীটের বুনটে তৈরি হচ্ছে সুবিশাল অট্টালিকা। ইটের পাঁজর থেকে বেরিয়ে এসেছে অবিন্যস্ত সব রড। আনিস তাকে দেখেছেন শিল্পদৃষ্টির মুগ্ধতায়। কখনো নীচ থেকে, কখনো উপর থেকে, আবার কখনো বা সমান্তরাল অবস্থান থেকে। এর মাঝে অন্তর্নহিত ছন্দ আর অপরূপ রূপের ব্যঞ্জনায় সৃষ্টি করেছেন তাঁর শিল্প। বর্ণে বৈচিত্রেও তা ভিন্ন মাত্রা ধারণ করেছে ধূসরতায়। কখনো তার জমিন হয়েছে বিবর্ণ ধূসর, কখনো আবার গোধূলীর কমলা রঙ, কখনো নিলাভ ধূসর। কখনো আবার চোখ ধাঁধানো লাল।
নগরে পথের পাশে বিদ্যুতের খুটিতে অপরিকল্পিতভাবে ঝুলানো হয়েছে ডিস লাইনের কেবল। বৈদ্যুতিক তারের খুটিতে ঝুলন্ত এসব জটিল কেবল যেকোন সময় ঘটাতে পারে মারাত্মক কোন দূর্ঘটনা। মানুষের জীবনে রয়েছে এমনই অনেক জটিল কেবলের বাড়াবাড়ি, স্নেহ, মমতা, ভালবাসা, লোভ, হিংসা, বিদ্বেষ এসবে জড়িয়ে জীবনও হয়ে ওঠে জটিল। যে কোন সময় ভারসাম্যহীনতায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে হৃদয়ের জমিতে। এসব কমপ্লেক্সিটি নিয়ে শিল্পী আনিস সৃষ্টি করেছেন ধারাবাহিক কিছু শিল্প।
ক্রেন, বুল্ডোজারও ইমারত নির্মাণের সহযোগী যন্ত্র, আনিসের শিল্পে এরাও বাদ যায়নি শিল্প দোত্যনা থেকে। এদেরকেও প্রাণবন্ত করে তুলে এনেছেন তিনি গভীর মমতায়। শুধু একটা জিনিসের অভাব লক্ষণীয়, তিনি যে নগরকে তাঁর শিল্পে কাব্যব্যাঞ্জনায় মূর্ত করে তুলেছেন, সে নগরীতে নাগরিকের অনুপস্থিতি। শিল্পে অনেক সময় মানুষের উপস্থিতি তার ভাবব্যঞ্জনায় যে প্রাণ নিয়ে আসে শিল্পী আনিস অবশ্য তা বাদ দিয়েই নিপূণ হাতে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন নগরের অট্টালিকা, নির্মাণযন্ত্র, বিদ্যুতের খুটি, তার এবং ডিসলাইনের কেবলকে। নাগরিকের যাপিত জীবনে না প্রবেশ না করে তাঁদের বাসস্থান নির্মাণশিল্পের দিকে তথা নগর ল্যান্ডস্কেপের দিকে নজর দিয়েছেন তিনি, শিল্পমধ্যম ও শিল্পবিষয়ে ভিন্নপথে হাঁটছেন দৃঢ় পদক্ষেপে।
৩০ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: টানার যোগ্যতা সবার সমান থাকে না চাঁদগাজী ভাই। আমার হয়তো তা কম আছে। আর শিল্পের বিষয়টা রাজনীতির মতো মুখরোচক না, সবাইকে এতে টানা সত্যিই কঠিন।
পড়েছেন, সেটাই আমার ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই।
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০০
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: যতদূর জানি ছাপচিত্রের কাঠখোদাই বেশ কঠিন একটা মাধ্যম। যদিও আমার কাছে তেলরং ভালো লাগে। নিউমার্কেট থেকে অনেক খুঁজে তেলরং-এ আঁকা একটা কাঠের পালতোলা বিশাল জাহাজের ছবি কিনেছি। অসাধারণ। যাই হোক, আনিসুজ্জামান গুণী শিল্পী। আপনার বর্ণনার ভঙ্গিটি ভালো লাগলো। শিল্পীকে তুলে ধরার জন্য আমার তরফ থেকে ধন্যবাদ।
০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ঠিকই বলেছেন অর্থনীতিবিদ ভাই। চাপচিত্রের কাঠখোদাই বেশ কঠিন ও জটিল একটি মাধ্যম। ছাপের সবকটি ধাপ পার না হওয়া পর্যন্ত শিল্পীকে কঠিন চাপের মধ্যে থাকতে ফলাফলের জন্য। তেলরঙএ আঁকছেন এমন বহু শিল্পী আমাদের দেশে থাকলেও ছাপচিত্রের এই কঠিন মাধ্যমটিতে কাজ করেন হাতে গোনা অল্প কয়েকজনই। শিল্পী আনিসুজ্জামান তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। আপনার ভাললাগা আমাকে আরো লিখতে অনুপ্রাণিত করবে। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৯ জুলাই শিল্পী সুশান্ত কুমার অধিকারীর "বনলতা" শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। প্রাচ্যরীতিতে জলরঙএ আঁকা তাঁর শিল্পকর্মগুলোও আপনার কাছে ভাল লাগবে আশা করি। প্রদর্শনী চলবে ৯-১৫ জুলাই, বিকেল ২টা - রাত ৯টা পর্যন্ত। দেখার আমন্ত্রণ।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩২
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অসাধারণ একটি আমন্ত্রণ জানালেন ভাই। ৯-১৫ জুলাই তো, অাশা করি যেতে পারবো। তথ্যটি জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো।
০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৮
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে। ৯ জুলাই উদ্বোধনের দিন আমিও যাবো আশা করি। কবি জীবনানন্দের বনলতাকে শিল্পী সুশান্তর আঁকায় দেখে সুন্দর কিছু সময় কাটবে তখন।
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো দেখে তো ভালো লাগল।
০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ছবির উপর ভিত্তি করেই লেখা। ছবি ভাল লাগলেই সার্থকতা। লেখা ভাল না লাগলেও দুঃখ নেই, প্রিয় রাজীব নুর ভাই। শুভেচ্ছা রইলো।
৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শিল্পী আনিসুজ্জামানের শুভ জন্মদিনে বিলম্বিত শুভেচ্ছা।
একজন গুনী মানুষের কর্মযজ্ঞ আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই জহিরুল ইসলাম সেতু।
০১ লা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাই। আপনিও একজন গুণী মানুষ। আপনার লেখা হৃদয় ছোঁয়া। আপনার কর্মযজ্ঞের কিছুটা যদি তুলে ধরতে পারতাম। যদিও আমার জন্য তা দুঃসাহস, তবু চেষ্টা করছি।
৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: শিল্পী দারুন সাবজেক্ট চুজ করেছেন।
শিল্পীর জন্য রইল অসীম শুভকামনা।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধৈর্য ধরে পড়া ও শিল্পীকে শুভকামনা জানিয়ে মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
হয়তো ভালো কিছু বলতে চেয়েছেন! বলার ষ্টাইলটা আমাকে টানেনি