নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোর দিশারী
মানুষের আস্থা অর্জন খুব কঠিন, এবং তা ধরে রাখা আরো কঠিন। মানুষই মানুষকে বিশ্বাস করেন। কেউ জীবনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা দিয়ে সেই বিশ্বাসটুকু ধরে রাখেন, কেউ আবার অবলীলায় বিশ্বাস ভাঙ্গেন।
প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা বাস্তবায়ন করার আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সমাজের সাধারণ মানুষটি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না তখন তাকে দোষারোপ করি, তার নৈতিক দুর্বলতা হিসেবে দেখি। এতে দুয়েকজন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বৃহদায়তনে তেমন প্রভাব পড়ে না। কিন্তু একটা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যাক্তি যদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করেন, বা তালবাহানা করেন, সেটা কখনোই মঙ্গল বয়ে আনে না। মানুষের আবেগ থাকে, আবেগ দিয়েই সবকিছু বিচার্য নয়। রাষ্ট্রের একজন কর্ণধারের আবেগ থাকা উচিৎ পরিশীলিত। যখন যা মন চাইল, বললাম; অনুরাগে হোক কিংবা বিরাগেই হোক, তা নিশ্চয়ই উচিৎ না। তাঁর কথার উপর একটা দেশের অনেক কিছু নির্ভর করে। অনেক মানুষ স্বপ্ন দেখেন তাঁর প্রতিশ্রুতিতে, অনেকের স্বপ্ন ভঙ্গও হয়। তাই হিসেবী না হয়ে হুট করে কিছু বলে তা নিয়ে তালবাহানা করাটা অন্যায় নয় কি?
ব্যাপক ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বভৌম জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কোটা প্রথা বাতিল করবেন। তাঁর এই প্রতিশ্রুতিতে সবাই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। ছাত্রসমাজ সুশৃঙ্খলভাবে ঘরে ফিরে গেল। এতোদিন পর শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তালবাহানা হলে স্বাভাবিকভাবেই সংশয় দানা বাঁধে। এ নিয়ে কেউ কথা বলতে গেলে বা প্রতিবাদ করতে গেলে আবার উলটো তাদেরকেই নির্যাতন করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু যুবসমাজের অভিভাবকও। তিনি তাদের ডেকে বুঝিয়ে বললেই যেখানে সব সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যায়। সেখানে তাঁর নির্লিপ্ত নিরবতা আমাদেরকে ভাবায়। সমস্যা কেবলই সংকুল হয়ে উঠে।
দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তির কাছে আমরা সততা এবং প্রতিশ্রুতির সঠিক বাস্তবায়নই কামনা করি। তাঁর উপর আমরা সব চেয়ে বেশি আস্থা রাখি। কোন ধরনের কপটতার আশ্রয় তিনি নিবেন না, এটাই বিশ্বাস।
ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী প্রতিবাদী ছাত্রদের উপর যে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে, পঙ্গু করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছে, পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। অভিভাবকগণ প্রতিবাদে দাঁড়ালে তাঁদেরকেও রুখে দেওয়া হচ্ছে, পুলিশী হয়রানী করানো হচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টির আড়ালে নয় নিশ্চয়। তিনি যদি ক্রান্তিকালে নির্লিপ্ত থাকেন, নিজের অবস্থান পরিস্কার না করেন আমরা ভরসাটা করবো কোথায়?
০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আকাশে বসত মরা ঈশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বলো কাকে। ১৯৭১এর ভয়াবহতার স্মৃতির ........ পাকিরা টিকতে পারেনি। অন্যায়কারীর বিচার অবশ্যম্ভাবী।
চতুরতা কখনো ভাল ফল বয়ে আনে না। ভরসার সব জায়গা যখন ফুরাবে, ক্ষমতার চাকাও ঘুরে যাবে, এটাই প্রকৃতির নিয়ম। কারো ইচ্ছা অনিচ্ছার জন্য অপেক্ষা করবে না।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবই ভালো ছিলো, সংগঠকেরা অপেক্ষা না করে সংবাদ সন্মেলন করা ও 'অবরোধ'এর ডাক দেয়ায় ছাত্রলীগ ব্যাপারটাতে ঢুকে পড়ার সুযোগ পেয়েছে, মনে হয়!
আপনি কি আসলে শেখ হাসিনার উপর কখনো আস্হা রেখেছিলেন?
০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্রলীগ নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসী যারাই ব্যপারটাতে ঢুকুক না কেন, সরকারের দায়িত্বশীল মহলের ভূমিকা আশাপ্রদ নয়। তারচেয়েও বিদারক, শেখ হাসিনার নির্লিপ্ত নিরবতা। তিনি কিন্তু দায় এড়াতে পারেন না কখনো।
আস্থা এখনো রাখি চাঁদগাজী ভাই। আপনি যাই বলেন না কেন, তিনিই যে আমাদের আস্থার শেষ আশ্রয়। আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে নয়, রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে নয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবেই। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত সকল কাজের তাঁর হাতেই কেবল সুসম্পন্ন হতে পারে, অন্য কারো হাতে নয়। তিনি বিচ্যুত হলে গালমন্দটা আর কাকে করবো বলুন?
আপনার মন্তব্যে বরাবরই অনুপ্রাণিত হই চাঁদগাজী ভাই। কৃতজ্ঞতা সব সময়।
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি লিখেছেন, "আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে নয়, রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে নয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবেই। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত সকল কাজের তাঁর হাতেই কেবল সুসম্পন্ন হতে পারে, অন্য কারো হাতে নয়। "
-শেখ সাহেবের 'অসমাপ্ত কাজ বলতে বুঝায় "বাকশাল"কে ', তিনি কি সেটাতে হাত দিয়েছেন?
০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সত্যিকারের "বাকশাল"এর কাজে যদি তিনি হাত দিতেন, সেটা হতো উত্তম কাজ।
৭৫এর পর প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠি ক্ষমতার বলয়ে ঢুকে প্রথমেই "বাকশাল" শব্দটিকে নেগেটিভ অর্থে প্রচারে মেতেছে। সংবেদনশীল হওয়ায় আওয়ামী লীগও তা যতনে এড়িয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশের জন্য "বাকশাল" পরিকল্পনা ছিল একটি সুন্দর আদর্শ। (যদিও আজকালকার ছাত্রলীগের মতোই অতি উৎসাহী ও সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তাকে কলুষিত করেছে।) ওটা বাস্তবায়নের ক্ষমতা বা প্রজ্ঞা শেখ হাসিনার নেই। আরো সহজ কাজগুলোই তাঁর কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম। স্বাধীনতার মূল্যবোধ জাগ্রত করা, ৭২এর সংবিধানের চার মূলনীতি বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়া।
তিনি এখন কোন পথে হাঁটছেন, সেটা আপনার বিচার্য।
৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি লিখেছেন, "তিনি এখন কোন পথে হাঁটছেন, সেটা আপনার বিচার্য। "
-আমার ধারণা, উনার প্রাণের মা্যা আছে; উনার ধারণা, উনার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, উনাকে যারা হত্যা করার চেষ্টা করেছে, তাদেরকে উনি ২য় বার গ্রেনেড মারার সুযোগ দিতে চান না; সেটা করতে গিয়ে তিনি দরকারী কিছু তেমন করছেন না।
০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: তিনি তো বরাবরই বলেন, তাঁর হারাবার কিছু নাই, প্রাণের মায়া তিনি করেন না। দেশের জন্য কাজ করতে চান। -এসব তাহলে কি?
প্রধানমন্ত্রী কালে কালে আসে, কালে কালে যায়। ক্ষুদ্র স্বার্থের লোভে পড়ে দেশপ্রেমী সবাই হতে পারেন না। শেখ হাসিনা যদি দেশের জনগণকে ভালবাসতেন (বিরোধী দলে থাকতে যেমন ভালবাসতেন), দেশপ্রেমী একনায়ক হতেন, স্যালুট জানাতাম তাঁকে।
মানুষ চিরকাল বাঁচে না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দেশের মানুষ কাঁদতে পারেনি, কাঁদার সাহস পায়নি। শেখ হাসিনার এমন মৃত্যু আমার কাম্য নয়।
নন্দলাল ভাবনায় তো তাঁকে আচ্ছন্ন করার কথা না। আর এটা করলেই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান বলে, তিনি ভুল করবেন।
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "নন্দলাল ভাবনায় তো তাঁকে আচ্ছন্ন করার কথা না। আর এটা করলেই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান বলে, তিনি ভুল করবেন। "
-আসলে, তিনি নন্দলালও নন, জার্মানীর মার্কেলও নন; উনাকে রাজনীতিতে রাখেননি শেখ সাহেব; উনি নিজের প্রবল ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন; উনি মিলিটারী সরকারের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, এখনো টিকে থাকা উনার জন্য বিরাট ব্যাপার; যারা শেখের মৃত্যুতে খুশী হয়েছিলো, তারা বসে বেই।
০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: "যারা শেখের মৃত্যুতে খুশী হয়েছিলো, তারা বসে নেই।"
সহমত পোষণ করছি প্রিয় চাঁদগাজী ভাই।
৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে একটা কথাই বলতে ইচ্ছা করছে-
দুই হাত তুলে চিৎকার করে বলি-
''আল্লাহ তোমার কাছে বিচার দিলাম''।
০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আল্লা ভরসা।
ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাক, উনাকে বিশ্বাস করার লোকজন এখনো এই বঙ্গে আছে...
০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আছি তো, কাউকে না কাউকে বিশ্বাস যে করতে হয় 'বিচার মানি তালগাছ আমার' ভাই।
বিশ্বাস রক্ষা করা না করার দায়িত্ব তাঁর। বিশ্বাস ভঙ্গকারী শান্তি পায় না কোনকালেই।
৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৮
জগতারন বলেছেন:
লেখক ও ব্লগার জহিরুল ইসলাম সেতু -এর সুভেচ্ছা জ্ঞাপন করি এমন সুন্দর ভাবে বর্তমান দেশের অবস্থা তুলে ধরার জন্য।
০৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই জগতারন ভাই।
দেশের অবস্থা তো ভাল নেই। আমাদের ছাত্ররা যেখানে বিপাকে বিপর্যয়ের মুখে, দেশ তো ভাল থাকতে পারে না। তবে ছাত্রসমাজ ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলার আগে শাসক গোষ্ঠীর শুভ বুদ্ধির উদয় হলে সবার জন্যই মঙ্গল বার্তা বয়ে আনবে। সে রকম কিছু নিয়ে লিখতে পারলে তৃপ্ত হতাম।
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:২৮
জগতারন বলেছেন:
প্রিয় জহিরুল ইসলাম সেতু- আপনাদের মত মেধাবী যুবকদের প্রতি আমার একান্ত সহায়ানুভূতি রহিল।
বিধাতা আপনাদের সহায় থাকুন প্রার্থনা করি।
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জগতারন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: খোদার উপর চাইয়া থাহেন। কি করবেন আর। গভর্নমেন্ট তো দ্বিমুখী ভাই। তার উপর ভরসা করা যায় না।