নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোর দিশারী
অন্ধের হাতি দেখার একটা গল্প শুনেছিলাম স্কুল জীবনে। অনেকদিন পর আজ সেই গল্পটা মনে পড়লো। অন্ধরা কিছু দেখতে পায় না বিধায় যেখানে যা কিছু অনুভব করে তা-ই বিশ্বাস করে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাড়াও সমাজে কিছু অন্ধমানুষ থাকেন। একসময় যারা পড়তে পারতো না, তাদেরকে আক্ষেপ করে বলতে শুনতাম, “চোখ থাকিতে অন্ধ”। আজকাল দেশে দেশে পড়তে পারা শিক্ষিত জনগোষ্ঠির মাঝেও দেখি সেই “চোখ থাকিতে অন্ধ”দের। ওরা প্রচুর পড়াশুনা করে ডিগ্রীর পর ডিগ্রী অর্জন করেও কিছু কুপমুন্ডুকতা থেকে বের হতে না পেরে চোখে ঠুলি এটে অন্ধ হয়ে বন্ধ ঘরে বসে থাকেন। এটাও ভাবে না, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না। মরুর উটের মতো ঝড় ওঠলেই বালিতে মাথা ঢুকিয়ে দেন। এই শ্রেণির মানুষকে আবার একটা শ্রেণির মানুষ খুব সহজেই কাজে লাগিয়ে নেন। ওরা মূলতঃ মেন্টরের কাজটা করে থাকেন। অন্ধ বিশ্বাসটাকে কাজে লাগিয়ে তাদের নানামুখী প্রলোভন দিতে থাকেন। সরল বিশ্বাসীরা অনেক সময়ই লোভী হয়ে থাকেন, অল্প কিছুর লোভে তারা অনেক কিছুই ভুলে যান। ব্রেইন ওয়াশ এমন ভাবে করা হয়, ওরা সারাক্ষণ একটা মোহের ভিতর পরে থাকেন।
একটা গল্প আছে, সত্যি কিনা জানি না। আত্মঘাতী হামলা চালাতে গিয়ে এক জঙ্গী মারত্বক আহত হলেও কোন ক্রমে বেঁচে যায়। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর সে সুন্দরী একজন নার্সকে দেখে খুব হতাশ হয়ে বললো, একজন কেন, বাকি ঊনসত্তুরজন কোথায়? . . . . . . . . . . .
বাস্তব বা বিজ্ঞানকে এরা বুঝেন না, বা বুঝতে চান না, এবং বুঝার চেষ্টাও করেন না। কেউ বিজ্ঞান নিয়ে কথা বললে, যুক্তির কথা বললে ক্ষেপে যান, তেড়ে আসেন। বুদ্ধি দিয়ে বুদ্ধি কিংবা যুক্তি দিয়ে যুক্তি খণ্ডনের লড়াইয়ে ওরা খুব দুর্বল। তাই কখনো ফতোয়া, কখনোবা চাপাতিই তাদের সম্বল হয়ে ওঠে।
বিজ্ঞান সব সময় চলে যুক্তি আর প্রমাণে, ধর্ম চলে বিশ্বাসের জোরে। বিজ্ঞানের চর্চা এবং আবিষ্কারের কোন শেষ সীমা পরিসীমা নেই। এখনো অনেক কিছু নিয়ে গবেষণা চলছে, অনেক কিছুই রহস্যের বেড়াজালে আটকে আছে। বিজ্ঞান রহস্য উন্মোচনে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। অজানাকে জানার, অজেয়কে জয় করার অবিচল প্রচেষ্টা বিজ্ঞানের। সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো সম্পর্কে সজাগ, অতিক্রমের সংগ্রাম তাই সর্বদা।
আমার জানামতে প্রায় প্রতিটি ধর্ম প্রবক্তাই তাঁর নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ, স্বয়ং সম্পূর্ণ ও অপরিবর্তনীয় বলে গেছেন। ধর্মে যুক্তির স্থান অত্যন্ত সংকীর্ণ। সেখানে বিশ্বাসের দৌরাত্ব প্রবল, হোক সেটা অযুক্তির বা অন্ধ ভাবনার।
ধর্মবিশ্বাস আর বিজ্ঞানপ্রমাণ সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। বিজ্ঞান বিশ্বাস করে সম্পূর্ণ প্রমানের পর। যুক্তিতর্ক ও গবেষণায় সঠিক প্রমাণিত হলেই বিজ্ঞানে বিশ্বাস স্থাপিত হয়। তারপরও অনেক বিষয় আপেক্ষিক থেকে যায়। যুক্তির পর নতুন যুক্তি আসে, পরিবর্তনকে মেনে নেয় এবং স্বাগত জানায় বিজ্ঞান। আর ধর্মে বিশ্বাসটা রাখতে হয় প্রমাণের অপেক্ষা না করেই। ধর্মের বাণী অনড়, পরিবর্তন বা পরবর্ধনের কোন সুযোগ এতে নেই। যুক্তিতর্ক ধর্মে মুখ্য না কখনোই, বরং ক্ষেত্রবিশেষে নিষিদ্ধও। চোখ বন্ধ করে মেনে নেওয়া বা সমর্পিত হওয়াই মূখ্য। ধর্ম স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অপরিবর্তনশীল অর্থাৎ স্থবির।
ভালমন্দের হিসেব বিজ্ঞান করে বিবেক, যুক্তি আর মানবিক কল্যানের ভাবনায়। আর ধর্ম তা করে থাকে প্রবর্তিত নিজস্ব গ্রন্থের বানীর আলোকে। অনেক ক্ষেত্রেই সেখানে বিবেকবোধ ও মানবতা পর্যুদস্ত হয়।
সুতরাং ধর্মকে বিশ্বাসের মর্যাদায় বিশেষ স্থানে রাখাই শ্রেয়। আর বিজ্ঞানকে গবেষণা, যুক্তিতর্ক, পরিবর্তনকে মেনে নিয়ে, মানবতাকে সমুন্নত রেখে সভ্যতা বিকাশে এগিয়ে নিয়ে যাবার হাতিয়ার হিসেবেই দেখি। অকারণে অযথা ধর্মকে বিজ্ঞানের যুক্তিদণ্ডে পরিমাপ বা বিজ্ঞানকে ধর্মের খাঁচায় বন্দীর পাঁয়তারা না করাটাই কি শ্রেয় নয়?
(ছবি নেট থেকে সংগৃহীত)
২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: চমৎকার সৃষ্টি আপনার প্রিয় রাজীব নুর ভাই। খুব ভাল লেগেছে আমার,
"গরুর পিঠে গাধা চড়ে, গাধার পিঠে হাতী
কি আর করা, এমন ভাবেই চলছে এখন জাতি"
অসাধারণ আপনার উপমা চয়ন!!!
শুভেচ্ছা
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিজ্ঞান দিনে দিনে অগ্রগতির লাভ করে। সংস্কার হয়। নতুন নতুন তথ্য-সূত্র যোগ হয়। ধর্মগ্রন্থ সংস্কারের কোন সুযোগ নেই।
২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ঠিক বলেছেন, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই।
ধর্মবিশ্বাস আর বিজ্ঞানপ্রমাণ সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। বিজ্ঞান বিশ্বাস করে সম্পূর্ণ প্রমানের পর। যুক্তিতর্ক ও গবেষণায় সঠিক প্রমাণিত হলেই বিজ্ঞানে বিশ্বাস স্থাপিত হয়। তারপরও অনেক বিষয় আপেক্ষিক থেকে যায়। যুক্তির পর নতুন যুক্তি আসে, পরিবর্তনকে মেনে নেয় এবং স্বাগত জানায় বিজ্ঞান। আর ধর্মে বিশ্বাসটা রাখতে হয় প্রমাণের অপেক্ষা না করেই। ধর্মের বাণী অনড়, পরিবর্তন বা পরবর্ধনের কোন সুযোগ এতে নেই। যুক্তিতর্ক ধর্মে মুখ্য না কখনোই, বরং ক্ষেত্রবিশেষে নিষিদ্ধও। চোখ বন্ধ করে মেনে নেওয়া বা সমর্পিত হওয়াই মূখ্য। ধর্ম স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অপরিবর্তনশীল অর্থাৎ স্থবির।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
এখওয়ানআখী বলেছেন: সরল বিশ্বাসীরা লোভী হয়ে থাকে--- মানে কি? নিজেকে জ্ঞানী ভাবা মূর্খতার লক্ষণমাত্র
২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: এখওয়ানআখী ভাই, পড়ার জন্য অভিনন্দন আপনাকে।
আপনার মন্তব্যে উল্লেখিত বাক্যটি "সরল বিশ্বাসীরা লোভী হয়ে থাকে", আমি ওভাবে লিখিনি ভাইয়া। অনুগ্রহ করে আরেকবার যদি পড়ে দেখতেন। তবু আমি এখানে আবার উল্লেখ করছি, "সরল বিশ্বাসীরা অনেক সময়ই লোভী হয়ে থাকেন, অল্প কিছুর লোভে তারা অনেক কিছুই ভুলে যান।" আবার পড়ে দেখেন আমি "অনেক সময়ই" কথাটা লিখেছি। সব সময় কিন্তু না।
আমি নিজেও সরল বিশ্বাসী মানুষ, তাই আমারো সর্বদাই চেষ্টা থাকে লোভ সংবরণের।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নিভৃতেনৈঃশব্দে বলেছেন: আমার জানামতে প্রায় প্রতিটি ধর্ম প্রবক্তাই তাঁর নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ, স্বয়ং সম্পূর্ণ ও অপরিবর্তনীয় বলে গেছেন। ধর্মে যুক্তির স্থান অত্যন্ত সংকীর্ণ। কোনো স্পেসিফিক ধর্মের কথা বললেন কি ? সেটা কোনটা ? একটা রেফারেন্স দেবেন প্লিজ I আর ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করা যাবে সেটা নিশ্চিত হলেন কিভাবে ? বৈজ্ঞানিকরা কি একথা বলছেন ? সেটার একটা রেফারেন্স দিলে ভালো হয় |
২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই নিভৃতেনৈঃশব্দে ভাই।
আমি বিশেষ কোন ধর্মের কথা বলি নি। "ধর্মে যুক্তির স্থান অত্যন্ত সংকীর্ণ" এর যথেষ্ট উদাহরণ রয়েছে বহুল প্রচলিত ধর্মসমূহে। রেফারেন্স দিতে গেলে কোন একটা ধর্মকে টেনে আনতে হবে এখানে। আপনি যদি দয়া করে, কোন একটা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষভাবে স্টাডি করেন, পেয়ে যাবেন নিশ্চয়ই।
আমি তো কখনো বলিনি, ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণের কথা। বিজ্ঞানে কোন ঈশ্বর নেই। ঈশ্বর থাকেন ধর্মে। আবার কোন ধর্ম আছে যেখানে ঈশ্বর নিয়ে কোন ভাবনাই নেই। বিজ্ঞানে যা আছে তা হলো ঈশ্বর কণা। (গুগুলে সার্চ দিলেই এবিষয়ে অনেক তথ্য পাবেন।) প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসের সাথে যার কোন সম্পর্ক নেই।
আমি বিশ্বাস আর যুক্তির বিষয়টাকে পৃথক রাখার পক্ষে। দুটোকে মিলাতে গিয়ে কেউ কেউ হযবরল করে তোলেন।
কোনটাকেই আমি খাটো করে দেখি না, যেটা যার নিজস্ব অবস্থানে সমুন্নত থাকুক।
৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
Monthu বলেছেন: আপনার কি মনে হয়? আজকের এই যুগ, বিজ্ঞান হাওয়া থেকে উড়ে আসছে??
প্রাচীন কালে বিজ্ঞান কিন্তু ধর্ম মন্দিরেই শুরু হইছে।
আর ইরাকের মাদ্রাসা গুলোতে বিজ্ঞান, কলা, আর জুতিস বিজ্ঞান চর্চা হতো।
চিকিৎসা বিজ্ঞান, আর আধুনিক বিজ্ঞান এর পথটা কিন্তু ওই ধর্ম
ধার্সনিক রাই শুরু করেছে।।।।
আপনি হয়তো জানেন না।
বা জানলেও এক তরফা টা জানেন
।।।
২২ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই Monthu ভাই।
বিজ্ঞান যে কোথা থেকে এসেছে পড়াশুনা না করলে কিভাবে জানবো? ধর্মের কিছু কপটতার কারণে বিজ্ঞানচর্চা ব্যাহত হয়েছে বলেই তো জানি। সক্রেটিস, গ্যালিলিওসহ অনেক দার্শনিক, বিজ্ঞানী, জোতিষী ধর্মীয় পুরোহিতদের রোষানলে পরে শেষ হয়েছেন। ২৩ জুলাই ২০১৬এর দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকীয় পাতা থেকে সামান্য উদ্ধৃতি দেই, "কেবল আজ নহে, জনমানসে বহু শতাব্দী পূর্বেই সক্রেটিসের হেমলক পানের পেয়ালা হইয়া উঠিয়াছে দ্রোহের প্রতীক, সত্যের সহিত আপস না করিবার প্রতীক। ইতিহাসে এইভাবে কলঙ্ক মোচন করিবার দৃষ্টান্ত নূতন নহে। ষোড়শ শতকে জোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি যখন বলিলেন, ‘সূর্য নহে, পৃথিবীই সূর্যের চারিদিকে ঘুরিতেছে।’ শুনিয়া ভয়ানক খেপিয়া উঠিয়াছিল চার্চ। ১৬৩৩ সালে ভ্যাটিকানের কাঠগড়ায় দাঁড়াইতে বাধ্য হন গ্যালিলিও। অসুস্থ গ্যালিলিওকে কাঠগড়ায় দাঁড়াইয়া নত মস্তকে স্বীকার করিয়া লইতে হইয়াছিল—তিনি ভুল। সূর্যই চারদিকে ঘোরে, পৃথিবী থাকে স্থির। কথিত আছে, কনফেশন শেষ করিয়া কাঠগড়া হইতে নামিবার সময় বিড়বিড় করিয়া তিনি বলিয়াছিলেন, এপ্পুর সি মুভে (এবং এখনো পৃথিবী ঘুরিতেছে)। গ্যালিলিও’র মৃত্যুর ৩৫০ বত্সর পর, ভুল বিচারের জন্য ১৯৯২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যালিলিওর নিকট ক্ষমা চাহিয়াছিলেন তখনকার পোপ দ্বিতীয় জন পল।" এই লিঙ্ক এ ক্লিক করে আরো পড়তে পারেন।
আর অভিজিৎ রায়ের "আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী" বইটা পড়ে দেখতে পারেন।
ধর্মকে খাটো করার অভিপ্রায়ে তো আমি লিখিনি। ধর্মকে বিজ্ঞানের কিংবা বিজ্ঞানকে ধর্মের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাই না আমি। যার যার অবস্থানে সে সে সমুন্নত থাকুক।
ভাই "জুতিস বিজ্ঞান", "ধার্সনিক" এই জিনিসগুলো কি?
৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩২
উদুম্ভূত বলেছেন: ফিরে দেখা: বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম অস্বিকার করার খেলায় নাস্তিক মামাদের ধরা খাওয়ার করুণ ইতিহাস।
এই লিংকের লেখা গুলো আগে পড়ে আসুন, এরপরে আরগুমেন্ট হবে।
২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: উদুম্ভূত ভাই, কাউকে ধরা খাওয়ানো বা হেয় প্রতিপন্ন করার মানসিকতা আমার নেই। আমি আরগুমেন্ট চাই না। আমার লেখাটা আপনি ডিটেইলস পড়ে দেখেন।
আমি শুধু বিজ্ঞান আর ধর্মকে একসাথে গুলাতে চাই না। যার যার অবস্থানে সে সে সমুন্নত থাকুক। বিজ্ঞান এবং ধর্ম উভয়ই হোক মানুষের কল্যাণের জন্য। এটাই মূল মেসেজ।
৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধর্ম অপরিবর্তিত এটার সাথে দ্বিমত গঠন করছি। ইহুদী ধর্মের কথাই ধরা যায় যখন ক্যানোনাইট ছিলো তখন তাদের ইলোহিম ছিলো এবং দেবী ছিলো বাল, এল সহ আরো বেশ কজন। যখন সাইরাস আক্রমন কর্তৃক যুথিস্ট্রিয়ানদের প্রভাবে শুধু ইলোহিম থেকে যায় এবং কালের পরিবর্তনে ইয়াহওয়ে নামধারন করে। তাদের প্রার্থনা রীতিতে যুথিস্ট্রিয়ানদের কিছু প্রভাব পড়ে যেটা আরও বিবর্তিত রূপ বর্তমানে মুসলমানদের নামাজ।
তেমন করে খ্রিস্ট ধর্মের বাইবেলের বহু সংকলন লিখিত হয়। এক সময় একের বাইরে আরেকটা বিয়ে করলে তা ব্যভিচার বলে গন্য হতো এবং সমকামীর একমাত্র শাস্তি ছিলো মৃতযুদন্ড। কিন্তু এখন পোপ সব মেনে নিয়েছেন।
মুসলমানদের কোরান নবীর ওফাতের পরই ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্যে যায় এবং খলিফা সাহাবীদের হস্তক্ষেপে তার বিভিন্ন সংস্করনে বেশ কিছু আয়াতের সংযোজন বিয়োজন ঘটে। এখনো দেখা যায় আরবের থেকে কেউ কোরান কিনে আনলে উপমহাদেশের কোরানের সাথে তা মেলে না। জিযিয়া কর আব্বাসীয় খলিফাদের শাসনামলে অনেকেই রহিত করেন, খলিফা হারুনুর রশীদ ব্যাভিচার ও চুরির শাস্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। এছাড়া বর্তমান পৃথিবীর যে ২৬ (সংখ্যাটা হেরফের হতে পারে) রাস্ট্রে শরীয়া আইন চালু আছে তাদের মধ্যেও ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত করা যায়। সবচে ভালো উদাহরন মালয়েশিয়া। রাস্ট্রিয়ভাবে ইসলামী আইন না থাকলেও অটোনোমাস বেশ কিছু অঞ্চলে শরীয়া আইন কার্যকর এবং হুদুদ আইনের বিভিন্ন ধারায় বিভিন্ন রকম শাস্তির বিধান। এছাড়া আরও অজস্র নিয়ম দেখানো যাবে কোরানের অজস্র নিয়মের পালনে এবং অনুবাদের বিবর্তনে বহু সময় বহু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বিভিন্ন হাদিস খারিজ হয়ে পুরো নিয়মটাই উঠে গেছে তার সবচে বড় উদাহরন মেয়েদের খতনা।
হিন্দু ধর্মও আরেকটা বড় উদাহরন যেখানে সতীদাহ প্রথা সহ আরও বেশী কিছু প্রথা বিলুপ্তপ্রায়।
সে হিসেবে আপনার এই তথ্যের সাথে দ্বিমত পোষন করছি।
আরও কিছু ব্যাপারে দ্বিমত আছে কিন্তু লেখার মধ্যে থাকা দু পক্ষকে তেল খুশি করার একটা প্রচেস্টার কারনে তাতে নিজেকে সংবরন করলাম
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: উদাহরণসহ সুন্দর মন্তব্যে আপনার দ্বিমত প্রকাশকে সাধুবাদ জানাই, উদাসী স্বপ্ন ভাই। আমি আপনার মতে সহমত প্রকাশ করছি খুবই সতর্কতার সাথে। হুজুর/ঠাকুর/পুরোহিত/ভান্তেরা দেখলে এর কতোটা মেনে নেয়, আর কি তুলকালাম শুরু করে ভাবতে পারছি না। তবে আমার বক্তব্য ছিল, "আমার জানামতে প্রায় প্রতিটি ধর্মপ্রবক্তাই তাঁর নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ, স্বয়ং সম্পূর্ণ ও অপরিবর্তনীয় বলে গেছেন।" পরে কে কি করেছে তা এখানে গুরুত্বের বিষয় না। আমার মূল মেসেজটা কিন্তু বিজ্ঞান আর ধর্মটাকে পৃথক রাখার ব্যাপারে। কেউ কেউ ধর্মকে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় প্রতিষ্ঠিত করার পাঁয়তারা করে হাস্যকর ব্যাপার ঘটায়। তা থেকে বিরত রাখার আহবানই করেছি মূলতঃ।
বিজ্ঞান এবং ধর্ম উভয়ের মাধ্যমে কল্যাণ, অকল্যাণ দুটোই হতে পারে। কল্যাণে এসবের প্রয়োগ হোক।
৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫২
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: স্বপ্নদেখে বিদেশ গিয়ে
উঠবে জাতে(!) একদিন
সাদা চামড়ার ভাবধরে
উঁচাবে নাক ঘিনঘিন
ভোগবাদী সুশীল এরা
পিচ্ছিল আর ন্যাঁকা
গন্ডারের মত এদের
মোটা চামড়া পাঁকা
ধুর্ত এরা দুনিয়াদার
সুযোগ খুঁজে বেড়ায়
অযোগ্যতায় বারে বারে
ভিসার ফি হারায় ..........(আহারে চুক চুক)
ইউরোপ আর আমেরিকা
না যেতে পারলে
কেরানির চাকরিটা
জুটবে কি মরলে?
তাইতো এরা দলে দলে
এসাইলামের জন্য
নাস্তিক হয় বুঝে শুনে
পরকালে শুণ্য
বস্তাপঁচা ডারউইন আর
খোড়া সব যুক্তি
তারপরেও স্বদেশ থেকে
মিলবে কি ভাই মুক্তি?
বিদেশ গিয়েও খায় লাথথি
এক্স-মুসলিম নাম নিয়ে
মাতৃভূমির চামড়ার রং
মুছবি তোরা কি দিয়ে?
হা হা হা - হাঁসি আমি
এদের ইঁদুর দৌড় দেখে
কত সস্তায় ঈমান বেচে
জাহান্নামে নাম লেখে
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার "চেংকু প্যাঁক" নামের মতোই রসাত্মক এই ছড়াটি। খামোখা মন্তব্যের ঘরে না দিয়ে একটা পোষ্ট দিলে অনেকেই পড়তে পারতো সহজে, এখানে মন্তব্যের ঘরে আর কজন পড়বে ভাই? আর ৯ - ১৩ নং মন্তব্যের ক্যারিকেচারগুলোও বেশ স্থূল বিনোদন। আমার এই পোস্টের সাথে এসবের কি সম্পর্ক বুঝতে পারছি না।
এই প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়লো। জনৈক লেখকের লেখা একটি বই নিষিদ্ধ করার দাবীতে একসময় মাদ্রাসার কিছু ছাত্র রাস্তায় মিছিলে নামলো। তাদের কয়েকজনকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, তোমরা তো ঐ বইটা নিষিদ্ধের জন্য মিছিল করছো, তোমরা কি বইটা পড়েছে? ওরা পরস্পরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে, একজন চট করে উত্তর দিল, "হুজর বলেছেন মিছিল করতে, ওটা নাকি খারাপ বই।"
কোন হুজুর বলেছে? জিজ্ঞেস করায় হুজুরের নাম বললো। মাদ্রাসায় ঐ হুজুরের কাছে জিজ্ঞেস করলাম, ছাত্রদের যে ঐ বই নিষিদ্ধের জন্য মিছিল করতে বলেছেন, বইটা কি আপনি পড়েছেন? হুজুর কিছুক্ষণ চুপ থেকে জানালেন, তিনি পড়েননি। বড় হুজুর বলেছেন ছাত্রদের মিছিলে পাঠাতে আমি পাঠিয়েছেন। আবার বললেন, "শুনেছি বইটা নাকি ভাল না, খারাপ কিসিমের লেখা আছে ওতে।"
এবার বড় হুজুরের কাছে গেলাম। সালাম দিয়ে বইটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি কিছটা উত্তেজিতভাবে বললেন, "নাউজুবিল্লাহ, খুব খারাপ বই, নাফরমানী সব কথা লিখেছে তাতে।" বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করলাম, হুজুর বইটা কি আপনি পড়েছেন? এবার তিনি পুরোই উত্তেজিত হয়ে বললেন, "ওইসব নাফরমানী বই পইড়া পাপ কামাই করবো নাকি মিয়া? শুনছি খারাপ, তাই খারাপ। ওই সব পইড়া দুনিয়ার মানুষ পাপী হবার আগেই তা নিষিদ্ধ করাতে চাই।"
আমার আর কিছু বলার রইলো না। এই হুজুররাই আমাদের শিক্ষাদাতা। তাঁদের থেকে শিখেই আমরা এই জাতি। আমরা আর কি করবো?
আপনি কি আদৌ আমার লেখাটি পড়েছেন? আমার তো মনে হয় না। পড়লেও বুঝেননি ভাই। ধৈর্য ধরে মনোযোগ দিয়ে একবার পড়ার বিনীত অনুরোধ করছি। তারপর আপনার একটা মন্তব্য চাই।
৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৩
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
১০| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৩
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
১১| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৫
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
১২| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৫
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন:
১৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১১
চেংকু প্যাঁক বলেছেন:
১৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: চমৎকার সৃষ্টি আপনার প্রিয় রাজীব নুর ভাই। খুব ভাল লেগেছে আমার,
"গরুর পিঠে গাধা চড়ে, গাধার পিঠে হাতী
কি আর করা, এমন ভাবেই চলছে এখন জাতি"
অসাধারণ আপনার উপমা চয়ন!!!
শুভেচ্ছা
ভালো থাকুন।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আবারো শুভেচ্ছা
পোষ্ট আর মন্তব্যগুলো খুঁটিয়ে পড়ার আমন্ত্রণ
১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪
সনেট কবি বলেছেন: বিজ্ঞান যদি ধর্মের ভুল ধরে তবে সে ভুল ধরা যে ভুল বিজ্ঞানের সে ভুলকে কি ভুল প্রমাণ করা যাবেনা? আপনি কি বলতে চান বিজ্ঞান যা বলবে ধর্ম তা নির্বিবাদে মেনে নেবে? বিজ্ঞান বলে সৃষ্টিকর্তা নেই। এখন সৃষ্টিকর্তা নেই মেনে ধর্মছেড়ে দেওয়াকি সঠিক কাজ? সৃষ্টিকর্তা আছে এটা প্রমাণ করা কি দোষের? সৃষ্টিকর্তাকে অস্বিকার করা হচ্ছে, তার দোষ ধরা হচ্ছে, তার নবির (সাঃ) প্রতি দোষারফ করা হচ্ছে , এসবের জবাব দিতে গেলে বিজ্ঞান যদি এসেই পড়ে তবে কি করতে হবে? কেও ধর্ম ও বিজ্ঞানের ভিন্ন পথ দেখালে কেউ যদি বলে না দু’টো একপথেই আছে আর সে যদি তার কথার সঠিকতা দেখাতে পারে তবে ক্ষতি কি? যার কথা সে বলুক যে যা গ্রহণ করার করুক তবে সবাই শান্তিতে থাকুক, মারামারি না করে শান্তিতে থাকুক এটাই কাম্য হওয়া উচিত।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: শ্রদ্ধেয় সনেট কবি ভাই, সম্ভবত আপনিও আমার লেখাটা পুরোপুরি পড়েননি, পড়লেও মনোযোগ ছিল না। ধর্ম নিয়ে আপনি কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। আমি এরকম বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে স্রষ্টা/ধর্ম অথবা ধর্মের দৃষ্টিতে বিজ্ঞান- এধরনের কিছু গোঁজামিলের চেষ্টা পরিহারের প্রসঙ্গের কথাই বলেছি। কারণ দুটোই ভিন্ন ধারা। বিজ্ঞান হলো সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে চর্চা, গবেষণা ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের ফসল। তা থেকেই এসেছে আজকের কম্পিউটার, ইন্টারনেট। আর এ যা ব্যবহার করে আমরা আজ ব্লগ চর্চা করছি। পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের বিজ্ঞানী তাঁর গবেষণার কোন একটা বিষয় উত্থাপন করলে সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীগণ এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা ও প্রমাণ নিয়ে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হন। অর্থাৎ বিজ্ঞানের পথ সবসময় একটাই। এক অনু অক্সিজেন করতে সব বিজ্ঞানীরা একটাই ফরমূলা অনুসরণ করেন। ধর্মে কিন্তু তা না স্রষ্টার প্রতি প্রার্থনায় একেক ধর্মে একেক পদ্ধতি অনুসৃত হয়।
একটা বিষয় লক্ষ্য করবেন, বিজ্ঞান কখনো ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামায় না, ধার্মিকরাই কেবল ধর্মকে একটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর জন্য ওঠে পড়ে লাগে।
আপনি বলেছেন, "আপনি কি বলতে চান বিজ্ঞান যা বলবে ধর্ম তা নির্বিবাদে মেনে নেবে?" - ধর্মের কিছু গোড়ামীর কারণে অনেক সময়ই বিজ্ঞানকে মেনে নেয় না। এ ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিকও ধার্মিকদের কাছে নাজেহাল হয়েছেন। এর বহু প্রমাণ রয়েছে। ৫ নং কমেন্টের জবাবে দিয়েছি। পড়ে দেখতে পারেন।
ধর্ম হলো আমাদের বিশ্বাস বা ঈমানের বিষয়। অত্যন্ত মর্যাদার এবং সংবেদনশীল বিষয়। পৃথিবীতে বহু ধর্ম রয়েছে। কেউই কিন্তু কোন আলোচনা বা যুক্তি দিয়ে একে সমন্বয় করে এক কাতারে আনতে পারবেন না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আপনি আপনার নিজের ধর্মের মাহাত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে যেমন ব্যাস্ত হবেন, তেমনি তেমনি ঢেকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত বা বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরের ভিক্ষুও তাই করবে। কোনরূপ যুক্তি প্রমাণের ধার ধারবেন না কেউই। সুতরাং অতি সংবেদনশীল এই বিষয়টা যথাযোগ্য মর্যাদায় তার নিজস্ব অবস্থানে রাখাই কি সমীচীন নয়?
কৃতজ্ঞতা জানাই এই অর্বাচীনের ব্লগটিতে আসার জন্য। ভাল থাকবেন।
১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আবারো শুভেচ্ছা
পোষ্ট আর মন্তব্যগুলো খুঁটিয়ে পড়ার আমন্ত্রণ
আমি প্রতিটা পোষ্টে দুই তিন বার করে যাই। এটা আমার এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বাহ! বেশ তো।
আপনি খুব বুদ্ধিমান মানুষ, প্রিয় রাজীব নুর ভাই।
১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
পিয়াস রায়হান বলেছেন: কেউ যদি ধর্ম এর মাঝে যুক্তি খোজে তাতে কি তাকে কোন দোষ দেয়া যায়?
সবকিছুই নির্ভর করে তার ইনটেনশিটির উপর এবং সমস্যা হল এইখানেই। আস্তিক কিংবা নাস্তিক নিয়ে যারা মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন তাদের এই কাজের পেছনে প্রায় সবারই থাকে অসৎ উদ্দেশ্য। আর আমরা আমজনতা সেটা নিয়েই মেতে থাকছি এবং প্রতিনিয়ত নিজের কূপমুন্ডকতার পরিচয় দিচ্ছি।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: পিয়াস রায়হান বলেছেন: কেউ যদি ধর্ম এর মাঝে যুক্তি খোজে তাতে কি তাকে কোন দোষ দেয়া যায়? - দোষের তো কিছু নেই ভাই। দোষের হয় যখন কোন বিষয়ে গোঁজামিলের চেষ্টা করা হয়। নাকি তাও না?
১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্ম আর বিজ্ঞান সব সময় সাংঘর্ষিক।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সহমত পোষণ করছি নূর আলম হিরণ ভাই।
তাই, বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ধর্ম অথবা ধর্মের দৃষ্টিতে বিজ্ঞান- এধরনের কিছু গোঁজামিলের চেষ্টা পরিহার হওয়া উচিৎ। যে যার অবস্থানে সমুন্নত থাকুক।
১৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জহিরুল ইসলাম সেতু ,
সমন্বয়ের চেষ্টা জরুরী নয় মোটেই বরং আহাম্মকী ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন, আহমেদ জী এস ভাই। একথাটাই বুঝতে গিয়ে গলদ্ঘর্ম হতে হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: গরুর পিঠে গাধা চড়ে, গাধার পিঠে হাতী
কি আর করা, এমন ভাবেই চলছে এখন জাতি।