নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলোর দিশারী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন চারুকলা ইনস্টিটিউট (বর্তমান চারুকলা অনুষদ) থেকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহযোগিতায় ১লা বৈশাখে প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রা নামে বিশাল আকারের হাতি ঘোড়া, বাঘ ও মুখোশ বানিয়ে একটি র্যালীর আয়োজন করেন চারুকলার ছাত্রছাত্রীরা। সৌভাগ্যক্রমে আমি তখন সেখানে প্রথম বর্ষের ছাত্র হিসেবে সেই র্যালীতে অংশগ্রহণ করি। নিছক নববর্ষের আনন্দ উদযাপনের উদ্দেশ্যেই ওই শোভাযাত্রা বা র্যালী হয়েছে।
(চিত্রঃ নেট থেকে নেওয়া)
পরবর্তীতে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে বৃহত্তর পরিসরে এর আয়োজন করা হয়। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল পেশা, শ্রেণির মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে যোগ দিয়ে পরিবেশকে ক্রমশঃ আরো বর্ণীল ও উৎসবমুখর করে তোলে। কোন ধর্মীয় কৃষ্টির ধারক বাহক হিসেবে নয়। বাঙালি যেমন সংগ্রাম করতে জানে, তেমনি আনন্দ করতে জানে, উৎসব করতে জানে। ওই শোভাযাত্রা তারই বহিঃপ্রকাশ। হিন্দু বা মুসলিম কোন ধর্মের সংস্কৃতি বলে এতে রঙ চাপানো অন্যায়। কেউ কেউ ধর্মীয় ফতোয়ার লেবাস দিয়ে একে বিতর্কিত করে তুলছেন। যে যার ধর্মকর্ম স্বাধীনভাবে করুন। কেউ তো বাধা দিচ্ছে না। বাঙালী তরুণ সমাজ নতুন বছরকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপন করবে। সার্বজনীনভাবে এই উৎসবটুকু করার স্বাধীনতা তাদের দিন।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় তো কোন উন্মাদনা বা অশ্লীলতা নেই। তবু কেউ কেউ এর বিরুদ্ধে লেগেছেন? বস্তুতঃ যাদের মাথায় এখনো পাকিস্তানি ভুত চেপে রয়েছে, যারা বাঙালি জাতিকে হিন্দু মুসলিম বিভেদে রাখতে চায়, তারাই বিভিন্ন ফতোয়া ফিকির করে এর বিরুদ্ধে কথা বলে। রাষ্ট্রীয় উৎসব ছাড়া বাঙালির সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক কোন উৎসব থাকলে এখন এই একমাত্র ১লা বৈশাখের অর্থাৎ নববর্ষের উৎসবটিই আছে। যেখানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক উৎসব আর ভ্রাতৃত্বের চেতনায় মেতে উঠে সবাই। এমন একটি সম্মিলনে বিভাজন না টানলেই কি নয়?
(সপ্তাহাধিককাল পেরিয়ে যাবার পরও ১লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে বিতর্কিত কথাবার্তা চলছে। কেউ কেউ ট্রলও বানিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে এই লেখা।)
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। শুভেচ্ছা রইল।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩১
জ্যাকেল বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে চাপিয়ে দেওয়া সংষ্কৃতি। হিন্দু মহাজোটের প্রধান নেতা ইহাকে ফাইজলামো বলেছেন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনি কি তার সাথে সুর মেলাচ্ছেন?
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
নিমো বলেছেন: বস্তুত বিতর্কের কিছুই নেই। নৃতত্ত্বের ত্রয়ী মতবাদ ঋণ, সাঙ্গীকরণ আর নব-সংযোজন। এসব কারণে যে কোন বিষয় বদলে যায়, অনেক ক্ষেত্রে হারিয়ে যায় কিংবা নূতন রূপ নেয়। এটা মঙ্গল শোভাযাত্রার বেলায়ও ঘটেছে। এটা নিয়ে ব্লগের নৃবিজ্ঞানী সায়েমা খাতুন চমৎকার একটি লেখা লিখেছেন।
view this link
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৬
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ যৌক্তিক কথাগুলো বলার জন্য। সায়েমা খাতুনএর লেখাটি সময় করে অবশ্যই পড়বো।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৪১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সায়েমা খাতুনের লেখাটা আমি পড়লাম "সায়েমার ব্লগ" থেকে। পেশাগত নৃবিজ্ঞানীর দৃষ্টিতেই তাঁর লেখাটি। চমৎকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, অমন সুন্দর লেখাটির লিঙ্ক দিয়ে পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪০
নিমো বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে চাপিয়ে দেওয়া সংষ্কৃতি। হিন্দু মহাজোটের প্রধান নেতা ইহাকে ফাইজলামো বলেছেন।
ভাইজান একটু ব্যাখ্যা করুন। দুই লাইনের মহাকাব্য বোঝার মত জ্ঞান এখনও হয় নি।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৮
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: প্রিয় নিমো, আপনার সাথে আমিও ব্যাখ্যা জানতে চাই। তবে আমার ধারণা, সেখানেও কিছু অখাদ্য উগড়ে দেবেন তিনি।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪১
রানার ব্লগ বলেছেন: গরুর যখন কাজ থাকে না তখন মান্দার গাছের সাথে পিট চুলকায় !!!
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আজকাল পাকি ভুতগুলোর মতো মান্দার গাছে ভরে গেছে সামুর ওয়াল। কেউ কি এখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এদের!!!
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আচ্ছা, জানতে চাই এই যাত্রার মাধ্যমে কোন কোন ক্ষেত্রে মঙ্গল হয়? ইহা কি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে এই মঙ্গল শোভা যাত্রার ফলে কারও মঙ্গল হয়?
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সব খাদ্য সবার যেমন হজম হয় না, তেমনি সব কথা বা কাজের মাজেজা বুঝার বুদ্ধিমত্তাও সবার থাকে না। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা? বিজ্ঞান কি জিনিস, সেটা তো আগে বুঝতে হবে। ফতোয়ায় অন্ততঃ বিজ্ঞান থাকে না, ওসব জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪
নিমো বলেছেন: @ঋণাত্মক শূণ্য, স্বৈরাচারী এরশাদ পতনের ফলে বিরাট অমঙ্গল হয়েছে দেশে, এতে কোনই সন্দেহ নাই।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৭
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার কথাগুলো বুঝার মতো প্রজ্ঞা যদি থাকতো, তাহলে শস্যের চেয়ে আগাছা, ধর্মের চেয়ে টুপি বেড়ে যেতো না, আর সামুর ব্লগ পেইজ .... থাক, আর নাইবা বললাম।
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪
জ্যাকেল বলেছেন: @মিঃ নিমো https://youtu.be/sIM23JyPmWs
৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০১
নিমো বলেছেন: @জ্যাকেল, এখানে ব্যাখ্যাটা লিখুন। ভিডিও দেখার চেয়ে আমি লেখা পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তাছাড়া আলোচানটা ব্লগের ভিতর হওয়াই কাম্য।
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬
নিমো বলেছেন: বিশেষ করে চাপিয়ে দেওয়া সংস্কৃতির ব্যাখ্যাটা।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮
জ্যাকেল বলেছেন: সোজা কথা মংগল শোভাযাত্রা চাপিয়ে দেওয়া সংষ্কৃতি না সনাতন না দেশীয়। ইহা ছিল এরশাদবিরোধী আন্দোলনের এক কৌশল। আর এখন দুর্নিতিবাজ সরকারের গদি স্থায়িত্ব দেবার একটা টুল। এ কারনেই দেশপ্রেমিক সচেতন জনগণ (হোক সে আম্লিগ/এন্টাই আম্লিগ) মঙ্গল শোভাযাত্রা ইত্যাদির বিপক্ষে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: দেশপ্রেমিক সচেতন জনগণ মঙ্গল শোভাযাত্রার বিপক্ষে -একথা আপনাকে কে বলেছে? তবে দেশপ্রমিক বলতে যদি আপন পাকিপ্রমিকদের বুঝিয়ে থাকে সেটা ভিন্ন কথা। পাকিস্তান ধর্মের নামে এদেশে অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসন ঘটিয়েছিল। একজন তো এদেশের বুদ্ধিজীবিদের নিজস্ব রবীন্দ্র সঙ্গীত লেখারও আহবান জানিয়েছিল। জাতির দুর্ভাগ্য পাক ভুত আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১
নিমো বলেছেন: view this link
view this link
এগুলোর ব্যাখ্যাও দিবেন আশা করি।
১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫
জ্যাকেল বলেছেন: আমি তো উনাকে অব্যাহতি দেই নাই, আমি কেন উহা নিয়ে ব্যাখা করব। উনি যেই কথা বলেছেন সেইটা ভ্যালিড পয়েন্ট, makes sense. তাছাড়া উনি ডঃ মুঃ শহিদুল্লাহের বাংলা তারিখ নিয়ে কুচক্রের কথা বলেছেন উহাও আমার কাছে ভ্যালিড মনে হইয়াছে। পাকি শাসনামলে বাংলা তারিখ নিয়ে গোলমাল করাটা আমার কাছে খুব বাজে কাজ বলেই মনে হয়েছে।
১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫
নিমো বলেছেন: @জ্যাকেল, আমি হাসা থামাতে পারছি না, আপনার অপূর্ব যুক্তি সম্বলিত মন্তব্যটি পড়ে।
১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
জ্যাকেল বলেছেন: হাসি বিদ্রুপ এইগুলা দিয়ে আপনি তর্কে জেতার চেস্টা করেন। বেকুবদের নিকট আপনি'ই জয়ী হিসাবে পরিগণিত হবেন। চিন্তা কইরেন না।
১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
নিমো বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: উনি যেই কথা বলেছেন সেইটা ভ্যালিড পয়েন্ট, makes sense. তাছাড়া উনি ডঃ মুঃ শহিদুল্লাহের বাংলা তারিখ নিয়ে কুচক্রের কথা বলেছেন উহাও আমার কাছে ভ্যালিড মনে হইয়াছে।
আমি আপনার এই ভ্যালিড মনে হওয়ার ব্যাখ্যাটাই জানতে চাইছি। এখন যদি বলেন আপনার মনে হয়েছে তাই ভ্যালিড তাহলে আর কোন প্রতিমন্তব্যের দরকার নাই।
১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১
নিমো বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: হাসি বিদ্রুপ এইগুলা দিয়ে আপনি তর্কে জেতার চেস্টা করেন। বেকুবদের নিকট আপনি'ই জয়ী হিসাবে পরিগণিত হবেন।
আমি উপরে আলোচনা শব্দটি লিখেছি, কিন্তু তা আপনার চোখে পড়ে নি। কারণ তর্কই আপনার সম্বল। কারও কাছে জয়ী পরিগণিত হওয়া, না হওয়ায় আমার কিছুই যায় আসে না।
১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯
জ্যাকেল বলেছেন: আমি আপনার এই ভ্যালিড মনে হওয়ার ব্যাখ্যাটাই জানতে চাইছি। এখন যদি বলেন আপনার মনে হয়েছে তাই ভ্যালিড তাহলে আর কোন প্রতিমন্তব্যের দরকার নাই।
"শিক্ষকেরা পেছনে ছিলেন, কিন্তু সব কাজ হয়েছে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে। ১৯৮৯ সালে বঙ্গাব্দ ১৩৯৬ বর্ষবরণের সময় শিক্ষার্থীদের আয়োজনে প্রথম ঢাকায় শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হলেও মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রথম হয় ১৯৮৯ সালে।"
এই হইলো মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস। এটা কোন ভাবেই আপামর বাঙালী জনসাধারণ'কে রিপ্রেজেন্ট করে না। এটা রিপ্রেজেন্ট করে সামন্ত প্রভুদের উত্তরসুরীদের কারণ এরা এক স্বৈরাচারের বিপরীত হইলেও আরেক স্বৈরাচারের পদলেহী। আপনে যদি বাংগালী সংষ্কৃতির ফলো করতে চান তবে আপনি লাঙ্গল, কুঠার, চাষী, কুঁড়েঘর থেকে শুরু করে হাজার উপাদান আছে ঐগুলো দিয়ে পহেলা বৈশাখ পালন করেন, ধান চাষ করেন, নবান্ন উৎসব পালন করেন। বান্নি উৎসব পালন করেন এইগুলা হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সবাইকে রিপ্রেজেন্ট করবে।
আর ঘুঘু, পেঁচা ইত্যাদি ফাইজলামো হিসাবেই সাধারণ মানুষদিগকে দুঃখিত করবে। তারা কোনদিনই মেনে নেবে না।
১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
নিমো বলেছেন: ঘুঘু, পেঁচার সমস্যা কী ? এরা কীট-পতঙ্গ, ইঁদুর খেয়ে ধানের উপকারই করে। অনেক হয়েছে থামেন। এসব আবর্জনা বক্তব্য অন্য কোথাও শোনান। কালকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে জরুরি কাজ আছে। আপনিও বিশ্রাম নিন।
২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জহিরুল ইসলাম সেতু ,
ভালো লেখা।
১লা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে অহেতুক বিতর্কের কোনও মানে নেই। যদিও এই যাত্রায় ব্যবহৃত প্রতীকগুলোর পাশাপাশি জ্যাকেল এর ১৮ নম্বর মন্তব্যে উল্লেখিত লাঙল, কুঠার, কুড়েঘর ইত্যাদির মতো কাস্তে, মাথাল, নিড়ানী যা যা বাঙালী জীবনের সাথে ওৎপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে সেসব থাকলে কারো কিছু বলার থাকতোনা মনে হয়।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: পড়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই শ্রদ্ধেয় ভাই। আপনার মতো একজন গুণী ও জেষ্ঠ্য ব্লগারের কাছ থেকে "ভালো লেখা" শুনে অনুপ্রণিত হই।
"লাঙল, কুঠার, কুড়েঘর ইত্যাদির মতো কাস্তে, মাথাল, নিড়ানী যা যা বাঙালী জীবনের সাথে ওৎপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে সেসব থাকলে কারো কিছু বলার থাকতোনা মনে হয়। " এটা অবশ্যই সুন্দর পরামর্শ। ভবিষ্যতে শোভাযাত্রার আয়োজকদের এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবার পরামর্শ আমার পক্ষ থেকেও থাকবে। তবে নেগেটিভ বলার প্রবণতা যাদের রয়েছে, তারা কি ওসবে তুষ্ট হবে ভাই?
শুভেচ্ছা রইলো।
২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০১
নীল আকাশ বলেছেন:
আপনার সাথে তর্ক সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না।
আমাকে শুধু বলুন ছবিতে যে নগ্ন বক্ষা মূর্তিটা দেখছেন এটা কবে থেকে আমাদের সংস্কৃতির অংশ ছিল?
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩৭
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনি মনে হয় গ্রামবাংলার ঐতিহ্য "টেপা পুতুল"এর কথা ভুলেই বসে আছেন। বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যকে যারা বাঁকা চোখে দেখে, তাদের সাথে তর্ক করার রুচিও আমার নেই।
২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৪৭
শায়মা বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রা কথাটার মধ্যেই স্পষ্ট আমার চোখে ভেসে ওঠে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে যেই যাত্রা আর সেই যাত্রার সৌন্দর্য্য নানা রকম রঙ্গিন মুখোশ, জীব যন্তু হাতী ঘোড়া পাখ পাখালী প্রকৃতির নানা চিত্র নিয়ে হেঁটে যাওয়া একদল মানুষ।
এই মুখোশ পেঁচা হাতি ঘোড়ার চিত্র কেনো এসব নিয়ে এত ভাবিনি আগে। পরে বুঝেছি কিছু কিছু।
হিন্দু মুসলমান জাঁত পাত নিয়ে আমার এত মাথা ব্যাথা নেই। আমি যেহেতু সবাইকেই মানুষ ভাবি এবং সবার যার যার জাঁত পাত ধর্ম তার তার মনে করি কাজেই যেই সংস্কৃতিই হোক তা যদি আমাদের বাঙ্গালী সমাজের সাথে মিশে যায় মিলে যায় আনন্দের রঙ্গে এবং কারো জন্য ক্ষতিকর না হয় তাতে কোনো দোষ পাই না।
আর সবচেয়ে যেটা ভালো লাগে আমার কাছে মনে হয় যে বছরের প্রথম দিনে এক দল মানুষ জানিয়ে যাচ্ছে আমরা সারা বছরে সকলের মঙ্গল চাই। এই যাত্রায় যে কেউ সামিল হতে পারে।
এই মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে বিতর্ক হোক আমি চাইনা। আমি চাই আনন্দের এক ধারা এবং বাঙ্গালীর ঐতিহ্য হিসাবেও থাকুক এটা যতদিন বেঁচে আছি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: মন যাঁদের ভাল, তাঁরা সব জায়গায় সুন্দরকে খুঁজে ফেরেন। আপনি তাদের মধ্যে একজন। আপনার পরিচ্ছন্ন চমৎকার মন্তব্যও তা-ই প্রমাণ করে আপু। আপনার অনুধাবন অসাধারণ।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য দিয়ে অনুপ্রণিত করার জন্য। মঙ্গল হোক সকলের। শুভেচ্ছা।
২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৫৭
ইসিয়াক বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে এত ট্রল বিভেদ এসব আমার কাছে মনে হয় সাম্প্রদায়িক উসকানি মূলক। আমাদের দেশ হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সহ অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর মিলিত সংস্কৃতির দেশ। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হাজার বছরের। কালের বিবর্তনে তা ক্রমশ পরিবর্ধিত পরিমার্জিত হচ্ছে এবং হবে।
এখন আমাদের ভাবতে হবে আমরা সকলকে নিয়ে মিলেমিশে থাকবো। না-কি প্রতিদিন নানা অজুহাতে একেকটা ইস্যু তৈরি করে মারামারি, কুতর্ক, কাটাকাটি চালিয়ে যাবো যার মুল এজেন্ডা হবে একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি হিসাবে শুধু আমাদের বাস করার অধিকার থাকবে এদেশে।বাকিরা বিদায় হোক,এমন মনোভাবে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৬
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে এত ট্রল বিভেদ এসব আমার কাছে মনে হয় সাম্প্রদায়িক উসকানি মূলক। আমাদের দেশ হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সহ অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর মিলিত সংস্কৃতির দেশ। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হাজার বছরের। কালের বিবর্তনে তা ক্রমশ পরিবর্ধিত পরিমার্জিত হচ্ছে এবং হবে। - এই অনুধাবন এক সময় গোটা বাঙ্গালী জাতির হবে, এই প্রত্যাশা করি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই ইসিয়াক ভাই।
আমাদের সমাজ অসাম্প্রদায়িক হলে জাতি হিসেবে পরিচ্ছন্ন সংস্কৃতি নিয়ে বিশ্বের বুকে সম্মান নিয়ে দাঁড়াবো একদিন। শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব আশ্চর্য্যবোধ করছি এমন পোস্ট স্টিকি পোস্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায়। ব্লগ খুব সম্ভবত আগের অবস্থানে আর নাই। সিগনালটা সবার বুঝে নেয়াই সবার জন্য মঙ্গল।
১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৪৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই, আপনার সাথে আমিও আশ্চার্য্যবোধ করছি এমন পোস্টকে স্টিকি পোস্ট হিসেবে নির্বাচিত করায়। সামু্র মডারেশন টিমে তাহলে এমন মানুষও আছে যারা অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে অগ্রাধিকার দিতে কার্পণ্য করেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে জামাত শিবিরের রাজনীতির চর্চা না থাকলেও গোপনে যে ওই বোধকে লালন করে কেউ কেউ, তা আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও দেখেছি। তাই আপনার মন্তব্য দেখে আশ্চর্য্য হইনি মোটেও। ভাল থাকবেন।
২৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১১
শ্রাবণধারা বলেছেন: এই বিতর্ক একেবারেই অহেতুক সন্দেহ নেই।
এদেশের কিছু মানুষ যে কোন ধরণের শিল্পকলা সাহিত্য সঙ্গীত বা সংস্কৃতি চর্চার বিরুদ্ধে। পাকিস্তান আমলে যেমন রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধ হয়েছিল, এরা সেই ভাবেই মঙ্গল শোভাযাত্রা, ভাস্কর্য থেকে শুরু করে সবধরণের শিল্পকলার বিরুদ্ধে। তালেবানী শাসন এদের প্রিয় আর যা কিছু তালেবানী নয় তার প্রতি এদের নিদারুন ঘৃণা। আরও মুসকিল এই যে শিল্প সাহিত্যের প্রতি ঘৃণা পোষণ করাকে তারা পূণ্য জ্ঞান করে।
ধর্ম যখন মানুষের হৃদয়ে শুকিয়ে যায়, তখন সেখানে কতগুলো মৃত বিশ্বাস আর কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু থাকে না। সুশিক্ষার অভাব এবং বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক কারণে আমাদের বিরাট একটা জনগোষ্ঠি মৃত বিশ্বাস আর কুসংস্কারে আক্রান্ত অধার্মিক আর বকধার্মিকে পরিণত হয়েছে । এদের চিন্তা, বাক্য, কর্মে সদগুনাবলী কিছুই নেই, অথচ এদের ধারণা কুসংস্কারটাই ধর্ম।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: "ধর্ম যখন মানুষের হৃদয়ে শুকিয়ে যায়, তখন সেখানে কতগুলো মৃত বিশ্বাস আর কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু থাকে না। সুশিক্ষার অভাব এবং বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক কারণে আমাদের বিরাট একটা জনগোষ্ঠি মৃত বিশ্বাস আর কুসংস্কারে আক্রান্ত অধার্মিক আর বকধার্মিকে পরিণত হয়েছে । এদের চিন্তা, বাক্য, কর্মে সদগুনাবলী কিছুই নেই, অথচ এদের ধারণা কুসংস্কারটাই ধর্ম।" অকাট্য আপনার কথাগুলো। ব্লগ সাইটে আপনাদের মতো সুহৃদ পেয়ে আমি অভিভূত। এমন অসাধারণ মন্তব্য আমাকে আশান্বিত করছে। শুভেচ্ছা প্রিয় শ্রাবণধারা।
২৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:২৩
কলাবাগান১ বলেছেন: চমৎকার উত্তর দিয়েছেন ২১ নং এর সাম্প্রদায়িক প্রশ্নের। এরা ভয় পায় বাংগালীর যে কোন উৎসবকে। ব্লগার একজন কে দেখলাম, সে জন্মদিনে উইশ করেন না..নিজের ছেলে-মেয়েদের কে ও না.. ২১শে ফেব্রয়ারী/স্বাধীনতা দিবস পালনে ফুল দেওয়া ও হারাম...
২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: প্রিয় শ্রাবণধারার মন্তব্যের এই অংশটুকুই প্রযোজ্য সেই ব্লগারদের, যারা মনে করে ২১শে ফেব্রয়ারী/স্বাধীনতা দিবস পালনে ফুল দেওয়া ও হারাম... "ধর্ম যখন মানুষের হৃদয়ে শুকিয়ে যায়, তখন সেখানে কতগুলো মৃত বিশ্বাস আর কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু থাকে না।"
মন্তব্য দিয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই কলাবাগান১ ভাই।
২৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মঙ্গল শোভা যাত্রা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। সুতরাং ধার্মিকরা এর থেকে দূরে থাকলেই মিটেগেল। তবে সরকার যদি এটা সবার জন্য বাধ্যতামূলক করে তখন ধার্মিকেরা তাদের ধর্ম অনুযায়ী এর সংস্কার দাবী করবে। এরপর সকল ধর্মের আপত্তি মিটআপ করে এটাকে সর্বজনিন করা হবে। আর তখন সবাই তাতে অংশ গ্রহণ করবে। আপাতত ঐচ্ছিক অনুষ্ঠান হিসাবে এটার বিরোধীতা করার কোন কারণ আমি দেখি না। যারা এর বিরোধীতা করছে তারা কি এক দল নাগরিকের নাগরিক ইচ্ছাকে জোর করে দমিয়ে দিতে চায়? এটা যদি জান্নাতের প্রতিবন্ধক হয়, আর কেউ যদি জান্নাতে যেতে না চায় তবে তাকে জোরকরে জান্নাতে পাঠানোর দরকার কি? রাজিব নুর খান স্পষ্ট করেই বলেন তার জান্নাত প্রয়োজন নেই। তার ক্ষেত্রে জায়েজ-না জায়েজের বিষয় আসবে কেন?
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনি এই অধমকে নিয়ে একটি সনেট লিখে অভিভূত করেছিলেন মহাজাগতিক চিন্তা ভাই। আজ আবার অভিভূত করলেন সুন্দর মন্তব্যটি দিয়ে। ধর্মকে সম্মান ও বিশ্বাসের স্থানে সমুন্নত রাখলে কেউ তো আপত্তি করে না। সংস্কৃতিকেও তার আপন মহিমায় চলতে দিলে ক্ষতি কি? যে যার খুশিমতো মসজিদে যাক, মন্দির বা গির্জায় যাক, অসুবিধা তো নেই। সংস্কৃতি নিয়ে যে চর্চা করে করুক না। যা যার মনে ধরে, যা সমাজকে বিশৃংখল না করে, যা হৃদয়কে তুষ্ট করে, পুষ্ট করে ক্ষতি কি তা করলে।
রাজীব নুর ভাই নিজের কবরে একাই যাবেন। তিনি তো আর কাউকে টেনে ধরে নিয়ে যাবেন না। তিনি তাঁর গন্তব্য নির্ধারনের অধিকার রাখেন। ধর্মের দোহাই দিয়ে কারোর অধিকারে হস্তক্ষেপ করা নিশ্চয়ই ন্যায় সংগত নয়। সংস্কৃতি চর্চা হোক বা ধর্ম চর্চা হোক, যার যা পছন্দ, যেভাবে পছন্দ করুক না। অন্যের কাজকে সম্মান দিলে নিজের কাজের সম্মানহানীহয় না কখনো।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও সুবিবেচক মন্তব্যের জন্য।
২৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:১৫
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম। আসলে ইসলামে তো আল্লাহর ছাড়া অন্য কোন উপাস্য কে মানা যায় না। এই মঙ্গল শোভা যাত্রায় নাকি পূজা করা হয়। এর জন্য হুজুরেরা এই মঙ্গল শোভা যাত্রাতে যেওত বারন করে। আমি আরো স্পষ্ট করে বলছি। হুজুরেরা সঙ্গল শোভা যাত্রায় যেতে বাধা দেয় না। যেতে বারণ করে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: হুজুররা ইসলামের প্রচারে কাজ করলে কেউ তো কোন আপত্তি করে না, বাধাও দেয় না। আর কাঠহুজুরদের ফতোয়ায় চললে তো দেশটাকে আফগানিস্তান বানিয়ে ছাড়বে।
আমি যদি শোভা যাত্রায় যাই, হুজুর বারণ করার কে? আমার বেহেস্ত বা দোযখের জিম্মাদারী তো কোন হুজুরকে দেইনি ভাই।
আপনি বলেছেন, "এই মঙ্গল শোভা যাত্রায় নাকি পূজা করা হয়। " কী পূজা করা হয় তা কি বিশদ বলবেন? এখনো যাদের মগজে পাকিস্তানী ভূত চেপে বসে আছে, তারাই কেবল এসব উদ্ভট ফতোয়া জারি করে আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে ব্যহত করে, দেশটাকে পিছিয়ে মধ্যযুগের বর্বরতায় নিয়ে যায়। সুবিবেচনার আবেদন রাখছি আপনার কাছে। ভাল থাকবেন।
২৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩২
জ্যাকেল বলেছেন: যেহেতু পোস্ট স্টিকি করা হইয়াছে অতএব আরো কিছু কথা পরিস্কার না করলেই নয়।
নকশালবাদিরা আন্দোলন করতে গিয়ে দেবতা তুল্য ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভেঙে ফেলে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের (অসাধারণ মেধাবী) প্রখ্যাত লেখক, নারায়ণ সান্যাল লিখেছেনঃ
"কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগর মশায়ের মর্মর(পাথরের) মুর্তির যেদিন মুন্ডুচ্ছেদ হয় তার মাসখানেকের মধ্যে সিপিএম(এমএল) দলের এক নেতৃত্বস্থানীয় ছাত্রনেতার সংগে আমার সাক্ষাৎ হইয়াছিল। ঘটনাচক্রে সে আমার নিকট আত্মীয়। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, কট্টর নকশাল। আমার পেচুক প্রতিম মুখখানা দেখে সে সান্তনা দিয়ে বলেছিল; বিশ্বাস কর ছোটকাকু, মুর্তিটা যে ভেঙ্গেছে তাকে আমি চিনি। গত বছর হায়ার সেকন্ডারিতে সে বাংলায় লেটার(এ+) পেয়েছে। ওর ঐ বাংলা প্রশ্নপত্রে প্রবন্ধ এসেছিল তোমার প্রিয় দেশবরেণ্য নেতা। ও লিখেছিল বিদ্যাসাগরের উপরে। আমি (নারায়ন স্যানাল) জানতে চেয়েছিলুম তাহলে ও বিদ্যাসাগরের মুর্তিটা ভাঙল কেন? তো উত্তর দিচ্ছে ঐ ছাত্রনেতা। বিদ্যাসাগরের মুর্তি তো সে ভাঙেনি, ভেঙেছে একটা ফেটিশ। ষড়যন্ত্রী মশাইরা যে ফেটিশের গলায় ফি বছর ছাব্বিশে সেপ্টেম্বর একটা করে গাঁধা ফুলের মালা গলায় দিয়ে বলেন- আগামি ভোটটা আমায় দেবেন কাইন্ডলি। দুঃখ কর না কাকু, সর্বহারার রাজত্ব প্রতিষ্টা হলে বিদ্যাসাগরের মুর্তি আবার বসাব।"
আজকের এইসকল মঙ্গল শোভাযাত্রা ঐ ফেটিশের ভুমিকা পালন করতেছে। আজকের যে সরকার প্রশাসন, যে দুর্নিতি এবং গণতন্ত্রবিহীন দুঃশাসন উন্নয়নের আড়ালে লুকিয়ে ফেলার চেস্টা চালু আছে তা নিয়ে শাসকমন্ডলী স্বস্তিতে নেই। এই অস্বাভাবিক অবস্থা যে বিরাজ করছে, ইহাকে প্রলেপ দিতে কিংবা বলতে পারেন জায়েজ করিয়া নিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা (উপরে বিদ্যাসাগরের ফেটিশ) কমন পাবলিকের সাইকোলজি'তে বিশাল ভুমিকা পালন করে। আমপাবলিকের চিন্তার মর্মমূলে আঘাত হেনে তার পরিবর্তন ঘটাতে চেস্টা করে, অপকার/অমংগলের শক্তিকে প্রাধান্য দেয়। সে ভাবতে বলে যে আমরা ঠিক আছি, আমার পরিবর্তনের দরকার নেই, হোক তা যত বেশি মুল্যে আমি পণ্য কিনি না কেন, বৈদেশে বিলিয়ন বিলিয়ন রেমিটেন্স/রিজার্ভ যত বেশি অর্থ চুরি যাক না কেন এই সমস্ত কিছু নিয়ে ভাবা আমার কর্ম না। আমি বরং মঙ্গল শোভাযাত্রায় গিয়ে নিজেকে আলোকিত(!) করি। বাংগালী জাতিসত্বার পুনঃজন্মে ভুমিকা পালন করি।
(অথচ এই সেইম পাবলিক কিন্তু বাংলা ভাষায় ফোন/লেপটপ চালান না, চালাইবার কোন উদ্যোগও নেন না। আপামর বাঙালীর আর্থিক/মানসিক উন্নতির জন্য কোন চিন্তা করেন না)
যে শক্তির জন্য বাঙালি ৫২, ৬৯, ৭১, ৯০ এ জেগে ওঠেছিল তাকে একেবারে তৃণমূলে ধ্বংস করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ফলে দেশে কোন পরিবর্তন/আন্দোলন গড়ে ওঠে না। কুঁড়ি জন্মাবার আগেই গলা টিপে হত্যা করা হয়।
যাইহোক আমি আর বেশি লিখে পাঠকের ধৈর্য্য-চ্যুতির কারণ হইতে চাহি না। জাস্ট চেস্টা করলাম কেন আমি মঙ্গল শোভাযাত্রার পক্ষে নহি।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: একটি লিঙ্ক দিলাম এখানে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের সাক্ষাৎকার
আশা করি এটি আপনাকে আরো সহায়তা করবে।
৩০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০১
কলাবাগান১ বলেছেন: @জ্যাকেল:
"১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হলেও মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রথম হয় ১৯৮৯ সালে।"
আওয়ামী লীগ কি তখন থেকেই ক্ষমতায় যে তার ক্ষমতা ঠিকিয়ে রাখার জন্য এই শোভা যাত্রা করে (আপনার মতে)???
৩১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
জ্যাকেল বলেছেন: @কোলাবাগান১ আমার ১১ নম্বর মন্তব্য দেখেন নাই?
৩২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
জ্যাকেল বলেছেন: @কলাবাগান১ টাইপো'র জন্য সরি
৩৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫
নতুন বলেছেন: বাঙ্গালী ক্যাচাল পছন্দ করে তাই মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে এখনো এতো ক্যাচাল।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বাঙ্গালী সংগ্রাম করতে জানে, বাঙ্গালী আনন্দ করতে জানে। এবং তা ই করে। আর ক্যাচাল তো করে পাকি'রা। ৭১ এর আগে করেছে, এখনো করে।
আপনি কোনটা ভাই?
৩৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যে বিষয়ে সার্বজনীনতা নেই, সেই বিষয়ে বিতর্ক হবেই, আলোচনা, সমালোচনা হবেই। তাছাড়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে অনেক কিছুই গেলানো একটু কঠিন...
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৩৮
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে, আর আপনার পরিচয় আপনার নামে "বিচার মানি তালগাছ আমার"। এখানে আমার আর কোন কথা নেই ভাই। ভাল থাকবেন।
৩৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩৫
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: @জ্যাকেল
অহেতুক যুক্তিতর্ক। অর্থ্যাৎ নিজের অজান্তেই প্রচারে সহায়তা করছেন পাপেড ,মূর্তির শোভাযাত্রা ,যেটা ১৯৮৯ সালে যশোরে শুরু হয়েছিল।
যারা মনে করে -পাপেড ,মূর্তির শোভাযাত্রা মঙ্গল ,ভাবুক
উস্কানিতে মডুরাও কম যায় না (নাকের সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছে )
এ মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য আশা করিনা/আর মন্তব্যও করবো না
ধন্যবাদ সবাইকে
মলিন হয়ে আসছে বটতলা -ছায়ানট -রমনা...
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৫০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ভালো কথা, মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য আশা করেন না। প্রতিমন্তব্য করার মতো কোন মন্তব্যও এটা না।
আপনার উদ্দেশ্য কি, তা তো বুঝতেই পেরেছি, ফাঁকতালে নিজের পোষ্টের লিঙ্ক ধরিয়ে দিয়ে গেলেন।
আজব চিজ একখান !!!
৩৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনাকে দুইটা প্রশ্ন রেখে গেলাম। উত্তর জানেন না; বা উত্তর নাই বলে ত্যাড়া কথা বলে চলে গেলেন! বেশ!
@নিমো, মঙ্গল শোভা যাত্রার কারণে এরশাদের পতন হয়েছে এটা জানা ছিলো না। নুর এর গুলি বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর মত বড় দুর্ঘটনা হয়ত এড়ানো যেতো! আর একটু বলবেন যে আর কত গুলি মঙ্গল শোভা যাত্রা হলে আমরা দুর্নিতিবাজদের হাত থেকে রেহাই পাবো?
৩৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১১
রায়হান চৌঃ বলেছেন: ১লা বৈশাখ, বৈশখী উল্লাস এ ধরনের শব্দ গুলো কত শ্রুতি মধুর শব্দ, অসাধারণ লাগে.... বলতে পারেন মন থেকে এ দিনটার জন্য একটা ভালো লাগা তৈরি হয়। আমার কাছে এ শব্দটা ই ভালো লাগে।
কারণ... ? "আমি আমার মতো.... অন্য কারো মতো হতে চাই না"
কিন্তু হঠৎ করে বাংলাদেশে ১লা বৈশাখ, বৈশখী উল্লাস এ শব্দ টা পরিবর্তিত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা হলো কেন ? এ ধরনের শব্দ বাংলাদেশে প্রচলিত শব্দ নয় বলেই এত কথা...... অন্যথায় মহাভারত অশুদ্ধ হওয়ার মতো কিছু দেখি না। তবে ঐ যে " আমি আমার মতো" বলে নিজস্ব বলতে কিছু থাকে না।
আর হাঁ..... কথায় কথায় পাকিস্থানী / ভারতীয় না হয়ে বাংলাদেশী হোন সন্মান পাবেন.....
কারণ উচ্ছিষ্টের জায়গা ভাঙ্গাকুলায় ও হয় না।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনি ১লা বৈশাখ, বৈশাখী উল্লাস কি পছন্দ করেন? নাকি শুধু ঐ শব্দ দুটোই?
হঠৎ করে ঐ শব্দগুলো পরিবর্তিত হয়নি। বরং এরই সাথে যোগ হয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা, মঙ্গল শোভাযাত্রা নামের শোভাযাত্রা বা র্যালি। সংস্কৃতি ও সভ্যতা বহতা নদীর মতো। যেখানে তা স্থবির, সংস্কৃতির মৃত্যু সেখানেই। আধুনিক মননের মানুষরা পরিবর্তন এবং প্রগতিকে বরণ করে, ধারণ করে। পশ্চাদপদ বা প্রতিক্রিয়াশীলরা তা পারে না।
পাকিস্তানী ভূত এখনো কিছু মানুষের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা বাঙ্গালীর সংস্কৃতি চর্চাকে কখনো মেনে নিতে পারেনি। ৭১এর আগে তো নয়ই, এখনো না। কথা ও কাজে তারা এর প্রমাণ দেয়। তাই প্রসংগক্রমে বলতেই হয়।
ভারত বহুজাতিক দেশ, বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন সংস্কৃতির চর্চা সেখানে হয়। বাঙ্গালী।জাতি তার মধ্যে একটিমাত্র। এখানে ভারতীয় বলে কিছু টেনে আনার প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই বাঙ্গালী। বাঙ্গালীর নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা এখানে হবেই। ধর্মের দোহাই দিয়ে এর পথ রুদ্ধ করতে চেয়েছিল তদানীন্তন পাকিস্তানী সরকার। এখন কিছু কাঠমোল্লাও তাই করার প্রয়াস নিচ্ছে, কথিত কিছু শিক্ষিত লোক তাদের সমর্থন দিচ্ছে। আশা করি, কেউ তা রোধতে পারবে না।
৩৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
কালকে আমার অফিস আছে!! তাই তর্ক করলাম না!!!
কি রিপ্লাই রে বাবা!!!
এই পোস্ট স্টিকি হওয়ার কোন উপাদান আছে কি জনাব মডারেটর?
আমি কিন্তু পহেলা বৈশাখে এক সময় রমনায় গিয়েছি কিন্তু আজ এর সম্পূর্ণ বিরোধী কারণ খুব চিন্তা করে এই উৎসবটিকে সেক্যুলার গোষ্ঠী একটি এন্টি ইসলাম অনুষ্ঠান হিসাবে দাঁড় করাতে চাচ্ছে।
এক বছর এই সব পশুপাখির মূর্তি বা ভাস্কর্য বাদে কাঁচি, ধানের শীর্ষ, নৌকা, বৈঠা, লাঙ্গল হাতে নিয়ে শোভাযাত্রা করুন, দেখবেন বির্তক কমে গেছে আশি শতাংশ। কিন্তু তা কখনো হবে না কারণ ঐ যে বললাম খুবই সুক্ষ্মভাবে এটিকে এন্টি ইসলাম হিসাবে দাঁড় করাচ্ছে এক গোষ্ঠী আর যেহেতু এ দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সেহেতু কথা উঠবে আর দিনশেষে সেই গোষ্ঠীর রাজনৈতিক ফায়দা উসুল।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার সাথে আমিও সহমত পোষণ করি, এই পোস্ট স্টিকি হওয়ার কোন উপাদান আছে কি?
তবে আর পরের বাক্যটির বিশদ ব্যাখ্যা যদি দিতেন, যেদিন আপনার অফিস ছুটি থাকে?
শেষ প্যারার প্রস্তাব লিখে একটা পোস্ট দিন পত্রপত্রিকায় নিদেন পক্ষে সামুতেই। উদ্যোক্তাগণের চোখে পড়লে হয়তো ভেবে দেখতে পারেন।
আবারো বলবেন, কি রিপ্লাই রে বাবা!!!
ভাল থাকবেন।
৩৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫১
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আমরা ছোটবেলা থেকেই পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের সাথে পরিচিত। কারণ আমাদের পাশের গ্রামই হচ্ছে হিন্দু বড়ুয়াদের গ্রাম। অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে তখন আমরা সবাই সেই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতাম। কেউ তখন আমাদের বাঁধা দেয়নি
তবে গত কয়েকবছর ধরে পহেলা বৈশাখ নিয়ে কথা উঠার কারণ হচ্ছে, পহেলা বৈশাখের নামে যে আনন্দ মিছিল হতো, তার নাম পরিবর্তন করার কারণে।
যেহেতু এর নাম পরিবর্তন করে "মঙ্গল শোভাযাত্রা " করা হয়েছে, সেহেতু নিশ্চয়ই এর কোনো উদ্দেশ্য আছে।
আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারলাম এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ইশ্বর থেকে মঙ্গল কামনা করা। যখন কোনো একটি ধর্মীয় মিথ থেকে বা কোনো সম্প্রদায়কে প্রাধান্য দিয়ে কিছুর আয়োজন করা হলে, সেটা আর অসম্প্রদায়িক থাকে না। তখন সেটা সাম্প্রদায়িকে রুপান্তরিত হয়।
আমরা যদি এই শোভাযাত্রা বিশ্লেষণ করি তাহলে যা দেখতে পাই তা একটি নির্দিষ্ট ধর্মের সাথে মিলে যায়। যখনই সার্বজনীন একটি কাজ একটি সুনির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সাথে মিলে যায়, তখন সেটা তার অসম্প্রদায়িক তকমা হারিয়ে ফেলে। ফলে সেটা হয়ে যায় ঐ সম্প্রদায়েরই একটি অনুষ্ঠান।
আমরা যদি গভীরভাবে একটি বিষয় লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো যে, বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান যদিও বলা হচ্ছে সার্বজনীন, অথচ মুসলিম ছাড়া প্রায় অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীরাই এটা তাদের ধর্মীয় উৎস বলেই মনে করে ও পালন করে।
আগেই উল্লেখ করেছি ছোট থেকেই দেখেছি বড়ুয়া চাকমার এই দিনের আগে ও পরে নানান উৎসব করতে। শুধু তাইনয় আমি নিজেও সাক্ষী ১৩ ইএপ্রিল সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের পূজার জন্য বিভিন্ন কেনাকাটায় ব্যস্ত।
আমি কারো সাথে তর্ক বা কুতর্ক করতে চাই না। খুব স্পষ্ট করেই বলতে চাই, এটা যদিও আমরা জোর গলায় বলছি যে সার্বজনীন অনুষ্ঠান, কিন্তু আসলেই তা সঠিক নয়। হয়তো আপনারা যার শহরে আছে তারা মনে করছেন এটা তো চারুকলার অনুষ্ঠান!! আসলেই তা কিন্তু নয়।
তাই যারা মুসলিম তারা এটা নিয়ে প্রতিবাদ করবেই, যদি তা আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৪৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার অতীব গবেষণাধর্মী(!) মন্তব্যের জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে হয়।
কোন মুসলিমের উপর শোভাযাত্রার উৎসব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ভাই? আমার ইচ্ছে আমি যাবো, আপনার ইচ্ছে নেই আপনি যাবে না। এখানে চাপাচাপির কি আছে বলুন?
ঈশ্বর কে, খোদা কে, আল্লাহ কে? বুঝেন?
আপনার মা-বাবা বা শুভাকাঙ্খী কেউ কি আপনার মঙ্গল কামনা করতে পারবে না? তাহলে সেই কামনা কি আল্লাহর কাছে না গিয়ে ঈশ্বরের কাছে চলে যাবে? "মঙ্গল" মানে কি, বুঝিয়ে বলবেন?
৪০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব আশ্চর্য্যবোধ করছি এমন পোস্ট স্টিকি পোস্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায়। ব্লগ খুব সম্ভবত আগের অবস্থানে আর নাই। সিগনালটা সবার বুঝে নেয়াই সবার জন্য মঙ্গল।
আশ্চর্যবোধের কিছু নেই। ব্লগ আগের অবস্থানেই আছে। আপনি অবাক হলেন কেন বুঝলাম না। এই খানে খুব স্পষ্ট সিগন্যাল আছে। সামহোয়্যারইন ব্লগ তথাকথিত মৌলবাদি চিন্তাধারাকে সমর্থন করে না। যারা ধর্মের সাথে দেশীয় সংস্কৃতির বিরোধ সৃষ্টি করতে চায়, তাদের জন্য এখানে সুস্পষ্ট সিগনাল আছে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৪১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যায় আশান্বিত হয়েছি, স্বস্তি বোধ করছি জেনে, "সামহোয়্যারইন ব্লগ তথাকথিত মৌলবাদি চিন্তাধারাকে সমর্থন করে না। যারা ধর্মের সাথে দেশীয় সংস্কৃতির বিরোধ সৃষ্টি করতে চায়, তাদের জন্য এখানে সুস্পষ্ট সিগনাল আছে। "
তবে এই অধমের আপত্তি পোষ্টটি স্টিকি করায়। মন্তব্যগুলো পড়তে আর জবাব দিতে জান যায়। ব্লগ পড়তেই আনন্দ পাই, মাঝে মধ্যে নিভৃতে কিছু লিখি, যা অনেকেরই দৃষ্টির অন্তরালে থেকে যায়। এবার তো মহা ফাঁপরে পড়ে গেলাম। আকুল আবেদন, যত দ্রুত সম্ভব স্টিকি থেকে উদ্ধার করবেন।
ভাল থাকবেন প্রিয় কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই।
৪১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১২
আশিকি ৪ বলেছেন: এগুলো লিখলে আপনি ছাগুদের চক্ষুশূল হতে পারেন। আমার সংস্কৃতি আমার অহংকার।রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবির ও মৌলবাদীদের মঙ্গল শোভাযাত্রা কে বিতর্কিত করার নোংরা অপপ্রয়াস কে ব্যর্থ করার জন্য এ পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। স্টিকি হওয়াতে ভালো হল।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৫৬
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আমি ভাই ছা.. বলি না। ছাগলেরও একটা নিষ্পাপ চরিত্র আছে। কিন্তু পাকিদের চরিত্র ৭১এ যা ছিল, এখনো তাইই আছে। ক্ষেত্র বিশেষে আরো জঘন্য রূপ ধারণ করেছে। কিন্তু বাহ্যিকটা মধ্যপ্রাচ্যের তেলে তেলতেলা হয়ে উঠেছে।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ভাই আশিকি ৪।
৪২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩
জিকোব্লগ বলেছেন:
বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। কাজেই দেশের বেশির ভাগ জনগণ যদি মঙ্গল শোভাযাত্রা মেনে নেন,
তাহলে কারোর-ই আপত্তি থাকার কথা না। যেমন বিদেশে অনেক উৎসবেই সেখানে বসবাসরত মুসলিম
নাগরিকরা যান না। কিন্তু ঐ উৎসবগুলো সেখানকার বেশিরভাগ নাগরিকের সমর্থন থাকায়, মুসলিম
নাগরিকরা সেই উৎসবগুলোর বিরোধীতাও করছেন না। এখন প্রশ্ন হলো, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে
বাংলাদেশের বেশিরভাগ জনগণ কি মঙ্গল শোভাযাত্রা মেনে নিয়েছেন?
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:০৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার সুবিবেচনা প্রসূত যৌক্তিক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
প্রশ্ন হলো, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জনগণ কি মঙ্গল শোভাযাত্রা মেনে নিয়েছেন? - আপনার এই প্রশ্নের জবাবে বলবো, "মঙ্গল শোভাযাত্রা" জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় কোন অনুষ্ঠান নয়, এদেশের শিল্পীগণ বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ৮৯ সাল থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা, পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে একটি র্যালি বের করে নিজেদের আনন্দে। এতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে উৎসাহী কিছু জনগণ যোগ দেয়, কেউবা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে সেটা দেখে উপভোগ করে। এখানে চাপিয়ে দেওয়ার কোন প্রশ্ন যখন নেই, তাই মেনে নেবারও কোন প্রশ্ন আসে না।
ভাল থাকবেন।
৪৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধর্মান্ধদের কাছে দেশীয় যে কোন সংস্কৃতিই অগ্রহণযোগ্য। এরা নিজেরা পশ্চাৎপদ, অন্যদেরও তেমনই রাখতে চায়।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:১০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধর্মাচরণ ভাল, কিন্তু ধর্মান্ধতা ভয়ানক। ধর্মান্ধরা সকল সময় সকল জাতির জন্যই বিপদজনক। কিছু ব্লগপোষ্ট ও মন্তব্য পড়ে আপনিও নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। অল্প কথায় সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য ভাই। ভাল থাকবেন।
৪৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২
সোনাগাজী বলেছেন:
নববর্ষে ইহা বাংগালীদের কার্নিভাল। তবে, ইহা ছাত্রদের থেকে বের করে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:১৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ঠিক বলেছেন সোনাগাজী ভাই। ইহা ইতোমধ্যে সাধারণ জনগণের কাছে সমাদৃত হয়েছে এবং স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া পেয়েছে। এই দেখে প্রতিক্রিয়াশীল একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে এর বিরোদ্ধে, এদের নাকি ধর্ম যায়!
৪৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মহাজাগতিক চিন্তার মন্তব্য ভালো লেগেছে।
মঙ্গল শোভা যাত্রা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। সুতরাং ধার্মিকরা এর থেকে দূরে থাকলেই মিটেগেল।
ইসলাম ধর্মের সঙ্গে এর কোনো বিরোধ থাকার কথা নয়।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতির পশু পাখির ছবি মুখোশ নিয়ে নববর্ষের আনন্দ মিছিলে কিছু অতি মুসলমানদের এত গাত্রদাহ কেন বুঝিনা।
ওরা মূল আপত্তি শিরকি হচ্ছে, অর্থাৎ এসব পশু পাখির ছবি আল্লাহর সমকক্ষ বা শরিক করা হচ্ছে।
কিন্তু যে কেউ বুঝবে যে এসব দাবি ভিত্তিহীন। কিন্তু ব্লগের জাতীয়তাবাদের মুখোশ পরা শিবির চক্র কখনো এটা বুঝতে দিবে না।
রাজনৈতিক ইসলামিষট।
ইসলামে গান বাজনা আনন্দ-ফূর্তি সাথে কোনো বিরোধ না থাকলেও রাজনৈতিক ইসলামে এসব চরম আপত্তি।
বৈশাখী উৎসব করা যাবে না যেহেতু হিন্দুরা করে বৌদ্ধ ধর্মরা পালন করে। কি ফালতু অজুহাত! হিন্দুরা তোশকে ঘুমায় তাই তোশকের উপর ঘুমানো যাবে না খেজুর পাতায় ঘুমাতে হবে?
গান-বাজনা সিনেমা নাটক পুতুল মুর্তি ছবি, এমনকি এনআইডির ছবিও তাদের আপত্তি। মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারবেনা বস্তাবন্দি হয়ে ঘরে থাকবে, মাহরাম ছাড়া বের হতে পারবে না। আর ছেলেরা কোন উৎসব করতে পারবেনা। খেলাধুলাও করা যাবে না। সারাক্ষণ মুখ গোমরা করে থাকতে হবে।
সমাজে আনন্দ-উৎসব থাকলে তো তাদের রাজনীতিই শেষ।
একারণেই বর্ষবরণ উৎসবে বারবার বোমা হামলা হয়েছে। উদীচীর গণসংগীত অনুষ্ঠানে বোমা হামলা হয়েছে। সিনেমা হলেও বোমা হামলা হয়েছে।
এরপর মেটাল ডিটেক্টরে নিরাপত্তা জোরদার হলে এরপর শুরু তাদের অন্য পদ্ধতির হামলা।
ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিড় ঠেলাঠেলি সৃষ্টি করে মহিলাদের ওপর যৌন হামলা।
ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক ধন্যবাদ। অনেক বাধা সত্ত্বেও এই পোস্টটি স্টিকি করার জন্য।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২১
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনি এটা কী করলেন হাসান কালবৈশাখী ভাই!!!
রীতিমতো কালবৈশাখী ঝড় তুলে দিলেন মন্তব্যে। এই ঝড়ের তোড়ে যদি কিছু উটকো ডালপালার গাছ শেকড়সহ উপড়ে যায়, মন্দ হতো না। তবে যুক্তির এই ঝড় কতোটা বোধগম্য হবে তাদের, সেটাই ভাবার বিষয়।
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি অমন একটি মন্তব্য উপহার দেবার জন্য। ভাল থাকবেন।
৪৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৮
গরল বলেছেন: প্রায় দশ বারো বা পনেরো বছর আগে একদল লোক ইখতেয়ার উদ্দিন কিলজী যেদিন বাংলা আক্রমণ করে সেই দিনটিকে বিজয় দিবস বা স্বাধিনতা দিবস হিসেবে পালন করেছিল প্রেসক্লাবের সামনে ঢোল বাদ্য ও সজ্জিত ঘোড়া নিয়ে। তারা ঐ দিনটাকে বাংলা বছরের প্রথম দিন হিসেবেও গণনা করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তাদের সেই কুচক্রিয়া কোন মানুষই পাত্তা দেয় নাই বলে তারা আর ঐ উৎসব পালন করে নাই আর কোন দিন। এমন হতে পারে ঐ কুচক্রিরাই আবার সক্রিয় হয়েছে পহেলা বৈশাখ বাঞ্চাল করতে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:২৮
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: তথ্যটি জানা ছিল না। অনেক ধন্যবাদ জানাই তথ্যটি তুলে ধরার জন্য। ভাই, এমনও হয়!
এই বিকৃতমনা কুচক্রিরাই প্রগতির পথে বাধা, সংস্কৃতি বিকাশের অন্তরায়। আসুন আমরা সচেতন হই, প্রতিবাদী হই।
শুভেচ্ছা রইল।
৪৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:০৯
নিমো বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: @নিমো, মঙ্গল শোভা যাত্রার কারণে এরশাদের পতন হয়েছে এটা জানা ছিলো না।
নাই জানতে পারেন, আপনিতো আবার বাংলাদেশের চেয়ে সৌদি আরব বেশি জানেন।
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: নুর এর গুলি বিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর মত বড় দুর্ঘটনা হয়ত এড়ানো যেতো!
মন্তব্যটা পড়ে অনেক ক্ষণ হেসেছি। ও, আপনাদের অনেকেরতো আবার হাসলে জ্বলে। যাকে নিয়ে লিখেছেন তার নামটাও সঠিক করে জানেন না। ওটা দুর্ঘটনা নয় হত্যা ছিল। ডা: শামসুল আলম খান মিলনকে নিয়ে জেনে নিয়েন, যেহেতু আপনি অনেক কিছুই জানেন না। অনেক কিছু দিয়েই, অনেক কিছু এড়ানো যেত যেমনঃ আদম-হাওয়া ফল না খেলে নিষ্ঠুর দুনিয়ায় আসা এড়ানো যেত, বাংলাদেশ স্বাধীন না হয়ে পাকিস্তান থাকলে, শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়া এড়ানো যেত, তৎপরবর্তী আরও হত্যা এড়ানো যেত, লম্পট এরশাদকে এড়ানো যেত, মঙ্গল শোভাযাত্রা নামক যন্ত্রণা এড়ানো যেত, সবচেয়ে বড় কথা আপনার এই উদ্ভট প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করে সময় নষ্ট এড়ানো যেত।
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন:আর একটু বলবেন যে আর কত গুলি মঙ্গল শোভা যাত্রা হলে আমরা দুর্নিতিবাজদের হাত থেকে রেহাই পাবো?
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জন্য যা লেগেছে, তারচেয়ে কম লাগার সুযোগ নাই।
আপনাকেও একটা প্রশ্ন করি, কত রাকাত নামাজ, কত বার হ্জ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইত্যাদি করা হলে আমরা দুর্নিতিবাজদের হাত থেকে রেহাই পাবো? আপনারা বাস্তবে ধর্ম কতটা পালন করেন কে জানে! কিন্তু ব্লগে ধর্মের নামে কক কক করেন তার বহুগুন!
৪৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:২০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কয়েক বছর আগেও এটা ছিলো নতুন
বছরের আনন্দ মিছিল। মিছিলে আনন্দ
হবে কিন্তু মঙ্গল দিবে কে?
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৩৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: মঙ্গল যে দিবে কে তা আপনি জানেন।
জানেন না?
৪৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:৫১
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: @ঋণাত্মক শূন্য:
আপনি প্রয়াত লুচ্চা লাফাঙ্গা লেজেহোমো এরশাদের সময়ে গুলিতে শহীদ নূর হোসেনের গুলিতে নিহত হওয়াকে দুর্ঘটনা হিসাবে অভিহিত করায় আমি চরমভাবে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি। স্বৈরাচারী এরশাদের সময় তার পেটোয়া বাহিনী কর্তিক অগণিত ছাত্র,শ্রমিক ও জনতা যে পরিমান নিষ্ঠুর অত্যাচার ও হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল তা বোঝার মতো বয়স হয়তো আপনার সে সময়ে হয় নি অথবা আপনি সেই সময়ের আন্দোলন থেকে সহস্র যোজন দূরে ছিলেন। রাতবিরেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে ছাত্রদের তুলে নিয়ে পুলিশ কন্ট্রোল রুম অথবা অন্যান্য লালঘরে নিয়ে কি পরিমান অত্যাচার করা হতো তা ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন। নূর হোসেন, ডাক্তার মিলন অথবা সেলিম দেলোয়ারই বলুন এদের আত্মত্যাগ কখনো দুর্ঘটনা ছিলোনা। আপনার মতো একচোখা কিছু লোকদের কাছে কি মনে হলো না হলো তাতে কোনো আসে যায় না - কারণ সেই সময়ের তরুণ প্রজন্ম দলমত নির্বিশেষে অনেক আত্মত্যাগ করে প্রায় স্থায়ীভাবে গেড়ে বসা একটি স্বৈরাচারকে উৎখাত করতে সক্ষম হয়েছিল।
আমরা ভুলে যাই সহজেই - তাই স্বাধীনতার মাত্র পঞ্চাশ বছরপেরিয়ে যাওয়ার পর আমরা রাজাকার-আলবদরদের সহ্য করতে শুরু করেছি। আর হোমো এরশাদের সময় ভুলতে পারাও যে বেশি দূরে নয় তা আপনার মতো ব্যক্তিদের উক্তি থেকেই সহজে অনুমেয়।
৫০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:১২
সোহানী বলেছেন: ইদানিং দেখিছি সব কিছুতে ধর্ম কে নিয়ে টানাটানি করার চেস্টা করা হয়। কেন রে ভাই? ধর্ম এর জায়গায় ধর্ম থাকুক, সংস্কৃতির জায়গায় সংস্কৃতির, আর বিজ্ঞানের জায়গায় বিজ্ঞান। এখন সবকিছুতে ধর্ম দিয়ে জাস্টিফাই কেন করতে হবে? ধর্মকে কেন আমরা এভাবে সবকিছুর সাথে গোলানোর চেস্টা করবো? এতে কি লাভ? আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ হবে নাকি নাকি আরো ক্যাচাল তৈরী হবে। বেশী চিপলে রসের পরিবর্তে তো অন্য কিছু বের হবে!!!!!!!!
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:২৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন আপু।
উপসংহারে ব্লগার শ্রাবণধারার কথাটুকুও যোগ করতে পারি, ধর্ম যখন মানুষের হৃদয়ে শুকিয়ে যায়, তখন সেখানে কতগুলো মৃত বিশ্বাস আর কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু থাকে না। সুশিক্ষার অভাব এবং বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক কারণে আমাদের বিরাট একটা জনগোষ্ঠি মৃত বিশ্বাস আর কুসংস্কারে আক্রান্ত অধার্মিক আর বকধার্মিকে পরিণত হয়েছে । এদের চিন্তা, বাক্য, কর্মে সদগুনাবলী কিছুই নেই, অথচ এদের ধারণা কুসংস্কারটাই ধর্ম।
৫১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৪৫
অরূপ রতন আচার্য্য বলেছেন: দিনটি পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের প্রথম দিন। 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' মানে হল, কল্যাণ কামনায় বহু লোকের একত্রযাত্রা বা মিছিল। সংস্কৃত থেকে অনেক শব্দই বাংলায় এসেছে, এমনকি 'ক্ষ' বর্ণ দ্বারা সব শব্দের উৎসও সংস্কৃত। তেমনি বাংলায় বহু বিদেশি শব্দেরও ব্যবহার আছে।
বর্ষবরণের নানা আয়োজন পৃথিরীর বহু দেশেই আছে ( বিশেষকরে যাদের নিজস্ব দিনপঞ্জিকা আছে। )। এদিনে শুভেচ্ছা বিনিময়, সকলের কল্যাণ কামনায় আলোচনা, মিছিল, অনুষ্ঠান, সবইতো সুন্দর। যা কিছু সুন্দর, কল্যাণকর, এবং সার্বজনীনতার দাবি রাখে, সেসব কিছুকে দাবানোর বা নিরুৎসাহিত করার অভিপ্রায় কোন সুস্থ চিন্তার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে না নিশ্চই।
যাক সে কথা। এবার পহেলা বৈশাখ উজ্জাপন বা মঙ্গল শোভাযাত্রাকে হিন্দুয়ানী বলার প্রশ্নে আসা যাক। একইসাথে প্রশ্ন ওঠে সংখ্যালঘু হিন্দুরা কেন এ দিনটিকে পহেলা বৈশাখ হিসেবে উজ্জাপন করবে? যারা হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠান কিভাবে পালন করা হয় এ সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানেন, তারা নিশ্চই জানেন যে, হিন্দুদের সকল প্রকার আচার-অনুষ্ঠান, বিবাহ, পূজা, এককথায় ধর্ম পালনের সকল ক্ষেত্রে পুরতন বাংলা বর্ষপঞ্জিকা ব্যবহৃত হয়। নীলক্ষেতে বা বাংলাবাজারে খোঁজ করলেই 'নবযুগ ডাইরেক্টরী পঞ্জিকা' সহ বিভিন্ন পঞ্জিকা পাওয়া যায়। সে পঞ্জিকার তারিখ বাংলাদেশে প্রচলিত বাংলা বর্ষপঞ্জিকার তারিখের সাথে কালেভদ্রে মিলে, ১/২ দিনের তফাৎ হয়। ( বর্তমানে বাংলাদেশে যে বর্ষপঞ্জি চালু আছে তা ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে বাংলা একাডেমির গঠিত কমিটি কর্তৃক পুরাতন ক্যালেন্ডারের সংশোধিত সংস্করণ এবং ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত। পক্ষান্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যে এখনো পুরাতন আমলের বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হচ্ছে। )
১৪ই এপ্রিল যেদিন বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ পালন হয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই দিনে চৈত্র সংক্রান্তি অর্থাৎ বছরের শেষ দিন হিসেবে শাস্ত্র মেনে তাদের ধর্মীয় আচার, স্নান, দান, ব্রত, উপবাস, সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করে। এর পরের দিন ( বৈশাখের ২য় দিন ) সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের শাস্ত্রীয় আচারাদি পালনের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উজ্জাপন করে।
অর্থাৎ বাংলাদেশে যেদিন পহেলা বৈশাখ, হিন্দুরা সেদিন তাদের ধর্মানুসারে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করে। হিন্দুরা ঐদিন কেন পহেলা বৈশাখ পালন করবে ?
এক্ষেত্রে হিন্দুরা চৈত্র সংক্রান্তির ধর্মীয় আচার পালনের পাশাপাশি দেশের সার্বজনীন পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানাদিতে যদি অংশগ্রহণ করে তাহলে তাদের আন্তরিক সার্বজনীন আচরণকে কোন দৃষ্টিতে বিবেচনা করা উচিত তা জ্ঞানীরা বিবেচনা করবেন।
পহেলা বৈশাখ উজ্জাপনকে বা মঙ্গল শোভাযাত্রাকে আশাকরি হিন্দুয়ানী অনুষ্ঠান বা আয়োজন বলার আর কিছু নেই। বরং হিন্দুরাও দেশের এই সার্বজনীন উজ্জাপনে শামিল হয়, একথা বলাই শ্রেয় হবে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৫৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: চমৎকার তথ্য ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে সুন্দর দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই অরূপ রতন আচার্য্য ভাইকে।
যারা ১৪ই এপ্রিল আমাদের পহেলা বৈশাখের উৎসবকে হিন্দুদের বা হিন্দুয়ানী উৎসব বলে তোকমা লাগাতে উঠে পড়ে লেগেছেন, তারা কি বলবেন, জানার ইচ্ছে। হিন্দুমতে তো সেদিন তাদের চৈত্র সংক্রান্তি। ধর্মীয় বাত্যাবরনে যারা বাংলা নববর্ষের উৎসবকে মেলাতে চাইছেন, আর ফতোয়া মারছেন তারা এবার নিশ্চয়ই নতুন ফতোয়ার ফাঁদ পাতবেন। যাই হোক বাংলা নববর্ষের উৎসবকে আমি কোন ধর্মীয় উৎসব হিসেবে কখনোই দেখি না। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাঙ্গালির সার্বজনীন উৎসব হিসেবেই দেখি।
বাঙ্গালির অসাম্প্রদায়িক একটি উতসবকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঠেলে দিয়ে কেউ মজা নেয়, কেউ আবার সার্বজনীনতাকে কোনঠাসা করতে এক বিষয়কে অন্য বিষয়ের সাথে গুলিয়ে দিয়ে অন্যদের উসকে দেয়। খোলা দৃষ্টিতে বিবেচনা করলেই সব পরিষ্কার হয়ে উঠে। যার খুশি উদযাপনে এগিয়ে আসুক, আর মন না চায়, দূরে থাকুক। অযথা বাজে কথা বলে, বা ফতোয়া জুড়ে দিয়ে একে আর বিতর্কের মধ্য না জড়াক। ধর্মের সাথে নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্তা, সংস্কৃতি চর্চা, অনুষ্ঠান উদযাপন এসবের তুলনা করাও একধরণের মানসিক রোগের লক্ষণ। দিনশেষে আমরা সবাই বাঙালি। বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে বাংলাতেই বাঁচবো- এই প্রত্যাশা।
শুভ হোক নতুন বছর। করোনার ক্রান্তিকাল দূর হোক এই কামনা।
ভাল থাকবেন।
৫২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
নতুন বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রায় তো কোন উন্মাদনা বা অশ্লীলতা নেই। তবু কেউ কেউ এর বিরুদ্ধে লেগেছেন? বস্তুতঃ যাদের মাথায় এখনো পাকিস্তানি ভুত চেপে রয়েছে, যারা বাঙালি জাতিকে হিন্দু মুসলিম বিভেদে রাখতে চায়, তারাই বিভিন্ন ফতোয়া ফিকির করে এর বিরুদ্ধে কথা বলে। রাষ্ট্রীয় উৎসব ছাড়া বাঙালির সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক কোন উৎসব থাকলে এখন এই একমাত্র ১লা বৈশাখের অর্থাৎ নববর্ষের উৎসবটিই আছে। যেখানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক উৎসব আর ভ্রাতৃত্বের চেতনায় মেতে উঠে সবাই। এমন একটি সম্মিলনে বিভাজন না টানলেই কি নয়?
যারা ক্যাচাল পছন্দ করে তারা সব জিনিসেই সমস্যা খুজে বেড়ায়। পহেলা বৈশাখে ধর্মীয় সমস্যা খুজে বেড়ানো শুধু এক রকমের ভন্ডামী মাত্র। ওয়াজের মঞ্চ গরম করার টপিক মাত্র। বিশ্বের অনেক সমাজেই সামাজিক প্রথা হিসেবে অনেক কিছুই পালন করে এবং মানুষ সেটা মজা হিসেবেই নেয়। সেখানে ধর্ম টেনে এনে সেই নিদোষ আনন্দকে নস্ট করতে চায় না।
আমরা সমাজে নিজেরা বিভিন্ন পেড়ায় থাকি তাই অন্যেরা কিছু উপভোগ করছে সেটা সহ্য হয় না।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। অন্যেরা কিছু উপভোগ করছে সেটা সেটা ওদের সহ্য হয় না।
৫৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: মঙ্গল যে দিবে কে তা আপনি জানেন।
জানেন না?
আমি জানি তবে অনেকই জানেন না।
নগ্ন বক্ষা মূর্তি কোন মংগল দিতে পারেনা।
সেতো ইলেক্ট্রিক তারে নিজেই অমংগল
এনেছে এবার। যার নিজের মংগল করার
ক্ষমতা নাই সে অপরের মংগল করে কি ভাবে!
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: নগ্ন বক্ষা মূর্তি যে কোন মংগল দিতে পারেনা, সেটা তো আমিও জানি।
আপনি জ্ঞানী গুণী মানুষ, কোন দুঃখে নগ্ন বক্ষা মূর্তির কাছে মংগল চাইতে যাবেন বা ভাববেন!!!!
(এমন কোন ওহী কি আপনার কাছে এসেছে?)
৫৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৯
এভো বলেছেন: একজন হিন্দু নেতা বোলছেন ----- মঙ্গল শোভাযাত্রার মত কোন যাত্রা হিন্দু ধর্মে, রিচুয়ালে নেই ।
মঙ্গল শোভাযাত্রা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে যা বললেন গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: এভো বলেছেন: একজন হিন্দু নেতা বোলছেন ----- মঙ্গল শোভাযাত্রার মত কোন যাত্রা হিন্দু ধর্মে, রিচুয়ালে নেই ।
ভাই কেউ বোলোক আর না বোলোক, মঙ্গল শোভাযাত্রা কোন ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসেনি। কিছু মোল্লা-মুন্সি একে হিন্দুয়ানী তকমা দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন। গোবিন্দ বাবুর কথা আমি ২৯নং মন্তব্যের রিপ্লাইয়ে দিয়েছি।
৫৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৯
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. বলেছেন: আপনি জানেন কিনা জানি না
অনেক স্কুল কলেজে বাধ্যতামূলকভাবে বর্ষবরণ ও মিছিল করিয়েছে। শুধু তাইনয় এলাকার এমপি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে সকল সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বাধ্য করেছেন মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য।
একটু খোঁজ নিবেন আশাকরি।
এছাড়া কেউ কাউকে বাধ্য না করলে আমার কী গরজ পড়েছে কে কী করলো আর কার কী গেলো!!
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনি খোঁজ নিয়ে তো জেনেছেন ভাই। ওটা নিয়ে আপনার মাথাব্যাথা থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
আমি এই পোষ্টে কি লিখেছি, সেটা এখানে বিবেচ্য।
৫৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০০
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: নাহ! এতে আমার বিরোধিতা নাই। কখন বিরোধিতা নাই? যখন মঙ্গল শোভার যাত্রার মাধ্যমে বর্ষবরণ করার জন্য জোর জবরদস্তি না করা হয়। মানে হইল গিয়া স্বতস্ফুর্তভাবে কেউ অংশগ্রহণ করলে আমার আপত্তি নাই। কিন্তু একজন মানুষের এইটা ভাল নাই লাগতে পারে কিন্তু তারে যদি আপনে জোর করেন বা বাধ্য করেন তখন সেইটাকে কী বলবেন? স্বাধীনতায় আঘাত না
ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করা হইল না?
তবে কিছু প্রগতিশীলদের প্রতি আমার বহুত আপত্তি আছে। ওনারা দেখবেন ইসলাম ধর্মের নানা দিক নিয়া সমালোচনা করে। ওনারা ধর্মে নয় বিজ্ঞানে বিশ্বাসী। বিজ্ঞানে আমরা যে অবিশ্বাসী তা না। কিন্তু ওনারা বিজ্ঞানকে আইনা আমাদের হেয় করতে চায়। আমাদের বিশ্বাসে আঘাত করে। কিন্তু সেই তারাই কেন মঙ্গল যাত্রার মতো একটি থিওরিতে বিশ্বাস করবে। বিজ্ঞান মনস্ক বিজ্ঞান মনস্ক বইলা মুখে ফ্যানা তুলে। কিন্তু মঙ্গল যাত্রার ক্ষেতে কই থাকে ওনাদের বিজ্ঞান চিন্তা। মঙ্গল যাত্রা এটা তো এক প্রকার কুসংস্কার।
হ্যাঁ, এক সাথে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই আনন্দ উদযাপন করা ভালো। আমি নিজে ওঠাকে সমর্থন করি। যেসব আলেম বা যেসব মানুষ পহেলা বৈশাখকে বাদ দিতে চায় আমি ওদের বিরোধিতা করি। কিন্তু তাই বলে মঙ্গল শোভাযাত্রার মত কুসংস্কারকে সমর্থন করতে পারি না। না। না।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনি বলেছেন, একজন মানুষের এইটা ভাল নাই লাগতে পারে কিন্তু তারে যদি আপনে জোর করেন বা বাধ্য করেন তখন সেইটাকে কী বলবেন? স্বাধীনতায় আঘাত না
ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করা হইল না?
আমার লেখা পোস্টে এমন কিছু কি কোথাও বলেছি ভাই??? পোষ্টে আলোচিত বিষয়ে কথা না বলে আপনি "ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়া শুরু করলেন" ক্যান, আমি তো বুঝলাম না।
আপনার জ্ঞানের বহর দেখে তো অবাক না হয়ে পারি না, আপনি বলছেন, "মঙ্গল শোভাযাত্রার মত কুসংস্কার . . . . . "! আমি অধম কোনভাবেই জ্ঞানে আনতে পারছি না, সংস্কার বা কুসংস্কারের সাথে এর কোনরূপ সম্পর্ক আছে কিনা। যদ্দুর জানি, এটি বাঙ্গালি সংস্কৃতি বিকাশে একটি নবীন সংযোজন।
ধন্যবাদ আকতার আর হোসাইন ভাই। ভাল থাকবেন।
৫৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৪৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
রোজা রমজানের সময় বিতর্ক করলে রোজা মাকরুহ হয় এটা ঐ বিতার্কিকদের জানা নেই বলেই এই অবুঝ কাজ-কারবার!!!
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সত্যপথিক শাইয়্যান ভাই। সবাই তো সব বুঝে না, অবুঝ কাজ-কারবার!!!
৫৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৯
সাসুম বলেছেন: চুুপ করে ব্লগের চিহ্নিত ছাগু, পাকি দালাল, ইস্লামিস্ট ব্যাবসায়ী, ধর্মান্ধ আর মারখোর দের হই হই দেখলাম কমেন্টে।
ব্লগ লেখক কে ধন্যবাদ সামু ব্লগের সকল ছাগু কে একই পোস্টে এনে ভ্যা ভ্যা করতে দেয়ার জন্য। এমন পোস্ট আরো দিবেন।
জাজাকাল্লাহ খায়রান
২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়রান সাসুম ভাই।
৫৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:২৫
রায়হান চৌঃ বলেছেন: "সংস্কৃতি ও সভ্যতা বহতা নদীর মত" বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন একটু বিস্তারিত বলবেন কি ?
বিশ্বে সবচাইতে পুরোতন মূল ধারার সংস্কৃতি টা ও হাজার বছর ধরে এখনো টিকিয়ে রেখেছে চিন, আবার মিসর ও কম যায় না।
আর আমাদের কুলাংগার / কুজন্মা রা দালালী করতে গিয়ে, সংস্কৃিতে এখান থেকে ও খান থেকে এনে মিক্স করতে করতে, এখন নিজেদের সংস্কৃতির যে মডেল দাঁড় করিয়েছে, এখন এটা না বাংলাদেশী, না ভারতীয়, না পাকিস্থানী, না পশ্চিমা, না হিন্দুয়ানা, না খৃষ্ঠিয়, না ইসলামি .... কি এটা ?
দেশ প্রেম, জাতী, গোষ্টি গত শিক্ষা না থাকার কারণে ৫০ বছরের স্বাধীন দেশের মানুষ নিজেদের একটা মডেল এখন পর্যন্ত
দাঁড় করাতে পারিনাই। এখন পর্যন্ত পরিচয় দিতে পারিনাই বাংলাদেশী না বাঙালি ? আমাদের আবার বানর নৃত্য।
আমি বলি কি ভাই, ধার করা সংস্কৃিতির ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে, "বাংলাদেশী এবং বাঙালি" এ দুটো শব্দ কে প্রথমে বুঝতে / জানতে চেষ্টা কুরুন, আইডেন্টিটি নিয়ে আসুন, তার পর বলুন আমরা কি, বাংলাদেশী না কি বাঙালি ?
আমি নিজেকে বাংলাদেশী বলে পরিচয় দিতেই পছন্দ করি।
ভালো থাকবেন ভাই.....
১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১:২৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: কিছু বাক্যে আপনার ভাষার ব্যবহার আমার কাছে অরুচীকর লেগেছে। তাই কোন আলোচনায় যাচ্ছি না।
নিমো ভাই ৬২ নাম্বার মন্তব্যে আপনার জবাব দিয়েছেন।
৬০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৫
আখেনাটেন বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য নিয়ে কিংবা গান কেন জাতীয় সংগীত? এ নিয়ে সেই তখন থেকেই বিরোধিতা করেছেন তাঁরা। এখন নজরুলকে মাথায় নিয়ে নাচলেও ইনারা একসময় তাঁকেও মুরতাদ, নাস্তিক, মুনাফিক বলে আন্দোলন-ফান্দোলন করেছে। ইবনে বতুতা, ইবনে রুশদ প্রমুখদের ক্রিয়াকর্মকে সে সেময় ইনাদের কারণে নানান চড়াই উতরাই পার হতে হলেও এখন এনারা তাঁদের মাথায় করে ইসলামিক নামের কারণে। কট্টরপন্থী চিন্তাধারার কাজই হচ্ছে যে কোনো পরিবর্তনকে সহজে গ্রহণ না করা। আপনাকে কোনো কাজ করতে যদি কেউ বাধ্য না করে তাহলে শুধু শুধু হুজ্জতি করার কারণ কী। এতে যে সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি হয়, সৃজনশীলতার বিকাশের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, ইনাদের মাথায় তা ঢুকবে না।
উপমহাদেশে এখন ধর্ম গেল, ধর্ম গেল বলে মাতম চলছে। দেশে দেশে শুধু জাতটা ভিন্ন।
অথচ একটি সহনশীল মানবিক মন একটি দেশ ও জাতিকে নতুন সম্ভাবনার দিশা দেখাতে পারে। মানুষে মানুষে বিভেদ কমাতে পারে। এ জিনিস ইনাদের মাথায় ঢুকানোও মুশকিল।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩০
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর কথাগুলোর জন্য। মানুষের বোধ বুদ্ধির পরিচয় মিলে তাঁর ভাবনার প্রকাশেই।
আপনার এই কথাটি আবারও বলি, "একটি সহনশীল মানবিক মন একটি দেশ ও জাতিকে নতুন সম্ভাবনার দিশা দেখাতে পারে। মানুষে মানুষে বিভেদ কমাতে পারে। "
৬১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬
নিমো বলেছেন: শাহিন-৯৯ বলেছেন:কালকে আমার অফিস আছে!! তাই তর্ক করলাম না!!!
কি রিপ্লাই রে বাবা!!!
যাক আমার মন্তব্যের কারণে হলেও বাবাকে ডেকেছেন। জগতের সকল বাবা যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, ব্যস্ত থাকুন। বিরাট ভুল হয়ে গেছে জনাব। আপনার মত সচেতন দেশপ্রেমিক ধর্মের ধ্বজাধারী হয়ে অসার বক্তব্যের পেছনে সময় দিয়ে তর্ক করা উচিত ছিল (যদিও উপরে আলোচনা শব্দটি লিখেছি, উর্দুতে লিখলে বোধহয় আপনার পড়তে সুবিধা হত )
৬২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩৯
নিমো বলেছেন: রায়হান চৌঃ বলেছেন: "বাংলাদেশী এবং বাঙালি" এ দুটো শব্দ কে প্রথমে বুঝতে / জানতে চেষ্টা কুরুন, আইডেন্টিটি নিয়ে আসুন, তার পর বলুন আমরা কি, বাংলাদেশী না কি বাঙালি ?
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬ ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে যে, “বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালী এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন।”
২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার প্রতিটি মন্তব্যে সহমত পোষণ করি। অশেষ কৃতজ্ঞতা নিমো ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
৬৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৪৪
নিমো বলেছেন: জিকোব্লগ বলেছেন:যেমন বিদেশে অনেক উৎসবেই সেখানে বসবাসরত মুসলিম
নাগরিকরা যান না। কিন্তু ঐ উৎসবগুলো সেখানকার বেশিরভাগ নাগরিকের সমর্থন থাকায়, মুসলিম
নাগরিকরা সেই উৎসবগুলোর বিরোধীতাও করছেন না।
তাই নাকি! ডিপোর্টের আশংকা না থাকলে, ব্লগের ছাগুর মাতম ওখানেও দেখা যাবে।
৬৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৪
রানার ব্লগ বলেছেন: যাক এই পোষ্টের উছিলায় ল্যাঞ্জা ওয়ালাদের ল্যাঞ্জা বের হয়ে তিড়িং বিড়িং নৃত্য দৃশ্য দেখা যাচ্ছে । লেখক কে অনুরোধ করবো আরো কিছু কাঠাল পাতা ছড়িয়ে দিন !!!
ল্যাঞ্জা ইজ এ বিগ মিস্ট্রি !!! য়ু কান্ট হাইড ইট !!!!
২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: রানার ভাই, ওভাবে আর না বলি। বড় কথা হলো মানুষগুলো তো চিনতে পারলাম। তাদের চিন্তা চেতনার, রুচিবোধের প্রকাশ পায় মন্তব্যেই।
৬৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
রানার ব্লগ বলেছেন: আখেনাটেন@ আপনি যাহা বলিয়াছেন তাহা পুনঃবার তর্জমা করেন । ল্যাঞ্জা ওয়ালাদের মাথায় ছোট্ট দুইটা শিং থাকে ঘিলু না !!!
২৮ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪২
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আখেনাটেন ভাইয়ের এই কথাটিও যদি তাদের মাথায় ধরে, তাহলে পুনঃবার তর্জমা না করলেও হবে, একটি সহনশীল মানবিক মন একটি দেশ ও জাতিকে নতুন সম্ভাবনার দিশা দেখাতে পারে। মানুষে মানুষে বিভেদ কমাতে পারে।
৬৬| ১২ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:১৩
বিজন রয় বলেছেন: আমি এখানে মন্তব্য করিনি কেন জানিনা।
করা উচিৎ ছিল।
আপনাকে ধন্যবাদ এই বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দেওয়ার জন্য।
চমৎকার আলোচনা হয়েছে।
আপনি ভাল আছেন তো প্রিয় ব্লগার?
১২ ই মে, ২০২২ রাত ১০:০৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনি পড়েছেন জেনেই উদীপ্ত হলাম প্রিয় বিজন ভাই। আর আপনার মন্তব্য পাওয়াটা আমার সৌভাগ্য।
জ্বি, আমি ভাল আছি। আমরা সবাই ভাল থাকার চেষ্টা করি প্রতি নিয়ত।
আপনি ভাল থাকবেন, শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩২
শাহ আজিজ বলেছেন: ভেরি গুড মাই সান ।