নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। প্রবলভাবে আশাবাদী। স্বপ্ন দেখি শান্তিময় সমৃদ্ধ পৃথিবীর।

জহিরুল ইসলাম সেতু

আলোর দিশারী

জহিরুল ইসলাম সেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুলাই অভ্যুত্থানের ফলে গঠিত সরকারের কাছে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমীকরণ -

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫


জুলাই অভ্যুত্থানের ফলে সরকার পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন অরাজনৈতিক সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল -
১. সকল প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধ হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, মহল্লায় কঠোর নজরদারী করে সরকারকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে। জনগণেরও স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন থাকতো।
২. দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা বিচারের আওতায় আসবে। সরকারের কঠোর অবস্থানের ফলে সকল ক্ষেত্রে আংশিক নয় সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতি বন্ধ হবে। একই সাথে চিহ্নিত দূর্নীতবাজ কর্মকর্তাদের বিদায় দিয়ে বড়সংখ্যক শিক্ষিত মেধাবী তরুণদের নিয়োগ দিয়ে কাজের গতি দ্রুততর করণ।
৩. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ দিনে রাতে নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে।
৪. পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধের ফলে সেখানে ভাড়া কমে আসবে। আগের চেয়ে অর্ধেক ভাড়ায় পণ্য ও মানুষের চলাচল সম্ভব হবে।
৫. দ্রব্যমূল্য যথেষ্ট পরিমাণ হ্রাস পাবে। মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটা করতে পারবে।
৬. কৃষিখাতে প্রণোদনা বাড়বে, কৃষক তাঁর উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে। তাঁদের জীবনব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
৭. দেশের সকল নাগরিক ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। সংখ্যা লঘু বা সংখ্যা গুরুর নামে কোনো প্রকার বৈষম্য থাকবে না।
৮. শিক্ষাক্ষেত্রে সরকার অগ্রাধিকার দিবেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও দেশোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। ফলে অশিক্ষা-কুশিক্ষা দূর হবে। নতুন প্রজন্ম আধুনিক (বিজ্ঞানমনষ্ক ও কারিগরী) শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। শিক্ষায় ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
৯. ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্পকারখানায় সকল প্রকার সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছতা আনয়ন করবেন। মূদ্রা পাচার রোধে কঠোর নজরদারী আরোপ করবেন।
১০. মেধাভিত্তিক বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, স্বল্পঋণের উদ্যোক্তা তৈরি তথা স্বকর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিবেন।
১১. অচল ও ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প কারখানা পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিবেন, তরুণ বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য অতি দ্রুত উদ্যোগ নিবেন।
১২. বিগত সরকারসমূহের দূর্নীতির নিরপেক্ষ তদন্ত এবং পাচারকৃত অর্থে দেশে ফেরানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
১৩. জুলাই আন্দোলনে নির্যাতকদের বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও পূনর্বাসন, নিহতদের পরিবারে আর্থিক সহযোগিতা এবং যথাযোগ্য মর্যাদা দান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করবেন।
১৪. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন অ বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন।
১৫. বিচারবিভাগ পৃথকীকরণ তথা স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, পৃথক সাচিবিক কার্যালয় স্থাপণের উদ্যোগ গ্রহণ, মামলার জট কমানোর জন্য বিচার বিভাগকে প্রয়োজনীয় সয়াহতা প্রদান করবেন।
১৬. স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন এবং যৌক্তিক সময়ে সংসদ ও অন্যান্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করণ।
১৭. ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সংবিধানের সময়োপযোগী সংস্করণের উদ্যোগ গ্রহণ করে তা পাশের জন্য গণভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা।
১৮. প্রশিক্ষণ দিয়ে শ্রমিক তৈরী, দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানে সহযোগিতা প্রদান তথা বৈদেশিক মূদ্রা আয়ের উৎস বৃদ্ধিকরণ। প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে সকল দেশে দূতাবাসগুলোকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান।
জনগণের প্রত্যাশিত এমন আরো বিষয়ে অতি দ্রুততার সাথে কাজকর্ম সম্পাদন ---- উত্তরণের ব্যাপারে নেকে বলেন ভঙ্গুর অর্থনীতি ও অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশে সরকারকে আরো সময় দিতে হবে। যেটুকু করার ছিল গত সাড়ে চার মাসে তা করা এবং বাস্তবায়নে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা কঠিন ছিলা না।

অন্তর্বর্তীকালীন এই অরাজনৈতিক সরকার যদি অনভিজ্ঞ কতিপয় ছাত্রনেতাদের সন্তুষ্টির পেছনে না ছুটে দেশের জনগণের কথা বিবেচনা করতেন, দেশের মানুষ এই সরকারকেই আরো অন্তত দশ বছর চাইতেন। এক মাসের মধ্যে উদ্যোগ নিয়ে মাত্র তিন বছরের মধ্যেই সরকার এসব বাস্তবায়ন করতে পারতেন এবং তুমুল জনপ্রিয়তা নিয়ে বিদায় নিতে পারতেন। পরবর্তি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার জনপ্রিয়তা রক্ষা বা চাপে পড়ে হলেও এই কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেন। এই সরকারের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকতো।
অথচ তারা কী করছেন! প্রাপ্তিটা কী!!!!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন ১৮ টা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের ফলে গঠিত সরকার দরকারী কিছুই করছে না। তারা আওয়ামীলীগ নিধনে নেমেছে। শেখ মুজিবের নাম মুছে দিতে তারা ব্যস্ত। পলিথিন নিষিদ্ধ করা নিয়ে তারা ব্যস্ত।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:১৫

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর চাই। আওয়ামী লীগ নিধনযোগ্য দল না। রাজপথে এদের জন্ম, রাজপথে লড়াই করে টিকে থাকবে। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী মনোভাব, ঔদ্ধত্য, স্বজনপ্রীতি, এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের দূর্নীতিপরায়নতা আওয়ামী লীগকে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। এর মাসুল তো তাদের দিতেই হবে।
ড. ইউনুস বিজ্ঞ মানুষ, গ্রামীণ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে পারলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় তার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উপদেষ্টা পরিষদ ইউনুস নিয়োগ দেন নাই। ইউনুসের হাতে অতটা ক্ষমতাও নেই।
উপদেষ্টা পরিষদ নিয়োগ দিছে জামাত-হিজবুত হাইকমান্ড।
ইউনুসে পছন্দের কয়েকজন উপদেষ্টা দয়া করে নেয়া হলেও সবচেয়ে ক্ষমতাবান ৩ কিশোর উপদেষ্টাকে উনি চিনতোও না।
একজন সিনিয়র সম্মানিত ব্রীগেডিয়ার উপদেষ্টাকে তুচ্ছ কারনে অসম্মানের সাথে সরিয়ে দিয়েছিল এই হাই কমান্ড।
এখন দেশে অরাজগতা ইচ্ছে করেই করা হচ্ছে।
এই জঙ্গি সরকার নিজেরাই চেষ্টা করে যাতে প্রতিবেশী দেশের সাথে গুতোগুতি করা আর চেষ্টা করে যাতে দেশে দাঙ্গা হানাহানি অশিক্ষা বেকারত্ব ও দারিদ্রতা অব্যাহত থাকে।
দেশে পর্যাপ্ত অভাব হানাহানি ও দারিদ্রতা না থাকলে তো দেশে মৌলবাদের চাষাবাদ হয় না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:২৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার সাথে আংশিক সহমত পোষণ করছি হাসান কালবৈশাখী ভাই। জামাত-হিজবুতিদের অংশগ্রহণ থাকলেও বেশ কিছু এনজিও ব্যক্তিত্ব ড. ইউনুসের পছন্দেই নিয়োগপ্রাপ্ত। এরাই অধিকতর ব্যার্থতার পরিচয় দিচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জন্য শ্রদ্ধাভাজন ব্রিগেডিয়ার সাহেব ছিলেন পারফেক্ট। অপরিণত বয়স্ক কতিপয়ের আবেগকে মূল্য দিতে গিয়ে তাঁকে স্থানচ্যুত করে প্রথম ভুলটা করেছেন ডক্টর সাহেব।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮

নতুন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উপদেষ্টা পরিষদ ইউনুস নিয়োগ দেন নাই। ইউনুসের হাতে অতটা ক্ষমতাও নেই।
উপদেষ্টা পরিষদ নিয়োগ দিছে জামাত-হিজবুত হাইকমান্ড।
ইউনুসে পছন্দের কয়েকজন উপদেষ্টা দয়া করে নেয়া হলেও সবচেয়ে ক্ষমতাবান ৩ কিশোর উপদেষ্টাকে উনি চিনতোও না।


B-)) হাকা ভাই ইজ ব্যাক। হাসু আপা পালিয়ে গেছে ;)

এখন দেশে অরাজগতা ইচ্ছে করেই করা হচ্ছে। অবশ্যই ইচ্ছে করেই আয়ামীলীগের সমর্থকরা করছে।

আপনি কোন মুখে আয়ামীসন্ত্রাসীদের পক্ষে কথা বলেন সেটাই এনটেনাতে ধরে না ;)

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। এসব দাবী দাওয়া অর্থহীন। সংস্কার করে প্রয়োজনীয় নির্বাচন দিয়ে সরে পড়লে মঙ্গল। আর ১;/১১ সরকার দেখতে চাই না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩৫

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: নির্বাচিতরাই দীর্ঘদিন রাষ্ট্র চালিয়েছে। কে কি অবদান রেখেছে, ইতিহাসে সবই আছে। ভবিষতেও থাকবে। বর্তমান সরকার যদি এসব দাবি-দাওয়াগুলো অনুধাবন করতে পারতো, জনগণ তাদেরই আরো দশ বছর অনুনয় করে রাখতে চাইতো। যেহেতু তা পারছে না, তাই যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিতদের হাতে দেশের দায়িত্ব দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আমার অভিজ্ঞতায় ১/১১এর সরকার তুলমূলকভাবে যথেষ্ট ভালো ছিল। এখনকার মতো ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি আর দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছিল না মোটেই। আমরা সাধারণ মানুষ খুব শান্তিতে ছিলাম। অশান্তিতে ছিল দুর্নীতিবাজ রাজনীতিক আর অসাধু ব্যবসায়ীরা।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সরকারের ১০০% উপদেষ্টা যদি ছাত্রদের থেকে হত তাহলে বেশী কিছু সংস্কার হত। আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে মুলত ছাত্ররা। সাথে জনতা ছিল, পেশাজীবীরা ছিল এবং রাজনৈতিক দলের কর্মীরা ছিল। কিন্তু মূল শক্তি ছিল ছাত্রদের শক্তি। ছাত্ররা আওয়ামীলীগকে হটালেও এখন দেশ চালাচ্ছে আর্মি, আমলা আর উপদেষ্টারা। যার কারণে আমরা যে সংস্কার আশা করেছিলাম সেটা পাওয়া যাবে না। যাই হোক, আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি শেখ হাসিনা চলে গেছে এটাই জাতির জন্য বড় প্রাপ্তি। সব কিছু একবারে আশা করা যাবে না। সামনে যারা সরকার গঠন করবে তারা বাড়াবাড়ি করলে বিপদে পড়বে। আগের স্টাইলে রাজনীতি হয়তো সামনে কোন দলই করতে পারবে না। ঝুকি হল সামনে বিএনপি এলে এরা টাকা খেয়ে আওয়ামীলীগের লোকদের পালবে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৫৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ১০০% উপদেষ্টা যদি ছাত্রদের থেকে নিলে ড. ইউনুসকে হয়তো নিজের মাথার চুল ছিড়তে হতো। বর্তমানে রাজপথের ছাত্রনেতাদের আচরণ কি তার প্রমাণ রাখছে না? এরাই তো হতো।
একটা পাথর ভাঙতে যদি হাতুরীর দশটা ঘা লাগে, বলা যাবে না শুধু শেষ ঘাতেই পাথরটা ভেঙেছে। বাকি নয়টা ঘা কিন্তু পাথর ভাঙ্গার প্রক্রিয়ায় ছিল। অস্বিকার করবো না, জুলাইয়ের আন্দোলনটা একটু ভিন্ন মাত্রায় ছিল। দমন-পীড়নও ছিলে বেশি। দীর্ঘদিনের যন্ত্রণায় মানুষ চরম বিরক্ত হয়ে উঠেছিল।
২৪এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের আচরণও অনেক উদ্ধত হয়ে উঠেছিল। শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের স্বার্থ ভারতের কাছে ষোলআনা বিকোতে বাকি রাখতেন না। সেজন্য আপনার সাথে আমিও মনে করি শেখ হাসিনার বিদায় জাতির জন্য বড় প্রাপ্তি।
রাজনৈতিক চরিত্রে বিএনপি আর আওয়ামী লীগ একই মূদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে যদি কিছুটা পালটায় তা হবে জাতির জন্য মঙ্গলজনক। তাদের জন্যও বটে।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর @আমনে খালি বিম্পির দোষ দেখেন! অথচ উপদেষ্টা হওয়ার পর মাহফুজ আলমের প্রভাবে তার তাত্ত্বিক গুরু আজম এবং আবুল কাশেম ফজলুল হক পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। সে খবর রাখেন? নাহিদ উপদেষ্টা হওয়ার পর প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার সঠিক ভাবে নিউজ প্রচার করতে পারছে না। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার পর গার্মেন্টসে গেঞ্জাম শুরু হয় কিন্তু সে সামাল দিতে পারে না। এর সাইড ইফেক্ট হিসাবে সামনে ৪০ হাজার শ্রমিক ছাটাই হবে। রাজনীতিবিদদের কাজ কখনো ছাত্রদের দ্বারা হবে না। আর ছাত্ররা শেখ হাসিনা কে সরানোর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও বিম্পি যদি ২০২৪ সালে নির্বাচনে যেত তবে এসব পতন কিছুতেই হয় না। আমলাদের করাপশন নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে হাসিনার সাথে তাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। মূল খেলোয়াড় সেনাবাহিনী। আর সেনাবাহিনীকে চালায়......

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে মুলত ছাত্ররা।

সম্পূর্ণ ভুল কথা।
এর জন্য সম্পূর্ণ এককভাবে দায়ী সেনাপ্রধানের মীরজাফোরি।
৪ ও ৫ই আগষ্ট কারফিউ ছিল। প্রধান সড়ক গুলোতে সেনা ও পুলিশ টহল হয়েছিল রাস্তায় তেমন ছাত্ররা ছিল না।
নুরুল হক নুর এবং একজন সমননয়ক বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য রেখে বলেছিলেন ১৭ তারিখের পর আন্দোলন ছাত্রদের হাতে ছিল না।
তাহলে কার হাতে ছিল?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:০৪

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: হত্যাকাণ্ড কি শেখ হাসিনা কম করেছে? সেনাপ্রধান জনগণের পালস বুঝতে পেরেছেন। তাঁকে সঠিক পথনির্দেশনা দিয়েছেন কয়েকজন সাবেক সেনাপ্রধান ও সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাগণ। তিনি সেই নির্দেশনা অনুসরণ করে জাতির জন্য মঙ্গল করেছেন। দেশের জনগণ তাঁকে শ্রদ্ধার আসনে রাখবে। একমাত্র দুর্নীতিবাজ শেখ হাসিনা এবং তার দোসররাই এই সেনাপ্রধানকে মীরজাফর আখ্যায়িত করতে পারে, অন্য কেউ না।
তবে এটা সত্য, রক্তের বন্যা বয়ে গেলেও এবারের আন্দোলন রোখার ক্ষমতা বিধাতা ছাড়া কেউ পারতো না।

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৮

আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের সাধারণ মানুষের দেখে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। দেশের জন্য শুভকামনা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:০৬

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা সাজিদ ভাই। দেখার পাশাপাশি অন্তত কিছুটা বলেন, আপনার বিবেক যা ভাবে।

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২১

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: স্বাগতম সব সময় প্রিয় রাজীব নুর ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.