![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শুভ (ছদ্ম নাম) বাড়ী নোয়াখালীতে ঢাকা আসছি আজ থেকে ০৩ মাস আগে। আগে নোয়াখালীতে ছিলাম। যাই হোক শুরু করা যাক । আমার বাবা একজন সরকারী চাকুরীজীবি ছিলেন। ২ ভাই ও ৩ বোন। মোটামুটি আমারদের বাড়ীতে তথা আমাদের এলাকায় একটা নাম ঢাক আছে। ছোট বেলা থেকে বাবা খুব কষ্ট করে আমাদের লেখা পড়া করিয়েছেন। খুব অভাবরে সংসার ছিল। আমি যখন ক্ল্যাস ০৮ এ ভর্তি হই তখন তখন ২ বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। বোনদের ও তেমন ভালো যায় তখা উচ্চ ঘরে বিয়ে দিতে পারে নাই। মোটা মুটি মধ্যবিত্ত ঘরে বিয়ে হয়িছিল। এর মধ্যে আবার বড় ভাই বিয়ে করে। তখনও পুরো সংসার চলতেছে আমার বাবার চাকুরীর সামান্য টাকা দিয়ে। আব্বু তখন ৭০০০-৮০০০ টাকার মত বেতন পেত। এটা ২০০১ সালের কথা বলছি। তো আমি তখন ক্ল্যাস ০৮ এ আমাদের বাড়ীর পাশে একটা স্কুলে ভর্তি হই। র্ভতি হওয়ার ০৩ মাসের মাথায় আমাদের ক্ল্যাসের একটা মেয়ে নাম শারমিন সে আমাকে প্রেমের অফার করছিল। কিন্তু আমি তখন রাজি ছিলাম না কারন তারা ছিল অনেক উচ্চ বিত্ত আমি ঐই মেয়েকে বলতাম দেখ তোমার পরিবার কোন দিন ও আমাকে মেনে নিতে পারবেনা, সে বলত আরে সেটা আমি ম্যানেজ করে নিব। যাই হোক এক পর্যায়ে তার সাথে সম্পর্ক হলো। আমরা প্রায় টানা ২ বৎসর প্রেম করি। এটা ছিল আমার জীবনের প্রথম প্রেম। এক পর্যায়ে আমাদের এই প্রেমটা মোটামুটি সবাই জেনেগিয়েছিল। যাই হোক ১০ম শ্রেণীতে উঠার পর অর্থ্যাৎ আমার নির্বাচনি পরীক্ষা শুরু হবার এক সপ্তাহ আগে সে আমাকে একদিন বলে যে, আজ থেকে তুমি আর আমি শুধু বন্ধু কারন তোমার আর আমার সম্পর্ক আমাদের কেউ মেনে নিতে পারবেনা। তখন তো আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল, যার জন্য আমি বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই নাই আমি ব্যবসায় শিক্ষায় ভর্তি হই এক সাথে ক্ল্যাস করব বলে, যার জন্য স্কুল মিস করতাম, যে আমাকে একদিন না দেখলে কান্নাকাটি করত আর আজ সেই মেয়েটি আমাকে এই কথা বলছে। তাকে আমি সেদিন একটি কথাও বলি নাই কারন তখন আমি বুঝলাম ভালোবাসা আমার জন্য আসেনাই। আমার বন্ধুরা পরে ঐই মেয়েকে জিজ্ঞাসা করল কিরে শারমিন তুই কিভাবে জিতুর সাথে এই রকম প্রতারনা করতে পারলি। ঐই মেয়েটা কিছুই বলে নাই। যাই হোক ঘটনার ১০/১২ দিন পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল সেও পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আর আমিও পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এরপর দুজনেরই এসএসসি পরীক্ষা শেষ। সে ভর্তি হইল এক কলেজে আর আমি ভর্তি হইলাম আরেক কলেজে। তার সাথে আর কোন যোগাযোগ হইল না। এরপর আস্তে আস্তে এইচ, এস, সি শেষ করলাম। এটার মধ্যে বাবার আবার চাকুরীর মেয়াদ শেষ হয়ে গেল। সংসারে পুরোটা চলছে বাবার পেনশনের টাকা দিয়ে। আমি প্রাইভেট পরতাম না শুধু টাকার জন্য। যাই হোক এইচ,এস,সি পাশ করে অনার্সে ভর্তি হইলাম ২০০৬ সালে । অনার্স যখন ৩য় বর্ষে উটি তখন আমার আমার এক বন্ধু আমাকে আমাদের কলেজের একটা মেয়ের নাম্বার দেয়। আমি ঐই মেয়েকে ফোন দিই কথা বলি ৩ দিনের মাথায় তার সাথে দেখা করি। মেয়েটির নাম হলো রাবেয়া (ছদ্ন নাম) প্রথম দেখাতেই সে আমাকে পছন্দ করে আমি ও তাকে পছন্দ করি। দেখা করার পর বিকালে মেয়েটি আমাকে ফোন দেই ফোনে অনেক কথা হয়, কথা বলার একপর্যায়ে আমি তাকে অফার দিই কিন্তু সে বলে তার পরিবারের অমতে কিছুই করতে পারবেনা। তো আমি ভাবলাম যেহেতু আমার অনার্স শেষ করতে বেশীদিন লাগবেনা। অনার্স শেষ করে একটা চাকুরী তো পাব তারপর তাকে বিয়ে করব। আর যেহেতু সে মাএ ১ম বর্ষে তাই তাই ভাবলাম যথেষ্ট সময় পাব। যাই আবার নতুন করে প্রেম শুরু করলাম। কিন্তু আমি এমন এক অভাগা টাকা পয়সা না থাকার কারনে আমার বন্ধুরা আমাকে নানান ধরনের কথা বলত। অনেক টিউশনি খুজলাম সেটা্ও পেলাম না। নিজের পকেট খরচও যোগাড় করতে পারছি না। তাই বিআরটিসি বাসে নোয়াখালী - কক্সবাজার রুটে সুভারভাইসার হিসাবে কয়কেদিন চাকুরী করলাম কিন্তু বাড়ীতে কাউকে কিছু বলতাম না শুধু আমার বিপাসা শুরু জানত। ১ সপ্তাহ চাকুরী করে প্রায় ৩৫০০ টাকা জমালাম তাতে দিয়ে মোটামুটি চলে কিন্তু মান সম্মানের ভয়ে তা আর করি নাই। এরপর এলাকায় করলাম চাঁদাবাজি, ধান্দামি ইত্যাদি নানান কাজ করতে থাকি। এই ভাবে মোটামুটি কয়েক বছর চলে। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার কোন মতে শেষ করালাম। এর মধ্যে আমার রাবেয়া (ছদ্ম নাম) আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে কারন সে এক বাপের এক মেয়ে। আর তাছাড়া সে সম্পর্কের শুরুতে বলল যে, সে তার পরিবারের অমতে কিছুই করতে পারবেনা। আমাকে বলল ভালো একটা চাকুরী জোগাড় করে তার বাড়ীতে প্রস্তাব পাঠাতে। অনার্স শেষ করার পর নেমে পড়লাম জীবন যুদ্ধে কিন্ত কোথা্ও চাকুরীর দেখা পেলাম না। এর মধ্যে মাষ্টার্স ভর্তি হইলাম, ভর্তি হওয়ার কয়েকদিন পর বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দুনিয়া থেকে চলে গলে। গোটা সংসারের দায়িত্ব চলে আসে আমার কাছে। যেহেতু বড় ভাই তেমন কিছুই করেনা আর বিয়ে করে সে সংসার নিজের সংসারই চলাতে পারেনা আমাদের কি চালাবে। আব্বা মারা যাবার পর পেনশর আম্মুর নামে হয়। সেই পেনশনের সামান্য টাকা দিয়ে এখনও চলতেছে আমাদের সংসার। আমার বাবা খুব স্বপ্ন দেখত আমাকে নিয়ে পড়াশুনা শেষ করে মানুষের মত মানুষ হয়ে বাবা মা ভাই বোন সবার স্বপ্ন পূরন করব। আার পরিবারের তেমন কেউ এতদুর পড়াশুনা করে নাই। আমি একমাএ ব্যক্তি যে এতদুর পড়াশুনা করেছি। এর মধ্যে জমানো টাকা ও নেই যা দিয়ে কোন ব্যবসা বানিজ্য শুরু করব কিংবা কোন সরকারী চাকুরীতে ডুকব আর তেমন কোন জ্যাক নাই যা দিয়ে কোন ভালো প্রাইভট ফার্মে ঢুকব। বিগত কয়েক মাস মাষ্টার্ষ শেষ করলাম। এর মধ্যে আমার রাবেয়া (ছদ্ম নাম) তার বিয়ের জন্য নানান জায়গা থেকে আসতেছে আর আমি বিয়ে ভাংতেছি। কিন্ত একপর্যায়ে আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় একটা চাকুরী যে ভাবে হোক জোগাড় করতে হবে নেজে চলার জন্য হোক আর বিয়ে করার জন্য হোক। অনার্স থেকে মাষ্টার্স পর্যন্ত প্রায় ১০০-১৫০ জায়গায় আবেদন করেছি। কিন্ত চাকুরী পেলাম না। এখন ও আম্মুর থেকে ৫০ টা ১০০ টা নিয়ে চলতে হচ্ছে আবার মাঝে মাঝে আমার প্রেমিকা তার প্রাইভেটের টাকা থেকে আমাকে ২০০ -৩০০ টাকা দিত। আমি আমার রাবেয়াকে কিছুতেই হারাতে পারবোনা। কারন আমার সব কিছু জেনেও সে আমাকে ভালোবাসে। আমার একার জীবনে সেই হচ্ছে আমার একমাএ সঙ্গী। একদিন আমাকে আমার প্রেমিকা প্রচন্ড বকা দেয় কারন আমি কিছু কোন কিছুই করতে পারছিনা। একদিন ভাবলাম যে আত্নহত্যা করব কিন্ত সেদিন আবার চিন্তা করলাম যে না আত্নহত্যা করলে সব শেষ না আমি আত্নহত্যা করলে আমার মায়ের কি হবে পরে আর করি নাই। তার পরে একজন খুব সুপারশি করলে ওনি আমাকে আবুল খায়ের গ্রুফ এ একটা সিভি দিতে বলল, সিভি দিলাম পরে মার্কেটং এ একটা চাকুরী পেলাম। পোষ্টং ঢাকাতে দিল। বাড়ী থেকে ৫০০০ টাকা ধার করে ঢাকা চলে আসলাম। রাবয়ো ওর পরিবারের লোকজনরে কাছে আমার কথা বলল। পরে তার জিঞ্জাস করল যে ছেলে কি করে, সে বলে যে তার আবুল খায়ের গ্রুফে চাকুরী হয়েছে। তো তার মা বলল প্রস্তাব পাঠাতে। আমি ও ভাবলাম ৪/৫ মাস চাকুরী করে তার পরে পাঠাবো। কিন্তু ২ মাস চাকুরীর করার পর বেতন কম বিধায় আর বস টা খারাপ আচরন করেছে বিধায় চাকুরী টা ছেলে দিলাম। এখন আবার ও চাকুরী খুজতেছি। চাকুরী পাব চাকুরীর জন্য দুঃখ করিনা কিন্তু আমার ১-২ মাসের ভিতর চাকুরী প্রয়োজন। যদি না হয় তবে আমি আমার রাবেয়াকে হারাবো। এখন কেউ কি বলতে পারেন আমাদের ভবিষ্যৎ কি? কারন সে আমাকে ডিসেম্বর পর্য়ন্ত সময় দিয়েছে এর ভিতর চাকুরী জোগাড় না করতে পারলে সে আমাকে ছেলে চলে যাবে। so amar life a hoya galo to be continued.................
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
জিত১২বেস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালোই লিখেছেন ।
ব্লগে স্বাগতম