নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুদ্দাকির (চিন্তাশীল/যে মনে রেখেছে)

মুদ্‌দাকির

"আমি বামের ডানে, আবার ডানেরও ডানে, আমি ডানের এত ডানে যে বাম আমার থেকে দূরে না! এজন্যই জীবন চক্রে আমি মধ্যবর্তি!" "just because i appreciate you, doesn't mean i am a great fan of yours" "স্বিবগাতাল্লাহি ওয়ামান আহসানু মিনাল্লাহি স্বিবগাতান ওয়া নাহনু লা--হু-- আ-বিদুওন " "যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।" "কাদিয়ানী মিথ্যাবাদিরা আমার প্রকাশ্য শত্রু !!!"

মুদ্‌দাকির › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৌলবাদ? সাম্যবাদ? নাকি ভ্রান্তিবাদ!!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৭

বিসমল্লাহির রাহমানির রাহিম





মৌলবাদ? সাম্যবাদ? নাকি ভ্রান্তিবাদ!!





অনেক সময়েই আমার মনে এই চিন্তাটা কাজ করে যে, আল কুরয়ানে ইহুদিদের কথা এতবার এত ভাবে, এত বেশীবার কেন বলা হল? ওরা বিচ্যুত বা ঘৃণিত এক আয়াতেই বলেদেয়া যেত! তা না করে, যায়গায় যায়গায় মূসা আঃ এর স্ট্রাগালের কাহিনী বর্ননা করা হয়েছে। এরা অপকর্ম করে, হেদায়াত পায়, অত্যাচারিত হয়, মুক্তিপায়, হেদায়াত পায়, আবার বিচ্যুত হয়ে যায়, আবার হেদায়াত পায়, অবাধ্য হয়, আশির্বাদ পায়, নাখোশ হয়, নাশাবুরি করে আবার অভিশপ্ত হয় ......... মানে এই রকম আপস এন্ড ডাউনসে ভরা তাদের সব কাহিনী। কিন্তু আমি চিন্তা করতাম মুসলমানদের এত ডিটেইল জেনে কি দরকার, আমি ভাবি হাদিসে আসতে পারতো বিষয়গুলো, সরাসরি কুরয়ানেই উল্লেখ করে, এত গুরুত্ব দেয়া হল কেন?



একদিন শুয়ে শুয়ে নিজেই বুঝতে পারলাম, কেন(?)। কারন আমাদের মুসলমানদের আর ইহুদীদের অনেক মিল। হ্যাঁ, মিল থাকতেই পারে আমরা উভয়েই ইব্রাহিমী, মিল থাকাই স্বভাবিক। কিন্তু বিষয়টা ঐটা না, বিষয়টা হল আমরা উভয়েই মনে করি, আল্লাহ বেহেশত আমাদের জন্যই বানিয়েছেন। যাই করিনা কেন শেষ পর্যন্ত বেহেশতই আমাদের ঠিকানা।



একজন ইহুদী বিশ্বাস করে যে, সে জন্ম গত ভাবেই চোজেন পিপোলদের অন্তর্গত। আফটার অল, তারা বনী ইসরাইল, তারা নবী রাসূল পরিবারের লোকজন। আর একজন ইমানদার মুসলিম চিন্তা করেন, মনে যদি বিন্দু মাত্র ইমানও থাকে, দুনিয়ায় কৃত সকল আকাম কুকামের শাস্তি, দোজখে যেয়ে ভোগ করার পরে, অবশ্যই সে বেহেশত ভোগ করবে। মানে তার আল্টিমেট চিরকালীন বাসস্থান হল বেহেশত। আজকেই যদি স্ট্যাট করেন, দেখবেন আপনার পরিচিত আশেপাশের সকল মুসলমান বেহেশতে যাবার জন্যই অপেক্ষা করছেন, ইররেস্পেক্টিভ অফ হোয়াট দে আর ডুইং। কেউ দোজখে যাবেনা। কেউ সেখানে যেতে প্রস্তুত না।



যখনই আপনি, নিজের বা অন্যকারো ব্রেইন ওয়াস করতে সমর্থ হবেন, যে বেহেশতের জমিদারী আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, তখনই আপনি যা ইচ্ছাতাই করতে আর করাতে পারবেন, যেমন ইচ্ছে জীবন চালাতে পারবেন, যাকে ইচ্ছা তাকে ল্যং মারতে পারবেন। কারন আল্টিমেটলি বেহেশত তো আপনার হবেই। ইহুদীদের সাথে আমাদের যত মিল, তার সবচেয়ে বড় মিল এইটাই।



এই বার দ্বিতীয় বড় মিলটার কথা বলি। এটা হল আমাদের দলাদলি করার অভ্যাস। মিশরীয়দের(ফেরাউনের) মার খেতে খেতে, শেষ হয়ে দলা পাকিয়ে গেছে, তবুয় তাদের দলা দলির শেষ হয় নাই। গুটিবাজির শেষ হয় নাই। বরং দল থেকেও আরো উপদল তৈরি হয়েছে। ইয়াকুব(ইজরাইল) আঃ এর পুত্রগন যেই বিভেদ শুরু করেছিলেন, ইউসুফ আঃ এর কল্যানে তা কিছু কমলেও তা কখনই লুপ্ততো হয়নি, বরং মুসা আঃ আর হারূন আঃ এর হ্যাজার্ডের সীমা ছিলনা, তাদের নিয়ে। পরবর্তিতে অনেক মার খাবার পরে, তালুতকে এক সময় তারা তাদের নেতা মানতে বাধ্য হয়, তাও ডিভাইন ইঙ্গিতের কারনে, এরপর তালুতও বিচ্যুত হন। এবং দাউদ আঃ ও পরবর্তিতে সুলায়মান আঃ এর সময় এক শক্তিশালী রাজ্য পান তারা, যা সুলায়মান আঃ এর ওফাতের পরেই টুকরা হওয়া শুরু হয় এবং ক্রমেই বিলুপ্ত হয়। আর মুসলমানরাতো নবীজী সাঃ বলার পর দিন থেকেই মনে হয় ৭৩ দলে বিভক্ত হবার পরিকল্পনা করছে। এবং এই পরিকল্পনার মূল প্রিন্সিপালটাই হল, “আমি বা আমরা ঠিক, বাকিরা ভুল”



আর এই দুই মিলের মধ্যে কমন ব্যাপারটা হল, “আমিই শ্রেষ্ঠ।”



তৃতীয় মিল হল নিজদের ধর্ম গ্রন্থ থেকে দূরে সরে যাওয়া। কৈ আমরা কি আর আজ কুরয়ান মানি। ইনফ্যাক্ট আমরা কি জানি কুরয়ানে কি বলা আছে?? আগেতো জানতে হবে, তারপরে না মানার ব্যাপারটা আসে। কোথা থেকে কোন ওসামা বিন লাদেন আসে, কোথা থেকে কোন আবু বকর আল বাগদাদী আসে, কোথা থেকে কোন বাঙ্গলা ভাই আসে আর তাদের দুই একটা যৌক্তিক কথায় আমাদের ব্রেইন ওয়াশ হয়ে যায়, আর আমরা যুদ্ধ শুরু করে দেই। তাদের মুখের দুই একটা যৌক্তিক কথা কুরয়ানের আদেশ গুলার চেয়ে মহান????!!!!



আমার বাঙ্গলা ভাইদের কুদান প্যাঁদানের(বাড়াবাড়ির) সময় এমনও হয়েছে যে, নিউমার্কেটে যেতেও ভয় লাগতো, কোন জটলা দেখলেই ভয় লাগত, বই মেলায় খুবি, আইমিন খুবি ভয়ে ভয়ে যেতাম, চা স্টলটার সামনেই যেতাম না, যদি কেউ দেখে, যদি আড্ডা দিতে দাঁড়াতে হয়, এই জটলার মধ্যে!! (যদিও বই মেলা থেকে সিংহ ভাগ আমি ইসলামিক বই গুলোই কিনতাম আর বাকি সব রূপকথার বই, উপন্যাস পড়ার মত ধৈর্য আমার কখনই ছিলনা) কি যে এক আতংক আমার মধ্যে কাজ করত, বলে বুঝানো যাবে না। এই গুলা কি ইসলাম?? মানুষকে নির্বিচারে মারা আর নিজে গুরুত্বহীন ভাবে মরার প্রস্তুতি নেয়া কি ইসলাম?? পাকিস্তানে, কাবুলে, কিংবা বাগদাদের বাজারে বা রাস্তায় যখন সুইসাইড বোমা ফাটে তখন ভালো, নিরপরাধ মুসলমান কি একজনও মারা যায় না?? বা অমুসলিম যাকে হত্যা করলেন, আপনি কি নিশ্চিত যে ঐ মানুষটা পরবর্তিতে ইমানদ্বার হত না?? বা ইমানদ্বার যদি কখনই নাও হয়, আপনাকে কি আল্লাহ এদের বিচার করার ক্ষমতা দিয়েছেন???



সূরা বাকারা আয়াতঃ ২৫৬



( لاَ إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ قَد تَّبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ فَمَنْ يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِن بِاللّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَىَ لاَ انفِصَامَ لَهَا وَاللّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ )



দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।”



এখন একজন মুসলমানের নেতা যদি, ঘোষনা করে, এই এলাকার সকল খ্রীষ্টানকে মুসলমান হয়ে যেতে হবে। তাহলে উনি কি নিজেই মুসলমান কি না, তা নিয়েইতো সবার আগে কনফিউশান হওয়া উচিৎ, নাকি?



সূরা আন আম আয়াতঃ১০৭,১০৮



(وَلَوْ شَاء اللّهُ مَا أَشْرَكُواْ وَمَا جَعَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا وَمَا أَنتَ عَلَيْهِم بِوَكِيلٍ)

(وَلاَ تَسُبُّواْ الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللّهِ فَيَسُبُّواْ اللّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ كَذَلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ أُمَّةٍ عَمَلَهُمْ ثُمَّ إِلَى رَبِّهِم مَّرْجِعُهُمْ فَيُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ)



"যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তারা শেরক করত না। আমি আপনাকে তাদের সংরক্ষক করিনি এবং আপনি তাদের কার্যনির্বাহী নন।

তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনি ভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত।"



এই আয়াত গুলো যদি আপনি মানেন, আপনি কোন বিধর্মির বিশ্বাসকে গালিগালাজ করতে পারবেন না। আর যদি তা করেন, এর বিপরীতে ঐ মানুষ যখন ভুল বশত আল্লাহকে গালিগালাজ করবে, তখন আপনি এর দ্বায় এড়াতে পারবেন না। আর কামানের গোলাদিয়ে তাদের প্রতিমা গুলো ভেঙ্গে চুর চুর করাতো অনেক দূরের ব্যাপার। এই কাজ গুলো যারা করে এবং করায় তারা কি ইসলামের মধ্যে আছে??? যদি জেনে করে, তাহলে তো অপরাধ করল আর যদি না জেনে করে, তাহলে আমি বলব এটাইতো আমাদের সমস্যা, মুসলমানদের কাজ হল জানা। এই যে আমাদের দেশে বর্তমানে প্রতিমা ভাঙ্গার নামে, যে রাজনৈতিক খেলা চলছে, কুরয়ানের শিক্ষা থাকলে কি তা করানো সম্ভব হত? বা কুরয়ান যারা জানে এগুলোকি তাদের কাজ??



সূরা তওবা আয়াতঃ ৬



(وَإِنْ أَحَدٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ اسْتَجَارَكَ فَأَجِرْهُ حَتَّى يَسْمَعَ كَلاَمَ اللّهِ ثُمَّ أَبْلِغْهُ مَأْمَنَهُ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لاَّ يَعْلَمُونَ)



"আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়, অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছে দেবে। এটি এজন্যে যে এরা জ্ঞান রাখে না।"



যারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে এই কোড গুলো মানে না, তারা কি ইসলামের মধ্যে আছে??? যদি নাই থাকে, কিভাবে তাদের বিজয় হবে ? এই কোড গুলোতো মুসলমানদেরই মানার কথা, ইহুদীদের না নিশ্চই!! হামাসের রকেট হামলায়, ইহুদি আবাসিক এলাকায় কোন শিশু যদি মারা যায় বা ইহুদি কোন অযোধ্যা নারী বা পুরুষ যদি মারা যায়, তবে এটা কি ঐ ইসলাম সম্মত হবে, যে ইসলাম আপনি আর আমি চাই??? জানি রেগে যাবেন আপনি অন্তত এই কথাটা শুনে। আজ থেকে কয়েক বছর আগে বললে, আমিও ভয়ানক রেগে জেতাম। একটু একটু করে কুরয়ান পড়ে অনেক দিকে চোখ খুলেগেছে। এখন মনে হয়, রকেট দিয়ে যদি যুদ্ধ করতে হয়, নিজেদের আগে রকেট বানানো শিখতে হবে, নইলে চুপচাপ বই পড়। কিসের যুদ্ধ? কিসের হাউকাউ? আগে নিজেদের জ্ঞান গরিমায় স্ট্রং কর। তারপরে সব কিছু।



সূরা বাকারা আয়াতঃ১৯৫



(وَأَنفِقُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ وَلاَ تُلْقُواْ بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوَاْ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ)



"আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।"



সূরা নিসা আয়াতঃ২৯,৩০



( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا)

(وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ عُدْوَانًا وَظُلْمًا فَسَوْفَ نُصْلِيهِ نَارًا وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللّهِ يَسِيرًا)



"হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।আর যে কেউ সীমালঙ্ঘন কিংবা জুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে খুব শীঘ্রই আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজসাধ্য।"





সূরা নিসা আয়াতঃ ৯৩



(وَمَن يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا )



"যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।"



এই আয়াত গুলো অনুসারে সুইসাইড বম্বিং কি সম্ভব ??? বা ইসলামে বৈধ, মনে করেন?? যাদের জঙ্গি বলা হচ্ছে তারা কিন্তু পশ্চিমাদের প্ররোচনায় এই কাজ গুলোই করছে।



হা বুশ, ওবামা, ব্লেয়ার, জিপি লিভিনি, বিবি নিয়াহু এরা সন্ত্রাসী এই ব্যাপারে আমার অন্তত কোন সন্দেহ নাই। তারা মিথ্যা সব ধুঁয়া তুলে নির্বিচারে মুসলমানদের মারছে, এটাও ঠিক। কিন্তু একদল ভাই যারা বিভিন্ন কারনে ভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে, তারা, বুশ, ব্লেয়ার, আর ওবামাদের এই নিধনে পরক্ষ বা প্রত্যক্ষ সাহায্য করছে। এগুলো ভ্রান্তি, এগুলো ইসলাম না।



একটু খেয়াল করেন পশ্চিমারা কি করছে, প্রথমে কোন একটা যায়গায় তারা অত্যাচার শুরু করল, এমন অত্যাচার যে, কেউ প্রাণ, সম্পদ, প্রিয়জন বা পরিবার হারান। প্রাণ হারালে সব শেষ, সম্পদের আবারো আশা থাকে, করাও যায়, প্রিয়জন নিজের পরিবারের বাইরে হলে হয়ত কখনো মানা যায়, কিন্তু যে যুবকের প্রিয়তমা আর সন্তান মারা যায় বা যে কিশোর-কিশোরি তার মাকে বা ভাইবোনকে অন্যায় ভাবে মরতে দেখে, তাদেরকে সুইসাইড বোমার বানানো কোন ব্যাপারই না। কারন দে উইল ডু এ্যনিথিং টু গেট রেভেঞ্জ। একি ভাবে একি সময়ে পাশের গ্রামে, পাশের শহরে, পাশের দেশে তাদের এজেন্টরা ধর্মে শিক্ষা কম কিন্তু আবেগ ভালোবাসা বেশি এমন গ্রুপদের, প্রথম যায়গায় ঘটে যাওয়া ঘটনার উসিলা দিয়ে উস্কিয়ে উৎশৃঙ্খল বানাতে চেষ্টা করে, যেন ঐ নতুন যায়গাগুলাতেও আক্রমন চলনো যায়। আবার তাদের অস্ত্রের ব্যাবসা দেখেন, তারাই মুসলমানদের আক্রমন চালায় আবার তারাই মুসলমানদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে। কখন কখন আরেকজন!!!! কিন্তু এত সব ভেজালে আমরা হয়ে যাই অন্ধ। কারন জ্ঞানের আলোই তো নাই বেশির ভাগ যায়গায়।



সূরা মুজাদালাহ আয়াতঃ২১,২২



(كَتَبَ اللَّهُ لَأَغْلِبَنَّ أَنَا وَرُسُلِي إِنَّ اللَّهَ قَوِيٌّ عَزِيزٌ)

(لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءهُمْ أَوْ أَبْنَاءهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ أُوْلَئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَأَيَّدَهُم بِرُوحٍ مِّنْهُ وَيُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ أُوْلَئِكَ حِزْبُ اللَّهِ أَلَا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ)



"আল্লাহ লিখে দিয়েছেনঃ আমি এবং আমার রসূলগণ অবশ্যই বিজয়ী হব। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী।

যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।"





আপনার কি মনে হয়, যে “আল্লাহের দলের” কথা বলা হয়েছে, মুসলমানরা সেই দলে থাকবার জন্য যা প্রয়োজন, তা মেনে চলছে?? কুরয়ান মানবো না, কিন্তু ভ্রন্তিতে আক্রান্ত হয়ে, একবার রাশিয়ার সাহায্য নিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে আরেকবার আমেরিকার সাহায্য নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে, কেমনে হবে? ??? মুসলমান এমন হবে যেন সে আল্লাহের দলে স্থান পায়। আর তা পেতে হলে মাটিতে মিশে যাবে তবুয় আল্লাহের বিরুদ্ধাচরন কারীদের কখন সাহায্য নিবে না!!! খালি নামে হিজবুল্লাহ হলেই হবে?? কর্মে হতে হবে!!



শুধু নামে জিহাদ না কর্মে জিহাদ হবে মুসলমানদের। নিজের বাড়ি থেকে শুরু হতে হবে জিহাদ। নিজের বাবা সুদ খোর ঘুষ খোর হলে, তাকেও একটা সীমার মধ্যে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। এ্যটলিস্ট বুঝতে দিতে হবে যে, বাবা আমি তোমার আকাম কুকাম ঘৃনা করি।



৯/১১ যখন হয় তখন অনেক ইমমেচিউর ছিলাম। খুব খুশি হয়ে ছিলাম নাসারাদের দেশে এই ধংশযজ্ঞ হবার পরে। ভাবতাম যেই করসে খুব ভালো কাজ করসে। পরে জানলাম তালেবানরা করসে। তালেবানদের উপর খুশি হয়া গেলাম। পরে জানলাম কুকর্মটা ইহুদিদেরই। যাই হোক, যেই করুক না কেন, আমার খুশি হবার ব্যাপারটা একজন মুসলমান হিশাবে ঠিক ছিলনা!!!! কারন একজন মাসুমো কি ছিলোনা ওই খানে????



সাদ্দামকে মনে হত মুসলিম বিশ্বর একমাত্র সিংহ!! অনেক ভালো লাগতো তাকে ছোট বেলায়। তার মৃত্যুতে অনেক দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু বলেন প্রকৃত সৎ বা ইসলামপন্থি নেতাকি উনি ছিলেন??? উনার কারনে অনেক মুসলমান কি অন্যায় ভাবে মৃত্যু বরন করে নাই, এই সব নেতাদের(গাদ্দাফি-সাদ্দামদের) কি মুসলিমদের নেতা বলা যায় ?? বাগদাদের রাস্তায় রাস্তায় নিজের বিশাল বিশাল মূর্তি তৈরি করে, এটাকি আল্লাহের দলের একজন নেতার পরিচয় হতে পারে ?



এতক্ষন যে বিষয়ের সমালোচনা করলাম তা হল ভ্রান্তিবাদ(=বুদ্ধিজীবীদের কথিত মৌলবাদ)। এই ভ্রান্তিবাদের(=বুদ্ধিজীবীদের কথিত মৌলবাদ) কারনে ইসলামের স্বর্ণযুগ নিয়েও এখন দুনিয়াভর মানুষের সমালোচনা করার সাহস হয়, যখন মুসলিমরা প্রকৃত ইসলামি মৌলবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। ইসলাম যেন আতংক আর ইসলামি মৌলবাদ হল ভুল অথবা রাক্ষস!!! কিন্তু বাস্তবতা হল মুসলিমদের ইসলামি মৌলবাদের মধ্যে আসতে হবে, ভ্রান্তিবাদ(=বুদ্ধিজীবীদের কথিত মৌলবাদ) বাদ দিতে হবে।



এখন কথা হল ভ্রান্তিবাদ (=বুদ্ধিজীবীদের কথিত মৌলবাদ) আর ইসলামি মৌলবাদের পার্থক্য কি?



একটা ছোট উদাহরন দেই, আমি যেভাবে বুঝিঃ



সূরা নূর আয়াতঃ৩১



(وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ)



“মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও”





এই আয়াতটা যদি ফলো করেন আর নারীদের পর্দা করার ব্যাপারে আপনার মনভাব যদি কঠোর হয়। তাহলে খুবই ভালো। কিন্তু খেয়াল করুন আপনি যদি এর আগের আয়াত, অর্থাৎ সূরা নূর আয়াতঃ৩০ ফলো না করেন, তাহলে ৩১ আয়াতের ব্যাপারে আপনার কঠোরতা হয়ে যাবে ভ্রান্তিবাদ(=বুদ্ধিজীবীদের কথিত মৌলবাদ)।



সূরা নূর আয়াতঃ৩০



(قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ)



“মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।”





আর আপনি যদি ৩০ নং আর ৩১ নং উভয়কেই সিনসিয়ারলি বুঝে মানেন তাহলে তা হবে, ইসলামি মৌলবাদ, যা খুবই দরকার। এখানে খেয়াল করুন আগে আপনাকে বলা হয়েছে দৃষ্টিসংযত করতে, অর্থাৎ একটা মেয়ে আপনার সামনে লেগিংস পড়ে হাটছে, নাকি ন্যাংটা হাটছে, নাকি পুরা পুর্নাংগ পর্দা করে হাটছে, এটা বিবেচনা বা বিশ্লেষন করা আপনার কাজ না, আপনার প্রথম কাজ হইল নিজের দৃষ্টি সংযত রাখা। আর মেয়েটা আপনাকে যতই টেমপ্ট করুক আপনাকে আপনার যৌনাঙ্গের হেফাজতও করতে হবে। এবার আপনি ৩১ নং আয়াতের ব্যাপারে সিরিয়াস হন, নিজের বাড়ির ভিতরের মুমিন নারীদের অনুরোধ করুন পর্দা করতে। আর রাস্তায় কে কেমনে হাটছে তাতো আপনার দেখবারই কথা না, তাই না? আর তালেবানদের মত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সবাইরে পর্দা করতে জোড় দিয়েন না, কারন ৩১নং আয়াতেই আছে মুমিন নারীদের কথা। খেয়াল করুন সাধারন যেকোন নারীদের কথাও কিন্তু বলা হয় নাই, মুমিনাদের কথা বলা হয়েছে। মদ্দা কথা হল ইসলামি মৌলবাদ হল ইসলামকে পুংখানু-পুংখ ভাবে মেনে চলা, যা খুবি দরকার।



ভ্রান্তিবাদ(=বুদ্ধিজীবীদের কথিত মৌলবাদ), ইসলামী মৌলবাদ আশা করি আজকের মত বুঝানো শেষ। এবার থাকল সাম্যবাদ। প্রকৃত সাম্যবাদ আসলে এক অবাস্তব কল্পনা। উঁচ আর নিচ থাকবেই নাহলে পানি গরাবে কিভাবে? সাম্যবাদের নামে বা সমাজতন্ত্রের নামে চীনে, কিউবায় যা আছে আর রাশিয়াতে যা ছিল তা হল, নিতান্তই জনগণকে রাষ্ট্রীয় টর্চার। এগুলো একটা কঠিন ধর্মের চেয়েও আরো অনেক কঠিন। ধরেন আপনি মেথর, ডাক্টার, ব্যাবসায়ি বা কৃষক যেই হন না কেন ৪০০ স্কয়ার ফিটের উপরে কোন বাড়িতে থাকা চলবে না। একজনের বেশি সন্তান নিতে পারবেন না। আগামী ৫০ বছর এইদেশে নতুন কোন গাড়ি কেনা-বেচা হবে না। আপনি যত দূর্বলই হন না কেন, সপ্তাহে ৮৪ ঘণ্টা কাজ করতেই হবে। আপনার প্রিয় খেলা যাই হোক না কেন, রাষ্ট্র আপনাকে যেটা ঠিক করে দিবে আপনার তাই খেলতে হবে। এগুলো টর্চারের কয়েকটা উদাহরন মাত্র!! এগুলা আমাদের দেশের সাম্যবাদী, যারা ইসলামী মৌলবাদের ব্যাপারে না জেনেই সমালোচনা করেন, তারাই সহ্য করতে পারবেন না। আর আমরাতো মানার প্রশ্নই আসে না।



সাম্যবাদের কিছুটা হলেও প্র্যাক্টিক্যাললি মানা হবে যখন আপনি মনে প্রানে ইসলামি মৌলবাদ মেনে যাবেন। তখন, প্রায় সকল মুমিন মুমিনার কাপড়ে সাদৃশ্য থাকবে, টাকাপয়সা আপনার কোন প্রিয় বস্তু হবে না, ভোগের প্রতি আপনার কোন আকর্ষন থাকবে না, আপনি ঠিক মত যাকাত দিবেন, সদকা করা হবে আপনার নিত্যদিনের ব্যাপার, আগামী কাল কি খাবেন জানবেন না, প্রতিদিন বাজারে জেতে হবে, শ্রমিকরা তাদের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পাওনা পাবে, উৎপাদনকারী আর ভোক্তার মধ্যে থাকবেনা কোন মধ্য স্বত্ত্ব ভোগী, রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় যিনি আছেন তাকে জনগণের সামনে প্রশ্ন করতে পারবেন, যে তার দামি দামি শাড়ি গুলো উনি কোথা থেকে পান? উনার বেতন কত? মার্সিরিজ বেঞ্জ যে জিপ গুলতে উনি চড়েন, ঐ গুলো কিভাবে কিনলেন?? ইত্যাদি।



মৌলবাদ, ইসলামি মৌলবাদ আর সাম্যবাদ এগুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও বুঝাতে পেরেছি, আশাকরি। এখন এই পোষ্টটা যদি এতক্ষন মন যোগ দিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলে অনুরোধ করব, সূরা মুজাদালার ২১,২২ নং আয়ত গুলো আবার উপর থেকে পড়ে আশার জন্য।



খেয়াল করুন ২২ নং আয়াতে “হিজবুল্লাহ” বলে একটা শব্দ আছে, এটা সিরিয়া বা লেবাননের হিজবুল্লাহ মনে করলে কিন্তু ভুল করবেন। এই হিজবুল্লাহ এর মানে হল “আল্লাহের দল” যার ডেফিনিশন ঐ আয়াতেই দেয়া আছে। তা হল “যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়।”



মানে আপনি শিয়া, সুন্নি, সূফি, ওয়াহাবী, খারেজী যেই হন না কেন, আপনি কোন অন্যায় কারির বন্ধু হবেন না। আপনি তার সাহায্যকারীও হবেন না, সে হোক আপনার পিতা কিংবা পুত্র এবং আপনি নিজেও কুরয়ান এবং সুন্নাহ মেনে চলবেন। তাহলেই আপনি হিজবুল্লাহ এর একজন সদস্য এবং এই দল যে সফলকাম তাও কিন্তু এই আয়াতেই বলা আছে। ঐ যে, ঐ ফেমাস হাদিস যেখানে বলা হয়েছে ৭৩ দল হবে মাত্র একদল বেহেশতে যাবে, আমার মনে হয়, সেই একদল হল “হিজবুল্লাহ” যারা শিয়া, সুন্নি, সূফি, ওয়াহাবী, খারেজী......ইত্যাদি সকল দলেই বিদ্যমান।



গাজায় আমাদের তেমন কিছুই করার সমর্থ নাই, এটাই সত্য এটাই বাস্তবতা। সবারই অন্তর ইসরাইলীদের অত্যাচারে কাঁদছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে হিটলারের যুগে জন্মালে ইহুদীদের প্রতি অত্যাচার দেখেও আপনার এই মনই হয়ত কাঁদত। পৃথিবীর ইতিহাস এই রকম আপস এন্ড ডাউন্সের মধ্যেই চলতে থাকবে। অত্যাচারী আমরা হতে চাই না। কিন্তু অত্যাচারীত যেন না হই সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।



সামনেই আবার রাজনীতির বাজার গরম হচ্ছে, কেউ আওয়ামীলীগের জন্য মাঠে নামবেন, কেউ বিএনপি, কেউ জামাত, কেউ জাপা কিন্তু খেয়াল রাখবেন, মুসলমানের আল্টিমেট দল হিজবুল্লার কথা। আবারো বলছি সিরিয়া-লেবাননের হিজবুল্লাহ না, সূরা মুজাদালায় যে আল্লাহের দল বা হিজবুল্লাহের কথা বলা হয়েছে সেই হিজবুল্লাহ। যে হিজবুল্লাহের জন্য মাঠে-ঘাটে নামার প্রয়োজন নাই, দরকার শুধু সৎ কর্ম করা, অসৎ কর্মের অসহযোগীতা করা।



কেউ কেউ মনে করছেন অত্যাচারী হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাবেন, কেউ কেউ মনে করছেন মূর্খ মহিলা খালেদাকে ক্ষমতায় আসতে দিবেন না, এগুলো করে নিজেদের মধ্যে বিভেধ সৃষ্টি করে লাভ নাই। আর উনাদেরো কোন দোষ নাই, উনারা শুধুই আমাদেরই বিগার-বেটার রিপ্রজেন্টেশন মাত্র। গত ১০০ বছরে যা যা আমাদের জাতির প্রতিটা মানুষ করেছে, তারই ছবি হচ্ছেন উনারা।



সামনে তাকাতে হবে, নিজেকে ভালো রাখতে হবে, কোন ধরনের কোন খারাপকে সহায়তা দেয়া চলবে না, নতুন কোন খালেদা বা হাসিনাও তৈরি হবে না। অনেক অনেক অনেক শক্তিশালী এক মুসলিম প্রধান দেশ হবে বাংলাদেশ, যেখানে অন্য ধর্মের মানুষ থাকবে নির্ভয়ে। আর মুসলিমরা হবে এমন, যারা শুধু প্রশংসারই পাত্র হবেন।





বিঃদ্রঃ



১) একান্তই লেখকের মাথা থেকে উদ্ভুত

২) সামু রাগ করলে, কিছুই করার নাই, অনুরোধ থাকবে ডিলিট কইরেন না

৩) পাঠকরা রাগ করলে বুঝবো কিছুই বুঝাতে পারি নাই

৪) কেউ জঙ্গিবাদ খুজলে মনে করব, আমিই পাগল

৫) কুরয়ান বা হাদীসের অপব্যাখ্যা করা হয় নাই, কারো পছন্দ না হলে বুঝতে হবে, লেখক কিছুই বুঝে নাই

৬) কোন সুশিল বা নেতা নেত্রীকে খাটো করাত উদ্দেশ্য ছিলনা, হইলে কিছু করার নাই

৭) হয়ত অনেক দিন ব্লগ লিখবনা





উৎসর্গঃ গাজার সবাই, সামুর সবাই বিশেষ করে ব্লগার ডাঃ নার্গিস পারভীন





আসসালামুয়ালাইকুম!!











মন্তব্য ১২৯ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (১২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৩

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ। প্রিয়তে রইলো।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ , অনেক অনেক ধন্যবাদ !!

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০৫

শুভ্র৯৫রকস বলেছেন: ভাল লাগল। + এবং প্রিয়তে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ !!

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ, মামুন ভাই

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

সত্যের সন্ধানী এক যুবক বলেছেন: মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর বিশ্লেষন।

সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতটির যথা সাধ্য পালনের ব্যাপারে আমার মধ্যে কিছুটা উগ্রতা কাজ করতো। কিন্তু ৩০ নং আয়াতটির কথা বেমালুম ভুলে যেতাম। আপনার পোষ্টের ওই চুম্বক অংশটুকু আশা করি আমাকে শুধরানোর কাজে ব্যবহারিত হবে। ইনশাআল্লাহ।

আর বর্তমান ইহুদিদের সাথে সর্ম্পকের ব্যাপারে আমার কিছুটা দ্বিমত আছে। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা মুসলিমরাই তো সঠিক যায়গায় নেই।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ইহুদীদের ব্যাপারে আপনার আলোচনা শুনবার অপেক্ষায় থাকলাম !!

আর হ্যাঁ, দুই পাশেই খেয়াল রাখতে হবে, নিজে এডিট করে ইসলাম পালন করলেই বিপদ !! যেই বিপদে আমরা সবাই !

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


যৌক্তিক বিশ্লেষণ। গুড পোস্ট +++

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ !! :) :)

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। ভালো লাগলো এবং সেইসাথে অবশ্যই শিক্ষণীয়

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপা!! নিজের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে............।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুদ্‌দাকির ,




খুব খারাপ কিছু একটা বলেন নি । সত্য চিরকালই সত্য, এমোনটাই বলেছেন ।
এটা বুঝিনা বা বোধে আসেনা বলেই যতো ভ্রান্তি আমাদের , যতো হানাহনি।

ভালো থাকুন ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য, আর আশ্বস্ত হলাম যে অন্যায় কিছু বলি নাই শুনে ।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো পোস্ট।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান ভাই !! :)

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
শুধু নামে জিহাদ না কর্মে জিহাদ হবে মুসলমানদের। নিজের বাড়ি থেকে শুরু হতে হবে জিহাদ। নিজের বাবা সুদ খোর ঘুষ খোর হলে, তাকেও একটা সীমার মধ্যে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। এ্যটলিস্ট বুঝতে দিতে হবে যে, বাবা আমি তোমার আকাম কুকাম ঘৃনা করি।

সাম্যবাদ বা নিরপেক্ষতাবাদের কোন বিকল্প নেই।

তবে অতীত কাল থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে ধর্ম ব্যবহার কতখানি সুফল বয়ে আনছে তা ভেবে দেখার সময় চলে যাচ্ছে। দেখতে দেখতে এক একটি গাজা তৈরী হয়ে যাচ্ছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
সাম্যবাদ হল অলিক কল্পনা!!

নিরপেক্ষতা বাদ হল আরেক রকমের ভন্ডামি!!

ইসলামী মৌলবাদ যদি ইপ্লিমেন্ট করা যায়, সাম্যবাদীরা যে সমাজের স্বপ্ন দেখে তার ছিটা ফোটা না, অনেক খানিই পাওয়া যাবে।

কিন্তু ইসলামী মৌলবাদ আরেকটা দুরাশা যা মুসলমানদের আনতে হলে , জেনারেশনের পর জেনারেশন অপেক্ষা করতে হবে, হঠাৎ করেও সম্ভব , কিন্তু রাতারাতি এত শত লোভি মানুষ নির্লোভ কেমনে হবে, এত শত মূর্খ মানুষ জ্ঞানের পরশ কিভাবে পাবে???????

ইসলামী মৌলবাদের বিকল্প নাই।

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট! প্রিয়তে রাখলাম৷

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!! অনেক অনেক ধন্যবাদ !!

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

বৃশ্চিক রাজ বলেছেন: +++++++

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। মতের অনেক মিল পাওয়া গেলো।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ !!

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০০

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি পঠনযোগ্য নয় বলে বিবেচনা করেছি। তাই পড়িনি। খামাখা তর্ক করে কি লাভ। তবে ঈশ্বরের সঙ্গে এক অবিশ্বাসীর কথোপকথন শিরোনামে আমি একটি গদ্য রচনা করেছি। সেটা আপনাকে পড়ার আহবান জানাই।
Click This Link

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


ভদ্রতা বজায় রেখে বললে বলতে হয়, "একি মল আর কতবার ত্যাগ করবেন?"

অভদ্র ভাবে বললে বলতে হয়,"একি গু আর কতবার খাবেন?"

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~


ভুল করে ঐদিন আপনার ব্লগে ঢুকে গিয়ে ছিলাম, দেখলাম একি হুমায়ুন আযাদ মার্কা বর্জ। তাই আর কিছু বললাম না। আমার নাস্তিকদের প্রতি একটু দূর্বলতা আছে, আপনিতো ইতিমধ্যে জানেন। কিন্তু আপনার মত মলগ্রাহী নাস্তিকের কাছে কিছু আশা করা যায় না। আপনি বরং তসলিমা নাসরিনের " night soil " কিছু পান কিনা দেখুন। আপনার হনুমান আযাদ তো আর নাই!!!!!!! :( :( :( :( :(

আর ভালো কথা দার্শনিক ভাই, আপনার পোষ্টে মন্তব্য করে লাভ কি ?? আপনি তো কথায় না পেরে, গালি গালাজ করেন, তাতেও আমার কোন আপত্তি নাই !! কিন্তু নপুংশকের মত মন্তব্য মুছেদেন, এটা ভালো লাগে না!!



( رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ)

"রাব্বি আয়ুযুবিকা মিন হামাযাতিসসাইয়াতিন ওয়া আয়ুযুবিকা রাব্বি আন ইয়াহদুরুওনি"


আমার পোষ্টটি না পড়ার জন্য ধন্যবাদ !!! :P :P :P :P

১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

উপপাদ্য বলেছেন: পুরো বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ন একমত। কিন্তু সুইসাইড বোম্বারদের ব্যাপারে একটা প্রশ্ন। প্যালেস্টাইন, কাস্মীর বা এরকম দেশগুলোতে স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে কিংবা ডিক্টেটর, সন্ত্রাাসী আগ্রাসী বাহিনীকে রুখে দিতে যদি সুইসাইড বম্বিং করে সেক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য কি একই থাকবে?

এর বাইরে অসাধারন বিশ্লেষন হয়েছে। বিশেষ করে সূরা নূরের ৩০ ও ৩১ নাম্বার আয়াত ও এ বিষয়ে আলোচনা একটা প্রয়োজনীয় টপিক। সময় থাকলে নারী পুরুষ উভয়ের পর্দা নিয়ে লিখতে পারেন। কারন আ্যান্টি ইসলামীরা পর্দা বলতেই শুধুমাত্র নারীদের বোরকার ভেতরে আবদ্ধ করার পুরুষতান্ত্রিক প্রচেস্টা হিসবেই চিত্রিত করে থাকে। এই প্রপাগান্ডার বিরোদ্ধে এই আয়াতগুলোতে এতো সুন্দর করে বলা হয়েছে এটার প্রসার ও প্রচার দরকার।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
সুইসাইড বম্বিং সম্পর্কেঃ

আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি কোন সিচুয়েশনেই সুইসাইড বম্বিং ইসলাম অনুসারে লিগাল হতে পারে না।
তবে আলেম সমাজ এই ব্যাপারে বিভক্ত, উনারা কেউ কেউ মনে করেন, সুইসাইড বম্বিং আধুনিক ওয়ার ফেয়ারের এক ধরনের অস্ত্র। এবং তা বৈধ। তবে বেশীর ভাগ আলেম এটাকে হারাম মনে করেন।

আমি ফতোয়া দেবার কেউ না, আমি খালি আমার চিন্তাটাকে বললাম।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

পর্দা সম্পর্কেঃ

ইচ্ছা করে লিখি, অনেক কিছু জানার বুঝার বাকি, আরো অনেক জানতে হবে। পর্দা বুঝানো আর জাস্টিফাই করা অনেক ক্ষেত্রেই টাফ। ডিপেন্ড করে মাইন্ড সেটের উপরে। আপনার শালিনতার বাউন্ডারিটা কি, তা অনেক বড় ব্যাপার। এই নিয়ে আমার নিজেরই কিছু ব্যাপারে কনফ্লিক্ট আছে, তাই নিজেকে লেখার যোগ্য মনে করি না।

যেমন ধরুন এই ব্লগে মেলবর্ন ভাইয়ের লেখায় একবার পড়লাম চুল ঢাকার ব্যাপারে এত কঠর হবার কিছু নাই। এটা শালিনতার তেমন কোন ব্যাতিক্রম করে না। প্রিয় ভাই, দেখুন ব্যাপারটা কিন্তু একটা মানুষ, যদি বাংলাদেশের কালচারে বড় হয়ে থাকে, তাহলে সে অনেয়েশেই মেনে নিবে। কারন আমাদের ঢাকার বেশীর ভাগ মেয়েই চুল ঢাকে না। কিন্তু ইসলাম অনুসারে এটা ঢাকা একটা মাস্ট। আবার উনি এও বলতে চেয়েছেন যে এটা(চুল) তেমন কোন সুন্দর ব্যাপার না, তাই শিথিল হলেও চলবে। কিন্তু বাস্তব হচ্ছে অনেক ছেলেই মেয়েদের চুল খুব পছন্দ করে এবং আকর্ষনিয় মনে করে, আমি ব্যাক্তিগত ভাবেও তাই, সেজন্য আমিও মনে করি ঢেকে রাখা উচিৎ।

একই ভাবে আলেম সমাজে বিভক্তি আছে, কেউ কেউ মনে করেন, কিছুই দেখানো যাবেনা, তাদের স্ত্রীরা শুধু চোখটা খোলা রাখেন, এবং হাত - পা ইত্যাদিও মোজা দিয়ে ঢেকে রাখেন। আবার একদল কব্জি থেকে হাত-পা খোলার ব্যাপারে শিথিল কিন্তু মুখ পুরাটাই ঢাকতে বলেন।উনাদের স্ত্রীরাও হাত-পা-আর চোখ খুলে রাখেন। আরেক দল মনে করেন, মুখমন্ডল খোলা রাখা যাবে, কারন যেহেতু তাওয়াফের সময় মুখমন্ডল বাধ্যতা মুলক ভাবে খোলা রাখতে হয়। সবাই যৌক্তিক অবস্থানেই আছেন।

আমার হিসাবে সৌন্দর্যের দোহাই দিয়ে চুল ঢাকতে হলে, মুখো ঢাকা উচিৎ। আবার হাত-পা-মুখমন্ডল সবই কিন্তু সেক্সুয়লি আপিলিং হতে পারে, তাই সবই ঢাকা উচিৎ। আবার পরিচিতির জন্য মুখমন্ডল খোলারাখা উচিৎ বলে মনে করি। এখন বলুন ভাই মুখমন্ডলের চেয়ে সুন্দর আর কি আছে?

আসলে আমি নিজেই কনফিউজড। ব্যাপারগুলো ভালো করে যেন অনুধাবন করতে হবে।

তবে আশার কথা হচ্ছে বাংলাদেশে পর্দা সচেতন মেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করি। অবশ্য টাইট জিন্সও অনেক বাড়ছে!!!!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: উপপাদ্য ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য। তবে আমি অবাক হয় কেউ কোন টু টা শব্দ করলনা আমার এই পোষ্ট নিয়ে!! আমি ভেবেছিলাম অনেকে অনেক আপত্তি করবে।

আসসালামুয়ালাইকুম।

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৮

উপপাদ্য বলেছেন: সুইসাইড বম্বিং এর ব্যাপারে আমার যথেস্ট দ্বিধা আছে। এক হিসেবে আপনি নিজে থেকে নিজের কোন ক্ষতি করতে পারবেন না। এটা সম্পুর্ন নিষেধ। কিন্তু ওয়ারফেয়ারে এটা করা যাবে কিনা সেটা নিয়েও পন্ডিতগন বিভক্ত। আবার আপনি যখন যুদ্ধে যাচ্ছেন তখন কিন্তু জেনে শুনেই নিজের ক্ষতি করতে যাচ্ছেন।

অপরদিকে বলা হচ্ছে আপনি যকজন যুদ্ধের ময়দানে তখন আপনি সর্বোতভাবে নিজেকে রক্ষা করার চেস্টা করবেন। যা সুইসাইড বম্বিংয়ে করছেন না।

কিন্তু যখন কোন উপায় থাকে না তখন কি করা। বিশেষ করে আপনার শত্রু যখন আধুনিক অস্ত্র সুসজ্জিত অথচ আপনি পিছিয়ে আছেন অনেক অনেক দূরে তাদের থেকে।

মুদদাকির ভাই সময় সল্পতার কারনে ইন্টারেকশন করতে পারছিনা প্রবল ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আমার এক কথা, আমি সুইসাইড বম্বিং এর পক্ষে না, প্রতি পক্ষ বেশী শক্তির হলে, তাদের ফেস করতে নিজের শক্তি অর্জন করতে হবে, ইনফ্যাক্ট শক্তি অর্জনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে হবে, আর তা না হলে তাদের অধিনস্ততা মেনে নিতে হবে। আর নইলে, যুদ্ধ যেভাবে করার সেইভাবে করতে করতে শহীদ হয়ে যেতে হবে।

ব্যাস্ত থাকুন, ভালো থাকুন, ভাই! :) :)

১৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৪১

জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ!প্রিয়তে নিয়ে গেলাম :)

সরি ভাই;সামুতে ঈদ ইভেন্ট আয়োজনের ডামাডোলে পড়ে এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটা চোখ এড়িয়ে গেছিলো;কিন্তু অনুসরণে রাখায় ফাইনাল মিস হয়নি।আলহামদুল্লিাহ!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
জাফর ভাই, সরি হবার কি হল??


কোন সমালোচনা থাকলে করুন, সবার ভালো হবে। (যদি সময় থাকে :P )

ধন্যবাদ :)

১৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: nice post

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: Thank you !!

১৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

না পারভীন বলেছেন: আমি পুরাটা শেষ করতে পারিনি। শুধু যে দোযখে যাবে, সেখানে সে চিরকাল থাকবে এটা জেনে মনটা খারাপ হল।

শেষে এসে তাজ্জব হলাম। কোন এক কারনে কিছু ভাই বেরাদরের উপর মন খারাপ হয়ে ব্লগিং থেকে আমার মন উঠে গেছে।

ভেবেছিলাম আমি ও ব্লগে বছর বছর বর্ষ পূর্তি পোস্ট দিব সেটা দুরাশা হয়ে যাওয়ার পথে। মে বি এটা নতুন পথ, অপরিচিত, আনকমন, রক্তাক্ত হতে পারে কোমল পাদুখানী, আমি অসচেতন ছিলাম, ঠিক আঘাত নেয়ার মত প্রিপারেশন ছিলনা, যতখানি তৈরী ছিলাম সুরা আবু লাহাবের পোস্টের সময়। সিরিয়াস পোস্ট আর লিখা হবে কিনা আমি জানি না।

অনেক কিছু লিখে ফেললাম। মার্জনা করবেন। অতীব গুরুত্ব পূর্ণ ভেবে চিন্তে লেখা এ পোস্ট এ আমার নাম দেখে কৃতজ্ঞ। প্রিয়তে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

সমালোচনা থাকবেই। কিন্তু আপনার লেখার দরকার আছে। নাপার লেখা সবার প্রয়োজন বলেই, নাপাকে সবাই পছন্দ করে। আপনার আর আমার জ্ঞানের দিকে কমন কিছু বিষয় আছে, কিন্তু দেখুন আমাদের ব্লগের পোষ্টগুল একেবারেই ভিন্ন!! আমরা দুজনেই আবু-লাহাব নিয়ে লিখেছি কিন্তু কোনই মিল নেই!! আমি অত চিন্তা করে লিখিনা, খুবই ইনিস্টিংটিভ ভাবে লিখি। যেদিন লিখি একেবারে বিকাল দুপুর সন্ধ্যা শেষ !!! শুধু একটা পোষ্ট লিখতে অনেক সময় লেগেছে,ওটা পোষ্টের চেও নিজের প্রয়োজন ছিল,তাই স্টাডি করেছি। আর সবই হঠাৎ লেখা। আমি লিখি চিন্তা করানোর জন্য, আপনি লিখেন সরাসরি পরিবর্তনের জন্য, আমারটা নাহলেও চলে, কিন্তু আপনারটার দরকার আছে। আমার "এ বোল্ট ফ্রম দ্যা ব্লু" লেখাটা আপনাকে উৎসর্গ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জীবনে গল্প লিখিনাই, কেমন হয় তাইভেবে আর সাহস পাইনি।


আর কৃতজ্ঞতার কিছু নেই। আর সময় আর বিষয় পেলে লিখুন। সবাই অপেক্ষা করবে।



ভালো থাকুন নার্গিস। আসসালামুয়ালাইকুম।

১৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

না পারভীন বলেছেন: নাহ! সমালোচনা তো থাকবেই। অতটা অসহনশীল আমি নই। একটা আজব কারনে তীব্র ধরনের খারাপ লাগা কাজ করেছে। প্রিয় পাঠকেরা আমার সেন্সেটিভ পোস্টে এসে বলেছিলেন, এটা খুব ভাল পোস্ট।

আবার অপজিট পোস্টে গিয়ে বলেছেন, "পোস্টে সহমত। " বিশেষত ব্লগার মুদদাকির ভাই যখন লিখেছিল, এটা দেখে রীতিমত হতাশ ছিলাম।
আমি আজ বুঝতে পেরেছি সব সহমত একি গোছের নয়।

অনেক ধন্যবাদ। আপনার প্রতিউত্তর খুবই অনুপ্রেরণাদায়ী। থ্যাক্স আমার সব বন্ধুদের কোন প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়াই পাশে থাকেন। থ্যাক্স মুদদাকির ভাই। ডানাপা উইল রিটার্ন। হাহাহা। :) আর আপনি কই জান? কোন এক্সাম আছে? নাকি কোর্সে যাচ্ছেন?? যত দূরে যান, পাশে থাকুন :)
ওয়ালাইকুম আসসালাম।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আমি ডাবল স্টেন্ডার্ড ঘৃনা করি। এই ঘৃনার কাজটা আমার করবার কথা না। অনুরোধ থাকবে ঐ পোষ্টে গিয়ে আমার মন্তব্যটা দেখে আসুন । ভুল বুঝলেন!! :( :( :(

কোথাও যাচ্ছি না।

২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১১

আরজু পনি বলেছেন:

বোরিং পোষ্ট কথাটা শিরোনামে বলাটা কি ঠিক? যারা পড়ার তারা পড়বেই /:)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

যাক অবশেষে আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম!! :) :)

নিজের পোষ্টের দূর্নাম করার কোন ইচ্ছা ছিলনা। আসলে তখনও ঈদের আমেজ শেষ হয়নি, সব ব্লগাররা অপেক্ষাকৃত চটুল পোষ্ট পড়তেই ব্যাস্ত ছিল। আমি নিশ্চিত ছিলাম এই সময় ধর্ম, সমাজ, জঙ্গিবাদ, পর্দা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে কারো ইচ্ছা করবে না। সবাই বিরক্ত হবে। তাই লিখে দিয়েছিলাম পটেন্সিয়াললি বোরিং অর্থাৎ আসলে বরিং না, কিন্তু আপনি বোর হতেও পারেন। এইতো, এখন আর দরকার নাই। নাম পরিবর্তন করে দিয়েছি। আপা আপনার অন্য কোন সমালোচনা থাকলে বলবেন। আর আমার ধারনা কিন্তু ঠিক হয়েছে আপা! মোটামুটি নিয়মিত আমার লেখা যারা পড়েন তার বাইরে তেমন কেউ কিন্তু পোষ্টটি পরেনো নাই আর মন্তব্যও করেন নাই!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

তারাবেষ্ট বলেছেন: বিঃদ্রঃ

১) একান্তই লেখকের মাথা থেকে উদ্ভুত
২) সামু রাগ করলে, কিছুই করার নাই, অনুরোধ থাকবে ডিলিট কইরেন না
৩) পাঠকরা রাগ করলে বুঝবো কিছুই বুঝাতে পারি নাই
৪) কেউ জঙ্গিবাদ খুজলে মনে করব, আমিই পাগল
৫) কুরয়ান বা হাদীসের অপব্যাখ্যা করা হয় নাই, কারো পছন্দ না হলে বুঝতে হবে, লেখক কিছুই বুঝে নাই
৬) কোন সুশিল বা নেতা নেত্রীকে খাটো করাত উদ্দেশ্য ছিলনা, হইলে কিছু করার নাই
৭) হয়ত অনেক দিন ব্লগ লিখবনা

উৎসর্গঃ গাজার সবাই, সামুর সবাই বিশেষ করে ব্লগার ডাঃ নার্গিস পারভীন।
আসসালামুয়ালাইকুম!!

[4:22]
যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।
[4:23]
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।

মুদ্‌দাকির is super good!!!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

তারাবেষ্ট is super good, who likes me so much !!!!

আসসালামুয়ালাইকুম !!

২২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০০

বলাকাবিহঙ্গ বলেছেন: [3:16]
যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।
[3:17]
তারা ধৈর্য্যধারণকারী, সত্যবাদী, নির্দেশ সম্পাদনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী।

Quran Ayats are very beautiful- from your writings!

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

আসসালামুয়ালাইকুম !!

২৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৯

বান০০৭ বলেছেন: ﴿٢٨٥﴾ لَا يُكَلِّفُ اللَّـهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ﴿
٢٨٦
[2:286]

আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।

Brother মুদ্‌দাকির please write more & more!
Great Salam & Respect to you!!!

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
এই আয়াতটা আমার অনেক প্রিয়, ছোট বেলায় এই আয়াতের মহত্ত্ব বুঝি নাই, তাই আফসোস হয় অনেক সময়!!!! আমি যদি কখনো শিক্ষামন্ত্রী হতে পারি, এটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো যেন প্রাথমিকেই সকল ছাত্র-ছত্রিরা এই আয়াত অত্বস্থ্য করতে পারে, এর এর গুরুত্বও বুঝতে পারে।

(আমিন)

ভাই আল্লাহ চাইলে লিখা হবে।

Salam to you too.

২৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৩

তারাবেষ্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন:
তারাবেষ্ট is super good, who likes me so much !!!!
আসসালামুয়ালাইকুম !!

ওয়ালাইকুমসালাম Brother মুদ্‌দাকির,
১.প্রয়োজনে আমি মুল্টি ব্লগার।
২.প্রত্যেকের জন্য এমনকি - মোনাফেকের জন্যও দোয়া করি।
(দ: ) করতেন।
৩.বিতরকে বিজড়িত হই না। (সালামুন- আলাইকুম-বিদায়, technic from Allah! )
৪.I do- Respect & Love to everybody of the Samu.
رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ﴿
٢٨٦
হে আমাদের প্রভূ........আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।
.....up to next time.
Assalamualikum......

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: Thank You !! :) :)

২৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫০

বৃশ্চিক রাজ বলেছেন: +++++++

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ !! আসসালামুয়ালাইকুম !

২৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

সজল৯৫ বলেছেন: বিভিন্ন পোষ্টে আপনার মন্তব্য পড়ে আর আপনার প্রফাই পিক এ ৬কোনা তারকা দেখে আপনার সম্র্পকে যে ধারনা করেছিলাম, পোষ্ট পড়ে অন্যকিছু জানলাম।
চমৎকার পোষ্ট অনেক ভাল লেগেছে। আপনার সব পোষ্ট গুলো পড়তে হবে। নিয়মিত লিখবেন অনেকে উপকৃত হবে। কারো যে ক্ষতি হবে না সেটা নিশ্চিত। ভাল থাকবেন।

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


আরে ভাই আমিতো সূরা আল কামারে যে মুদ্দাকিরদের কথা আল্লাহ বলেছেন তাদের একজন। আমি চাই সকলেই প্রকৃত অর্থেই মুদ্দাকির হোক। আপনি যাকে জুইস স্টার মনে করছেন আমার কাছে তা "نجمة داود" বা দাউদ আঃ এর তারা। অনেক কিছু বলার আছে এই নিয়ে, আল্লাহ চাইলে ভবিষতে কোন দিন বলব। খালি একটা কথা না বললেই নয়। এই তারা ইহুদীদের দখলে ২০০ বছরো হয়নাই, আর তারা অফিসিয়ালি ব্যাবহার করছে ১৯২০ এর পর থেকে। আর মুসলমানদের এই চিহ্ন চেনা আছে দাউদ আঃ এর সময় থেকে। ওরা যা ইচ্ছা তাই নিয়ে নিবে তা কি করে হয়? মনেতো হচ্ছে এক সময় এটাকে star of David (pbuh) নামে আর কেউ চিনবে না, চিনবে jewish star নামে।

লেখার আশা আছে, দোয়া রাখবেন। পুরানো (সকল) পোষ্ট গুলোই পড়ার ও সমালোচনা করার অনুরোধ থাকল। আর মন্তব্য করার অনুরোধ থাকল, তাহলে অন্যকেউ হয়ত পড়বে।

আসসালামুয়ালাইকুম !!

২৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

দি রিফর্মার বলেছেন: তারকা বিষয়ে উত্তরটি দেখে আসল কথাটি জানতে পারলাম। আগে জানা ছিল না। আর পুরো লেখাটা পড়া হয়নি। তাই লেখা নিয়ে পরে মন্তব্য লিখব।
ধন্যবাদ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকব, আসসালামুয়ালাইকুম !!

২৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩১

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লিখেছেন ভাইয়া।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ !!

২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:২৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার যুক্তি , বিশ্লেষণ , চিন্তাসুত্র । একমত ।
এমন লেখা আরও চাই ।

ভাল থাকবেন ভাই ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই , লেখার ইচ্ছা থাকবে, আল্লাহভরসা ! আপনারা যারা ভালো লিখেন তারাও লিখুন। অন্য যারা ভালো লিখেন তাদেরও এই ব্যাপারে অনুরোধ করুন।

আসসালামুয়ালাইকুম

৩০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

অর্নি বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন +++++

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

অনেক অনেক ধন্যবাদ !!

৩১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৪

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:



" কারন আল্টিমেটলি বেহেশত তো আপনার হবেই। ইহুদীদের সাথে আমাদের যত মিল, তার সবচেয়ে বড় মিল এইটাই। "

জুডাইজমের পরজন্ম সম্পর্কে না জেনে লিখে ব্লগ ভর্তি করে ফেলছেন? ইসলাম অনন্ত সময় অবধি বেহেশতে বিশ্বাস করে, জুডাইজম করে না; আপনারা কি কোন কিছুই শিখতে পারবেন না এ জীবনে?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


ভাই আমি নিতান্তই মূর্খ, আপনি মহাজ্ঞানী, আপনার মন্তব্যের ওজনেই বোঝাযায়। জুডাইজম এর আফটার লাইফ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান দিয়ে ধন্য করুন, হে জ্ঞানী। আমার অপরাধ ক্ষমা করবেন, হে মহান। আমার লেখার কোন কোন যায়গায় কি কি ভুল আছে দেখিয়ে দিলে ৃতজ্ঞ থাকবো, হে গুরু !! আপনার কাছ থেকে শেখার জন্যইতো ব্লগে আসা, হে হরিণা

প্রথমে http://www.google.com এ যান, অতঃপর "jewish view of afterlife" লিখে সার্চ বাটন্ টি টিপুন এবং আমাদের সমৃধ্য করুন।

৩২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

যমুনার চোরাবালি বলেছেন: পড়ে গেলাম, কিছুটা বাদ থেকে গেলো অবশ্য।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
ধন্যবাদ, পুরাটা পড়ার অহবান থাকল :) :)

৩৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সালাম ভাই।

প্রায় শতভাগ সহমত। এত ভাল লাগল পোস্ট যে, অন্যরাও যেন দেখেন এবং নিজেও যেন পরে আসতে পারি মনে করে সেজন্য প্রিয়তে তুলে রাখলাম।

কথাগুলো আপনার ব্যক্তিগত হলেও, দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক হওয়াতে এই কথাগুলোই বৈশ্বিক এবং সার্বিক সঠিক হয়ে উঠে এসেছে।

একটা বিষয়ে আপত্তি ঠিক না: কথা কিন্তু সত্যি যে, যে-ই বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে-ই ভুগেটুগে ক্ষমা পেয়ে ইত্যাদিভাবে অবশেষে জান্নাতে যাবে। কিন্তু এটাকে আমরা অপব্যবহার করি।

আরেকটা বিষয়ও: দলীয় বিভক্তির জন্য আমরা আসলেই উঠেপড়ে লেগেছি। দলপ্রীতি ধর্মপ্রীতির চেয়ে, মানবপ্রীতি প্রকৃতিপ্রীতির চেয়ে উর্দ্ধে উঠে গেছে এবং যে কোন বিষয়ে আমরা দলপ্রীতিটাকেই সম্মুখে আনতে উন্মুখ।

জানার কারণেও আমি বিশ্বাস করি, যে সঠিক বিবেক রাখবে এবং ঈমান রাখবে, সে স্বল্প ত্রুটিযুক্ত হলেও সঠিক মানুষ হিসাবেই উত্থিত হবে। কিন্তু ওই দলটাকে বলা হয়েছে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ্- আমার সুন্নাহ এবং আমার সাহাবাদের সার্বিক সুন্নাহ যারা মানে, সেই দল। তো, এটা তো কোন নিবন্ধিত দল নয়। :)

এইক্ষেত্রে শিয়া থেকেও আসবে, সালাফি থেকেও আসবে, সূফি থেকেও আসবে। আর আমি সুন্নি (সূফিওয়ালা) হলেও শুধু সূফিওয়ালা নাম ভেঙে জান্নাতি হয়ে বসে থাকা মানুষদের উপর আমারও প্রচন্ড ক্ষোভ।

তবে সঠিকের বিষয়ে আক্বিদাহ্ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আক্বিদাহ্ ই ঈমান বা ঈমানের খন্ডাংশ। আক্বিদাহ্'র ভ্রান্তির কারণে বিশ্বাসে ভ্রান্তি চলেই আসে।

অন্য কোন বিষয়ে দ্বিমতের পথ নেই। আর উপরের কথাগুলোও ঠিক দ্বিমত নয়।

সাম্যবাদের বিষয়টা, সন্ত্রাসবাদের বিষয়টা চরমভাবে চমৎকারভাবে বলেছেন। নাইন ইলেভেন এবং সাদ্দাম বিষয়ে আপনার আমার বিবর্তন সমমুখী। :)

স্রেফ অভিনন্দন। মানুষকে সত্য জানানোর মত বড় কাজ যে আর নেই! আমাদের অনেক বেশি কাজ (আমল) এর চেয়ে এই কাজ (আমল) অনেক বেশি ভারি। এই একটা পোস্ট থেকে যেসব মানুষ আত্মিকভাবে নৈতিকভাবে উপকৃত হবে- তাদের সমস্ত উপকার আপনার উপরে জমবে। আল্লাহ আপনাকে আমাকে আমাদেরকে ক্ষমা করুন, পুরস্কৃত করুন, রাসূল দ.'র শাফাআত নসীব করুন এবং মহান প্রতিপালকের দর্শনলাভে ধন্য করুন ওই জগতে, দর্শন ও সঙ্গলাভের জন্য ব্যকুল করুন এই জগতে।

আমীন।

সালাত ও সালাম রাসূল দ.'র উপর, তাঁর পরিবার ও বংশধরদের উপর, সমস্ত নবী-রাসূলগণের উপর আ., সঙ্গীদের রা. উপর।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:



ভাই সালাম!


ইমান আর বেহেস্তের যে সম্পর্ক তা আমাকেও অনেক অনেক অনেক বেশী আশান্বিত করে। আমিও চাই আমার নুন্যতম ইমানের জোড়েই যেন আমার মুক্তির নির্ধারন হয়ে যায়। কিন্তু এমন অনেক ত্রুটির কথা আছে যে গুলো থাকলে নবীজী সাঃ নাকি আমাকে তাঁর উম্মতের মধ্যেই গন্য করবেন না। আর ইমনদার তো অনেক দূরের কথা। উনার এপ্রুভাল ছাড়া কেমনে কি হবে ভাবি!!?? এ জন্য ইমানকে সবচেয়ে বড় রহস্য মনে হয়। ভাবি কেউ জানে না, আসলে কে ইমানদ্বার, এক আল্লাহ ছাড়া। এক তিল পরিমান ইমান যদি অন্তরে থাকে তবে.....................। এখানে মাঝে মাঝে মনে হয় যে শব্দ গুলোর "ভাব" না নিয়ে "আক্ষরি" ভাবে চিন্তা কারি, ভাবি যে অন্তরের সাইজ তো কেউ জানে না!! যদি সাইজটা একটা তিলের সামানই হয় বা এর কাছাকাছি!! তাহলে কি হবে?? তাহলেতো পুরা অন্তর জুড়েই ইমান থাকতে হবে!! যখন সম্পদের কথা আসে তখন অন্তরের সাইজ হয়ে যায় শত শত হাজার হাজার একর, যখন খাবারের কথা আসে তখন অন্তরের সাইজ হয়ে যায় বিশাল বিশাল থাল, বড় বড় গ্লাস কিন্তু ইমান তখনও থাকে তিলেরই সমান। জানি না কি হবে, আমারতো মনে হয়, খুবই অল্প সংখক মানুষ যারা ৫ ওয়াক্ত নামায পড়েন, শুধু মাত্র তাদের ইমান থাকলেও সমজ বদলে যেত। বুঝিনা ইমানদ্বার মানুষ কি ভাবে চাকরির জন্য এর ওর কাছে তদবির করে? বুঝিনা ইমানদ্বার মানুষ কিভাবে অন্যের পয়সা মেরে খায়? যে নিজের রিজিকের জন্য পুরাপুরি নিজের বা অন্যকোন মানুষের উপরে নির্ভর করে, বুঝিনা সে কিভাবে আবার আল রাজ্জাককের বিশ্বাস করে??? সবার ইমান নিয়ম তান্ত্রিক, সত্যিকারের ইমানের অস্তিত্তের খবর আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানেন!!! আমারতো মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় আমার সালাম নবিজীর কাছে পৌছানো হয় কিনা?? সত্যিই, আমি কনফিডেন্ট না!! লিসানি ভাই, উনি যদি একবার কোন ভাবে বলতেন তোমার উপরেও শান্তি বর্ষিত হোক ভাই নিজের জিবনেই বেহেশত অনুভূত হত বলে বিশ্বাস করি। আল্লাহ ভালো জানেন।

মুসলিম জাতির অজ্ঞতা বিভক্তি মনে অনেক কষ্ট দেয়। কিছুই করার নাই, বসে বসে চুপ চাপ দেখা ছাড়া, জ্ঞান ছাড়া কিছু করতে গেলে কিছু ভাবতে গেলে, কিছুই হবেনা, যা হবে তা হল নতুন ফেতনা বাজি!! আল্লাহ আমাদের মুক্তি দাও!! ব্যাক্তি গতভাবে আলোকিত কেউ কেউ থাকতে পারেন, কিন্তু মুসলিমরা সামাজিক ভাবে অন্ধকারের বাসিন্দা, ইসলামের শিক্ষার যে ওজন আমাদের সমাজে তার ছটাকও নাই, বলেই মনে হয়।

লেখাটা পছন্দ করেছেন তাই ধন্যবাদ বলে আপনাকে ছোট করতে চাই না বরং ভাইয়ের কাছে অন্তরিক দোয়া চাই।



আল্লাহুয়াকবার !!

আসসালামুয়ালাইকুম ইয়া রাসুলুল্লাহ !

আল্লাহ আমাদের দুনিয়া আর আখিরাতে সফল করুন। (আমিন)

৩৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আহ্! ঈমানের বিষয়ে এই বিনয়ই তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন!

আমিও ওই একটা কথা নিয়ে মাঝে মাঝে ভাবিত হই, রাসূল দ. কতশত বার বলেছেন, এই কাজ যে করে, সে আমার দলভুক্ত নয়, ওই কাজ যে করে, সে আমার উম্মাহভুক্ত নয়। এর কোন্ কাজটা আসলেই আমরা না করি!

ঈমানের কথিত ৬০ টির মতান্তরে ৭০ টির মতান্তরে ৭৭ টি অঙ্গের সর্বশেষ অঙ্গ রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো, যতবার রাস্তায় আবর্জনা দেখি, ততবার মাথা ঠান্ডা থাকলে, মন নরম থাকলে ভাবি ভাই, হায়, ঈমান কি ঠিকমত এখনো আছে? সম্ভবত শাফিয়ি মাজহাবে ঈমানের ৭৭ শাখা স্পেসিফাইড আছে। স্পেসিফিকেশনটা সঠিকই মনে হয়। সঠিক তো অবশ্যই, বরং বলা চলে স্পেসিফাইড ৭৭ এর বাইরে আরো আছে। সেই ৭৭ লিস্ট দেখে চমকে উঠেছি। তাহলে আমাদের ঈমানের কী অবস্থা!

আমার ব্যক্তিগত প্রবল বিশ্বাস, এখনো পূর্ণ ঈমান অর্জন করতে পারিনি। এবং যারাই ঈমান নিয়ে বড়াই করছেন, (সকলক্ষেত্রেই বলছি ইনক্লুডিং সূফিবাদী) তাদের বেশিরভাগের তো দূরের কথা, প্রায় অনেকেরই নেই।

ঠিক্! ওই কাজগুলো, অন্যায়গুলো, যুলমগুলো- এগুলো ঈমানের পরিপন্থী। আর চরমতম ঈমানে তো কেউ আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে এক গ্লাস পানিও চাইবে না। প্লিজ, আমাকে এক গ্লাস পানি দাও, এটাও বলবে না।

ব্যাক্তি গতভাবে আলোকিত কেউ কেউ থাকতে পারেন, কিন্তু মুসলিমরা সামাজিক ভাবে অন্ধকারের বাসিন্দা


শতভাগ সত্যি।

জ্ঞান ছাড়া কিছু করতে গেলে কিছু ভাবতে গেলে, কিছুই হবেনা, যা হবে তা হল নতুন ফেতনা বাজি!!


ঠিক। ধ্যানকে এত ভালবাসি, কিন্তু ধ্যানের নাম ভাঙিয়ে আমার জানা অন্তত চারজন ধ্যানশিক্ষক (পীর) এমন অর্থ করছেন কুরআনের, যা সম্পূর্ণ নতুন ফেতনা ছাড়া কিছুই না। অথচ ব্যক্তি হিসাবে তারা সম্পূর্ণ সৎ। ব্যক্তিগত সততা আর ভালমানুষ এক কথা, ধ্যান ট্যান করে সাধনা করা এক কথা আর মহান প্রতিপালক আল্লাহ তাআলা ও তাঁর প্রিয় রাসূল দ.'র শিক্ষাকে পূর্বতন শিক্ষার আলোকে উপলব্ধি করা (সঠিকভাবে পদ্ধতিগত জ্ঞান অর্জন যে জ্ঞান অর্জনের পথ দেখিয়ে গেছেন ইমাম আবু হানিফা বা ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল, ইমাম বুখারি,- রা.। সহ অনেকে) সম্পূর্ণ অন্য কথা।

চোখের সামনে দেখছি, কুরআন-হাদীস-ইজমা'র সামান্য সঠিক জ্ঞানের অভাবে কীভাবে নিজের অজ্ঞাতেই মানুষ নতুন নতুন ফিরকা তৈরি করছে। সেই ফিরকার অণুগামী হচ্ছে লাখো মানুষ। আমি যদি সত্য বলি, তবে বলতে হয়, এই ফির্কাগুলো তৈরি করছে যারা, তারা ব্যক্তিগতভাবে সৎ। কিন্তু ব্যক্তিগত সততা ধুয়ে তো আর পানি খাওয়া চলবে না।

ভাই ভরসা রাখেন, যেহেতু রাসূল দ.'র কাছে আমাদের সালাম পৌছানো হয়, তিনি তার জবাবও দেবেন। আর মালিক ও মাওলা তো সব সময় আমাদের দোয়া শোনেন। আল্লাহর কাছ থেকে আমাদের প্রতিটা প্রার্থনার জবাব আসে।

গুনাহ্ নিয়ে বসে থাকা নয় এবং আমি গুনাহগার বলে ভেসে যাওয়া নয় এবং আমি সঠিক বলে গোঁয়ার্তুমি নয়, বরং প্রকৃত ধর্ম নিজের ভিতরে তখনি প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন করণীয় এবং বর্জনীয় সম্পর্কে এবং সমগ্র মানুষের মূল্যায়ণ সম্পর্কে আমাদের পূর্ণ মনোযোগ এবং প্রচেষ্টা থাকবে- পোস্টের এই কথার সাথে সম্পূর্ণ সহমত আবারো।

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ভাই।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

মনটা খারাপ হয়ে যায় চারপাশে তাকালে, নিজের কারনেও খারাপ হয়। লিসানি ভাই অনেক ভেবে চিনতে দেখলাম আসলে সমাজে এখন সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা হল, ৃণার ব্যাবসা। ৃণার ব্যাবসা করতে পারলেই আপনি লালে-লাল ...............। আপনার সাথে কথা বলে ভালো লাগল ! ভালো থাকুন। আর ধ্যন শিখতে চাই, করতে চাই, কোন উপায়?? এম্পি থ্রি অডিও পাওয়া যায় কি ?? কোন ইন্সট্রাশন বা কোন কিছুর জন্য ?

আল্লাহ আমাদের ইমানের পুর্নাংগ তা দিন (আমিন)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: এই মুহুর্তে পড়তে পারবো না। ব্যাস্ত!! মন যোগ দিতে পারবো না, তাই ওডিওর কথা জিজ্ঞাসা করলাম !!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আসসালামুয়ালাইকুম !!

৩৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


//কেউ কেউ মনে করছেন অত্যাচারী হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাবেন, কেউ কেউ মনে করছেন মূর্খ মহিলা খালেদাকে ক্ষমতায় আসতে দিবেন না, এগুলো করে নিজেদের মধ্যে বিভেধ সৃষ্টি করে লাভ নাই। আর উনাদেরো কোন দোষ নাই, উনারা শুধুই আমাদেরই বিগার-বেটার রিপ্রজেন্টেশন মাত্র।//


শানিত যুক্তি! পরিচ্ছন্ন একটি লেখা। ভালো লাগলো :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

মইনুল ভাই, আপনার মন্তব্যপেয়ে দারুণ লাগছে!! অনেক অনেক ধন্যবাদ!

আসসালামুয়ালাইকুম !! :) :)

৩৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

ফা হিম বলেছেন: বিশ্লেষণ ভালো হয়েছে। কারো অন্ধ অনুসরণ নয়, নিজের চিন্তা থেকেই নির্মোহভাবে লিখে গেছেন। ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
আসলে অন্ধ অনুসরনটাইতো সমস্যা !!! নিজের বিবেচনা খাটানো জরুরী, আবার নিজের বিবেচনা যেন ঠিক হয় তার জন্য পড়ালেখা করা আরো জরুরী!! মুসলমানদের এই সব করার টাইম কৈ? আজকালতো তাঁরা নিজের কান খোঁজার জন্য চিলের পিছনে ছুটছেন .........!!!

ধন্যবাদ ফাহিম ভাই। আসসালামুয়ালাইকুম !

৩৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই কোয়ান্টামের ধ্যানগুলো ভাল। বিনা দ্বিধায় করবেন। এই ধ্যানগুলোতে সাবধানতার কিছু নেই।

কিছু ধ্যান আছে, যেগুলোতে কুফর ও শিরক থেকে যায়, যেমন দীপক চোপড়ার ধ্যান। তিনি শিরকের পর্যায়ে কিছু কথা ধ্যানে বলেন। তাই তাঁর ধ্যানগুলো অ্যাভয়েড করেছি।

কোয়ান্টামের লোকটা ধার্মিক। কিন্তু তিনি যে ফিক্বাহ্ ভাল জানবেন তা কিন্তু না। তার পরও, ভুল পাচ্ছি না ধ্যান বা এর সাথে প্রচলিত কথাগুলোয়। তাঁর কাছ থেকে কুরআন হাদীস গ্রহণ না করলেই আমার দৃষ্টিতে ভাল।

তাঁর উপর মন খারাপ হয়েছে কুরআন ইসুতে। বেচারার উচিত ছিল আরো ভাল করে ফিক্বাহ জানা। ফিক্বাহ না জানলে, বিস্তৃত হাদীস না জানলে, কুরআন-হাদীস ও ফিক্বাহ্'র পারস্পরিক সংযোগ না জানলে অন্তত পূর্বতন কোন তাবিয়িকে ইমাম তো মানতে হবে, তাহলে আর ভুল হতো না।

আসলেই বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই। ধ্যান কিছুই না, শুধু আপনাকে অনেক বেশি গুছিয়ে আনবে। অনেকটা পেনিসিলিনের মত, বরং পেনিসিলিন থেকেও বহুগুণ নিরাপদ এবং বহুগুণ কার্যকর। এর লাভ তখনি কমবে, যখন আমরা কোর্স কমপ্লিট না করছি (ঠিকমত ধ্যান না করছি) অথবা বেশি ডোজ নিচ্ছি।

http://quantummethod.org.bd/

এখানে দোয়ার মেডিটেশনটা আপনার খুবই পছন্দ হবে। আগামী চল্লিশ দিন আমারও দোয়ার মেডিটেশন করার রুটিন। আর প্রকৃতির মেডিটেশনটা করে সাঙ্ঘাতিক উপলব্ধি পাবেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
ধন্যবাদ লিসানি ভাই, আমি আজ রিলাক্সেসন লং টা করলাম ভালোই লাগল তবে আধা ঘন্টা লাগে :( :( :(

আমি জিবনে প্রথম এই রকম কিছু করলাম। শরির থেকে বের হয়ে শরির দেখতে ভালোই লাগে। আমার মনে হয় আপাতত এটাই করা উচিৎ হবে, নাকি বলেন ? :!> :!>

ভালো লেগেছে , মন বাড়িটা ঠিক মত বানাতে হবে , ভাবছি আলাস্কায় একটা লেকের পারে বানাবো :P :P

নিজেকে বালু বানিয়ে উড়াতে পারি নাই, ঐখানে এটু ঝামেলা হয়েছে!!

৩৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

এস বাসার বলেছেন: চমৎকার লেখা। ভিন্নভাবে ভাবার সুযোগ করে দিল আপনার লেখা।

ধন্যবাদ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
বাসার ভাই ধন্যবাদ !! আসলে আমার কাজ চিন্তা করানো, কাউকে কিছু বুঝাতে ভালো লাগে না। ভাবনা তৈরি হলেই পড়বে, পড়লেই জানবে, জানলেই ভ্রান্তি দূর হবে। মুসলমানরা এখন দুনিয়ের অন্য সবার মতই সব কিছু রেডিমেট চায় , তাইতো এত সমস্যা, এত ভ্রান্তি। আর আল্লাহের কাছেতো নিজের জবাব নিজেরই দিতে হবে,তাই কে নিজে কি ভাবে তাই জরুরী। আল্লাহ আমাদের সুন্দর করে ভাববার সুযোগ দিন। (আমিন)

৩৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: বালু বানিয়ে উড়িয়ে দিতে আমার আজো একটু একটু ঝামেলা হয়। মাঝে মাঝে পারিও না, না পারলেও কোনক্রমে উড়িয়ে দেই। আবার যখন পারি তখন অসাধারণ লাগে। :) যেমন আমি মিউজিকের রঙ আজো দেখি না। মিউজিক যে মন থেকে উঠে গেছে! বরং মিউজিকটাকে ঢেউয়ে রূপান্তরিত করে সেটায় ভেসে শুভতায় যাই।

পুরো বিষয়টাকে 'পারফর্ম্যান্স কনশাস' মুক্ত রাখতে বলা হয় সব ধরনের মেডিটেশনেই। এই কারণে যা ঠিকমত পারি না তা নিয়ে মোটেও ভাবি না, অথচ প্রতিবার খুবই সাধারণভাবে করে যাই- এটাই চাবিকাঠি।

আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, কোয়ান্টাম ১৫ বা ২০ মিনিটের ধ্যানও রাখতে পারতো। কিন্তু মনোদৈহিক দিক দিয়ে প্রায় তিন হাজার বছর ধরে একটা কথা প্রচলিত আছে, বিভিন্ন সভ্যতায়, ২২-২৪ মিনিটের নিচের ধ্যান ধ্যান নয়। অবশ্য সিলভা পনেরো মিনিটেরটা করায় বলে জানি। কিন্তু সিলভায় সমস্যা অন্যত্র- এটা রোজিক্রশিয়ান ধারা থেকে এসেছে। আমি সাপকেও বিশ্বাস করতে রাজি আছি, রোজিক্রশিয়ান ধারাকে নয়। কারণ এই ধারাই খিলাফাত ধ্বংস করেছিল, কামাল আতাতুর্ক এই ধারার একজন মধ্যম সারির নমুনা!

আর সব মেডি আধঘন্টা হবার কারণ খুবই শক্তিশালী। শরীর ও মনকে একইভাবে কন্ডিশন করা খুবই জরুরি। আধঘন্টার মেডি খুবই জরুরি এইকারণে।

মাঝেমধ্যে করলেও মাঝেমধ্যে লাভটা আসবে। ধীরে হলেও আসবে।

হ্যা, তাতো অবশ্যই। লঙ রিল্যাক্সটাই সকল মেডিটেশনের মাতা- যদিও একেক ধারায় একেকভাবে করা হয়। আর শুরুতে এটা মাস দেড়েক একাদিক্রমে করলে শরীর মন দারুণ টিউন হবে। একাদিক্রমে করতে থাকা প্রয়োজন। তাতে মন ও শরীর সাঙ্ঘাতিকভাবে টিউন হবে।

আমার আলফা স্টেশনে কোন যান নেই। ওটা স্রেফ জঙ্গলের মাঝে থাকা দারুণ একটা কন্টেইনার। মনের বাড়িটা আমি বানিয়েছি দুই জায়গায়। আমি শূণ্যের পর রাসূল দ.'র রওজায় গিয়ে সালাম জানিয়ে তারপর যে কোন একটা বাড়িতে চলে যাই- যদিও দুই বাড়ি খুবই বাজে বিষয়, কিন্তু কাউকে বলিনি তো, আমার মোটামুটি চলছে। একটা সেইন্টমার্টিনের দক্ষিণপাড়ায়, আরেকটা ক্ষুদ্র এক দ্বীপে। তবে মনে হয় ক্ষুদ্র দ্বীপেরটা থাকবে না, ওটায় ফ্যান্টাসি এবং বিলাস বেশি। পোষা ডলফিনের পিঠে একটু ঘুরি। শেষ পর্যন্ত সেইন্ট মার্টিনেরটাই ভাল। পোষা ডলফিনগুলোকে সেন্টমার্টিনে নিয়ে ওই বাড়ি ছেড়ে দিব হাহাহা। বাস্তব যেখানে বাড়ি বানিয়েছি সেখানে আমার এক পাতানো ধর্মভাই থাকে। অন্যের জমির কেয়ারটেকার। বেড়ার বাড়ি। তার বাড়িটাই আমার মনের বাড়ি। তাঁবুতে বাড়ি বানিয়েছি। দরবার কক্ষ, কমান্ড সেন্টার, হিলিং সেন্টার এর বাইরে বাকি রুমগুলো আমার আজো প্রয়োজন পড়ে না।

মনের বাড়িটা ধীরে ধীরে শেইপ দিন, কিন্তু একটাই রাখুন। ধীরে ধীরে অন্যান্য ঘরগুলো তৈরি হবে। আলাস্কায় বানালে দারুণ হবে, শুধু সেখানে গ্রীষ্মটাও রাখলে ভাল। :)। আমার মনের বাড়িতে (এবং অনেকের) কোন রাত সন্ধ্যা ও সকাল নেই, সবসময় মৃদু আলোর দিন। তাপমাত্রারও হেরফের নেই। মাঝে মাঝে বৃষ্টি।

আমি মেডিটেশন নিয়ে আছি মহা ফ্যাসাদে। আমাকে পাঁচের মধ্যে তিনবেলা নামাজের পর ওয়াজিফা করতে হয় বাধ্যতামূলক (অ-কোয়ান্টাম)। সেখানে সময় যায়। এর বাইরে দুইটা মেডিটেশন মানে দৈনিক হিসাবে খুবই লম্বা বিষয়। তবু কিছুতেই তা কমানোর উপায় নেই। আমি বরং একটা কাজ করতে যাচ্ছি, দুই বেলার ওয়াজিফাও দুটা মেডিতে ইনক্লুড করে দিয়ে ভয়েস ছাড়া মেডি করব। তাতে সময় কিছুটা বাঁচবে। ফজর আর এশা।

পুরো বিষয়টাকে খুবই হালকাভাবে কিন্তু নিয়মিত নিলেই কাজ হবে আরো ভাল। আমি এই বিষয়টা অনেক ধীরে হলেও উপলব্ধি করেছি, পুরো বিষয়টাই হল নিজের মনকে আনন্দের সাথে মুক্ত করার এবং একটা নিয়ে লেগে থাকার।



২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


তাহলেতো আল্লাহের রহমতে আমি মুটা মুটি ট্রেকেই আছি। :) কামাল আতা তুর্ক সম্পর্কে আমি খুবই কম জানি বাট যতটুকু জানি তাতেই তাকে প্রচন্ড অপছন্দ করি!! X( আপনার ওজিফা সম্পর্কে কৌতুহল বোধ করছি, জানালে চেষ্টা করতে চাই। :) :) আপনার আর ভাতিজার কুরয়ান লার্নিং আল্লাহ সহজ করে দিন। আপনার আর ভাতিজার জন্য সালাম। আপনার পূর্ন পরিবারের জন্যই সালাম। :) :)

মেডি নিয়ে আমার গত তিন দিনের অভিজ্ঞতায় আমি হতাশ নই।

ব্যাপারটা সাইন্টিফিক মনে হল। এজন্য খুবই ভালো লেগেছে। !:#P !:#P !:#P প্রথমের দিকে শ্বাস-প্রশ্বাস এর সাথে কোন কোন অঙ্গের টিংগলিং বিজ্ঞান দিয়ে এক্সপ্লেইনেবল। কিন্তু যারা জানেন না তাদের কাছে ব্যাপারটা চমকপ্রদ। এই চমকটা মটিভেশন হতে পারে কারো কারো জন্য, এটা ভালো। আমার কাছে পুরা ব্যাপারটা বিজ্ঞান মনে হয়েছে। বাট পুরা বৈজ্ঞানিক ভাবে শরীরের বাইরে জেতে পারা, পুরা পুরি কনশাসলি কনশাসনেসের বাইরে জেতে পারা ব্যাপারটা আমার ভালো লেগেছে। আসলেই যখন শরিরকে আর অনুভব করতে পারি না তখন খুব ভালো লাগে। টুংটাং শব্দ গুলা আমার চোখে সাদা কালো আবার কখনো বেগুনী লাল ইত্যাদি রঙ তৈরি করে। আসলে আমাদের ব্রেইন শব্দেরও ছবি তৈরি করতে পারে-এবং তাই করে। কিন্তু বাস্তবে আমরা তা বুঝতে পাই না, (দেখতে) পাই না। প্রোবাবলি ঐ রকম ঐচ্ছিক চেতনার পরিবর্তনে সাব-কনশাস ব্রেইনের অনেক কাজ ধরা পড়ে। :) :) আমি অবশ্য মন বাড়ি রঙ্গিন দেখেছি। কারন আমার বাড়ি ছিল হলিঊডের সেট :P :P , প্রথম দিন দুইবার করে ছিলাম কৌতুহল বসত, কোন ঝামেলা হয় নাই, দ্বিতীয় দিন বিশাল এক ঝামেলা হইল!!! সে্নড্রা-বুলক ঐ বাড়িতে স্বল্প বসনা হয়ে ঘুরা ঘুরি করছিল, এমন সময়ই গুরুজি বলে উঠলেন সামনে এবং বাড়ির আসে পাশে যা কিছু আছে তা ভালো করে হাত দিয়ে ধরে দেখতে!!!! বিশাল ঝামেলায় পড়লাম!!! :D :(( বুঝতে ছিলাম না :!> :!> :!> বুঝলাম সাব-কনশাস মাইন্ড আমার জাঙ্ক দিয়ে ভরা। :| :| , আর প্রথম দিন প্রথম বার যখন করছিলাম, আমি আশাই করি নাই মন বাড়ি বলতে একটা কিছু আছে , আমার নিজের বাড়ি আমার এত প্রিয় জায়গা যে আমি এর থেকে বের হতে পারছিলাম না, প্রথমে নিজের ঘর থেকে বের হলাম, অন্য ঘরে গেলাম, পড়ে অবশ্য বাড়ি থেকেই বের হলাম, দেখলাম কেমন যেন ধূসর একটা জঙ্গল!!! :( :( ৃতীয় দিন করার সময় মিউজিকের যায়গায় কুরয়ানের কিছু মুখস্ত আয়াত মনে মনে তেলোয়াত করার চেষ্টা করছিলাম, সফল হই নি!! :( :( :( মনবাড়িটা আলাস্কাতেই বানাবো, আর রেডি মেট বাড়িটা বাদ দিব। ইনশাল্লাহ, আস্তে আস্তে বানাবো।

am i moving too fast ?

ভাই আমি সব দিনই আলোতে বসে করেছি, এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আলোতে করলে ভালো হবে নাকি অন্ধকারে? আপনার ওজিফা কৌতুহল আর আমার মেডি নেয়ে ভুল ভ্রান্তিতে কিছু মনে করবেন না!! আপনার অভিজ্ঞতা আর উপদেশের অপেক্ষায় থাকব। আর সেন্ট-মার্টিনে আপনার প্রতিবেশী হবার ইচ্ছা আছে আমার। ঐ দ্বীপের মালিক হীন কুকুর গুলা না থাকলে অবশ্য খুব ভালো হত। ছেড়া দ্বীপও দারুণ।


আসসালামুয়ালাইকুম।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
আমার মনের জগতে আমার অতি প্রিয় অতি আপন জন, কিন্তু তার ইন্তেকাল হয়ে গেছে এমন কাউকে রাখলে সমস্যা আছে কি ?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
মনের জগতে একটু বিলাসিতা করলে কি , ফল রূপে ভ্রান্ত হবার সম্ভাবনা আছে ? যদি না থাকে তাহলে সেই রকমের বিলাসিতা করব। :P :P :P

৪০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৭

ডট কম ০০৯ বলেছেন: জোর কইরা মুসলমান কে ইয়াহুদির সাথে মিলাইতে চাইছেন বইলা মনে হইতাছে।

আচ্ছা একটা প্রশ্ন ইয়াহুদীদের সাথে আমাগো মিল পাইলেন এইবার অমিল গুলা কন দেহি! তাইলে বুঝুম আপনে এক পক্ষীয় কথা কন নাই।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
হুদাই .........!!! কৈ থেকা *****@@@!!! আগে **** তার পরে #### !!! =p~ =p~ =p~

৪১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাই।

তাহলে শব্দের রঙ দেখতে পারার প্র্যাক্টিসটা জরুরি! নতুন অ্যাফোর্ট দিচ্ছি তাহলে। প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট লেখক আহসান হাবীবের সাথে কিছুটা ঘনিষ্ঠতা ছিল এক সময়। তিনি ফোন ধরেই প্রথম কন্ঠ শুনেই যে কারো নাম বলে ফেলতেন। কোনদিন ভুল হতো না। এমনকি বহু বছর পরও না। পরে জানতে পারি হুমায়ূণ আহমেদের লেখায় যে, আহসান হাবীব প্রতিটা শব্দের রঙ এবং আলাদা আলাদা শেইপ দেখতে পান।

আসলে ওকে অনেকটা প্রজেক্টের মত নিয়েছি। শুনলাম অনেকেই নানাভাবে এই ধরনের বড় কাজে সফলতা পায়, আশা তো আল্লাহর উপর করব, ভয়ের কী! এই হল ভরসার জায়গাটা ভাই। নিজের জন্যও করছি অবশ্য... তাঁর গ্রন্থটাকে ভিতরে নিতে পারলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাবে। আপনার পরিবারের জন্যও অন্তরের অন্তস্থল থেকে সব ধরনের শুভকামনা রইল ভাই। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দ.'র নিকটজনের মধ্যে আমরাও যেন শামিল হতে পারি।

অজিফাটা আমাদের শাইখ উত তরিক্বতের। ভোরবেলা নামাজের পর একশো বার আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদ ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম। দুইশো বার করে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু। মাগরিবের পর শুধু দরুদ একশো বার। তার আগে ছয় রাকাত সালাতুল আওয়াবিন, প্রতি রাকাতে সূরার জায়গায় তিনবার করে সূরা ইখলাস। ইশার পর ওই তিন যিকর দুইশো বার করে। যুহর আসরের পর ওজিফা নেই, কারণ মানুষ তখন প্রফেশনাল কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

বাইআতবদ্ধ হওয়াতে এই অজিফা আমাদের জন্য ফরজের পরই অবশ্যকর্তব্য। ১৯ বছরে আজো এই প্রথম স্তরের অজিফা শেষ করতে পারিনি। অবশ্য এখানে শেষ করা বলতে কিছু নেই। চালিয়ে যাওয়াই সব। তবু, মিস না দিয়ে দীর্ঘ সময় করতে থাকলে তাঁর কাছে বলে পরের স্তরেরটা নেয়ার অনুরোধ করা যায়। তিনি দ্বিতীয় স্তরে ১১ অজিফা দেন। তৃতীয় স্তরে দেন মেডিটেশন। সেই তৃতীয় স্তর এই জীবনে পেলে অনেক খুশি হব হাহাহা। চতুর্থ স্তরে বা পরেও কিছু আছে, কিন্তু সেটা কী তা ১৯ বছরে জানতেও পারিনি।

আমার কোন শাইখ না থাকলে আমার একমাত্র ওয়াজিফা হতো দরুদ শরীফ। কেননা তা আল্লাহর যিকরও। আল্লাহ শব্দ ছাড়া এবং তার মহত্ত্ব ছাড়া কোন দরুদ তো নেই। ওইযে সহীহ হাদিসটা, তুমি যদি আরো দরুদ রাখতে তবে আরো ভাল হতো। এভাবে শেষ পর্যন্ত ওই সাহাবী রা. ঠিক করলেন, তিনি শুধু দরুদ শরীফ পড়বেন। রাসূল দ. বললেন, তাহলে এটা সবচে ভাল হবে। আর দরুদ শরীফের ক্ষেত্রে রাসূল দ., তাঁর বংশধারা এবং তাঁর সাহাবা রা. গণকে জড়িয়ে দরুদ পড়াটাই সবচে ভাল। বিশেষ করে বংশধারা বাদ দেয়ার সুযোগ তো নেই (ওয়া আলা আলী মুহাম্মাদ অংশ)। ওয়াজিফা বা যিকর হল সেলফ কন্ডিশনিংয়ের একটা অসাধারণ লেভেল।

মনের বাড়ি রঙিন হবে তো অবশ্যই :) । সাবকনশাসকে পরিচ্ছন্ন করা মেডিটেশনের অন্যতম প্রাইমারি লক্ষ্য ভাই।

মেডিটেশন আলোতে অথবা হালকা আলোতে করা একেবারে আবশ্যক, যে পর্যন্ত আমরা মেডিটেশনে অতি দক্ষ না হচ্ছি (পরবর্তী স্তর এ না যাচ্ছি)। কারণ অন্ধকার আমাদের মনের উপর প্রভাব ফেলে।

আমার মনের বাড়িতে সেন্টমার্টিনের ছাড়া কুকুরগুলো নেই, এমনকি শুধু দখিনপাড়া ছাড়া আর কোন পাড়াও নেই, বাড়িও নেই। চট্টগ্রাম থেকে ধার করে একটা পাহাড় আর ঝর্ণা নিয়ে এসে সেটাকে তাঁবু-বাড়ির বাইরে দিয়ে প্রবাহিত করে দিয়েছি। বাগান বলতে সেখানকার প্রাকৃতিক গাছগুলো শুধু। কেন যেন সেখানে আমি ছাড়া কোন প্রাণী নেই, শুধু কমান্ড সেন্টারে গুরু থাকেন যখন যাই (এখানে আমার গুরু তো অবশ্যই আমার শাইখ, যেহেতু আমার শাইখ আছেন।) কোন প্রাণী না থাকাটা পুষিয়ে যায়, কারণ কমান্ড সেন্টারে আমি তাঁকে পাই, এবং যতবার কমান্ড সেন্টারে যাই ততবার অন্তত ৪ টা হিলিং (+দোয়া, শুভকামনা) করি, অন্তত চারজনের।

নিয়মিত মেডিটেশনের 'ইন্টারফেসে' পৃথিবীতে পার্থিবভাবে নেই, এমন কোন মানুষকে/বিষয়কে রাখাটা ঠিক না হবার কথা। তাহলে মেডিটেশনটা বাস্তবতার বদলে পরাবাস্তবতায় পর্যবসিত হয়। আর মন তো বাস্তবতার অনুগ।

তবে আপনি মনের বাড়িতে একটা ঘর/বাগান/অঞ্চল করে নিন, যেখানে গিয়ে চাইলে তাঁর/তাঁদের উপস্থিতি পাবেন। মেডিটেশনে মৃতদের সাথে সত্যি যোগাযোগ স্থাপিত হয়, যেহেতু তাঁদের আত্মা এই পৃথিবীতে না থেকেও এই পৃথিবীর সাথে সম্পূর্ণ যুক্ত। আর যোগাযোগটা একতরফা (নিজের ইমাজিনেশন মাত্র) হলেও কোন সমস্যা নেই। এতেও আপনজনের সঙ্গ পাবার অনুভূতি সম্পূর্ণ হয়। মেডিটেশনের কোর্সগুলোতে একটা সেশনই থাকে, পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া আপনজনের সাথে কথোপকথনের, ক্ষমা চাইবার, তাদের জন্য দোয়া করার। মানুষ ওই সেশনগুলোতে প্রকাশ্যে কাঁদতে থাকে এবং কাঁদতে কাঁদতে বেরোয়। মেডিটেশনে যা একটা ব্যতিক্রম।

[স্বয়ং কোন নবী-রাসূল স্তরের কাউকে প্রত্যাশা করতে নিষেধ করা হয়, অনেকটা এ কারণে যে, তাঁদের স্তরটা সৃষ্টিতে সর্ব্বোচ্চ। তাঁদের অবয়ব ইমাজিন করাটা আদবের ক্ষেত্রে খুবই খারাপ কারণ, হয়ত তাঁদের অবয়ব ভুল ইমাজিন করা হতে পারে। তাই তাঁদের উপস্থিতি অবয়বে প্রত্যাশা না করে বরং অনবয়বে প্রত্যাশা করা যেতে পারে, যেমন আমি মসজিদে নববীতে বর্তমানের স্ট্রাকচারে গিয়ে বর্তমান মানুষ যেভাবে সালাম জানায়, সেভাবেই বিনীতভাবে কয়েক সেকেন্ড থেকে চলে আসি। বিষয়টা অনেকটা হজ্বে বা জিয়ারতে যাবার মত। শুধু অনুভব করি, তিনি শুনছেন ও হয়ত জবাবও দিচ্ছেন (জবাবটাও কখনো শুনিনি)। অবশ্য কমান্ড সেন্টারে 'তাঁর' (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিতি কয়েকবার টের পেয়েছি এবং কখনো চোখ তুলিনি। অনেক বেশি দক্ষ এবং খুবই আবিদ+সালিহ ধরণের আব্দুল্লাহরা অতীতে রাসূল দ.'র ধ্যান করেছেন এবং তাঁকে বহু বহুবার পেয়েছেন, সেটা খুবই দূরের স্তর। ]

যে বিলাসিতাটা আপনার সচেতন মন সঠিক মনে করে, সেটা করতে পারবেন। যেটা সচেতন মন সঠিক মনে করে না, সেটা করা যাবে না। অধিকাংশ মহাধ্যানীর মনের বাড়ি হয় খুবই ছিমছাম এবং খুবই স্বল্পবিলাসের। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত চয়েস, কারণ সচেতন মনে হালাল বিলাসকেও তাঁরা চান না। আমার দ্বতীয় মনের বাড়িটা সুট করছে না ওটার বিলাসিতার অতি-বাহারের কারণেই। তবে সুন্দর এবং অসাধারণ যে হতে পারবে না তা কিন্তু নয়। আমার তাঁবুর ভিতরও প্রচুর গাছ, লতানো গাছের ওয়াল, কাঠের কারুকার্যের সুষমা এবং হিডেন আলোর উৎস আর শীতাতপের ব্যবস্থা আছে। আমারটায় কোনই মেশিন নেই। এমনকি কমান্ড সেন্টারেও নেই, হিলিং সেন্টারেও নেই।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

অনেক কিছু জানলাম, অনেক কিছু শিখলাম, জানিনা আত্নস্থ কবে হবে?!!! আসলে সাব-কনসাস জাঙ্ক গুলো পরিষ্কার হলে ভালো হত :( :( :( , আল্লাহ আমায় সাহায্য করুন। ব্যাস্ততার কারনে আমার মেডি চর্চা অঙ্কুরেই বিঘ্নিত হয়েছে, কিন্তু আমি আবার শুরু করব ইনশাল্লাহ!! আসলে বিলাসিতার আকাঙ্খাই একটা বড় ভ্রান্তি, আর অনেক পাপের আকর!! আর আমার মনে হয় শব্দের সেইপ দেখা বা রঙ দেখার অযোচিত চেষ্টার দরকার নাই। সবারটা এক রকম হবে না। কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, যে আপনি সাব-কনসাসলি কখনো কখনো শব্দের রঙ দেখেন কখনো কখনো সেইপ দেখেন। লিসানি ভাই, সাব-কনসাস মাইন্ড এর ইনপুট আমাদের কনসাস সব সেন্সেস, আবার কনসাস সব রি-একশনের একটিভ মডুলেটর হল আমাদের সাব-কনসাস মাইন্ড। আল্লাহের এই দুই নেয়ামতের সম্পর্কের মধ্যে কোন স্ট্রেস না করাই ভালো। অনেক হ্যাজার্দের সম্ভাবনা থাকে। বড় ভাই কে ছোট ভাই যা জানে তা জানালো , এর বেশী কিছু না, লিসানি ভাই।

ভাই আপনার সাথে পরে এই নিয়ে বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনেক কথা হবে আশা করি।

আসসালামুআলাইকুম!

ঈদ মুবারাক।

৪২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @লিসানী ভাই... হু হু সব জেনে গেলাম ;)

অনেক অনেক ধন্যবাদ অজিফাটা শৈয়ার করায়। আগ্রহী অনেকে এর পালন করলে উপকৃত হবে। এবং আপনি তার পুরস্তার পেতে থাকবেন-অথচ তার কোন কমতি হবে না।

মুর্শিদের কাছে আপনার আরজি পৌছে দেয়া হয়েছে।

আপনাদের ফাঁকে নিজের একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা শেয়ারের লোভ হচ্ছে ;)
বলেই ফেলি:

তখন নাটকের কর্মশালার শেষ দিক। মেডিটেশনের সেশন হচ্ছে। সবাইকে শুইয়ে দিলেন। টিচার কমান্ড দিচ্ছেন। কার কি হচ্ছিল জানিনা.. আমিতো দেহ থেকে পৃথক হলাম। পাখি হতে বললেন পাখি হয়ে উড়ছি.. উনি সোজা উপরে উঠাচ্ছেন... প্রথ ছাদে বাধা পেলাম.. পরে জানাল গলিযে বেরিয়ে গেলাম।

উড়ছি.. ভাসছি.. মজা করছি..

বিদায়ের কমান্ড দিলেন .. মনটা বিষন্ন..

উনি নামাতে শূরু করলেন। সাই সাই করে নামছি.. ভর, ভার জ্যমিতিক হারে বাড়ছে.. সীসার চেয়ে ভারী হয়ে যাচ্ছি.. কিন্তু উনি কোন প‌্যারাসুট বা কোন বিকল্প কিছু বলছেন না। গতি কমাতে কোন কমান্ডই দিচ্ছিলেন না..

অত:পর... ধপাস...

প্রচন্ড শব্দ, ব্যাথা.....
ছাদটা ভেঙ্গে গেছে স্পষ্ট দেখলাম.. রড, ইট বেরিয়ে আছে.....
ফাকা দিয়ে ধীরে ধীরে নেমে আসলাম...

মূল্যায়ন পর্বে.. স্যারকে শুধু বল্লাম- উঠাতে আটকালেও সমস্যা হয়নি.. কিন্তু নামতে গিয়ে স্যার....

উনি চট করে জিভ কামড়ে.. বুকে টেনে নিলেন.. সরি বলতে লাগলেন বারবার....

কি আর করা ব্যাথাতো যা পাবার পেয়েই গেছি.. ইটস ওকে স্যার বলে চলে আসি!!!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ভয়ানক অভিজ্ঞতা !!! :|| :|| :|| :||

আসসালামুয়ালাইকুম , ভাই

ঈদ মুবারাক !!!

৪৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০৭

এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ঈদ মুবারাক !! আসসালামুয়ালাইকুম !!

৪৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০১

খেলাঘর বলেছেন: যে কোন "তত্ব বা বাদ" বুঝতে হলে আধুনিক অর্থনীতি, পলিটিক্যাল ইকোনমি, রাজনীতি ও অংক বুঝতে হবে।

পাথরের যুগের কিছু বুঝতে বা বিশ্লষণ করতে আধুনিক বিদ্যার দরকার নেই!

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

রাজনীতি ,অর্থনীতি, অর্থনৈতিক রাজনীতি কতটুকু বুঝি এ নিয়ে আমার নিজেরই কনফিউশন আছে। অংকটা দারুন বুঝি। তাই "মা" কে যখন বুঝি আস্তে আস্তে সব বুঝে নিব, ইনশাল্লাহ!!

আর ভাই আপনি যে কত বড় জ্ঞানী তা আপনার এই মন্তব্যতেও বুঝা যায় =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ পাথরের যুগের কিছু বুঝতে বা বিশ্লষণ করতে আধুনিক বিদ্যার দরকার নেই! =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আপনার মত কিছু লোক মুক্তিযুদ্ধ করে ছিল জাষ্ট দেশটাকে লুটার জন্য। আপনাদের মত লোকের জন্য আজ এই দেশেরই সন্তানেরা মহান নির্লোভ মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও উপহাশ করার সাহস পায়। আপনারো লতিফ মিয়ার মত ভাগ বটয়ারাতে সমস্যা, তাই না??

৪৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪১

খেলাঘর বলেছেন:

সিরিয়া ও ইরাকের সব স্হাপনা ভেংগে মাটির সাথে মিশায়ে দিচ্ছে; ওখানে কোন তত্ব কাজ করছে?

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

লেখাটা আবার মনযোগ দিয়ে পড়েন!! হুদাই.........।

৪৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

এম এম হোসাইন বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ধন্যবাদ!! আসসালামুয়ালাইকুম !

৪৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

ভাইটামিন বদি বলেছেন: বেশ ভাল বিশ্লেশন করেছেন......আরো আশা করছি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ধন্যবাদ !!

৪৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খেলাঘর বলেছেন:


সব 'বাদ' এর মা হচ্ছে অর্থনীতি

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

কেমন আছেন ?

সবার তাই ধারনা !!

৪৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩

িনয়ামুল কারীম মানসুর বলেছেন: পুরোপুরি একমত।একটা প্রশ্ন, আমেরিকা যখন ইরাকে হামলা করবে,ইজ্রায়েল যখন ফিলিস্তিনে হামলা করবে,আমরা তখন কি করবো? মৌলবাদ ধ্বংসের জন্য স্বাগত জানাবো?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ইসলাম কি বলে? কি করা উচিৎ? ইসলাম যা শিখায় তাই করব। এবং তা সব ক্ষেত্রেই ! :) :)

৫০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

মাসূদ রানা বলেছেন: পুরোটা পড়তে পারি নি ........... তবে যতটুকু পড়েছি,অসাধারন লেগেছে :)

কোথা থেকে কোন ওসামা বিন লাদেন আসে, কোথা থেকে কোন আবু বকর আল বাগদাদী আসে, কোথা থেকে কোন বাঙ্গলা ভাই আসে আর তাদের দুই একটা যৌক্তিক কথায় আমাদের ব্রেইন ওয়াশ হয়ে যায়, আর আমরা যুদ্ধ শুরু করে দেই। তাদের মুখের দুই একটা যৌক্তিক কথা কুরয়ানের আদেশ গুলার চেয়ে মহান????!!!!

সম্পুর্নভাবে সহমত ............প্রকৃতপক্ষে মুসলিম বিশ্বে ফিতনাহ্‌ এর সুত্রপাতই হয়েছে ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে ৯/১১ এর মধ্য দিয়ে আমার বিশ্বাস ........ আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন .............

আপনাকে ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর লেখাটির জন্য ........... প্রিয়তে রাখলাম :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: না রে ভাই ফিতনার শুরুতো অনেক আগেই !! আশা করি সময় নিয়ে পড়বেন। অন্যকেও পরাবেন।

আসসালামুয়ালাইকুম !!

৫১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিদ্যা শেষ?

আর পোস্ট বের হচ্ছে না?

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

অনেকটা ঐ রকমই, কিছু একটার অভাবতো নিশ্চিত!! তবে মনটা লেখবো লেখবো করছে কয়েকদিন ধরেই!! কিন্তু ঐ যে ঐ জিনিশটার অভাব......

বাছা, ভালো লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষাতো করতেই হবে =p~ =p~ =p~ =p~

৫২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২০

যাযাবরমন বলেছেন: খুব ভলো লিখেছেন।
সূরা নূরের ৩১/৩০ আপনি যেভাবে লিখেছেন তা পুরোপুরি ঠিক নয়। আয়াত ২ টি আগে পরে নয়, বরং একসাথেই নির্বাহ হবে।
মুল যে ভুলটা করেছেন তা হচ্ছে, আপনি কোরআন/ইসলাম ধর্মে ইন্ডিভিজুয়াল ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করেছেন, আসলে পুরো মানব সমাজের উপর প্রয়োগ করতে হবে। কোরআন/ইসলাম ধর্মে ইন্ডিভিজুয়াল ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করলে এরকম খাপছারা বিভিন্ন পরস্পর বিরোধী সিদ্ধান্ত পাবেন। কিন্তু যখন কোন মানব সমাজের উপর সমষ্টিগত ভাবে প্রয়োগ করবেন দেখবেন সমাজের সকল সমস্বা দুর হয়ে গেছে।
এই লিংক দেখতে পারেন-
ইসলাম ধর্ম, নেতা, সংগঠনের গুরুত্ব।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ভাই, আসসালামুয়ালাইকুম, ভালো আছেন আশাকরি।

আমি ঠিক বুঝি নাই আপনি কি বলতে চেয়েছেন!! একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হত। আপনার লিংক সময় করে পড়ব ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ।

৫৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭

যাযাবরমন বলেছেন: আপনার আর লিসান ভইয়ের মেডিটেশনের আলোচনা পড়লাম, ভাল লাগলো।
বালু হওয়ার কথায় মনে পরলো, ইমাম গাজ্জালী র: লিখেছেন- "কল্পনায় দেহকে অস্তিত্বহীন করতে পারলে নিজের যা অবশেষ থাকে তাই আত্মা"।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫২

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

"কল্পনায় দেহকে অস্তিত্বহীন করতে পারলে নিজের যা অবশেষ থাকে তাই আত্মা"

মনে থাকবে। মেডিটেশন একে বারে অফিসিয়ালি শিখে করতে চাই, কিন্তু গাফলতি...............। :( :( :(

৫৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

যাযাবরমন বলেছেন: বিষয়টা আমি শিখেছি অজিমভের "ফাউন্ডেশন" বইটি থেকে। সেখানে এমন ১টা গানিতিক তত্ত্ব বলা হয়েছে যা একক কোন মানুষের উপর কাজ করে না, কিন্ত বড় কোন মানব গোষ্টির উপর কাজ করে। গোষ্টি/সমাবেশ যত বড় হবে, ফলাফল তত সঠিক হবে।
এখান থেকেই আমি এই উপলব্ধি পেয়েছি যে, ইসলাম ধর্ম বা এর আইন একা মেনে চললে উপকার পাওয়া যাবে না, সমষ্টিগত/সাংগঠনিক ভাবে মানতে হবে। আর সংগঠন যত বড় হবে, সমাজে তত বেশি প্রশান্তি বিরাজ করবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

অজিমভের তত্ত্ব না মানার কিছু নাই। একটা সুন্দর জিনিস একা যেমন সুন্দর, সমাজে ঐ সুন্দরের প্রাচুর্য থাকলে ঐ জিনিস আরো সুন্দর বা তার সৌন্দর্য অনুধাবন করা অনেক সোজা। আমি একমত। কিন্তু আমি মনে করি বর্তমানে মুসলমানদের জন্য দল বা সংগঠনের চেয়ে পরিবারের দিকে নজর দেয়া। চারিদিকে সকল প্রকারের নোংরার ছড়াছড়ি, পারবেন না আপনি একা এত কিছু পরিষ্কার করতে, এর চেয়ে অনেক অনেক সোজা হবে একটা পরিবারকে ঠিক করা বা ঠিক রাখের চেষ্টা করা। তাহলেই দল বা সমাজ ঠিক হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে। আর যদি পরিবারকেও ঠিক করা না যায়, শুধু নিজে ঠিক হলেই চলবে। বর্তমান প্রতিকুলতায় দল সমাবেশ বা গোষ্ঠি ঠিক করার চিন্তা করা ভুল হবে, এই চিন্তা আসলেই একটা ডেসপারেশন কাজ করবে মনের ভিতর যার প্রতিফলন হবে কর্মে। অনেক কিছু অনেকের উপরে চাপিয়ে দিতে ইচ্ছা করবে, অন্যকে কোনকিছু কারাতে বাধ্য করতে ইচ্ছা করবে, কিন্তু ইসলাম এই শিক্ষাদেয় না।

বরং কুরয়ান বলে " لاَ إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ "

"দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই।"

তাগুতের অনুসারীদের মোডিফাই করার জন্য আমাদের বলা হয় নাই। শুধু ম্যাসেজটা পৌছানো যেতে পারে।

৫৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১০

যাযাবরমন বলেছেন: বরং কুরয়ান বলে " لاَ إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ "

"দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই।"

ঠিক এই কথাই বলছি, কাওকে ঠিক করার দ্বায়িত্ব আপনাকে দেয়া হয় নাই। এমনকি পরিবারকেও না। বরং সমমনাদের সাথে থাকতে বলা হয়েছে।

"সূরা আল মুজাদালাহ, আয়াত ২২: যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।"

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

এই কথাটা যেমন বলা আছেঃ

[ ( وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُم مِّنْ عَمَلِهِم مِّن شَيْءٍ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ ) { যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে দেব এবং তাদের আমল বিন্দুমাত্রও হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃত কর্মের জন্য দায়ী। } সূরা আত-তূর আয়াত ২১ ]

তেমনি এই কথাও বলা আছেঃ

[ ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَائِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ ) { মুমিনগণ, তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও প্রস্তর, যাতে নিয়োজিত আছে পাষাণ হৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ তা’আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে। } সূরা আত-তাহরীম আয়াত ৬ ]

আপনি সাধারন ইমানদ্বার হইলে কথা নাই, কিন্তু মুমিন হইতে গেলে পরিবারকে লাইনে রাখতে হবে!!

৫৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


অর্থহীন বাক্যসমুহ

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


আপনার উপরে কেন যেন বিরক্ত লাগেনা! খুব সম্ভবত আপনি মুক্তিযোদ্ধা, হয়ত এই কারনেই!! কিন্তু আমার মনে হয় না, আপনি ঐ রকম কেউ!! আমার কথাগুলো অর্থহীন, হতেও পারে!! কুরয়ানের লাইন গুলো অর্থহীন নয়, অন্তত যাদের উদ্দেশ্যে এই পোষ্টটা লিখেছি তাদের জন্য। আমার পোষ্ট গুলো এত অপছন্দ করার পরেও আপনি যে নিয়মিত আমার পোষ্ট গুলোতে মন্তব্য করেন, এজন্য ধন্যবাদ।

আসসালামুয়ালাইকুম ।

৫৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৪

আমিভূত বলেছেন: এত সুন্দর বিশ্লেষণ কিন্তু আমার মনে হয় শিরোনাম দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে নাহ, কেননা আমি নিজেও লেখাটা শেয়ার করার পর পাঠক দেখলাম হাতে গুনে।

আর পর্দার ব্যাপারে কি বলব যদিও আমি পর্দা করি নাহ যেভাবে করা উচিত সেভাবে , তবে এটা বলব যে আজকাল যে পর্দা প্রথার চলন চলে আসছে তা মোটেই পর্দার অর্থ বহন করে নাহ, পর্দা যদি মনে থাকে পোশাকে , আচরনে ও থাকবে। কিন্তু এই বোধটাই আমাদের নেই, হয়ত আমারও নেই।

এই ধরণের লেখা আরও চাই :)

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

ইনশাল্লাহ, আল্লাহ চাইলে আরো লিখা হবে।

আমার কিন্তু মনে হয় অনেকেই পড়েছে, কারন আমার ব্লগ এরচেয়ে বেশী মানুষ পড়ন না!!! আর আপনারা অনেকেই নিয়মিত পড়তেন যারা ব্লগেই আসেন না!! :( :( তাছাড়া মন্তব্য হয় কম, কারন লেখা পড়ে কোন দলই খুশি হন না, তাই হিট তো কম হবেই!!! আর অনুরোধ থাকবে আমার বাকি লেখাগুলোও পড়বেন।

পর্দা নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল অনেক দিনের। সাহস হয় না। নিজেই বুঝি না যে আমার এই ব্যাপারে কনসেপ্ট ক্লিয়ার কি না???!!!

ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন!!

১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আর এই পোষ্টের নামটা কি দিলে ভালো হত জানাবেন!!! আপনি বলার পরে কনফিউজড হয়ে গেলাম!!

৫৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:০২

নতুন বলেছেন: ৯/১১ যখন হয় তখন অনেক ইমমেচিউর ছিলাম। খুব খুশি হয়ে ছিলাম নাসারাদের দেশে এই ধংশযজ্ঞ হবার পরে। ভাবতাম যেই করসে খুব ভালো কাজ করসে। পরে জানলাম তালেবানরা করসে। তালেবানদের উপর খুশি হয়া গেলাম। পরে জানলাম কুকর্মটা ইহুদিদেরই। যাই হোক, যেই করুক না কেন, আমার খুশি হবার ব্যাপারটা একজন মুসলমান হিশাবে ঠিক ছিলনা!!!! কারন একজন মাসুমো কি ছিলোনা ওই খানে????

সাদ্দামকে মনে হত মুসলিম বিশ্বর একমাত্র সিংহ!! অনেক ভালো লাগতো তাকে ছোট বেলায়। তার মৃত্যুতে অনেক দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু বলেন প্রকৃত সৎ বা ইসলামপন্থি নেতাকি উনি ছিলেন??? উনার কারনে অনেক মুসলমান কি অন্যায় ভাবে মৃত্যু বরন করে নাই, এই সব নেতাদের(গাদ্দাফি-সাদ্দামদের) কি মুসলিমদের নেতা বলা যায় ?? বাগদাদের রাস্তায় রাস্তায় নিজের বিশাল বিশাল মূর্তি তৈরি করে, এটাকি আল্লাহের দলের একজন নেতার পরিচয় হতে পারে ?

<<<<<<< আপনার মতন সবারই এই রকমের বিশ্বাস মনে থাকে কিন্তু আপনি নিজেকে বের করতে পেরেছেন কারন জ্ঞান এবং সত্যের অনুসন্ধান করার ইচ্ছা।০

এই সমাজের ৯৫% মানুষও কিন্তু এখনো এই সমস্যা থেকে নিজেকে বের করতে পারেনাই।

এটাই আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা.... কেউ নিজে সত্যাটা খুজে দেখতে চায় না..শুনেই বিশ্বাস করে।

১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আসলেই কেউ সত্য খুজতে চায় না।

৫৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

নতুন বলেছেন: আমি খুব সাধারন একটা উদাহরন দেই সবাইকে...

আপনার পাশের মানুষকে জিঙ্গাসা করুন... কোরানের আয়াত সংখ্যা কত?

উত্তর আসবে.<< ৬৬৬৬ টি... ( ৯০-৯৫%)

কিন্তু আসলেই কি ৬৬৬৬ ?? ( যেই জিনিস নিজেই ১০ মিনিটেই হাতে গুনেই বের করতে পারে সেটা সে না করে অপরের শোনা কথায় বিশ্বাস করে বসে আছে)

এটাই প্রমান করে আমরা কতটা হুজুগে বাঙ্গালী... গুজবে বিশ্বাস করি।

সংখ্যটা ৬২৩৬ টি.. যেটা যে কেউই গুনে নিতে পারে...।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হুম

৬০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আরোগ্য বলেছেন: একটা হাদিস আছে,( হাদিস নং আমার মুখস্ত নয় তবে এটা অনেক শুনেছি, ভুল বললে সংশোধন করে দিবেন) যেখানে বলা হয়েছে আল্লাহ শেষ বিচারের দিন রাসুলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করবেন," আপনার উম্মতের এই অবস্থা কেন, উত্তরে রাসুলুল্লাহ ﷺ বলবেন, আমার উম্মত কোরআন ত্যাগ করেছিল। " বাস্তবতা আজ চাক্ষুষ। এমন কথাও শুনেছি আলেমগন ছাড়া নাকী কোরআনের অর্থ পড়ার যোগ্যতা সাধারণ মানুষের নেই। তারপর পীরের কথা মানলেই মুরিদের নৌকা পার আরো যে কত কি। কোরআন মানুষ সসম্মানে আলমারির উপরে বা শোকেসে সাজিয়ে রাখে, কেউ মারা গেলে বেদাতী আয়োজনে লাগে । দুঃখের বিষয়। আলো দুর করে রাখলে অন্ধকার কাটবে কিরূপ!

আট বছর আগের পোস্ট, ভালোই পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন সামু এমন পোস্ট গিলতে চায় না, আফসোস ।

আবার লিখা শুরু করুন।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ!!

আপনার হয়তো আমার ব্লগে থাকা আরো পুরনো লেখা গুলোও ভালো লাগবে।
আশা করি কষ্ট করে পড়বেন।

আসলে আমার মনে হয়, আমাদের ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টে, কুরয়ান কে অতি-পবিত্র বানিয়ে দূরে সরিয়ে রাখবার যে স্বভাব তা হচ্ছে হিন্দুয়ানি। যাই হোক, আপনার কথার প্রসঙ্গে বলি, কুরয়ানের কিছু সহজ সরল যা সবার কাছে পৌছাবে, সবাই বুঝবেন, আর কিছু আসলেই স্পেসাল বিষয় যা সবাই বুঝবে না, কুরয়ান কিন্তু নিজেই নিজের সম্পর্কে তাই বলে। আবার কুরয়ান কে পড়ছে সেই মানুষের ওপরেও কুরয়ানের বোধের ধরন এবং ব্যাপকতায় পার্থক্য হবে। তবে যাই হোক না কেন কুরয়ান থেকে দূরে থাকা যাবে না।

আসসালামুয়ালাইকুম!!

৬১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৪

আরোগ্য বলেছেন: ওয়ালাইকুম আস্ সালাম!



3:7
هُوَ ٱلَّذِىٓ أَنزَلَ عَلَيْكَ ٱلْكِتَـٰبَ مِنْهُ ءَايَـٰتٌۭ مُّحْكَمَـٰتٌ هُنَّ أُمُّ ٱلْكِتَـٰبِ وَأُخَرُ مُتَشَـٰبِهَـٰتٌۭ ۖ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِمْ زَيْغٌۭ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَـٰبَهَ مِنْهُ ٱبْتِغَآءَ ٱلْفِتْنَةِ وَٱبْتِغَآءَ تَأْوِيلِهِۦ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُۥٓ إِلَّا ٱللَّهُ ۗ وَٱلرَّٰسِخُونَ فِى ٱلْعِلْمِ يَقُولُونَ ءَامَنَّا بِهِۦ كُلٌّۭ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّآ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَـٰبِ ٧

It is He who has sent down to you, [O Muḥammad], the Book; in it are verses [that are] precise - they are the foundation of the Book - and others unspecific. As for those in whose hearts is deviation [from truth], they will follow that of it which is unspecific, seeking discord and seeking an interpretation [suitable to them]. And no one knows its [true] interpretation except Allāh. But those firm in knowledge say, "We believe in it. All [of it] is from our Lord." And no one will be reminded except those of understanding.
— Saheeh International


তিনিই তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছেন, তার মধ্যে আছে মুহকাম আয়াতসমূহ। সেগুলো কিতাবের মূল, আর অন্যগুলো মুতাশাবিহ্। ফলে যাদের অন্তরে রয়েছে সত্যবিমুখ প্রবণতা, তারা ফিতনার উদ্দেশ্যে এবং ভুল ব্যাখ্যার অনুসন্ধানে মুতাশাবিহ্ আয়াতগুলোর পেছনে লেগে থাকে। অথচ আল্লাহ ছাড়া কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না। আর যারা জ্ঞানে পরিপক্ক, তারা বলে, আমরা এগুলোর প্রতি ঈমান আনলাম, সবগুলো আমাদের রবের পক্ষ থেকে। আর বিবেক সম্পন্নরাই উপদেশ গ্রহণ করে।
— Rawai Al-bayan



যে যতটুকু বুঝবে তার উপর ততটুকু বর্তাবে। কিন্তু ঐটুকু বুঝার জন্য তো পড়তে হবে। শয়তান এদিকটায় বেশ সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কোরআনের প্রতি মানুষকে দিয়ে অতিভক্তি প্রদর্শন করিয়ে কোরআনের আলো থেকে দুর করে রাখছে।

২: ২৮৬
لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا ٱكْتَسَبَتْ ۗ

Allah does not charge a soul except its capacity. It will have what it has gained and it will bear what it has earned.
- Saheeh international

ইনশাআল্লাহ সময় সুযোগ করে আপনার অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ার চেষ্টা করবো।

بارك الله فيك.

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ধন্যবাদ!! আসসালামুয়ালাইকুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.