নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গন্তব্যহীন

আলো তো লাগে না ভাল , আঁধারি যে ভালবাসি ! আমি যে পাগল প্রানে কভু কাঁদি কভু হাসি..

একলা পাখি

অতি সাধারণ একজন মানুষ...

একলা পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্তাক্ত বাংলাদেশ (A Legacy Of Blood) অবলম্বনে

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৫৭





পটভূমি



১২ আগস্ট ১৯৭৫ সাল । সময় সন্ধ্যা । আমন্ত্রিত অতিথিদের সংখ্যা প্রায়'শ খানেক । বেঙ্গল ল্যান্সারের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট মেজর ফারুক রহমান ও তার সুন্দরি স্ত্রী ফরিদার ৩য় বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ।

ঢাকা গল্ফ ক্লাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটির কথা সম্ভবত আমন্ত্রিত অতিথিদের কেউ ভুলবে না কোন দিন.....।



ফারুক ও ফরিদা ছিলেন খুব পরিচিত দম্পতি । দেশের বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সাথে রয়েছে এদের নিবিড় সম্পর্ক তাই অনুষ্ঠানে অনেক গন্যমান্য লোক আসবে এটাই স্বাভাবিক ।

অনুষ্ঠানের চারপাশে প্রচুর সামরিক লোকজন । চীফ অব জেনারেল স্টাফ ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ও ছিলেন এই অনুষ্ঠানে । যিনি সম্পর্কে ফারুকের মামা । আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার মাশরুল হক , যিনি প্রসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের সামরিক সচিব এবং ফারুক দম্পতির অন্যান্য আত্মীয় স্বজন ।

তাদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল নানা রকমের উপহার । কিন্তু ব্রিগেডিয়ার হক এনেছিলেন একটি ফুলের তোড়া ,। এবং তিনি এটি নিজ হাতে ফরিদাকে দেন ।

এই অনুষ্ঠানের ৩দিন পর ১৫ই আগস্ট যখন সবাই অনুষ্ঠানের গভীরের ঘটনা বিশ্লেষণ করতে ব্যাস্ত । তখন ব্রিগেডিয়ার হক নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন । সম্ভবত ফরিদাকে দেওয়া ঐ ফুলের তোড়াই তার জীবন বাঁচিয়েছে ,।

সেই অনুষ্ঠানের রাতে ফারুক তার গোপন পরিকল্পনার কথা কাউকেই বুঝতে দেই নি । পরে তিনি জানিয়েছিলেন ঐ অনুষ্ঠানের সব খরচ মিটাতে তার সখের অটোমেটিক স্লাইড প্রজেক্টরটি বেঁচে দিয়েছইলেন মাত্র ৩হাজার টাকায় ।

তার জন্য এটি ছিল ভয়ংকর পরিস্তিতি । কারণ যে ভয়ানক পরিকল্পনা তিনি নিয়েছিলেন , তাতে তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে যেতে হতো । অথবা তার নাম লেখা থাকতো ইতিহাসের পাতায় অন্য ভাবে ।

ফারুক বলেছিলেন " এই অনুষ্ঠানটিই আমি উপভোগ করতে চেয়েছিলাম । কারণ এটাই হতে পারতো আমার জীবনের শেষ অনুষ্ঠান ।



অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিগণ বিদায় নেয়ার পর নিজের ও ফরিদার আপন আত্মীয় স্বজনের সাথে গল্প করার সময় বড় ভাইরাভাই ঢাকাস্থ ২য় ফিল্ড আর্টিলারির কমান্ডার মেজর খন্দকার আব্দুর রশিদ কে এক পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেন ," আমি এটা ১৫ তারিখেই করবো " মুজিব কে চিরবিদায় জানাবো .............





চলবে ..............



চোখ রাখুন আগামি পোস্টে ........

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০২

হাসানুজ্জামান তালুকদার শিমুল বলেছেন: বেয়াকুফ রাইটার...............

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০৩

একলা পাখি বলেছেন: কেমন .......?????

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০৩

এক্স বলেছেন: ম্যাসকারেনহাস খুবই চমতকার ভাবে মুজিব হত্যায় মার্কিন কানেকশনকে এড়িয়ে গিয়েছেন.

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১১

একলা পাখি বলেছেন: মার্কিন কানেকশন যতই থাকুক ..। মুলে তো আমরা বাঙালিরাই ছিলাম তাই না । বিদেশিরা তো ভাল নেতাদের বিরুদ্ধে কু-মন্ত্রনা দেবেই , আর তার জন্য আমরা যদি সেই কাজ করি তবে ভুল তো আমাদেরই । আর পরিকল্পনার মুলে কিন্তু প্রথমেই বাঙালি ,, বিদেশিদের মাথায় তখন এ চিন্তা আসেনি । তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করেছে মাত্র ।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০৪

কানন শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখার জন্য। চালিয়ে যাও শুভকামনা তোমার জন্য। অনেক বড় হও।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১২

একলা পাখি বলেছেন: ধন্যবাদ .....।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১২

ডলুপূত্র বলেছেন: go ahed

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১৩

একলা পাখি বলেছেন: জি পুরটাই লিখবো........।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১৯

কাউসার রুশো বলেছেন: এক্স বলেছেন: ম্যাসকারেনহাস খুবই চমতকার ভাবে মুজিব হত্যায় মার্কিন কানেকশনকে এড়িয়ে গিয়েছেন.
সহমত
আপনার সিরিজ চলুক

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৩০

একলা পাখি বলেছেন: অবশ্যই চেষ্টা করবো ..... শেষ করবার জন্য...।

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৫৩

নাঈম বলেছেন: বইটা পড়েছি, চমৎকার একটা বই।

সিরিজ চলুক।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৩১

একলা পাখি বলেছেন: ধন্যবাদ নাইম ভাই .......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.