![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে হচ্ছে আমার পায়ের নিচে চাপা পড়ে আছে কেউ। চারপাশে শুধু কান্না। স্বজন হারানোর বিলাপ। আমি থাকি রানা প্লাজার কাছেই। আমার এলাকা অর্থাৎ ব্যাংকলোনীর প্রায় প্রতিটি ঘরেই একই অবস্থা। আমার বাসার পাশেই অধরচন্দ্র স্বুলে রাখা হয়েছে লাশগুলো। এনাম মেডিকেল যাবার রাস্তাও এটি। সাভার থানাও পাশেই। পরশু থেকে শুধু লাশের সারি, যাচ্ছে, ফিরেও আসছে। বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ। আমার বাসার নিচ তলায় থাকে মিনি। মিনি এখনও ফেরেনি। কোনও খবর পাওয়া যায়নি তার। মিনি ভাগ্য বদলাতে চেয়েছিল। দিনে গার্মেন্টস, রাতে পড়ালেখা। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচ এস সিতে পড়ে। মিনি কি জানত তার ভাগ্যটা এভাবে বদলে যাবে? আজ শুক্রবার আমার কাছে ইংবেজী বুঝয়ে নিতে আসার কথা তার। মিনি আমি পথ চেয়ে আছি...। বাসার পাশে চার বছরের শিশু অর্ক। ওর একটা হাঁস ছিল, নাম রেখেছিল মেসি। মেসি একদিন হারিয়ে গেল। অর্কর সে কি কান্না। আজও অর্ক কাঁদছে। ওর বাবা হারিয়ে গেছে। কাল খবর পেলাম অর্কর বাবার লাশ পাওয়া গেছে।
চারিদিকে বাতাস ভারি হয়ে আসছে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমারা তো সুখেই ছিলাম। কেউ কারো সাথে ঝগড়া করে না এখানে। দিনের খাটুনি শেষে সন্ধ্যায় সবাই ঘরে ফিরে আসি। সবাই গল্প করি, ফুচকা খাই, ঝালমুড়ি খাই আর যার যার স্বপ্নগুলো আলোচনা করি।
কাল সন্ধ্যায় ফুচকাওয়ালার ঘণ্টা বাজেনি, বেজেছে অ্যাস্বুলেন্সের সাইরেন। কারও ঘরে রান্না চড়েনি। প্রত্যেকটা মানুষ কেঁদেছে... কাঁদছে।
কেন?
কেন আমরাই বারবার কাঁদব?
আমরা তো সুখেই ছিলাম।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
জন ঢাকা বলেছেন:
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: কেন আমরাই বারবার কাঁদব?
আমরা তো সুখেই ছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: মনে হচ্ছে আমার পায়ের নিচে চাপা পড়ে আছে কেউ। চারপাশে শুধু কান্না।