নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিসিবির দুই স্তরের নির্বাচক কমিটি অনুমোদনের প্রতিবাদে প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করেছেন। ফারুক আহমদের বক্তব্য হলো- প্রস্তাবিত প্রক্রিয়ায় নির্বাচক কমিটি দল নির্বাচন করে ক্রিকেট পরিচালনা প্রধানের কাছে জমা দেবে, ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান তখন চার নির্বাচক এবং কোচ ও টিম ম্যানেজারকে নিয়ে সভায় বসে দল চূড়ান্ত করবেন। এই প্রক্রিয়াটির সাথে একমত হলে প্রধান নির্বাচক তাদের স্বাধীনতা হারাবেন অভিযোগ করে তিনি পদত্যাগ করেন।
অপরদিকে নতুন করে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পাওয়া মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন-আগে যেভাবে কাজ করেছি এখনো একই ভাবে কাজ করে যাব। আমার মনে হয়, কোনো সমস্যা হবে না। আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবো?
এখন কথা হলো প্রধান নির্বাচকের মতো একটি লোভনীয় পদে আদিষ্ট থেকেও ফারুক আহমেদ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন না মর্মে অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন, সেই একই পদে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে আদিষ্ট করা হলে তিনি বলছেন, আগের মতো কাজ করবেন, কোন সমস্যা হবে না, তিনি তার সেরাটা দেবেন। তাহলে ফারুক আহমেদের সমস্যা কি? তিনি কেন এমন লোভনীয় পদ ছেড়ে দিলেন, নাকি তার অভিযোগ সঠিক ছিলো?
প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পাওয়ার পর দুই স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি নিয়ে কোন সমস্যাই দেখতে পাচ্ছেন না নান্নু, যা থেকে স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে প্রধান নির্বাচকের কাজ কি এবং কি কি করতে হবে তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে তিনি প্রধান নির্বাচকের মতো একটা লোভনীয় পোষ্টে আদিষ্ট হয়েছেন এটা নিয়েই তিনি খুশি।
অপর দিকে মহিলা দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হাবিবুল বাশারকে পুনরায় পুরুষ দলের নির্বাচক প্যানেলে ফেরত আনা হয়েছে, এটার রহস্য কি? অবশ্য বিসিবির তরফ থেকে বলা হয়েছে ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করায় বাশারকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সদ্য সাবেক ও বর্তমান প্রধান নির্বাচকের দুই ধরনের বক্তব্যে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সমস্যা থাকছেই। নতুন প্রধান নির্বাচক শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে মাত্র
ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা হিসেবে আশা করবো বিসিবি ক্রিকেটের স্বার্থেই সব সিদ্ধান্ত সঠিক ভাবে নেবে। তবে লোভনীয় পোষ্টে থেকেও ফারুক আহমেদ পত্যাগ করায় দুইস্তরের নির্বাচক কমিটি নিয়ে তার অভিযোগটি জাতীয় দলের পরবর্তী সিরিজ থেকে বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকছেই।
©somewhere in net ltd.