নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন কোরআন মানা মুসলিম প্রথমই মেনে নেয় যে, দুনিয়া সৃষ্টি থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সবকিছুই আল্লাহ তায়ালার ইশারায় হবে, মানুষের সাধ্য নাই, তার পরিবর্তন করার, নিজ থেকে কিছু করার, যখন আল্লাহর হুকুম হবে, তখনই তা হবে, মানুষকে দিয়ে তিনি সেগুলো সম্পাদন করেন মাত্র।
সারা বিশ্বে তথা আরকান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিনি সহ যেখানেই মুসলিম নিধন হচ্ছে, মানবিক বিবেচনায় তা অসহ্যজনক এবং চিন্তার বিষয় হলেও তাতে ভীত সন্ত্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। কাফের মুশরিকরা যতই ইসলাম ও মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাবে, হত্যাযজ্ঞ চালাবে, ততই তারা পরাজয়ের সন্নিকটে পৌছে যাবে, যাচ্ছে দিনে দিনে। কোরআনের ভাষ্য মতে সারা পৃথিবীতে ইসলাম ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবেই। মানুষ চাইলেও হবে না চাইলেই হবে, সবকিছু সৃষ্টিকর্তাই করবেন, মানুষকে দিয়ে তিনি করাবেন মাত্র। ফলে অতীতে, বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে মুসলিম নিধন, অত্যাচার নির্যাতন হলেও ইসলামের পরাজয় কখনোই হবে না, কেননা ইসলামের বিজয় আসন্ন। ইহাই কোরআনের ভাষ্য।
অন্যধর্মের মানুষ কিংবা কিছু মুসলিমদের, যারা দুনিয়াকেই মূল বিবেচ্য বিষয় মনে করে, ধর্ম নিয়ে যাদের তেমন মাথা ব্যথা নেই, তারা মুসলিম নিধন কিংবা মানুষের উপর অত্যাচারে বিচলিত হয়ে পড়লেও এবং সৃষ্টি কর্তার কিছুই করার নেই, তিনি কি এসব আটকাতে পারবেন নাকি, তার কি খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, এমন মনোভাব রাখেন ও পোষণ করেন, তাদের ভাবনাতে মুসলিমদের পরাজয়ই চোখে ভেসে উঠবে। কিন্তু একজন কোরআন মানা মুসলিম কখনোই তা মনে করে না, মুসলিম নিধনে, নির্যাতনে কখনোই ইসলামকে হত্যা করা যাবে না, বরং ধীরে ধীরে মুসলিমদের বিজয়ের পথ প্রশস্থ হচ্ছে।
ইসলাম শ্রেষ্ঠ, সত্য ও শান্তির ধর্ম, একজন নাস্তিকও মেনে নেন যে, ভালো কাজে বাধা থাকেই। কাজেই এটাতে বাধা থাকবেই, মুসলিম নিধন ও অত্যাচারিত হবেই। একজন মুসলিম হিসেবে কিংবা একজন মানুষ হিসেবে মানুষের এমন নিমর্ম পরিণতি অসহ্যজনক বিষয় হলেও এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সৃষ্টি যার, তিনিই ভালো ফায়সালাকারী, ইসলামবিরোধীদের হাতে কিংবা কাফের মুশরিকদের হাতে মৃতুবরণকারী প্রতিটি মুসলিমই জান্নাতের শ্রেষ্ঠ স্থানে অধিষ্ঠিত হবে, ইসলাম এমনই ঘোষণা দেয়।
পূর্ব থেকে কিংবা বর্তমানে মুসলিম নিধন ও অত্যাচারিত হওয়ার যে খবর, ছবি, ভিডিওগুলো আমরা দেখতে পাই, তা সত্য হলেও একমাত্র প্রকাশের কারনেই তাতে আমরা বেশি বিচলিত হয়ে পড়ছি। কাফের মুশরেকরা পরাজিত হবে, ধ্বংস হবে, তা কোরআনেরই ঘোষণা। ফলে টিকে থাকার জন্য মুসলিম নিধন ও অত্যাচারিত করবেই ওরা। কোরআনের ঘোষণা ও ইশারার বাহিরে কিছুই হয় না, একজন মুসলিম মাত্রই এটা বিশ্বাস করে।
সিরিয়ার ঘটনা হৃদয় বিদারক, তবে আল্লাহর ইশারার বাহিরে কিছুই হবে না, হচ্ছেও না। মুসলিম হিসেবে এতটুকুই বলবো, ধৈর্য্য ধরুন, সৃষ্টিকর্তাই বড় ফায়সালাকারী, বড় পরিকল্পনাকারী, তিনিই একদিন কাফের মুশরিকদের সব পরিকল্পনাকে গুড়িয়ে দিয়ে নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৭
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: বিষয়টা তা নয়, সেটা লেখাতেই বুঝিয়েছি, ব্যক্তিগত ভাবে আমি খুবই নরম মনের মানুষ, ধন্যবাদ
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাকিস্তানে ও আফগানিস্তানে মসজিদে বোমা মুসলমানেরাই মারছে, হতাশ হওয়ার কারণ নেই? ভালো, উৎসাহিত হই তা'হলে?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৩
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: মুসলিমরাই মারছে, এটাও রহস্যজনক বিষয়, তর্কে যাবো না, তবে সংক্ষেপে বলতে গেলে মুসলিমধের ধ্বংসের জন্য বিধর্মীরা বেশ তৎপর এবং বিভিন্ন ভাবে মুসলিমদেশগুলোর সর্বনাশে লিপ্ত তারা, সাদাচোখে মুসলিম মুসলিমকে মারছে মনে হলেও বিষয়টা তা কিনা, সেটা অনেক আলোচনার বিষয়
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৯
আবু তালেব শেখ বলেছেন: আপনি যত দেশের কথা বলছেন এখানে ইসলাম কেন টেনে আনলেন? এখানে নিজেরা নিজে বা মারছে সার্থের জন্য, ক্ষমতার জন্য,ইসরাইল করছে ভুমি দখলের জন্য,আমেরিকা,রাশিয়া করছে প্রভাব অস্ত্র ব্যবসা সাম্রাজ্যবাদ নীতির জন্য। আইএস করছে তেলক্ষেত্র দখল করতে, আলকায়দা আমেরিকার গুটি,, বাশার আসাদ ক্ষমতা ধরে রাখতে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। সৌদি ইয়েমেনে মারছে নিজেদের সার্থে। ।
রোহিংগারা হাফেজ মওলানা না বা তারা বার্মিজদের ধর্মারন্তিত করেনি।
প্রশ্নঃ তাহলে এর ভিতর ইসলামকে কেন যোগ করছেন?
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: এগুলো হচ্ছে মুসলিমদের উপর, তাই ইসলাম আসবে এটাই স্বাভাবিক, যা বলেছি, সেটাতে ভুল থাকলে শুধরে নেবো বারবার, ধন্যবাদ
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২২
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ইসলাম এমন কোন তুচ্ছ জিনিষ নয় যে এরকম এরকম নিজ সার্থে করা যুদ্ধের সাথে তুলনা করবেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৮
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: পুরোটা নিজ স্বার্থ কিনা, কারো ইন্ধন আছে কি নেই, এগুলো সম্পর্কে পরিস্কার না হয়ে নিজ স্বার্থে বলাটাও কঠিন, আপনি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন স্বার্থের বিষয়ে, এগুলো প্রকাশ্য বিষয়, তবে মুসলিম নিধন ও অত্যাচারের বিষয়টি কাফের মুশরিকদের অন্তরে গেথে আছে, আমার কাছে এই বিষয়টাই বড় কথা, তাই সেভাবেই লেখেছি
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২২
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: আপনি হয়তো বুঝাতে চেয়েছেন দুনিয়ার সমস্যার জন্যই এসব হচ্ছে, হচ্ছে ঠিক তবে ইসলাম বিরোধীদের ভূমিকাই এখানে সবচেয়ে বেশি, না হয় এমন কঠিন থেকে কঠিন অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি কখনোই হতো না
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
হাবিবুর অন্তনীল বলেছেন: অামাদের উপর এই নিধনযোগ্য কবে থেকে শুরু হয় অাল্লাই জানে!!
৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:১৪
কালীদাস বলেছেন: আকাশ বাতাস সব কিছু নিয়া টানাটানি করার চেষ্টা করছেন পোস্টে। আসল খবর নাই। পয়লা দুইজন কমেন্টারের ঠিকই তো বলছে। দুইমাস আগে আইএসের **মা*নীগুলা প্যালেস্টাইনের গেরিলাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করছে। একটা লাইনও লেখেন নাই কোন জায়গায় এই বা&ৎগুলার কথা উল্লেখ কৈরা। গত দশবছরে নিরীহ মুসলিম আর খ্রেস্টান মারা ছাড়া কি বালটা ফালাইছে এরা?
এক হাজার বছর আগে এই মুসলিম সায়েন্টিস্টরা যেই কাজ করছিল সেইটার ফল ছিল রেঁনেসা, মডার্ণ সায়েন্স/মেডিসিন সবকিছুর গোড়া। গত একশ বছরে এরকম কয়টা উদাহরণ আছে? নির্যাতিত হৈতাছে, নিপীড়িত হৈতাছে; ইয়াহুদি/নাসারারা কি মুখে উঠায়া খাওয়া দিব মুসলিম সায়েন্টিস্ট পয়দা করতে?
আল্লাহ পাক সেই ব্যক্তিরই তকদ্বীর পরিবর্তন করে যে চেষ্টা করে। এরকম আসমানী গজবের আশায় বৈসা থাকাদের না।
০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: ঠিক গায়েবী গজবের আশায় বসে থাকা নয়, আল্লাহর ইশারাতেই সব কিছু হয়, এটা মেনে নেওয়া ঈমানের অংশ, যখন কাফের মুশরিকরা ধ্বংস হবে, তখন নিশ্চয়ই কোন মানুষকে দিয়ে তা করাবেন, আর ইমাম মাহাদী (আঃ) এর আগমন তো কোরআনেরই ভাষ্য...তিনি তো মানুষ রূপেই আসবেন, অ্ন্যকোন রুপে নয়..
৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছু সঠিক ভাবে জানতে হবে।
১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬
জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন:
জ্বী, হবেই। সব মুসলিমদের বেহেশতী হুরের কাছে পাঠিয়ে দিলেই বিজয় সুনিশ্চিত।
১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: একজন কোরআন মানা মুসলিম প্রথমই মেনে নেয় যে, দুনিয়া সৃষ্টি থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সবকিছুই আল্লাহ তায়ালার ইশারায় হবে, মানুষের সাধ্য নাই, তার পরিবর্তন করার, নিজ থেকে কিছু করার, যখন আল্লাহর হুকুম হবে, তখনই তা হবে, মানুষকে দিয়ে তিনি সেগুলো সম্পাদন করেন মাত্র।-- আপনার কথাগুলো পড়ে হতাশ।
ভাই, দুনিয়াতে যা হচ্ছে বা ঘটছে সব আল্লাহর ইশারায় ঘটছে কোরআন জানা মুসলিম এটা মানবে না। কোরআনে মানুষ এবং ফেরেশতাদের পার্থক্য স্পষ্ট। মানুষকে আল্লাহ স্বাধীনতা দিয়েছেন, ফেরেশতাদের দেনন। সুতরাং মানুষ যা করছে তা আল্লাহর ইশারায় করছে বলাটা ভুল হবে। তবে সামনে কি ঘটবে তা আল্লাহ জানেন অর্থাৎ আল্লাহ গায়েবী জানেন।
১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
আপনি আবেগ প্রবণ হয়ে এই লেখাটা লিখেছেন। যার ফলে লেখাটা স্ববিরোধী।
স্ববিরোধিতা ১। ... মানুষকে দিয়ে তিনি (আল্লাহ) সেগুলি সম্পাদন করেন মাত্র। (প্রথম অনুচ্ছেদ-শেষ লাইন)
আবার লিখেছেন, "কাফের মুশরিকরা যতই ইসলাম ও মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাবে। ..." (দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ-দ্বিতীয় লাইন)
ব্যাখ্যা ১:- প্রথম কথাটাকে যদি সত্য ধরি তাহলে দাঁড়াচ্ছে -- কাফের মুশরিকরা ইসলাম ও মুসলিমদের উপর যে নির্যাতিত চালাচ্ছে তা আল্লাহ মানুষকে (কাফের মুশরিকদের) দিয়ে সম্পাদন করাচ্ছেন।
ব্যাখ্যা ২:- এই কাজে কাফের মুশরিকদের কোন গুনা হবে না। কারণ আল্লাহই তো তাদের দিয়ে করাচ্ছেন।
স্ববিরোধিতা ২। সিরিয়ার ঘটনা হৃদয় বিদারক, তবে আল্লাহর ইশারার বাহিরে কিছুই হবে না, হচ্ছেও না। (শেষ অনুচ্ছেদ-প্রথম লাইন)
আবার লিখেছেন, "তিনিই (আল্লাহ) একদিন কাফের মুশরিকদের সব পরিকল্পনা গুড়িয়ে দিয়ে নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।" (শেষ অনুচ্ছেদ-শেষ লাইন)
ব্যাখ্যা ১:-আল্লাহর ইশারার বাহিরে কিছুই হবে না, হচ্ছেও না--এই কথা যদি সত্য হয়, তা হলে কাফের মুশরিকদের সব পরিকল্পনাও তো আল্লাহই পরিকল্পনা।
অথচ আল্লাহ বলছেন,
১. "আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।" (সূরা রাদ: আয়াত ১১)
২. "প্রত্যেকের মর্যাদা নির্ধারিত হবে তার কাজ অনুসারে।" (সূরা আনআম: আয়াত ১৩২)
৩. "যাতে করে আল্লাহ প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের ফল পুরোপুরি দিতে পারেন। আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অতিদক্ষ।" (সূরা ইব্রাহিম:আয়াত ৫১)
১৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আমি প্রথমেই মেনে নিচ্ছি, আদর্শগত ভাবে আপনার সাথে হয়তো আমার কোন দ্বিমত থাকবে না, তবে আপনি যেটাকে স্ববিরোধিতা বলতেছেন, সেটা কি আসলেই? যেমন কাফেরদের দিয়ে করাচ্ছেন বলছি, এটা কি মিথ্যা? আল্লাহর ইশারা ও ইচ্ছা ছাড়া কি হয়?? ওনি সম্পাদন করান মানেই এই নয় যে, সব দায় ওনার, কাফেরদের কোন গুনাহ হবে না। যারা খারাপ কাজ করছে তাদের সামনেও ভালো কাজ রেখেছে, যেন তফাৎটা বুঝে কাজ করতে পারে। আবেগ ছিল লেখাটায়, তার কারন হলো বাংলাদেশে যেভাবে অত্যাচার, হত্যার ছবিগুলো প্রকাশ হচ্ছে, তা দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নাই, যেহেতু ভিনদেশে এসব হচ্ছে, তাই আমাদের আল্লাহর উপর ভরসা এবং নিন্দা জানানো ছাড়া কিছুই করার নাই।
কাফেরদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আল্লাহ কি অবগত নয়? তিনি চাইলেই কি সেগুলো নস্যাৎ করে দিতে পারেন না? ভালো মন্দ সব দিয়েছেন তিনি, ভালোটা বুঝেও মন্দটা বেছে যারা নেবে, সেটা তাদের ভুল, অপরাধ।
আমার এই পুরো লেখার মূল বিষয় একটাই, আল্লাহ জানেন না, বা বুঝেন না এমন কিছু নেই। তিনি যেমন মন্দ কাজ দিয়েছেন, ভালো কাজও দিয়েছেন, ভালোটা বেছে নিতে বলেছেন, এখন এটা বাস্তবায়ন করা মানুষের কাজ, যে যেটা করবে, সে সেটার ফল ভোগ করবে। আর আপনি হয়তো আমার চেয়ে ভালো জানবেন, ইসলামের বিজয় হবেই, এটা কোরআনেরই ভাষ্য। এই বিজয়টা তিনি গায়েবী ভাবে করবেন নাকি কোন মানুষকে দিয়ে করাবেন, তিনিই সেটা ভালো জানেন, ইমাম মাহাদি (আঃ) আসবেন, এই সব মেনে নেওয়া তো ইমানের অংশ।
১৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
রিফাত হোসেন বলেছেন: জনাব মোহাম্মদ আলী আকন্দ যা বলেছেন: একমত।
১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৩
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
১. যেমন কাফেরদের দিয়ে করাচ্ছেন বলছি, এটা কি মিথ্যা?
উত্তর:-আমি সত্য-মিথ্যা বলবো না। বলবো কথাটা ঠিক না। আল্লাহ কাউকে দিয়ে কোন কাজ করান না। আপনি কমনসেন্স দিয়ে দেখেন--আপনি একজনকে বললেন, অমুককে মার। সে আপনার কথা মত মারল। তারপর কি আপনি তার এই কাজের জন্য তাকে শাস্তি দিতে পারবেন? বা যদি শাস্তি দেন তাহলে কি আপনার বিচার ইনসাফ ভিত্তিক হবে।
মানুষ আল্লাহর অনেক বড় সৃষ্টি। ফেরেশতারা মানুষকে সিজদা করেছে। আল্লাহ মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছেন। তারপর বলে দিয়েছেন, এইগুলি ভাল কাজ, আর এইগুলি খারাপ কাজ। তোমার ইচ্ছা কোনটা করবে। ভাল কাজ করলে এই পুরস্কার, আর খারাপ কাজ করলে এই শাস্তি। তোমার ইচ্ছা, কি করবে।
এই কারণেই মানুষের বিচার হবে। ফেরেশতার বিছার হবে না। কারণ ফেরেশতা, পশুপাখি, গাছপালা এদের জীবন থাকলেও স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি নাই।
২. আল্লাহর ইশারা ও ইচ্ছা ছাড়া কি হয়??
উত্তর:- এই প্রশ্নটা যদি মানুষের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে হয়, তা হলে উত্তর হচ্ছে, মানুষকে আল্লাহ স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়েছেন।
৩. ওনি সম্পাদন করান মানেই এই নয় যে, সব দায় ওনার, কাফেরদের কোন গুনাহ হবে না।
উত্তর:- আপনি একজনকে দিয়ে একটা কাজ সম্পাদন করলেন। ওই কাজের দায় আপনার হবে না -- এটা ইনসাফ ভিত্তিক কোন কথা না। কাফের, মুশরিক, মুসলমান -- যেই খারাপ কাজ করবে তার গুনাহ হবে। কাফের খারাপ কাজ করলে গুনাহ হবে আর মুসলমান খারাপ কাজ করলে গুনাহ হবে না -- তা না।
৪. যারা খারাপ কাজ করছে তাদের সামনেও ভালো কাজ রেখেছে, যেন তফাৎটা বুঝে কাজ করতে পারে।
উত্তর:- আবারও স্ববিরোধীটা। আপনার এই কথার মানে হচ্ছে, মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি আল্লাহ তাকে দিয়েছেন। সে যেন ভাল-মন্দের তফাৎটা বুঝে কাজ করতে পারে। আল্লাহ কাফেরকে দিয়ে করাচ্ছেন কথার সাথে এই কথা স্ববিরোধী।
৫. আমাদের আল্লাহর উপর ভরসা এবং নিন্দা জানানো ছাড়া কিছুই করার নাই।
উত্তর:- আমাদের আল্লাহর উপর ভরসা এবং নিন্দা জানানো ছাড়াও আরো অনেক কিছুই করার আছে। এই যে আপনি একটা লেখা পোস্ট করলেন -- এটাও একটা কিছু করা। কেউ চিন্তা করছে -- এটাও একটা কাজ। কেউ দোয়া করছে - এটাও একটা কাজ।
৬. কাফেরদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আল্লাহ কি অবগত নয়?
উত্তর:- অবশ্যই আল্লাহ অবগত আছেন।
৭. তিনি চাইলেই কি সেগুলো নস্যাৎ করে দিতে পারেন না?
উত্তর:- পারেন, অবশ্যই পারেন। এরপর আপনার আরেকটা প্রশ্ন প্রচ্ছন্ন আছে। সে প্রশ্নটা হলো, তা হলে আল্লাহ কেন কাফেরদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করছেন না? উত্তর আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন, "আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।" (সূরা রাদ: আয়াত ১১)
৮. আর আপনি হয়তো আমার চেয়ে ভালো জানবেন, ইসলামের বিজয় হবেই, এটা কোরআনেরই ভাষ্য।
উত্তর:- আপনাকে একটা সুসংবাদ দিয়ে এখনকার মত শেষ করব। ইসলামের বিজয় ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে। সংকট সমস্যা অসুবিধা সব মানুষের জীবনে থাকে। এইগুলি মানুষের পরাজয় নয়। এইগুলি মানুষের জীবন প্রবাহ।
ভাল থাকেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০০
আবু তালেব শেখ বলেছেন: মানবিক বিবেচনায় তা অসহ্যজনক এবং চিন্তার বিষয় হলেও তাতে ভীত সন্ত্রস্ত হওয়ার কিছু নেই।
আপনাকে বড়ই দয়ামায়াহীন মনে হচ্ছে