নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসিফা-আরফানের আব্বু

যুবায়ের আহমেদ

স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি তাই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলছি আগামীর পথে

যুবায়ের আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা এসেছিলো বিলম্বে

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১



ফাগুনের কোন এক পর্ড়ন্ত বিকেলে তমার সাথে দেখা হয়েছিল আমার। তমার পড়নে ছিলো হলুদ শাড়ি, খোঁপায় গাদা ফুল। প্রথম দেখাতেই তমাকে ভালো লেগেছিল আমার। আমি একটু লাজুক প্রকৃতির ছিলাম বলে, তমাকে নিজের ভালো লাগার কথা বলতে পারছিলাম না। তমাও আমার দিকে তাকাতো, মুচকি হাসতো আমার ভাবভঙ্গি দেখে।

আমি সব সময় ভাবতাম, তমা যদি আমার ভালোবাসার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। এই ভীতির কারনে বলতে পারছিলাম না আমার মনের কথা। তমাকে আমি ভালোবাসি কিনা ফিল করতে চাইছিলাম। যখনই আমি তমার কথা ভাবি, তমার মুখছবি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে, তখনই আমি অনুভব করতাম, আমার মেনে তোলপাড় শুরু হয়ে যেতো। কি এক তীব্র আকাঙ্খা তমাকে কাছে পাওয়ার, তমাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার। আমিতো এতোটাই এক্সাইটেড হয়ে গিয়েছিলাম যে, পারলে তমার বোনের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়েই যাবো সরাসরি।

আগে নিজের পরিচয়টা দিয়ে নেই, আমি রাকিব। লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী প্রত্যাশী। অবসর সময়ে বাবার ব্যবসায় সময় দিচ্ছি। তমা আমাদের পাশের বাড়ীর এক বড় ভাইয়ের শ্যালিকা। সে নিয়মিতই তার বোনের বাড়ীতে বেড়াতে আসে নাকি। কিন্তু আমি বাড়ীর বাহিরে থেকে লেখাপড়া করায় তাকে আগে দেখিনি। প্রথম যেদিন দেখলাম, সেদিনই বিস্তারিত জেনেছি।

আমি সুযোগ পেলেই পাশের বাড়ীতে যেতাম, তমাকে দেখার জন্য। ভাবির সাথে আগেই পরিচয় ছিলো ভালো, কথাবার্তা হতো। তাছাড়া ভাবীও যথেষ্ট শিক্ষিত। পড়ালেখা ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা হতো ভাবীর সাথে। তমার দিকে আমার তাকানো তমাও খেয়াল করতো, মুচকি হাসতো। কিন্তু আমি সাহস করে তমাকে মনের কথা বলতে পারিনি।

হঠাৎ আমার চাকুরী হয়ে যাওয়ায় শহরে চলে আসি। চাকুরীর ব্যস্ততায় তমার কথা ভুলে যাই। দীর্ঘদিন পর বাড়ী এসে ভাবির কাছ থেকে জানতে পারি তমার বিয়ে হয়ে গেছে এক ব্যবসায়ীর সাথে। ততটা খারাপ না লাগলেও অন্যরকম লাগছিল তমার বিয়ের কথা শুনে।
অফিসে এসে কাজে মন বসাতে বেশ সময় লেগেছিল আমার। কিছুদিন যেতে না যেতেই বাবা ফোন করেছে, আমার জন্য মেয়ে দেখছে। আমি যেনো দ্রুত বাড়ীতে যাই। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ীতে যাওয়ার পর দেখি তমা এসেছে তার বোনের বাড়ীতে। তমাকে প্রথম দেখার পর থেকে মনে যে জড়তা ছিলো তার সাথে কথা বলতে, এখন আর সেটা নেই। দুজনেই একে অপরের সাথে কুশলাদি বিনিময় করলাম।

হঠাৎ তমাই প্রসঙ্গটা তোললো, আচ্ছা আপনি আমাকে পছন্দ করতেন, কিন্তু বলেন নাই কেনো?
আমি ইত্যস্তর করতে থাকাবস্থায়, তমাই বলছে
জানেন, আমিও আপনাকে পছন্দ করেছিলাম, চাইছিলাম আপনার কাছ থেকে প্রস্তাবটা আসুক, কিন্তু আপনি কিছুই বলেননি। আর শেষে চাকুরী হয়ে যাওয়ায় শহরে চলে গেলেন। এদিকে আমারও হুট করে বিয়ে হয়ে গেলো।
আমি তমার কথা শুনে হাসছি, আর বলছি-
তুমি আমাকে পছন্দ করেছিলে, এটা বলোনি কেনো তাহলে?
মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফুটে না, আমি ছেলে হয়েও বলেননি, আর আমিতো মেয়েই।

নিজের ভীতি ও বোকামো মানসিকতার কথা বারবার মনে পড়ছে এখন আমার। সেদিক সাহস করে তমা “তোমাকে আমার অনেক ভালো লাগে, আমার চলার পথের সঙ্গী হবে” এটুকু বলতে পারিনি বলেই তো তমার পরিবর্তে আজ অন্য কাউকে গলায় ঝুলাতে হচ্ছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: ভালই হয়েছে ব্যর্থ বা অব্যাক্ত প্রেমের গল্প বলার ফিলিংসই অন্যরকম! আহা আবেগে গলা ধরে আসে যেন...

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: ব্যর্থ প্রেমের গল্প বলতে মজাই মজা

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: প্রেম ভালোবাসা করা ঠিক না। বিশেষ করে লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত। চাকরী। গাড়ি বাড়ি করে তারপর প্রেম ভালোয়াবসা। অথবা সরাসরি বিয়ে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: সরাসরি বিয়ে। এটাই বেস্ট। আমি নিজেও এমন করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.