নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রিয়াদ ও সুবর্ণা দুজন ভালো বন্ধু, দুজনেই মাষ্টার্স শেষ করে, চাকুরীর খোঁজে। চাকুরী নিয়ে কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরই দুজনে বিয়ে করবে, এর আগে নয়। কাব্যিক মন রিয়াদের। বর্তমান সময়ে শুধু লেখালেখি করে জীবন চলবে না বিধায় কর্পোরেট জব নেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারপরও রিয়াদের কবি কবি মন থেমে নেই, সুযোগ পেলেই সুবর্ণা নিয়ে কবিতা লেখে, রোমান্টিক গল্প লেখে। আজ বিকালে সুবর্ণার সাথে দেখা করবে রিয়াদ, কোথাও বসে আড্ডা দেবে দুজন। যেই ভাবা সেই কাজ রিয়াদ সুবর্ণাকে ফোন দেয়-
রিয়াদ: হ্যালো, কেমন আছ?
সুবর্ণা: এই তো ভালো, তুমি কেমন আছ?
রিয়াদ: ভালো আছ, বিকালে কোথাও ঘুরবো দুজন, ৪.০০ টার সময় জান্নাত রেস্টুরেন্টের সামনে চলে এসো তুমি।
সুবর্ণা: ঠিক আছে বাবু, আমি চলে আসবো, দেখো তুমি কিন্তু উল্টো লেট করো না।
রিয়াদ: না না, আমার লেট হবে না, ঠিক সময়েই চলে আসবো।
রিয়াদ কিছুটা ভাবুক প্রকৃতির হওয়ায় কোন কিছু ভাবতে লাগলে, এই সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ কিংবা কাউকে দেয়া কথাও রাখতে পারে না রিয়াদ, ভাবনাতেই ডোবে থাকে, তাই রিয়াদকে সুবর্ণনার সতর্ক করা। কিন্তু আজ রিয়াদের ইচ্ছায় সুবর্ণনার সাথে দেখা করছে, তাই দেরি করবে না রিয়াদ, এই সময়ে আর কোন কাজও হাতে রাখেনি।
ঠিক ৪.০০ টায় দুজনে জান্নাত রেস্টুরেন্টের সামনে এসে হাজির। রিয়াদ ও সুবর্ণা দুজনেই ম্যাচিং করে কাপড় পড়ে প্রায় সময়, আজ রিয়াদ লাল রংয়ের টি-শার্ট ও সুবর্ণা লাল রংয়ের ফতোয়া পড়ে এসেছে। দুজনে সিএনজি নিয়ে শহরের একেবারে শেষ প্রান্তে গ্রামাঞ্চলে চলে এসেছে। একটি সুন্দর মনোরম পরিবেশের পুকুর পাড়ে বসে আছে দুজন। কেউ কথা বলছে না, দুজনেই চুপ। নিরবতা ভেঙ্গে সুবর্ণা বলে-
সুবর্ণা: কথা বলছো না কেনো?
রিয়াদ: ভাবছি, সুন্দর একটা গল্প ভাবনায় এসেছে, সেখানে আমি নায়ক আর তুমি নায়িকা। সেখানে তৃতীয় একজন এসে আমার কাছ থেকে তোমাকে কেড়ে নিতে চায়।
সুবর্ণা: আমরা দুজন শহর থেকে এতো দূরে এসেছি, কিছু সময় হাসিখুশি কাটাবো, আর তুমি এখানেও ভাবনায় পড়ে গেলে, সব সময় এমন করলে সারা জীবন একসাথে আমরা কাটাবো কি করে?
রিয়াদ: এ নিয়ে তুমি ভেবো না, আমার গল্পে আমিই নায়ক, তুমি নায়িকা, তোমার সব দায়িত্ব আমার উপর, তোমার ভালোমন্দ সবকিছু আমিই দেখবো।
দুজনে এভাবে কথা কাটাকাটি করছে, এমন সময় এক কৃষকের গরু, রিয়াদ ও সুবর্ণনার গায়ে লাল জামা দেখে তাদের পেছন দিক থেকে ছুটে আসছে। কৃষক এটা বুঝতে পেরে, চিৎকার দিয়ে ডাকতে থাকে- ও সাহেব, দৌড়ে পালান, না হয় আপনাদেরকে পুকুড়ে ফেলে দেবে গরু, সুবর্ণা কৃষকের কথা খেয়াল করে, পেছনে ফিরে গরু দেখতেই, রিয়াদকে জড়িয়ে ধরে, রিয়াদও গরুটিকে খেয়াল করে, এই সময় রিয়াদ চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পালায়, আর সুবর্ণা দৌড়াতে না পেরে, গরুর ভয়ে পুকুড়ে ঝাপ দেয়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: একটু হাসতে মন চায়। তাই এমন লেখা আরকি।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এখন তো রাস্তায় গরু পাওয়া যায় না। গরু ঘরে থাকে আর গরুর খাবার দাবার সংগ্রহে গরুর মালিক দৌড়ে বেড়ায় সারা গ্রাম। এই গরু সুবর্ণার শ্বাশুড়ি বোধহয়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
যুবায়ের আহমেদ বলেছেন: গরু-ছাগল নিয়ে আমরা ক্ষেতে যেতাম আগে। ঘাসের জায়গা দেখে খুটা গেড়ে দিতাম এবং ঘাস কাটতাম আরেকদিকে গিয়ে। এখন তো আমার গ্রামের বাড়ীতেই ভিন্ন অবস্থা। আব্বা ২/৩টা গরু পালে। এগুলো ঘরেই থাকে সবসময়। দিনের বেলায় ঘরের বাহিরে এনে বেঁধে রাখে কিছুক্ষণ।-------গরুর পাশাপাশি মানুষের অবস্থাও তো একই। ছেলেরা মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে বাসায়।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: বাহা!
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
রানার ব্লগ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শায়মা বলেছেন: হা হা ভালোবাসার পরীক্ষা নিলো গরুটা