![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু মুক্ত বুদ্ধি সম্পন্য তথা কথিত উদার মনের বিক্রিত মস্তিষ্কের দূষিত রক্তের আস্বাদিত নেত্রিতের ছায়াতলে থাকার আসায় নিজের ধর্ম আর কর্ম জ্ঞানকে বিপথে পরিচালিত করে নিজের মা-বাবার শিখানো আদর্শকে ভুলে চোখে পলিটিকাল ব্রান্ড এর গগজ পরে বসে থাকা মানুষ রুপি মুসলিম পরিচয় দানকারী প্রাণীদের কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবো তা বোধগম্য হচ্ছেনা। এসব বিক্রিত মস্তিষ্কের কুরুচিপূর্ণ মানুষদের মন এতটাই দুরগন্ধযুক্ত যে এরা মদ-গাজার আসোর, মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করা, অন্যের জিনিস চুরি করা, অন্যায় পথে টাকা উপার্জন করাটাকে খুব সাধারণ বিষয় বলে মনে করে। এরাই বেশ্যার কোলে বসে মসজিদ থেকে বের টুপি পরা মুসলিমদের দিকে আঙ্গুল তুলে বলে তোরা রাজাকার, তোরা দেশদ্রোহী, তোরা ইসলামের দুশমন আরও কত কি। অবাক লাগে মাত্র ১২ বছরের বাচ্চার মাথায় টুপি দেখে ওইসব গাঞ্জুটে মদুদিরা “রাজাকারের বাচ্চা” বলে গালি দেয়। বেশ্যার কোলে বসে মদ-গাজার সুধা মুখে নিয়ে কাল টাকার জোর খাটিয়ে এরা কিভাবে আর একজনকে ইসলামের দুশমন, দেশদ্রোহী বলে গালি দেয় বুঝে আসেনা।
মোহাম্মাদ, রহমান, রহিম, আব্দুল্লাহ, ইসলাম এরকম আরও অনেক টাইটেল ওইসব মানুষদের নামের পরে আর আগে লাগিয়ে নিজেকে মুসলিম প্রমাণ করতে চায়। মজার বিষয় এরাই নাস্তিকদের সাথে উঠা বসা করে আবার কোন সংস্থার আগে বা পরে “ইসলাম” কথাটা থাকলে কটূক্তির সুরে কথা বলে কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে এদের ঘরের কোন না কোন মানুষের নামের আগে বা পরে “ইসলাম” শব্দটা আছে। যদি তাই হয়ে থাকে তবে কেন অন্যকে কটূক্তি করা? অন্যকে দোষারোপ করা? অন্যকে অবিশ্বাস করা? সমাধানের পথ কেন বেছে নেইনা? শুধু আঙ্গুল তুললেই কি সমাধান হয়ে যাবে?
আজ এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে যদি সাদা মনের কেও আসে তাকেও আমাদের মিডিয়া তাকে অনাকাঙ্ক্ষিত উপাধিতে ভূষিত করবে আর আমরাও মূর্খের মত মিদিয়ার তালে তালে নেচে যাব। সমস্যা আসলে আমাদের ভিতরি। আমরা মুখে যত যাই বলিনা কেন দিন শেষে আমরা আমাদের স্বার্থের বাইরে একটা পদক্ষেপও দেইনা।
আমাদের দেশ যারা চালায় তাদের মুখেই সোনা যায় আমাদের নাকি শিক্ষার হার আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আমার জিজ্ঞাসা এই তরুণ সমাজের কাছে আসলেই কি আমাদের শিক্ষার হার বেড়েছে? নাকি আমাদের ভিতর সার্টিফিকেট নিয়েই মারামারি আর অহংকারের ঝড় উঠেছে?
সব শেষে একটা কথাই বলতে চাই “বিচার মানি কিন্তু তাল গাছটা আমার” এই মনোভাব যদি আমাদের বর্তমান তরুণ সমাজ ছাড়তে না পারে তবে যত জাগরণই হোক আর যত মঞ্চই হোক না কেন সেতা বেশিক্ষন টিকবেনা। একটাই বিনতি সবার কাছে দয়া করে আপনারা রাজনৈতিক গগজ খুলে সত্য আর সত্যিকার আদর্শের গগজটা চোখে লাগান নতুবা অন্ধকারের অতল গহবরে নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবেন খুব তারাতারি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৪
হালি্ বলেছেন: