![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সার্ক শীর্ষ সন্মেলন কি , কেন এবং উপকারিতা !!! সার্কের প্রতিষ্ঠাতা কে বর্তমান সরকারের অবমাননা রুখে দাঁড়ান !!
==========================================================
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সংক্ষেপে সার্ক) দক্ষিণ এশিয়ার একটি সরকারি সংস্থা। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক,অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতা করার লক্ষে এক রাজোকীয় সনদপত্রে আবদ্ধ হন । এটি অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং উন্নয়নের যৌথ আত্মনির্ভরশীলতা জোর নিবেদিত । কিন্তু কে এই সার্ক গঠন করেন কি ছিল এর পিছনে মুল লক্ষ্য ? আমরা অনেকেই জানিনা , তাই আজকে সকলের উদ্দেশ্যে তুলে ধরলাম ।
প্রতিষ্ঠাতা ও লক্ষ্য
===============
সার্ক প্রতিষ্ঠাতার ব্যাপারে কথা বলতে গেলে প্রথমে অবশ্যই একজন কালজয়ী ও সফল রাষ্ট্রনায়কের কথা বলতে হবে । যার কারনেই আজক দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতায় আবদ্ধ হন । তিনি আর কেউ নন , তিনি হলেন বাংলাদেশের সর্ব প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ।আর যিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষনজন্মা রাষ্ট্রনায়ক । নানা কারণে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, গভীর দেশপ্রেম,পরিশ্রমপ্রিয়তা, নেতৃত্বের দৃঢ়তা প্রভৃতি গুণাবলি এ দেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। তিনি ছিলেন একজন পেশাদার সৈনিক। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের কাছে তার যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল অন্য কোনো রাষ্ট্রনায়কের ভাগ্যে তা জোটেনি। মাত্র ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু সাধারণ মানুষ তার ওপর ছিল প্রচণ্ড আস্থাশীল। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার ওপর মানুষের এই আস্থায় কোনো চিড় ধরেনি। তিনিই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃত রাষ্ট্রপতি , এবং তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এ দেশকে হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন । ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ একদল বেঈমান বাংলাদেশের ৭ কোটি মানুষকে বিপদের মুখে ফেলে দিয়ে গ্রেপ্তার নাটক সাজিয়ে পাকিস্তানের কারাগারে রাজকীয় হালে অবস্থান নেন । সেই রাতেই ৭ কোটি বাঙ্গালীকে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন এই রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান । বর্তমানে একদন শাসক গোসটি এই মহান নেতাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন । আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে সকল ষড়যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাবে হায়েনাদের ।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের কূটনৈতিক নীতিমালায় বিশেষ পরিবর্তন আনেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তির দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে বিশেষ একটি কূটনৈতিক অবস্থানের সৃষ্টি হয়, যার ফলে বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী ভারত সহ সোভিয়েত ইউনিয়নের বন্ধুত্ব ও অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক নৈকট্য গড়ে উঠেছিল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক স্নায়ু যুদ্ধের তৎকালীন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির উল্লেখযোগ্য সংস্কার করেন যার দুটি মূল দিক ছিল সোভিয়েত ব্লক থেকে বাংলাদেশের সরে আসা ও মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক স্থাপন করা। জিয়াউর রহমান সোভিয়েত ইউনিয়ন ব্যাতীত প্রাচ্যের আরেক পারমাণবিক শক্তি চীনের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হন। তাঁর পররাষ্ট্রনীতি সংস্কার প্রক্রিয়ার আওতায় আরও ছিল বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আরব বিশ্বের সাথে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ, যে সম্পর্কে স্বাধীনতার পর থেকেই শৈতল্য বিরাজ করছিল। মধ্যপ্রাচ্যের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সুবিধা ও উপকারিতা বাংলাদেশ আজও পুরোমাত্রায় উপভোগ করছে কেননা বর্তমানে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যে বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মস্থলে পরিণত হয়েছে তার রূপরেখা জিয়াই রচনা করে গিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সাথে স্থাপিত সম্পর্ক অনেকটা অর্থনৈতিক হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সাথে স্থাপিত সম্পর্কে সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যুগুলোও প্রাসঙ্গিক ছিল। বিশেষ করে চীনের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পূণর্গঠনের কাজ অনেকটা তরান্বিত করেছিলেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্রাগারের দিকে তাকালে সেই সত্যই প্রতিফলিত হয়। সামরিক পূণর্গঠনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর সাথে উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে জিয়া রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা বিমানের আধুনিকীকরণও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
প্রাথমিক ভাবে এসব সংস্কার বৃহত্তর প্রতিবেশী ভারতের সাথে সামান্য দূরত্ব সৃষ্টির ইঙ্গিত বহন করলেও জিয়াউর রহমান যে আঞ্চলিক সহায়তাকে গুরুত্ব দিতেন সেই সত্যের প্রতিফলন ঘটে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহায়তা সংস্থা (সার্ক) গঠনে তাঁর উদ্যোগ ও অবদানের মধ্য দিয়ে। যেহেতু ভারত সে সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অত্যন্ত বন্ধুভাবাপন্ন ছিল, স্নায়ুযুদ্ধের অপরপক্ষ অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ কূটনৈতিক নৈকট্য ভারতের সাথে দূরত্ব সৃষ্টির একটি কারণ হতে পারত। চীনের সাথে বাংলাদেশের তৎকালীন সদ্যস্থাপিত সুসম্পর্কও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন যে আঞ্চলিক প্রতিযোগীতার বদলে সহযোগীতা স্থাপিত হলে বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে যার ফলে বাংলাদেশ সহ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো উপকৃত হবে। এই লক্ষ্যে তিনি সার্কের রূপরেখা রচনা করেন যা পরে ১৯৮৫ সালে বাস্তবে রূপ নেয় ও প্রতিষ্ঠিত হয় সার্ক।
সার্ক মুলত প্রতিষ্ঠা করা হয় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক,অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশসমূহের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতা করার লক্ষে । এটি অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং উন্নয়নের যৌথ আত্মনির্ভরশীলতা জোর নিবেদিত । এবং যা একমাত্র সম্ভব হয়েছিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সম্পূর্ণ কষ্ট ও অবদানের কারনে ।
সার্ক ভুক্ত দেশ
===========
সার্কের প্রতিষ্টাতা সদস্য সমূহ হল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান এবং ২০০৭ সালে আফগানিস্তান সার্ককের সদস্য পদ লাভ করে । রাষ্ট্রের শীর্ষ মিটিং সাধারণত বাত্সরিক নির্ধারিত এবং পররাষ্ট্র সচিবদের সভা দুই বছ পর পর অনুষ্টিত হয় । নেপালের কাঠমান্ডুতে সার্কের সদর দফতর অবস্থিত । সার্ক সদর দপ্তর জানুয়ারী ১৬, ১৯৮৭ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নেপালের প্রথিতযশা রাজা বীরেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ দেব এটি উদ্বোধন করেন।
সার্ক শীর্ষ সন্মেলন
==============
দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং উন্নয়নের মাত্রা বৃদ্ধি করতে প্রতি দুই বছর পর পর সার্ক শীর্ষ সন্মেলন করা হয় । প্রতিবছরই সার্ক শীর্ষ সন্মেলনে একজন করে প্রতিনিধি ঘোষণা করা হয় । ১৯৯৩ ও ২০০৫ সালে দুই দুইবার সার্ক সন্মেলনের প্রতিনিধি সভাপতি নির্বাচিত হন বাংলাদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী , বর্তমান জোট নেত্রী দেশ মাটি ও মানুষের মা , দেশনেত্রী বেগম খেলেদা জিয়া ।
আজ আবার ও হচ্ছে সার্ক শীর্ষ সন্মেলন ১৮ তম । হিমালয় কন্যা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) ১৮তম শীর্ষ সম্মেলন।বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইতিমধ্যে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছেন। সার্কভুক্ত আট দেশের সরকার প্রধানের শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে নতুন সাজে সেজেছে নেপালের রাজধানী । এবারের মুল আলোচ্য বিষয় সার্ক দেশগুলোর মধ্যে মোটরযান ও রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সম্পর্কিত । তবে এবারের সার্ক শীর্ষ সন্মেলনে তেমন কোন আশানুরূপ ফল আসবেনা । কারন হিসেবে জানা যায় যে প্রথমে ভারতের সহিত বাংলাদেশের গোপনীয় ট্রানজিট চুক্তিতে সার্ক দেশগুলোর মধ্যে মোটরযান ও রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা এবং বিদ্যুৎ খাতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে ।
পরিশেষে বলতে চাই , যার অবদানে আজকে দক্ষিন এশিয়ার অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং উন্নয়নের যৌথ আত্মনির্ভরশীলতা জোরদার হয় তাকে নিয়ে এত যে সকল ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে সকল ষড়যন্ত্র সার্ক শীর্ষ সন্মেলনে তোলা দরকার । এবং এর একটা স্থায়ী সমাধান ও ষড়যন্ত্র কারীদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার । জিয়াউর রহমান কে অপমান ও তার নাম দেশ থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্তে লিপ্ত এ সরকার পদে পদে যে সকল ক্ষেত্রে জিয়া কে অস্বীকার করছেন । তাই বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর উচিত সার্ক সম্মেলন বয়কট করা।
আমি আবার ও বলছি ____ দয়া করে জিয়াউর রহমান গড়া সার্ক সম্মেলনে যাবেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যেতে হলে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন ও জিয়াউর রহমানের অবদান কে স্বীকার করুন ।।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ,
শহীদ জিয়াউর রহমান গঠিত সার্ক সফল হউক ।
শহীদ জিয়াউর রহমান অমর হউক ।।
©somewhere in net ltd.