নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধের লাঠি

অন্ধকার মানুষ

অন্ধকার মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইভটিজিং, দায়ী কে?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

ইভটিজিং শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশী পরিচিত। ইভটিজিং সচরাচর নারীদেরকে করা হয় তা আমারা সবাই জানি কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষ পুরুষেরাও ইভটিজিং এর স্বীকার হয় তবে সেটা ভিন্ন নামে প্রকাশ পায়।

এই ইভটিজিং এর পিছনে দায়ী কারা, নারী নিজে নাকি পুরুষেরা না নারী পুরুষ সবাই?
আসলে দায় সবারই, তারতম্য কম বা বেশী। অনেকে ইভটিজিং এর জন্য নারীর পোশাক পরিচ্ছদ আর চালচলনকে দায়ী করেন কিন্তু এটাই একমাত্র কারন নয় এটা অনেকগুলো কারণের একটা হতে পারে। বাজারে ভালে ভালো খাবার দেখলেই কি আপনাকে সেগুলোর উপর হামলে পড়তে হবে? দেখতে হবে সেগুলোর মালিক কে, আদেী কি আপনি সে খাবারগুলো কিনতে পারার যেীগ্য কিনা বা আপনার সামর্থ আছে কিনা? নারী অশালীন পোশাক পরলেই কি তাকে ইভটিজিং করতে হবে? আর নারী অশালীন পোশাক পরে বের হয়েছে বিধায় আপনি তাকে কটু কথা বলবেন অশ্লীল ইঙ্গিত করবেন আর নারী যখন পর্দার সাথে বের হয় তখন কি আপনি তাদেরকে সালাম করেন, তার ভালো গুনগুলো অনুসরন করেন? না আপনি তা করেন না, করবেন না, আপনার লক্ষ্য নারীর পোষাক নয় নারীই আপনার লক্ষ্য।

কেউ রাস্তায় উলংগ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকুক বা বোরকা পরে থাকুক তাতে মাথাব্যথা থাকবে কেন? সব অশ্লীল কাজ করার সামর্থ্য কি আমাদের আছে? নাই আমাদের যেমন সব ভালে কাজ করার সামর্থ্য নাই তেমনি সব খারাপ কাজ করার সামর্থ্যও আমাদের নাই। আর আমাদের নারীরা যদি তাদের পোশাক আশাকে একটু শালীনতা অবলম্বন করে নিজেদের রক্ষা করতে পারে তাহলে সেখানে তাদের আপত্তি থাকবে কেন? নারী যদি ইচ্ছা করে নিজেকে অন্যের কাছে পন্য হিসাবে উপস্থাপন করে তবে তা যাছাই বাছাই করার জন্য পুরুষ আসবেই। তাই নারী নিজেকে অন্যের কাছ থেকে রক্ষা করার জন্য পোশাক আশাক আচার আচরন চালচলনে শালীন হতে হবে। অশালীন চরিত্রের নারীরা সবচেয়ে বেশী নিগৃহিত হয় আর পর্দানশীন শালীন পোশাকের নারীরা ইভটিজিং এর স্বীকার হয়েছেন এমন নজির খুবই দূর্লভ।

আবার অনেকেই নারীর উপর পুরুষের প্রাধান্য কে দায়ী করে থাকেন যদিও বাংলাদেশে এখন সকল ক্ষমতাধর ব্যাক্তিরা নারী।কেবল নারীর ক্ষমতায়নই নারীর প্রতি অসদাচারন রুখতে পারবেনা যার প্রমান বাংলাদেশ। তাই নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীর সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য উসকানিমূলক স্বভাব পরিত্যাগ করতে হবে।

এমনও লোক আছে যারা মনে করে অন্যায় অত্যাচার নারীরা মুখ বুজে সহ্য করে নেয় আর জোরালো প্রতিবাদ করতে পারেনা বিধায় তারা ইভটিজিং এর স্বীকার হয়।নারী প্রতিবাদ করলেই কি ইভটিজিং বন্ধ হয়ে যাবে? কয়েকজন সামর্থ্যবান পুরুষের সাথে একজন নারীর প্রতিবাদের ভাষা কতটুকু প্রভাব ফেলবে তা সহজেই অনুমেয়।

দেশের প্রচলিত আইন, বিচার প্রক্রিয়াকেও দায়ী করেন এক শ্রেনীর মানুষ। দেশের প্রচলিত আইনে ইভটিজারদের শাস্তির বিধান দূর্বল ও মামলার দীর্ঘসূত্রতা থাকায় ইভটিজাররা সহজে পার পেয়ে যায়। কঠোর নীতিমালা করে ইভটিজারদের শাস্তির আওতায় আনলে ইভটিজিং এর মাত্রা কমানো সম্ভব।

তবে সবচেয়ে বেশী যেীক্তিক একটি কারন হলো নারী পুরুষ সবার মাঝে ধর্মীয় অনুশীলনের অভাবই ইভটিজিং এর অন্যতম কারণ। ইসলামে চক্ষু ও লজ্জাস্থানের হেফাজতকে ফরজ করা হয়েছে আর যার চক্ষু ও লজ্জাস্থানের হেফাজত থাকবে তার দ্বারা ইভটিজিং কোন ভাবেই সম্ভব নয়। আমরা সবাই যদি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি, ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলি, সবাই তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখি তাহলে ইভটিজিং কেন, কোন অপরাধই সংগঠিত হবে না। আর একমাত্র ধর্মীয় বিধানই পারে আমাদের এই অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে পারে।

ইভটিজিং এর কারণ যাই হোক ইভটিজিং বর্তমানে একটি সামাজিক ব্যধিতে পরিনত হয়েছে। এই ইভটিজিং এর স্বীকার হয়ে অনেক নারী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এই আত্মহনন কোন সমাধান নয় বরং ইভটিজারদের বিরুদ্ধে লড়াই করাই সঠিক সমাধান।ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, আইন করে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যার যার অবস্থানে থেকে সবাইকে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে এবং নিজেদেরকে ইভটিজিং থেকে দূরে রাখতে হবে

- সংগ্রীহিত

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১২

নতুন বলেছেন: পুরুষ হবার অহংকার, আর সমাজের দূবলতা...

একটা মানুষ রাস্তায় দাড়িয়ে এক বান্ডিল টাকা গুনলে আপনি থাবা মেরে নিতে পারেন না..... সেটা অন্যায়...

তেমনি ইভটিজিংএর জন্য কোন যুক্তি নাই....নারী কি পোষাখ পরবে সেটা কোন যুক্তি নাই টিজিং করা জন্য.... এটা অন্যায়...

আমাদের সমাজে আগামী কাল .... পুলিশ প্রতি মোড়ে মোড়ে সব টিজকারীকে রাস্তায় কান ধরে দাড়করিয়ে রাখুক....

এই খবর টিভি/পত্রিকা/ফেজবুকে ১ মাস প্রচার হওক....

দেশে ইভটিজিং বলে কিছু থাকবেনা....

ক্ষমতাসালিরাই দূবলের মেয়েদের টিজ করে...

এলাকার নেতা/পুলিশের মেয়েদের কেউই টিজ করেনা...

মাইরের উপর ঔষুধ নাই.... ;) ;)

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

অালমগীর ৮৫ বলেছেন: মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের ও কিছু নিয়ম কানুন অাছে। যে কোন মানুষ যা খুশি তাই করতে পারে না। সমাজের নিয়ম মেনে বা রাস্ট্রের নিয়ম মেনেই তাকে চলতে হয়। একটি ছেলে যদি রাস্তা দিয়ে জাঙ্গিয়া পরে ঘুুরে বোড়ায় তাহলে সেটা যেমন সবার চোখে দৃষ্টি কটু হবে এবং তাকে সবাই দুর দুর করে লোক চক্ষুর আড়ালে যেতে বাধ্য করবে। শালিন পোষাক পরে লোকালয়ে বের হতে বলবে। ঠিক তেমনি অশালীন পোশাক পরে কোন মেয়ে ও লোকালয়ের এ পরিবেশ নষ্ট করতে পারে না। নিবিঘ্নে সমাজের প্রতিটি ক্ষেেত্রে বিচরণ করতে পারাটা আমাদের অধিকার। সেক্ষেত্রে উলঙ্গপনা করে নির্বিঘ্নে আমার সে অধিকার কে হরণ করার অধিকার কোন মেয়েকে দেওয়া হয় নি। এ কথাটা ও মাথায় রাখতে হবে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

অন্ধকার মানুষ বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩

হারুনরশিদ বলেছেন: প্রত্যেকের চোখ ও লজ্জাস্থান-কে হেফাজত করা এবং সংযত করা ইসলামে ফরজ করা হয়েছে। অতএব একমাত্র ইসলাম-ই পারে সকল সমস্যার সমাধান দিতে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে এখন ধর্ম চর্চা করে বেশীরভাগ দরিদ্র এবং অশিক্ষিত মানুষ। যার ফলশ্রুতিতে ধর্মগুরুরা বর্তমানে মানবতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা জীবন ব্যবস্থাকে নিয়ে গেছেন ভিক্ষা বৃত্তিতে। এমতাবস্থায়, সঠিক ধর্মগুরু একান্ত জরুরী

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

পৃথিবীর আলো বলেছেন: রাস্তায় সব মেয়েরাই বের হয়। কিন্তু ইভটিজিংয়ের শিকার হয় কয়জন? সবাই কি হয়? হয় না।

"আপনার জামা দিন দিন হয়ে যাবে ছোট, হাতা হয়ে যাবে ছোট, ছোট হতে হতে হাতা থাকবেই না। বুকের ওড়না থাকবে ফাঁসির দড়ির মত চিকন হয়ে গলায় আটকিয়ে। আর উন্নত বক্ষযুগল হলেও ঢাকবেন একটা। আপনার পায়জামা দিন দিন ছোট হচ্ছে, চামড়ার সাথে এতটাই লেপ্টে যাবে যে অপনি পায়জামা পড়েননি বলে অনেকেই ভুল করবে। আপনার জামার গলার, পিঠের কাটা বড় হচ্ছে, আগে জামার নিচে কি যেন বলে ও শেমিজ নাকি, পড়তেন। এখন যত পাতলা জামা পড়েন না কেন শেমিজ পড়েন না। আপনি যখন কারো সামনে দিয়ে হেটে যান, আপনার পোশাকের বাহার দেখে সহজেই যে কেউ অনুভব করে আপনার মধ্যে যৌন উত্তেজক কিছু আছে যা আপনি শেয়ার করতে চান।"

এরপর যখন কোন উঠতি বয়সি পথভ্রষ্ট কামুক যুবক আপনাকে আহ্বান করবে, তখন আপনি বলে দেবেন, দেখেন আমি যদিও আপনার বুকে কামনার ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছি কিন্তু আপনি আমার সুধা পান করার যোগ্য না। ........................

এরপরও প্রশ্ন থেকেই যায়........ইভটিজিং, দায়ী কে?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫২

অন্ধকার মানুষ বলেছেন: আমার মনের কথাই বলেছেন
অনেক ধন্যবাদ...

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

নতুন বলেছেন: @ পৃথিবির আলো...

আপনি কি কখনো ইভচিজিং করেছেন? করলে কেন করেছেন? বা না করলে কেন করেন নাই?

আপনি কি রাস্তায় দাড়িয়ে কোন মানুষ কে টাকা গুনতে দেখেছেন?

সেই লোকের হাতের টাকাগুলি আপনি কেন নিয়ে হাটা দেন নাই? তিনিও তো খুবই আকষ`নিয় টাকা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো যেটা আপনি থাবা মেরেই নিজের পকেটে রাখতে পারতেন?

সমস্যা বিবেক বোধের.... মেয়েদের পোষাকে না...

বাইরের দেশের মেয়েদের তুলনায় আমাদের দেশের মেয়েরা হাজারগুন স্বালীন পোশাক পড়ে...

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: সোজা কথায় ইভতিজিংয়ের জন্য দায়ী যে ইভটিজিং করে, সেই। আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হলে একমাত্র তাকেই দিতে হবে। মেয়েদের পোশাক বা চালচলন নিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে আকথা কুকথা শোনানো ইভটিজারকে সাপোর্ট দেবারই নামান্তর।

তবে ইভটিজারের বাইরে যদি কাউকে দোষ দিতে হয়, তো দিতে হবে সেই মায়ের, যে এরকম কুসন্তানের জন্ম দিয়েছে, দিতে হবে ঐ বাবার - যে তার পুত্রধনকে মেয়েদের সম্মান করতে শেখায়নি। আর হল ঐ বন্ধু বান্ধব, যারা মেয়েদেরকে তার কাছে 'সেইরকম মা..ল হিসেবে চিনিয়েছে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০২

অন্ধকার মানুষ বলেছেন: আধুনিকতার নামে মেয়েরা নেংটা হাটে, মডেলিং এর নামে স্টেজের আড়ালে চলে বেহায়াপনা যেটার আহবানকারি এই নারী। চাকরি পেতে ইন্টারভিউ বোর্ড এ বুকের আচল নিচে নামাতে দিধাবোদ করেনা এই নারী...
সত্যি বলতে গেলে বলতে হয় দোষ ঐ নারীদের যারা নিজেদের সম্মান রাখতে জানেনা, দোষ সেই নারীদের যারা নিজের মেয়েকে শিক্ষা দিতে পারেনা কিভাবে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করতে হয়, দোষ সেই বাবার যে তার নিজের মেয়েকে শাষন করতে পারেনা, দোষ ওই মেয়েদের যারা নিজেদেরকে অন্যের সামনে মা..ল হিসেবে উপস্থাপন কর।।

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৭

মাহমুদুল করিম লিংকন বলেছেন: সবই বুজলাম, তা হুগুর ১৭ মাসের মেয়ে যখন রেপ হয় তখন দোষটা কার থাকে!!!!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১০

অন্ধকার মানুষ বলেছেন: Exception never be an example…

৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৬

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আপনি ভুল।

ইভটিজিং এর পিছনে দায়ী একমাত্র নারী!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

অন্ধকার মানুষ বলেছেন: নারীরা এককভাবে দায়ী নয়, তবে অধিকাংশ ইভটিজিং হয় নারীদের কারনেই।

৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩১

পৃথিবীর আলো বলেছেন: @ নতুন..........

আপনি আসলেই নতুন। টাকা গুনা আর ইভটিজিং করা.... এক হলো? যে রাস্তায় দাড়িয়ে টাকা গুনছে, আর যে দেখছে দুজনের কাছেই টাকা থাকতে পারে। সুতরাং প্রাসঙ্গিক আলোচনায় আসুন।

বিবেক বোধের যে সমস্যা সেটা নিয়ে কেউ দ্বিমত করবে না। কিন্তু বিবেকেরও তো একটি সীমা আছে নাকি???

লেখক ৬ নং মন্তব্যের প্রতিউত্তরে যা বলেছেন, সেটা হচ্ছে সারমর্ম, সেটা ফলো করেন। আশা করি আপনার মনের ভুল ভাঙবে। আর না ভাংলেও কোন সমস্যা নাই, আপনি তো নতুন...................

১০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আহা! সাধু! সাধু!!

পোষ্টে কতো সুন্দর সুন্দর বাক্যালাপ করে মন্তব্যে কতো সুন্দর করে রিভার্স খেল দেখাচ্ছেন!

নিকের সার্থকতা আপনারা রাখেন। ইতিপূর্বেও বহুবার প্রমাণ পেয়েছি।

১১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @পৃথিবীর আলো আর অন্ধকার মানুষ হয়ে কতো মাল্টিবাজী করবেন!

সালোয়ার কামিজ ও আপনার উল্লেখিত সেমিজ পরা মেয়েরেও তো অহরহ ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে। শিকার হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে শাড়ি পরা সাধারণ একজন নারী। সাধারনভাবে বোরখা পরে যাওয়া একজন নারীর বোরখার তলের জমিন আপনি সার্ভে করে ফেলছেন নিমিষেই! এগুলো কি? এগুলো কেন হয়? আবার ৭ নাম্বারের রিপ্লাইয়ের মতো এংরেজি কাপচাইতে আইসেন না। ইংরেজি পুর্নাঙ্গ বাক্য বলা শিখুন, তারপরে ডায়লগ দিন।

৬ নাম্বার মন্তব্যের যাদের কথা বললেন, তারা কিন্তু সচারাচার টিজিঙের শিকার হয় না। টিজিঙের শিকার হয় পোড়া কপালওয়ালা সাধারণ মেয়েরা। এরা সমাজের আর দশজনে যা পরে, তাই পইরা জীবনধারণ করে। এরা রুচিশীল শাড়ি/সেলোয়ার/ফতুয়া পইরাই বাঙ্গালির মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা হিসাবে আমাদের মত শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি, পাঞ্জাবী পরা বাবা, ভাই, স্বামী, ছেলেদের সাথে চলাফেরা করে।

যে সকল বড়লোকের মেয়েরা পশ্চিমা পোশাক পইরা ঘুরে, যাদের পর্দা নিয়া আপনারা চিন্তিত, পারলে তাদের টিজিং কইরা দেখাইয়েন। মাইয়ার প্রতাপশালী বাপে আপনেগোর মত ডিজিটাল ইভটিজারদের --- দিয়া আইক্কাওয়ালা বাশ ঢুকাইয়া ছিন্নভিন্ন কইরা দিব।

১২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

অন্ধকার মানুষ বলেছেন: @অপূর্ণ রায়হান
আপনি যে ইংরেজি বুঝেন না তা আপনার লেখাতেই বুঝা গেল। কোনটা কমপ্লিট সেন্টেন্স আর কোনটা ইনকমপ্লিট সেটা বুঝার মত ইংরেজি এখনো আপনি শিখতে পারেননি। আর রাস্তায় হাটার সময় চোখ খুলে হাটুন তাহলেই জানতে আর বুঝতে পারবেন কোন ধরনের শাড়ি পরা মেয়েরা ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে। আপনার কথা ধরেই বলছি শাড়ি কয়েকভবেই পড়া যায়, যেমন
১) শাড়ির আচল এক ভাজ (চিকন ভাজ) করে আড়াআড়ি ভাবে পড়া যায় যার ফলে নারীদের কোমড় থেকে শুরু করে বুকের একাংশ এবং পিছনে পিঠের প্রায় অর্ধেকটাই খুব সহজেই দৃষ্টি গোচর হয়।
২) শাড়ির আচলকে সম্পুর্ণ ছড়িয়ে ডান কোমরের নিচ থেকে আড়াআড়ি ভাবে বাম পাশের ঘাড় উপর দিয়ে নিয়ে পিছনের পিঠ ঢেকে ডান ঘাড় এ নিয়ে আসলে একটা নারীর পেঠ বা পিঠ কিছুই দেখা যায় না।
৩) পাতলা জর্জেট বা নেট এর শাড়িকে খুব আটোসাটো ভাবে শরীরের সাথে মিশিয়ে পড়া যায় যার সাথে অনেক মেয়েই আছে যারা বড় গলার ব্লাউজ পড়ে থাক।
এমন আরও কয়েকভাবেই শাড়ি পড়া যায়, এখন আপনিই ভেবে দেখুন এদের ভিতর কোন ধরনের শাড়ি পড়া মেয়েরা ইভটিজিং এর শিকার হয়।

১৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: টিজারদের যেমন বুঝানো যায় না, আপনাকেও বুঝানো যাবে না। ডিজিটাল ইভটিজার বলে কথা!

এবার আসি, ইংরেজির ব্যাপারে!

আপনার পড়াশুনার দৌড় কতদুর তা আপনার ঐ তথাকথিত ইনকমপ্লিট সেন্টেন্স দেখে আর এই মন্তব্য থেকে বুঝা গেলো। এফ ওয়াই আই, আমি বেশ অনেক বছর ইংল্যান্ডে বসবাস করে এসেছি। লাস্ট ইয়ারে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির অধীনে আই ই এল টি এস এ আমার ৭.৫ স্কোর আছে। তারমানে এটাই যে কিছু হইলেও ইংলিশ বুঝি।

Exception never be an example…

এটা কি শেষের তিনটা ... এর কারনে ইঙ্কমপ্লিট? =p~ =p~ যে লোক সেন্টেন্সের স্বাভাবিক গঠন সম্পর্কে নুন্যতম ধারনা রাখে না সেই এরকম বলবে! Exception ও never এর মাঝখানের মিসিং শব্দটি ব্যাতিত আপনার এটা ইঙ্কমপ্লিট সেন্টেন্সও তো হয় না! আমি বলবো না! দেখি আপনি খুঁজে বের করতে পারেন কি না! =p~ =p~ =p~

১৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
অপূর্ণ, হা হা হা।

১৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আমি সবার মত এত বুঝিনা বোধকরি আপনার মতওনা।তাই ছোট করে বলি-
আমি ধর্ষণ নিয়ে কোথায় যেন বলেছিলাম - "একজন ধর্ষককে ধর্ষক হতে কোন বহিরাগত কারণ দরকার হয়না,তা একজন পুরুষে বিকৃত মন ও নষ্ট শরীরটাই যথেষ্ট।" ঠিক তেমনি একজন ইভটিজারের বেলায়ও তাই।

১৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @স্বর্ণা, আপনি হাসেন! আপনার মেজাজ খারাপ হয় না! মনে আছে ভার্চুয়াল রেপিস্টদের কথা! আজকে পেলাম ভার্চুয়াল ইভটিজার! আপনার হাসিতে কিন্তু পোস্ট দাতা ভুল বুঝে কেলিয়ে দিতে পারে ! :)

@ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট, একমত। একেবারে ডাইরেক্ট কথা বলেছেন।

@অন্ধকার মানুষ, রাস্তা দিয়ে চলার সময় আমার চোখ খান খোলা থাকে। চোখ থাকে খানাখন্দের দিকে, কান থাকে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন শব্দ শোনার জন্য।
কোন মেয়ের জামার তলে সেমিজ আছে না নেই, কোন নারীর শাড়ি ভেদ করে নাভি দেখা যায় কি না! সেটা দেখার জন্য চোখ কান খোলা রাখার মতো কুলাঙ্গার এখনো হতে পারি নি, পারবোও না।

ইভটিজিং ও মেয়েদের জামাকাপড় এক হয় কিভাবে আমি বুঝি না। একটা হল সোজা কথায় অপরাধ। আর অশালীন পোশাক পরা হল বিকৃত রুচির বহিঃপ্রকাশ! দুইটা এক পাল্লায় মেপে জামা কাপড়ের দোহাই দিয়ে ইভটিজিংকে সমর্থন করা বা লাইসেন্স দেওয়ার অর্থ কি?

অনেক আগে এক্তা পোস্ট দিয়েছিলাম ভার্চুয়াল রেপিস্টদের জন্য এক মহা সংকলন পোস্ট , আসো , দেখো , জানো এবং বুঝার চেষ্টা করো ( যদি গ্রে সেলগুলা একটিভ থাকে এখনও ) রেপিস্ট এর জায়গায় ইভটিজার লাগিয়ে পড়ে নিন, অনেক কিছু জানতে পারবেন।

১৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জানেন তো বাংলাদেশ যে ছাগল উৎপাদনে সেরা হয়েছে!!!
- আপনাদের মত কিছু মানুষের অবদানের ফসল এই শীর্ষস্থান অর্জন।

চালিয়ে যান!

১৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: বাহ পুস্টে এতো সুন্দর কথা কইয়া মন্তব্যে আইসা এমুন পাল্টি খাইলেন কেনু?

আসলে একটা কথা কি জানেন? কুকুরের সামনে মাংস ঢেকে নিয়ে যান আর খোলা অবস্থায় নিয়ে যান কুকুর সেই মাংসের গন্ধ শুকে ঘেউ ঘেউ করবেই। এবং আরও কিছু কুকুর ঘেউ ঘেউ করে ঐ কুকুরকে সমর্থন জানাবে! এখানেই হচ্ছে মানুষ আর কুকুরের ভিতরে পার্থক্য!! আশা করি বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চেয়েছি!




আর আপনার ইংরেজি জ্ঞান কে খাড়াইয়া স্যালুট, রেস্পেক্ট আর অভিনন্দন! :ী

১৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

অন্ধকার মানুষ বলেছেন: @অপূর্ণ রায়হান
খুব চমৎকার ভাবে আপনি আমার কথাটা পাশ কাটিয়ে গেলেন। আর শিক্ষার জোর দেখাচ্ছেন? প্রায় ৪.৫ বছর ইউ এস থেকে আসলাম। এ সি এ, এ সি এম এ আমার ঝুলিতে আছে, আসা করি জানেন এগুলার মানে কি। আপনার কথা শোনা মাত্রই আমার বন্ধুর কথা মনে পড়ে গেল, সে ইউকে থেকে এমবিএ করে আসলো প্রায় ২ বছর আগে। কিন্তু ভাল কোন চাকরি এখনো পায়নি তার কারণ একটাই, সে সবার চেয়ে ১ লাইন বেশি বুঝে।
আপনার আই ই এল টি এস এ আসা করি সেন্টেন্স আর ডায়ালগের মধ্যে পার্থক্য শিখিয়েছিল,। আর একবার শিখে আসুন, অঝথা কপচাবেন না।
আর আই ই এল টি এস ইংলিশ ভাষার কোন মান দণ্ড নয়, এটা শুধুমাত্র একটা চার্টিফিকেট। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশের কিছু গরু ছাগল এসব চার্টিফিকেট কে অনেক বড় কিছু বলে মনে করে।

২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: এতো এতো সার্টিফিকেট নিয়ে অনলাইনে থেকে এতো দেরী করে রিপ্লাই দেন! হাহাহাহাহা পাশ কাটালাম কৈ! পরের মন্তব্যে তো বললামই! আপনিই বরং পাশ কাটিয়ে গেলেন!

জি শিখিয়েছিল। এবং আমি জবও বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ কোম্পানিতে। ডায়লগ বিহীন সেখানে কিভাবে ছিলাম বলেন! বাঙালী বা সাউথ এশিয়ানদের কোন প্রতিষ্ঠানে জব করি নি। তাই, জ্বর হলে, my inside very hot বা কামিং সুন না বলে soon come অথবা Exception never be an example… এরকম ডায়লগ শুনতাম শুধুমাত্র বাঙাল জ্যাক অর্থাৎ জাকারিয়াদের মুখে !

যাই হোক, আপনার জ্ঞান অনেক বেশী নিঃসন্দেহে! আরও একবার প্রমানিত হইল, সার্তিফিকেট থাকলেই শিক্ষিত হওয়া যায় না! সুশিক্ষিত তো আরও দূরের ব্যাপার! মানবিক ও বিবেক জনিত শিক্ষাগুলো আসে তার আশেপাশের পরিবেশ ও পরিবার থেকে।

যাই হোক, আপনার এই পোষ্টের অনেক হিট বাড়িয়েছি আর না। আপনার মঙ্গল হোক, এই কামনাই করি। বিদায়!

২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: অপূর্ণ সাহেব, দেখছেন না জনাবের ঝুলিতে সাড়ে চার বছর ইউএস তে থাকার অভিজ্ঞতা আছে, এসিএ এসিএমএ ডিগ্রি আছে, আপ্নে তার পরেও জনাবের সাথে দ্বিমত পেষণ করিতেছেন! আপনার সাহস তো কম না!!

ওসব ছাড়ুন আর আসুন লাইনে দাড়াইয়া জনাবের চিন্তা চেতনা এবং ডিগ্রী সমুহকে জানাই স্যালুট রেস্পেক্ট আর অভিনন্দন!!

২২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমার কমেন্টের রিপ্লাই কোথায়?

২৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

অন্ধকার মানুষ বলেছেন: @অপূর্ণ রায়হান, অপু তানভির
নারীরা সম্পুর্ণ এককভাবে ইভটিজিং এর জন্যে দায়ি নয় তেমনি এও সত্যি নারীদের আবেদনময়ী পোষাক আর চলাফেরা ইভটিজিং এর অন্যতম কারণ।
বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত যত ইভটিজিং হয়েছে তার সুরতহাল বের করুন, বুঝতে পারবেন কে বা কি আসলে দায়ি ইভটিজিং এর জন্যে।
কিছুদিন আগে যখন পার্শবর্তী দেশ ভারতে উপরঝুপরি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তখন সেখানকারি প্রশাসন আঙ্গুল তুলেছিল মেয়েদের পোষাকের প্রতি ধর্ষণের কারন হিসেবে।

@ অপু তানভির
সৃষ্টিগত কারনেই পুরুষ নারীর প্রতি দুর্বল। আপনার কুকুরের কথা ধরেই বলছি, কিছু মানুষ আছে যারা নারীদের অতি শ্রদ্ধ্যা আর সম্মান দেখায় এবং সমাজে নিজেকে ভদ্র বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, এটা তাদের নারী ভক্তি নয়, এটা হল নারী ভক্তির আড়ালে নিজের পুরুষত্বহীনতাকে আড়াল করার সুক্ষ্য বুদ্ধি। এধরনের মানুষগুলা আসলে অতি উচ্চমাত্রার কুরুচির হয়ে থাকে, সমকামী হয়ে থাকে এবং এদের সেক্সুয়াল সমস্যা আছে।

২৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আবার আসলাম।
আপনার যুক্তিটা হয়ে গেলো এরকম। ১২ তে কিছু হুজুগে ভণ্ড তথাকথিত ধার্মিক ব্লগার ধর্ষণের জন্য পোশাক ও মেয়েদের চলাফেরাকে দায়ী করে আমার ডান্ডা খারায় যায় আমি কি টিজিং না কৈরা কি করমু : এই ধরণের যুক্তি দিয়েছিলো, ঠিক আপনার মতো!
যুক্তি খণ্ডন দিয়েছিলেন ব্লগার@অগ্নির।
এটা একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া । আপনি যদি মেয়েদের সালওয়ার কামিজে দেখে অভ্যস্ত হন তাহলে জিন্সে দেখে আপনার 'খারায়' যেতে পারে । যদি বোরখা দেখে অভ্যস্ত হন, সালওয়ার কামিজে দেখে আপনার 'খাড়ায়' যেতে পারে । আর যদি মেয়েদের না দেখতে অভ্যস্ত হন তবে আশেপাশে কোন মেয়ে আছে এই চিন্তাতেও আপনার 'খারায়' যেতে পারে । এমতাবস্থায় আপনার ধর্ম আপনাকে যে নির্দেশ দিয়েছে তাই করবেন । বাড়ি গিয়ে অজু করে নামাজ পড়বেন ।

কারন বেপর্দা বেহায়া মেয়েলোকের সংখ্যা পৃখিবীতে কমার কোন চান্স নাই । কিন্তু আপনাকে তো বেহেশতে যাইতেই হবে, তাই না ?


@স্নিগ্ধ নামে একজন ব্লগার আপনাদের মতো যত্রতত্র ডান্ডা খাড়াইয়া যাওয়া পুরুষদের জন্য বলেছিলেন,
স্নিগ বলেছেন: যখন ক্ষুর নিয়ে ছিনতাই হতে দেখেন তখন তারা সাধারণ মাণুষ।
যখন বাসে মধ্যবয়সী মহিলা দাড়িয়ে যায়, তখন তারা সাধারণ মাণুষ।
যখন বসুন্ধরা (বাশ ধরা) শপিং কমপ্লেক্সে অ্যাবসার্ড প্রাইজে ফেক্সটেসির চাড্ডি কিনতে হয়, তখনও তারা সাধারণ মাণুষ।

কিন্তু যখন কোনো নারীর ওড়না হালকা সরে যায়, সাথে সাথে তারা সক্ষম পুরুষ।

এমন তিমিরবিদারী দানবীয় পৌরুষরে আমার সালাম।


আমিও বলি,
আপনাদের মতো এমন এখানে সেখানে সবখানে মাইয়া দেখলেই ডান্ডা খাড়া কৈরা টিজিং ও রেইপ করার ধান্দায় থাকা আর কোন কারনে ;) না পারলে বা অক্ষম হইলে অন্তর্জালে তা লিখে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো তথাকথিত পৌরুষত্ব সম্পন্ন প্রাণীদের খারাইয়া স্যালুট, রেস্পেক্ট আর অভিনন্দন। এমন পুরুষ হওয়ার আমাদের দরকার নাই, এমন ডাণ্ডা নিজ নিজ পরিবারের জন্যও নিরাপদ নয়।

( আপনাকে একটা লিঙ্ক দিয়েছিলাম, পড়লে বুঝতে পারতেন। আসব নিয়ে তর্ক বিতর্ক করতে করতে আপনি যা যা যুক্তি আপনার জ্ঞানের আওতায় দিবেন, তা অনেক আগেই অনেক ব্লগার খণ্ডন করে গিয়েছেন। এটা লক্ষ্য করলে আর এভাবে তর্ক করতেন না। আর মন্তব্য মুছবেন না। এসব লেখা লিখলে এরকম কাউন্টার যুক্তি তর্ক শুনতেই হবে। আপনার লিখিত বক্তব্য সম্পর্কে ও তা ডিফেন্ড করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা থাকলেই তা নিয়ে ব্লগে লেখা উচিৎ বলেই মনে করি। )

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১১

অন্ধকার মানুষ বলেছেন: যুক্তি উপস্থাপন করা আর ব্যক্তিগত আক্রমন করা এক নয়, একমাত্র স্বশিক্ষায় শিক্ষিত আর পিতৃ পরিচয়হীন মানুষরাই ব্যক্তিগত আক্রমন করে। আসা করি আপনি উল্লেখিত গোত্রের অন্তর্গত নন.।

২৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২০

অপু তানভীর বলেছেন: কি ব্যাপার ভাইজান, কমেন্ট মুছে দিলেন কেনু?
প্রশ্নের উত্তর দিলেন না তো?

কোন গোত্রের আপনি??

২৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @অন্ধকারের মানুষ! ২৩ নাম্বার মন্তব্যে আপনি কি ব্যাক্তি আক্রমণ করেন নি! আপনি তো সমাজের একটা জাত আক্রমণ করেছেন! যারা সিংহভাগ। যাদের যত্রতত্র ডান্ডা খাড়া হয় না। যারা নারীদের শ্রদ্ধা আর সম্মান দেখায় বলে তারা পুরুষত্ব হীন! আপু তানভীর আপনাকে সরাসরি বলেছে, আর আপনি ভাব বাচ্যে আক্রমণ করেছেন।

@অপু তানভীর, ভ্রাতা ভাব বাচ্যে লিখুন! সেটা ব্যাক্তি আক্রমণ হবে না।

তবে একটা দুঃখ কি, আপনাদের মতো অন্ধকারের মানুষদের এরকম কথা বলে যাওয়ার মতো স্পর্ধা কিন্তু যেই নারীদের আমরা ডিফেণ্ড করার চেষ্টা করছি, তারাই দিয়ে যাচ্ছেন। নারীরা প্রতিবাদ করছেন না। সাহসের অভাব নাকি লজ্জা, আমি জানিনা! প্রমাণ আপনার পোষ্টে মন্তব্যগুলোতে নারী ব্লগারদের অনুপস্থিতিতেই দেখা যাচ্ছে।

২৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: অপূর্ণ ভাই, ভাববাচ্যে লেখার কোন প্রয়োজন নেই! কমেন্টের উত্তর না দিয়ে মুছে ফেলা টা মেরুদন্ডহীন লোকের কাজ। মেরুদন্ডহীন লোকের পোস্টে যথেষ্ট সময় নষ্ট করেছি, আর না! আপনি খামোখা সময় নষ্ট করিয়েন না আর!

২৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

মাসূদ রানা বলেছেন: হাহাহাহা ...... যারা মনে করেন ইভটিসিং এ নারীদের যৌনাঙ্গ expose করে চলার কোন দ্বায় নেই সে সকল গবাদিগনের জন্যে এই ভিডিওটা উত্সর্গ করলাম ::

২৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: অবিসংবাদিত ও বাস্তব অভিজ্ঞতা ভিত্তিক গবেষণামূলক পোস্ট । নিকের নাম দেখেই নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলুম এই ভেবে যে, এই নিকের হাত দিয়ে জ্ঞানী পোস্ট না বের হয়ে পারেনা ।


তথ্যগুলো নিশ্চয়ই নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নিয়েছেন ।

৩০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:৫৯

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: লেখক কোন ভাবেই আমাদের পয়েন্ট ধরতে পারছেননা। আপনার মধ্যে ধারণা হয়ে গেছে যে আমরা অশালীন পোষাক সমর্থণ করছি, না ভাই কোন ভাবেই অশালীন পোষাকের সমর্থণ আমি এবং অপুর্ণ করছিনা।আমাদের ভাবনা শালীন বা অশালীন মেয়েদের নিয়ে নয়, আমাদের ভাবনা আমাদের মতই পুরুষ বা ছেলেদের নিয়ে।একজন ছেলে হিসেবে আমারা আমাদের দায়ীত্ব বোধ নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, আসুন আপনাকে একটু সহজ ভাবে বুঝাই-

ধরুন দুজন মানুষ নির্বাচণে দাড়িয়েছে আপনাকে দুজনের মধ্যে একজনকে ভোট দিতে হবে-

একজন নারী যে মাথায় ঘোমটা দেয়নি,বুকে ওড়না নেই,হয়তোবা পেটের খানিক অংশ ভালো ভাবে তাকালে চোখে পড়তে পারে,এই হলো মেয়েটির দোষ,মেয়েটি ছেলেদের দেখলে শিষ দেয়না,বাজে কথা বলেনা,চারপাচ জন মেয়ে মিলে কোন একলা পুরুষকে নিয়ে ধর্ষণ করেনা, এমনি একজন নারী পার্থী।

অপর জন একজন পুরুষ- সে মেয়েদের দেখেলে উত্তপ্ত করে,হাই সেক্সি বলে বাক্য ছুড়ে দেয়,অথবা মেয়েদে শরীরে হাত দেয়,শরীরের ভৌগলিক ব্যখ্যা করে কূৎসিৎ ভাবে।অথবা কোন মেয়েকে নির্জনে পেলে ধর্ষণ পর্যন্ত করে বা করবে।

আপনি কাকে ভোট দিবেন?

আমি আর অপুর্ণ মেয়েটাকে ভোট দিচ্ছি।জন প্রতিনীধি করছি,কারণ আমি আর অপূর্না জানি যে মেয়েটি যেই পোষাক নিয়ে দাড়িয়েছে সেটা সে নিজের ক্ষতি করছে,কিন্তু প্রতিনীধি হলে সে আর কারো ক্ষতি করবেনা, যেই টুকু দোষ মেয়েটার আছে সে সময় হলে নিজের বুঝে শুধরে নিবে,যখন সে দেখবে অশালীন পোষাকের সুফল কুফল কি, কিন্তু আপনি যাকে ভোট দিচ্ছেন কিংবা দোষারোপ থেকে বাচাচ্ছেন সে কিন্তু নিজের ক্ষতি করছেনা,করছে আমার আপনার মা বোনদের বউদের।আপনি বার বার মেয়েদের দোষ দিতে গিয়ে ঐ বিকৃত মস্তিষ্কের লোকটার পক্ষ নিচ্ছেন।ঠিক ঐ খানেই আমাদের আপত্তি আর কিছুনা। আমরা চাই একটা মেয়ে সুন্দর রুচিশীল হোক,সে নিজেকে গুছিয়ে চলাফেরা করুক কিন্তু তার মানে এই নয়যে আমরা ঐ রুচিহীন মানুষটার পক্ষ নেবো।

ভিডিও প্রসঙ্গ_

মাসুদ রানা আমাদের মত গাধাদের জন্য একটা ভিডিও দিয়েছেন,ভিডিও অনেক সুন্দর একটা ভিডিও,মুসলিম অমুসলিম বলে কথা নয় এটা দেখলে যে কোন মেয়েকে রুচিশীল হতে অনুপ্রেরণা জাগাবে।অনুপ্রেরণার জন্য এই ভিডিওকে আমি সমর্থণ করি তবে আমি ভিডিও জন্ম সৃষ্টি নিয়ে বলতে চাই- কারণ কোন রকম চালাকি কিংবা মিথ্যা দিয়ে আমাদের ধর্ম প্রতিষ্ঠা হয়নি।দুনিয়ার মধ্যে ইসলাম ধর্মই একটা ধর্ম যা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নবী করিম সাঃ) কখনোই কোন ভুল বা মিথ্যার সাথে আপোষ করেনি।

প্রথম ৫ মিনিট যেখানে মেয়েটি কম পোষাক পড়েছে সেখানে দৃশ্য বদল হয়েছে ২০ বার।
শেষের ৫ মিনিট দৃশ্য বদল হয়েছে ১০ বার।সুতরাং এটা কোন টানা পাঁচ মিনিটের ভিডিও নয়,এখানে আমি বুঝাতে চেয়েছি মন্দকে তুলে ধরতে ২০টা সিকোয়েন্স নিতে হয়েছে, আর ভালো বুঝাতে ১০ বার।তাহলে মন্দটা দুরহ,যা সবাই করেনা।যারা করে তারা সব সময় সব অবস্থায় করে,।

পরের কথা যায়গাটা ম্যনাহটন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমি এখান বসবাস করেছি।সুর্য্যদয় থেকে নিশিত রাত। আমি এখানে সকল ধরণের পোষাকের নারীকে সন্মান করা মানুষ দেখেছি অনেকককককককককককককককককককককক কিন্তু আপনার মন্দ দৃশ্যের দৃশ্য আমার চোখে পড়েছে হাতে গোনা ৩ থেকে ৪টার বেশি নয় তাও আবার তারা এমন পোষাকের ছিলো যার দিকে তাকাতে আমাদের খুব অশ্বস্তি হতো,এই মেয়েদের ঠিক মেয়ে বলা যায়না বলা যায় এক খন্ড মশলা সমেত মাংস পিন্ড। সুতরাং আমি বরাবরের মতই শালীন পোষাকের মেয়েদের পক্ষে এবং কঠিন ভাবে ঐসব বিকৃত মস্তিষ্কের পুরুষের বিপক্ষে যারা ইভটিজিং করে।

আশা করি বুঝতে পারছেন।



৩১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

মাসূদ রানা বলেছেন: @ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট সাহেব, আপনি এখানে অনেকগুলো পয়েন্ট নিয়ে বলেছেন :: তাই পয়েন্টগুলোর উত্তরগুলোকে আপনার বোঝার সুবিধার জন্য নাম্বারিং করে লিখলাম ...... ঠিকাছে :)

১/ ভিডিওটি ভালো লাগায় ধন্যবাদ।।
২/ ভিডিওটির ব্যপারে আপনার ধারনায় হালকা অস্পষ্টতা রয়েছে বলে মনে হয়:: ভিডিওটি মুলত ৪ মিনিটের ..... কিন্তু প্রক্রিতপক্ষে মেয়েটি ম্যানহাটনের দৃশ্যমান সড়কগুলোতে হেটেছে ১০ ঘন্টা ...... ৫ ঘন্টা টি শার্ট, জিনস পরে ; ৫ ঘন্টা হিজাব পরে । সুতরাং উত্যক্তকারী খুজে পাওয়ার জন্য জিনস, টি শার্ট পরে বেশী সময় নিয়ে ঘুরা হয়েছে , এটা ভুল ধারনা।
৩/আপনি বলেছেন :

কোন রকম চালাকি কিংবা মিথ্যা দিয়ে আমাদের ধর্ম প্রতিষ্ঠা হয়নি।


আপনি কি ইনডিকেট করছেন যে ভিডিওটিতে চালাকি করা হয়েছে ? একটু স্পষ্ট করে বলুন কোথায় চালাকি করা হয়েছে .....
৪/আপনি শেষের প্যারাটিতে যা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তা সম্ভবত এরকম :: সব নারী পুরুষরাই এধরনের নোংরা মানসিকতা ধারন করে না [অশ্লীল পোশাক পরা কিংবা ইভটিসিং] ; যারা বিকৃত মানসিকতার তারাই এসব করে বেরায় .......

ভালো বলেছেন, তাহলে আমাকে বলেন যে , যারা বিকৃত মানসিকতা ধারন করছেন , তাদের মানসিক বিকৃতির কারন কি ? তারা তো আর আপনা আপনিই বিকৃত হয়ে যায় নি ...... কোন না কোন সামাজিক নিয়ামক তাদেরকে বিকৃত করেছে তাই না ? আর ঐ সামাজিক নিয়ামককে চিন্হিত করতে গিয়ে যদি অশ্লীলতাকে টেনে আনি, তাহলে এটা নিশ্চই অত্যুক্তি হবে না .........

৫/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.