নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধের লাঠি

অন্ধকার মানুষ

অন্ধকার মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিয়ালের মুরগি স্বাধীনতা...

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

গত বেশ কয়েকদিন ধরে ফেসবুক, টিভি, পত্রপত্রিকা সহ অন্যান্য সব মিডিয়াতে শুধু একটাই বিষয়...

পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে নারীদের যৌন নির্যাতন। নারীদের বস্ত্রহরন এবং নির্যাতনের স্পস্ট প্রমাণ থাকলেও এখনো আসল হোতারা গ্রেপ্তার হয়নি। অনেকেই আইন শৃংখলাবাহিনীর ব্যর্থতা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, অন্যায় আর অবিচারকে দায়ী করছেন, কেউ কেউ আবার রাষ্ট্রযন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আজ নারী সংগঠন গুলো চুপ হয়ে আছে, সুশীল সমাজ ঘুমাচ্ছে, প্রগতিশীলরা দিবালোকে জনসম্মুকে নারীভোগের দৃশ্য দেখে মজা লুটছে। দায়িত্বশীলরা প্রমাণের অভাবের অজুহাত দেখাচ্ছেন।

ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন। কেউ আবার এসব নিয়ে টকশোতে হট টেম্পার্ড হয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার এসব নিয়ে বিশ্লেষনের পাহাড় দাড় করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মজার বিষয় আসল দুটি জিনিষ সবাই এড়িয়ে যাচ্ছে। যাদের উপর এমন নির্যাতন হয়েছে তারা আজ কেমন আছেন? ব্যক্তি ও সমাজ থেকে তাদের যে সহযোগিতা করার কথা তার কি হলো? শারীরিক ও মানুষিক ভাবে সুস্থ করে তুলতে তাদের প্রতি সমাজের তথা আজকে বড় গলায় প্রতিবাদকারিরা কি ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন?

আর দ্বিতীয়টি হলো এমন ঘটনা কেন বার বার ঘটছে? এটা কি শুধুই নারীদের উলঙ্গ চলার ফল নাকি নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রকৃত ধর্ম শিক্ষার অভাব?

একটু খেয়াল করলেই দেখবেন পৃথিবীর সব গুলো ধর্মেই কিন্তু নারীপুরুষ উভয়ে উভয়ের প্রতি পুর্ণ শ্রদ্ধা আর সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে, সালীনভাবে চলার কথা বলা হয়েছে। সত্যিকারের মনুষত্ব্য সব ধর্মেরই শিক্ষা। তাহলে আজ মানুষ কেন এমন হিংস্র আচরন করছে? এর উত্তর একটাই। মানুষ আজ ধর্মকে তুচ্ছজ্ঞ্যান করেছে, অনেকে আবার ধর্মকে এক ধরনের ফ্যাশন হিসেবে নিয়েছেন। কেউ আবার ধর্মভিরুদের মৌলবাদী বলে গাল দেয় হোক সে মুসলিম বা হিন্দু অথবা বুদ্ধ। কেউ আবার ধর্মকে নিছক কিছু সিলেক্টিভ গোষ্ঠীর গোড়ামী ও উগ্রতা মানষিকতা সম্পন্ন বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

আসলে তথাকথিত প্রগতিশীল কিছু মানুষ আছে যারা আধুনিকতার নামে সবসময় ধর্ম থেকে বা ধর্ম শিক্ষা থেকে মানুষকে আলাদা করে রাখতে চায়। এসব মানুষের কথা মাথায় আসতেই সেই কথাটাই মনে পড়ে যায়...

“শিয়ালরা সবসময় মুরগির স্বাধীনতা চায় কারণ মুরগি যখন স্বাধীন হয়ে বাইরে বের হবে তখন শিয়ালরা খুব মজা করে মুরগিদের খাবে, ঠিক একই ভাবে শিক্ষিত আর আধুনিকতার মুখোশ পরিহিত লুইচ্চারা সব সময় নারীদের সম-অধিকারের কথা বলে নারীদের উলংভাবে রাস্তায় বের হতে উৎসাহ দেয় যাতে করে খুব মজা করে তারা নারীদেহের মজা নিতে পারে” – যার যোগ্যতম উদাহারন হলো এই পহেলা বৈশাখের আলোচিত ঘটনাটি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৯

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: ১০০% সহমত

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৭

অন্ধকার মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

তাসজিদ বলেছেন: সহমত কিনা বুঝতে পারছি না।

তবে শেষ পেরা টি ভাবনার খোরক যোগায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.