![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হয়তো এমন খবর দেখে আশ্চর্য হতে পারেন। কিন্তু আসলেও ঘটনাটি সত্যি। শুধু বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলেই ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন ৫০টি দেশে!
যদি এই ঘটনাটি সত্যি হয় তাহলে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আপনিও গর্ব করতে পারেন নি:সন্দেহে। কারণ হলো ভিসা ছাড়াই শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্টের জোরে আপনি অন্তত ৫০টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। সম্প্রতি আর্থিক খাতের উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান আরটন ক্যাপিটাল প্রভাবশালী পাসপোর্টের তালিকা তৈরি করেছে। আর এটিতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অবস্থান ৬৭তম।
অরটন ক্যাপিটালের নিয়ন্ত্রিত পাসপোর্ট ইনডেস্ক ডটঅর্গ ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীরা ৫০টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন। এ দেশগুলোর কয়েকটিতে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের কোনো ভিসার প্রয়োজনই হয় না। বাকি দেশগুলোর প্রায় সবগুলোর ক্ষেত্রেই সেখানে পৌঁছে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ করে নিতে হয়। আর, এক-দু’টি দেশের ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে।
পাসপোর্ট ইনডেক্স ডটঅর্গে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের প্রভাব নিয়ে তালিকা করা হয়েছে। কোনো দেশের পাসপোর্টধারী ভিসা ছাড়াই অন্য দেশের যাওয়ার সংখ্যার ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়।
ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে এবং অবস্থান করা যাবে এমন দেশগুলো হচ্ছে:
# এশিয়া মাহাদেশের মধ্যে ভুটান (যত দিন ইচ্ছা)
# শ্রীলংকা (৩০ দিন)
# আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে কেনিয়া (৩ মাস)
# মালাউই (৯০ দিন)
# সেশেল (১ মাস)
# আমেরিকা মাহাদেশের মধ্যে ডোমিনিকা (২১ দিন)
# হাইতি (৩ মাস)
# গ্রানাডা (৩ মাস)
# সেন্ট কিট্স এ্যান্ড নেভিস (৩ মাস)
# সেন্ড ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাউন দ্বীপপুঞ্জ (১ মাস)
# টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (৩০ দিন)
# মন্টসের্রাট (৩ মাস)
# ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপমালা (৩০ দিন)
# ওশেনিয়া মাহাদেশের মধ্যে ফিজি (৬ মাস)
# কুক দ্বীপপুঞ্জ (৩১ দিন)
# নাউরু (৩০ দিন)
# পালাউ (৩০ দিন)
# সামোয়া (৬০ দিন)
# টুভালু (১ মাস)
# নুউ (৩০ দিন)
# ভানুয়াটু (৩০ দিন)
# মাক্রোনেশিয়া তিলপারাষ্ট্র (৩০ দিন) অন্যতম।
এছাড়াও যেসব দেশে প্রবেশের সময় (on arrival) ভিসা পাওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে:
# এশিয়ার মধ্যে আজারবাইজান (৩০ দিন, ফি ১০০ ডলার)
# জর্জিয়া (৩ মাস)
# লাউস (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
# মালদ্বীপ(৩০ দিন)
# মাকাউ (৩০ দিন)
# নেপাল (৬০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
# সিরিয়া (১৫ দিন)
# পূর্ব তিমুর (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
# আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে বুরুন্ডি, কেপ ভার্দ, কোমোরোস, জিবুতি (১ মাস, ফি ৫০০ জিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক)
# মাদাগাস্কার (৯০ দিন, ফ্রি ১,৪০,০০০ এমজিএ)
# মোজাম্বিক (৩০ দিন, ফি ২৫ ডলার)
# টোগো (৭ দিন, ফি ৩৫,০০০ এক্সডিএফ)
# উগান্ডা (৩ মাস, ফি ৩০ ডলার)।
তবে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট রওনা হবার সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী অফিসার ভিসা নেই বা আপনার সমস্যা হবে এই মর্মে হয়রানি করতে পারে টু-পাই কামানোর জন্য। কেউ এসব দেশে বেড়াতে যেতে চাইলে টিকিট কেনার সময় আরো তথ্য জেনে নিতে পারেন। আর আপনার কাছে ফিরতি টিকেট ও হোটেল বুকিং এর কাগজ অবশ্যই থাকতে হবে
২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২
সুমন কর বলেছেন: ভালো।
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৮
বিজন রয় বলেছেন: জানলাম।
৪| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২০
ভোরের সূর্য বলেছেন: বিন্দু বিসর্গ এর সাথে একমত।শুধু সেটাই না। অনেক দেশ আছে যেখানে বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। মানে অন্যান্য দেশের মতন আপনি অন এরাইভ্যাল ভিসা কিংবা ই ভিসা পাবেন না। অনেক দেশের ইমিগ্রেশান নিয়মে দেখেছি তারা বেশ কিছু দেশ কে ব্ল্যাক লিস্টেড করে রেখেছে তার মধ্যে কমন ডেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। এমন কি মায়ানমার যাদের মাথাপিছু আয় আমাদের দেশের থেকেও কম এমন কি এরা কিছুদিন আগে পর্যন্তও সামরিক বাহিনী শাসিত দেশ ছিল তারাও থাইল্যান্ড,মালায়শিয়ার মতন দেশে ভিসা তে বিশেষ সুবিধা পায়।
যাই হোক। আপনার লিস্টের মধ্যে নতুন একটি নাম বাদ গেছে। গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ইন্দোনেশিয়াও বাংলাদেশীদের জন্য অন এরাইভ্যাল ভিসা চালু করেছে। মানে এখন আর ঢাকা থেকে ভিসা নিতে হবে না। ইন্দনেশিয়ার এয়ারপোর্টেই ভিসা পাওয়া যাবে ৩৫ডলার ফি।
১৩ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮
অন্ধকার মানুষ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ এবং তথ্যের জন্যেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮
বিন্দু বিসর্গ বলেছেন: ভাই , এই সব দেশে কয় জন যায় ? আর ঐ সব দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা চিন্তা করলে এত গর্ব করার কিছুই নাই ।