নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই দেশ আমার আপনার । আসুন আমরা দেশকে ভালবাসি।

জ্বলন্ত আলো

জ্বলন্ত আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতে চাপা পড়তে যাচ্ছে আরো একটি হত্যাকান্ড

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮



দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে ভালো নয় এটা নতুন করে বলার কি আছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার আন্তরিক চেষ্টা সরকারের আছে বলে মনে হয় না। দিন দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নানা ভাবে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকের সরকার উপর যেহেতু টিকে আছে সেহেতু তাদের উপর খবর দারীর অধিকারও হারিয়েছে বর্তমান সরকার। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপরস্ত কর্তা ব্যাক্তিরা হরহামেশাই রাজনৈতিক নেতাদের মতো সরকারের পক্ষে অবৈধভাবে বক্তৃতা দিচ্ছেন।

যাই হোক আসল কথায় আসা যাক। জামায়াত ও আওয়ামী লীগকে দুটো আলাদা মেশিন হিসেবে পরিচয় ঘটিয়ে দিতে ইতিমধ্যেই সক্ষম হয়েছে সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। আওয়ামী লীগ হলো এমন মেশিন যেখানের রাজাকার প্রবেশ করলে মুক্তিযোদ্ধা বের হয়। আর এই মেশিন ত্যাগ করলে মুক্তিযোদ্ধাও রাজাকারের পরিনত হয়। আরা জামায়াত হলো এমন মেশিন যাতে, আওয়ামী লীগের সকল অপকর্ম এই মেশিনের উপর দিয়ে পবিত্র হয়।

আর তার ধারাবাহিকতায় লিটন হত্যাকান্ডটি জামায়াতে চাপা পড়তে যাচ্ছে। যেমন চাপা পড়ছে নাসিরাবাদের সংখ্যালঘুদের উপর হামলা। হামলার সাথে সাথে তদন্ত ছাড়াই জামায়াত করছে বলে সনাক্ত করে ফেলেছেন। কেউ কেউ তো ঘটনাস্থলের মাটি দেখেই বুঝতে পারছে জামায়াত করছে।

আর লিটন হত্যাকান্ডটি তো জামায়াতের ঘাড়ে চড়ানো সব থেকে সহজ। তাই সাথে সাথে মাটি দেখার আগেই ওবায়দুল হানিফরা সনাক্ত করে ফেলেছেন। এখন বাকি কেবল জাজমেন্ট।

আর হত্যাকান্ডগুলো জামায়াতে চাপা দিয়ে আসল হত্যাকারীদের পবিত্র করে তুলছেন। আসল হত্যাকারীরাও মাশাল্লাহ তারা তাদের কাজ কন্টিনিউ চালিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

আলপনা তালুকদার বলেছেন:
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের এক জরিপে দেখা গেছে দু'হাজার ষোলো সালের জানুয়ারী থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেশে শিশু হত্যা হয়েছে ১৫৪ জন, অপহরণ ১২৭ জন, অপহরণের পর হত্যা ২৩ জন, ধর্ষণ ২৩০ জন, ধর্ষণের পর হত্যা ১৭ জন। জরিপে বলা হয়েছে শিশুদের প্রতি সহিংসতা ক্রমাগত বাড়ছে। বর্তমানে মিডিয়ার কারণে সহিংসতার এই বিভৎস চেহারাটা খুব তীব্রভাবে আমাদের সামনে এসেছে। মানুষের পশু প্রবৃত্তির জঘণ্য প্রমাণ মাঝে মাঝেই আমাদের বিবেককে নাড়া দেয় সব অপরাধের ক্ষেত্রেই। যেদেশে পুলিশ ঘুষ খেয়ে মানুষ খুন করে, সেদেশে আইনের শাসন আশা করা মূর্খতা ছাড়া আর কি? অসংখ্য আলোচিত হত্যাকাণ্ড আছে যার সুরাহা হয়নি, কোনদিন হবেও না, তা সবাই জানে, মেনেও নিয়েছে। কিছুদিন আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। তারপর ভুলে যাই। আবার নতুন কোন ঘটনা ঘটলে পুরোনোটা আবার মনে পড়ে।.......

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: সঠিক বিচার হলে অপরাধ কমতো।

বিচারহীন সমাজব্যবস্থায়ও সুষ্ঠ বিচারের আশা বুনে যাই। ধন্যবাদ

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এটা একটা খেলা।
জামায়াতিদেরও সমস্যা আছে। তারা জামায়াত নাম নিয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভোগে।
সরকার যেহেতু সব কিছুতে জামায়াতি খোঁজে তাহলে জামায়াতিরা তাদের দলের নাম পরিবর্তন করতে সমস্যা কোথায়! তখন দেখা যাবে সরকার কি নাম উচ্চারণ করে।

আওয়ামীলীগ এক্কেবারে ফ্রেস সে কথা বলব না। কিন্তু জামায়াতীদের অতীত কর্মকান্ডের কারণে আওয়ামীলীগ তাদের (জামায়াতী) নাম নিয়ে সহজে পার পেয়ে যায় এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে পারে।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: জামাতিরা যদি নাম পরিবর্তন করে তাহলে লাভ কি? তারা নতুন যে নাম দিবে সেই নামের উপর উঠবে।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

আলপনা তালুকদার বলেছেন:
এই পশু প্রবৃত্তিকে দমনের জন্য দরকার নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয়-সামাজিক অনুশাসন, সর্বোপরি আইনের কঠোর প্রয়োগ।

বিদেশে অপরাধীদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারেনা। অপরাধীরা নানাভাবে হেয় হয়। আর আমরা জেনেশুনে ঘুষখোর অফিসার, কর্মকর্তা-কর্মচারী বা পুলিশের সাথে আত্মীয়তা করি। অপরাধ করেছে জেনেও সব ভুলে তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করি। নিজ দল বা মতের লোকেদের অপরাধের কথা গোপন করি। মেনে নেই। মনে করি তার অপরাধ এমন গুরুতর কিছুনা বা অপরাধই না।

সভ্য দেশগুলোতে সত্যিকারের আইনের শাসন আছে। অর্থাৎ অপরাধ করে কেউ পার পায়না। ঘুষ খেয়ে কেউ অপরাধীকে শাস্তি থেকে রেহায় পেতে সাহায্য করেনা। আমাদের দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন তা আমরা সবাই জানি। মাঝে মাঝে মনে হয় কোনদিনই কি এদেশে তেমন অবস্থা হবেনা, যখন অপরাাধী যেইই হোক না কেন, শাস্তি থেকে রেহায় পাবেনা কিছুতেই?

বিচার বিভাগ ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে পরিস্থিতি বদলাতো। কেন তা করতে দেয়া হয়না, তাও আমরা সবাই জানি। দিলে অবশ্যই আমরাও কোন উন্নত দেশের মত আশা করতে পারতাম, প্রতিটা মানুষ ন্যায়বিচার পাবে।

এমন এক স্বপ্নের বাংলাদেশের অপেক্ষায় আছি। যাঁরা এই স্বপ্ন সত্যি করতে পারেন, তাঁরা কি তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন? অপেক্ষায় আছে গোটা বাংলাদেশ। আগামী বছরে আশা করছি, এমন কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটুক, যাতে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
আমার লেখার বাকী অংশটুকুও আপনার লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক বলে জুড়ে দিলাম...

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: ধন্যবাদ। এমন স্বপ্ন দেখি সর্বদাই।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: জামায়াত আওয়ামী লীগের কাছে গরিবের বিষফোঁড়ার মত..... দেখিয়ে ভিক্ষেও করা যায় আবার চুলিকিয়েও আরাম.. চিকিৎসা করার দরকার কি???

সবকিছু আজ নষ্টদের দখলে!!!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০১

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: ভালোরা নষ্টদের হাতে ছেড়ে দিলে তো নষ্টদের হাতেই যাবে।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই ব্লেইম গেম খেলার জন্যই এখনো জামায়াতকে নিষিদ্ধ করছে না। অথচ তাদের মূল নেতাদের সবাইকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। নেতার শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে অথচ দল এখনো নিষিদ্ধ হয়নি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.